| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাইমুম পাব্না
Under construction
আজ ১৫ আগষ্ট...............
উপমহাদেশের ইতিহাসে এদিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন
প্রথমতঃ ভারত-পাকিস্তান ভেঙ্গে এদিনেই দুটি রাষ্ট্র আলাদা হয়েছে.
সেই থেকে অথ্যাৎ ১৯৪৭ সাল থেকে ১৪ আগষ্ট ভারত এবং ১৫ আগষ্ট পাকিস্তান তাদের নিজ নিজ স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে।
দ্বিতীয়তঃ ১৯৭১ সালের আগে অথ্যাৎ আমরা যখন পাকিস্তানের অন্তর্ভূক্ত ছিলাম তখনো কিন্তু ১৫ আগষ্ট-ই আমাদের মুক্তির মিছিল ছিলো। এদিনই আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম ব্রিটিশদের অপশাসন থেকে।
তৃীতিয়তঃ আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের বিনিময়ে যখন ২৬শে মার্চ এবং ১৬ই ডিসেম্বর পেলাম তখন ১৫ই আগষ্ট একটু ম্লান হয়ে গেল্.............. তবু পার্শ্ববর্তী দুইটি দেশের ইতিহাসে এদিনটি গুরুত্বপূর্ণ রয়েই গেল।
চতুর্থতঃ ১৯৭৫ সালে আবার এজাতিকে ১৫ই আগষ্ট কাঁদতে হলো কেনো? এদিনটিই তো কয়েক বছর পূর্বে এজাতির স্বাধীনতা দিবস ছিলো? তবে কি কোনো পরিকল্পিত অপশক্তির সুদুরপ্রসারী চক্রান্তের শিকার হলেন তিনি?
৫মঃ ১৯৬৯ সালের ১৫ই আগষ্ট তৎকালীন জামাত-ই-ইসলামীর একজন শীর্ষ ছাত্রনেতা আব্দুল মালেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইসলাম বিরোধী অপশক্তির হাতে নৃশংশভাবে খুন হন, তাকে ইট দিয়ে মাথা থেতলে দিয়ে ঘৃণ্যভাবে হত্যা করা হয়। এরপর তারই আদর্শে ১৯৭৬ সালে তারা গঠন করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এবং সেই থেকে অদ্যাবধি তারা এদিনটিকে (১৫ই আগষ্ট) ইসলামী শিক্ষা দিবস উদযাপন করে।
ষষ্ঠতঃ ১৯৭৬ এর পূর্বে পর্যন্ত বেগম জিয়া একজন সামান্য গৃহবধুই ছিলেন বটে, কেননা, তিনি তখন শুধুমাত্র একজন জেনারেলের স্ত্রী ছিলেন। জাতীয় পর্যায়ে তার কোনো কর্মকান্ড ছিলনা। এরপর জেনারেল জিয়া যখন রাষ্ট্রপ্রধান হলেন তখন বেগম জিয়া আস্তে আস্তে জাতীয় কর্মকান্ডের সহিত যুক্ত হলেন এবং জিয়া হত্যার পর বিএনপির হাল ধরলেন। এরপর আস্তে আস্তে প্রচার-প্রচারণায় স্থান পেল যে, ১৫ই আগষ্ট আওয়ামীলীগ-জামাত-শিবির এর পাশাপাশি বিএনপিরও একটি তাৎপর্য রয়েছে যা বেগম জিয়ার জন্মদিন।
সপ্তমতঃ এবার বাকি রইলো কি? জাতীয় পার্টি....... জেনারেল এরশাদকে এদিন গলাটিপে মেরে ফেলে বেগম রওশন এরশাদ দলের হাল ধরলেই হয়। তাহলে ১৫ই আগষ্ট-ই হয়ে যাবে বাংলার জাতীয় দিবস।
এবার দেশের একজন সাধারণ আমজনতা হয়ে আমি কোনটা উদযাপন করতে পারি?
যেহেতু বঙ্গবন্ধু আমার স্বাধীনতার স্থপতি, আমাকে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ এনে দিয়েছেন তাই আপাতত শোকদিবস-ই উদযাপন করতে পারি।
পিতা তুমি সুখে থাকো, আল্লাহ তোমাকে জান্নাত দান করুন.......
আমরাও তোমার মৃত্যুদিনে সুখে আছি...........
কারণঃ
১। তোমার মৃত্যুর সময় যার নিকট সাহায্য চেয়েও কোন রেসপন্স পাওনি সেই নিরব ভূমিকা পালনকারী তৎকালী সেনাপ্রধান জেনারেল সফিউল্লাহ কে নিয়ে আমরা আজ এমপি পদ অলংকৃত করে তাকে সম্মানিত করেছি।
২। তোমার হত্যাকান্ডে খুশি হয়ে রাস্তায় আনন্দমিছিল করা জাসদ নেতা ইনু সাহেবকে (নির্বাচনে ২ ভোট পেয়ে যার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়) এজাতি মন্ত্রী হিসেবে পেয়েছে।
৩। তোমার মৃত্যুতে সক্রিয় আনন্দ উদযাপনকারী সাম্যবাদী দলের নেতা দীলিপ বড়ুয়া (১১ ভোটের মালিক) আজ এদেশে শিল্পমন্ত্রী হয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে।
৪। তোমার মৃত্যুর পর ঘাতক খন্দকার মোশতাক সরকারের শপথ পরিচালনাকারী তৎকালীন সচিব এইচ টি ইমাম এখন তোমার কন্যার প্রধান রাজনৈতিক উপদেষ্টা।
৫। তোমার হত্যাকান্ডে সারাদেশ যখন নিরব তখন অস্ত্র হাতে রাস্তায় নেমে ঘাতকদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেওয়া বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম আজ নব্য রাজাকার উপাধি প্রাপ্ত এবং তোমার দল থেকে বহিস্কৃত।
৬। মাফ করে দাও পিতা......... আর বলতে পারছি না......... কান্না পাচ্ছে.........
©somewhere in net ltd.