নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এসো স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেই...

সাহিিতযক েপ্রািটন

নিজেকে চেনা বড় কঠিন, কখন ও আমি নদীর মত শান্ত, কখন বা হিমুর মত উদ্ভান্ত, কখন ও এই দুই সত্তা মিশে একাকার.।.।.।

সাহিিতযক েপ্রািটন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাস্তা পার হওয়া নিয়ে একটা শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০৭

আমি যদি কখনও আমেরিকা না যেতাম তাহলে হয়ত এই প্রশ্নটা আমার মাথায় কখনও আসত না যে- রাস্তায় জেব্রা ক্রস এ কেন আমাদের সবসময় দৌড়িয়ে রাস্তা পার হতে হয়? আসলে বেপারটা এরকম হওয়া উচিৎ না। নিয়ম হওয়া উচিৎ আগে মানুষ পার হবে তারপর গাড়ি পার হবে, কিন্তু আমাদের দেশে ঠিক উল্টা, যেন রাস্তাটা শুধুই গাড়ির জন্য।



আমি প্রথম যখন আমেরিকার বোস্টন শহরে রাস্তা পার হচ্ছিলাম (সে দেশের রাস্তা পারাপার সম্পর্কে আমার তখন ধারনা ছিল না), আমি জেব্রা ক্রস এ দাঁড়িয়ে ছিলাম। তখন দেখলাম একটা গাড়ি এসে আমার সামনে থেমে গেলো। আমি ভাবলাম আগে গাড়ি যাবে তারপর আমি যাব (এটা আমার মাথায় তখনও সেট করা ছিল), তাই আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু গাড়িটা যাচ্ছিল না। একটু পরে দেখি গাড়ির গ্লাস খুলে আমাকে হাত দিয়ে ইশারা করছে রাস্তা পার হবার জন্য- তখন বুঝলাম আগে আমি পার হব তারপর গাড়ি। এটা আমার একটা স্মরণীয় ঘটনা- কারণ পরে যখন আমি আমার দেশের সাথে তুলনা করলাম সত্যি অবাক হলাম। আমরা কোথায় পরে আছি আর পৃথিবী কোথায় এগিয়ে গেছে!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৩২

কে এম খান বলেছেন: এই রকম দৃশ্য আমাদের দেশে শুধু কল্পনাই মনে হয়.......... কবে যে আমরা মানুষ হবো..............???

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৩

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: আমেরিকাকে আমার দেশের সাথে তুলনা করলেন?যেদেশে দুনিয়ার সবচেয়ে বেশী সড়ক দূর্ঘটনা হয় /:) আমেরিকার রাস্তার ব্যাপারে আগেও শুনেছি।ওখানে নাকি জেব্রা ক্রসিং আসলেই গতি কমিয়ে দেওয়া হয়।আর আমি প্রতিদিন আমার রাস্তায় বাস-ট্রাক আসলে তাদের গতির সাথে একটা বোঝাপড়া তৈরী করে নিয়েছি ইতোমধ্যে এবং ঐ গতি অনুসারে সেই গাড়ি কখন কোথায় থাকবে তা মুখস্হ আর এসব গাড়ি যাওয়া আসার মধ্য দিয়ায় রাস্তা পার হই B-)) এখনও এক্সিডেন্টের স্বীকার হইনি B-)) B-))

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫

সাহিিতযক েপ্রািটন বলেছেন: @কে এম খান, ঠিক বলেছেন। তবে একটা জিনিস ভাবার মত- আমাদের অনেকেই যারা আমরা দৌড়িয়ে দৌড়িয়ে রাস্তা পার হই, আমাদের মাথায়ই আসে না যে- এই পরিবেশটা আরও সুস্থ হতে পারে। বাস্তবায়ন হয়ত সময়সাপেক্ষ, কিন্তু আমাদের মাথায়ও না আসাটা মানুষিক অপরিপক্কতা, আমরা খারাপ জিনিসের সাথে এমন ভাবে মিশে যাচ্ছি যে ভালটা আর আমাদের মাথাই আসে না!

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১

সাহিিতযক েপ্রািটন বলেছেন: @জেনারেশন সুপারস্টার, তুলনা করলাম কারন মাথায় জিনিসটা হিট করেছিল। তবে আমাদের দেশে কঠিন, কারন সমন্বয় নাই, গাড়ি বেশী, রাস্তা কম ইত্যাদি কারনে। তারপরও বলব এক মিনিট গাড়ি দাঁড়ালে রাস্তার সবগুলো লোক পার হয়ে যেতে পারে। আপনি এক্সিডেন্ট করেন নাই ভাল কথা, কিন্তু সাবধানে পার হবেন- এক্সিডেন্ট তো এক্সিডেন্টই তাই না!

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: বাঙালী নিজেরাই ডিসিপ্লিন চায়না। যেমন ধরেন, মিরপুর ১০ নাম্বারে ওভারব্রিজ আছে বাট জনগণ সব রাস্তা ধইরাই পার হইবো। দেশের যে জনসংখ্যার চাপ। গাড়ী যদি দাঁড়াইয়া বাঙালী পথচারীগো রাস্তা পারাপারের ব্যবস্থা কইরা দেয় তাইলে গাড়ী সব মাসের পর মাস দাঁড়াইয়া থাকতে হইবো আর পাবলিক খালি রাস্তা পার হইবো। জেব্রা ক্রসিং হইলেও একই অবস্থা হইবো। বিদেশে তো অনেক জায়গায় জেব্রা ক্রসিং এর জায়গায় একটা সুইচ থাকে। পথচারী সেই সুইচে চাপ দিলেই রেড সিগন্যাল দেয় গাড়ী দাঁড়ানোর জন্য। এখন এই ব্যবস্থা বাস্তবতার খাতিরেই বঙ্গ সমাজের জনগণের জন্য প্রযোজ্য না

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০০

প্রকৌশলী মোঃ জুলফিকার আলী জুয়েল বলেছেন: আমি তখন দক্ষিন কোরিয়ার সু্ওন শহরে। আবাসিক এলাকার ভিতরে একটা রাস্তা। আমরা তিন কলিগ গল্প করতে করতে হেটে যাচ্ছিলাম। অনেকক্ষন পরে খেয়াল করলাম একটা প্রাইভেট কার আমাদের পিছু পিছু আসছে। একটা হর্ণ দিলেই কিন্তু আমরা সাইড দিতাম, কিন্তু সে সেটা দেয় নি। আমরা খেয়াল করার পর সাইড দিলাম তখন সে আমাদের ক্রস করে চলে গেল। আর যাওয়ার সময় গ্লাস নামিয়ে খামছাহামমিদা (ধন্যবাদ) দিয়ে গেলো। তিন মাস ছিলাম, কোনোদিন গাড়ির হর্ণ শুনেছি বলে মনে হয়না।

এবার আমাদের পাব্লিকদের ভুল গুলো বলি। ওভারব্রীজ থাকা সত্যেও আমরা সেটা ইউজ করিনা। আরেকটা হলো, কিছু কিছু সিগনাল আছে যেটা খুব দেরিতে এবং খুব অল্প সময়ের জন্য ছাড়ে (যেমন সোনারগাও সিগনাল)। ১০ মিনিট পর যখন সিগনালটা ১-২ মিনিটের জন্য ছাড়ে জনগন তখন রাস্তা ক্রস করতে নিলে গাড়িওয়ালারা ধৈর্য ধারন করতে পারেন না। আরে ভাই গাড়িগুলা যাক, দুইটা মিনিট পর সিগনালটা ১০ মিনিটের জন্য বন্ধ থাকবে তখন আস্তে ধিরে পার হও।

এবার বাংলাদেশের একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। আমি বাইক চালাই (আমার লাইফে সর্বচ্চ ৫০ কিমি/আওয়ার তুলছিলাম)। চেষ্টা করি পথচারিকে আগে যেতে দিতে। এফডিসির সামনে, রেললাইনে সিগনাল চলছে। আমি বাইক নিয়ে গিয়ে কেবলি দাড়াইছি। পাশে কয়েকজন হেটে যাচ্ছিল আমি ব্রেক করলাম। আমি আগে গিয়ে কি করব, গিয়ে তো দাড়িয়েই থাকতে হবে। বললাম আপনারা যান। আামার দিকে এমন ভাবে তাকালো যেন আমি একটা বলদ।

আমাদের অবস্থা এমন হয়ে গেছে, আমাদের যা করার কথা তা করিনা। তাই মাঝে মাঝে কেউ করলে অবাক হই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.