নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের ভিতরের যোগ্যতাকে কখনো দেখাতে না পারা ব্যক্তিটাই অযোগ্য বলে গণ্য হয়। তবে আমি যোগ্য অযোগ্যর মাঝামাঝি একটা দড়ি ধরে ঝুলছি।

সজিব আহমেদ আরিয়ান

অতীত আর ভবিষ্যত নিয়ে কখনো ভাবি না। অতীত নিয়ে ভেবে কোন লাভ নেই কারণ সেটা আর ফিরে আসবে না আর ভবিষ্যত নিয়ে ভাবি না কারণ সেটা আমার জীবনে আসবে কিনা তা কেউ জানে না, তাই যা করবো আজই। সর্বদা যা করবো বর্তমান পরিস্থিতি দেখে।

সজিব আহমেদ আরিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সর্বকালের সেরা ১০০- তে বাংলা সিনেমা!

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২৭


বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নানান ভাষার সেরা ১০০ চলচ্চিত্র বাছাই করলো ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। ২০৯ দেশের ৪৩ জন বোদ্ধার ভোটে তৈরি হয়েছে এই তালিকা। এতে ১৫ নম্বরে আছে সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’। শীর্ষস্থান দখল করেছে জাপানের আকিরা কুরোসাওয়ার ‘সেভেন সামুরাই’ (১৯৫৪)।

বিবিসির তালিকায় একমাত্র বাংলা ছবি ১৯৫৫ সালের ৩ মে মুক্তি পাওয়া ‘পথের পাঁচালী’। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত প্রথম ছবি এটি। মুখ্য চরিত্র অপুর শৈশবকে কেন্দ্র করে বিংশ শতাব্দীর বিশের দশকে বাংলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামের জীবনধারা চিত্রায়িত হয়েছে এতে।

ছবিটিতে সত্যজিতের দেখানো বাস্তববাদ ও মানবতার প্রশংসা করেন সমালোচকরা। এর মাধ্যমে সামাজিক বাস্তবতার ওপর ভিত্তি করে সমান্তরাল ছবির ধারা তৈরি হয় ভারতীয় চলচ্চিত্রে। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের রাগ ব্যবহার করে এর আবহ সংগীত করেন সেতার বাদক রবিশঙ্কর।

‘পথের পাঁচালী’র মাধ্যমে প্রথম ভারতীয় ছবি আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করে। ১৯৫৬ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ মানবিক দলিল পুরস্কার জেতে এটি। এছাড়া বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে পায় গোল্ডেন লরেল।

বিবিসির বিদেশি ভাষার ১০০ ছবির তালিকায় আছে ২৪ দেশের ৬৭ পরিচালকের ১৯টি ভাষার কাজ। এরমধ্যে সর্বাধিক ২৭টি ছবি ফরাসি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২টি মান্দারিন ভাষার ছবি আছে এতে। ইতালিয়ান ও জাপানিজ ছবি আছে ১১টি করে। হতাশার ব্যাপার হলো, ১০০ ছবির মধ্যে মাত্র চারটির পরিচালক নারী।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৫০

পদ্মপুকুর বলেছেন: ঘটে বুদ্ধি আর মতে শুদ্ধ হলে পথের পাঁচালীর মত ছবি করা যায়।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩

সজিব আহমেদ আরিয়ান বলেছেন: আপনার মতে কোনটা করা উচিত ছিলো?

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

নজসু বলেছেন: পথের পাচালী ছবিটা দেখে আমি কেঁদেছিলাম।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪

সজিব আহমেদ আরিয়ান বলেছেন: সবই বিভূতিভূষণের চক্রান্ত।

৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১১

রাজীব নুর বলেছেন: মুভিটা যতবার তত বার ভালো লাগে।
আর কিছু কিছু দৃশ্য হুটহাট মাথার ভিতর খেলে যায়।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩

সজিব আহমেদ আরিয়ান বলেছেন: আসলেই... কথায় আছে না ' ওল্ড ইজ গোল্ড ' তাই! বর্তমানের অধিকাংশ সিনেমা বা গানই পুরোনো দিনের খালি একটু নতুনত্বের ছোঁয়া দিয়েছে।

৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫

হাসান রাজু বলেছেন: সিনেমার একেবারে শেষের দিকে অপু যখন মালাটি (বন যেটি চুরি করেছিল) খুজে পায় এবং তারপরের দৃশ্য। আমার শুধু মনে হয়েছিল আমি তার যায়গায় থাকলে এই কাজটি ই করতাম।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২০

সজিব আহমেদ আরিয়ান বলেছেন: সিনেমাও তো কিচুটা বাস্তবতার সংমিশ্রণে গঠিত তাই!

৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৫

আফসানা মারিয়া বলেছেন: যখন, দুর্গা মারা গিয়েছিল তখন আমার এতো খারাপ লেগেছিল যে আমি প্রায় এক বছর উপন্যাসটি পড়ি নাই। কারন, আমার কাছে দুর্গাই ছিল উপন্যাসের আসল আকর্ষণ। দুর্গা তাই উপন্যাসের শেষ পর্যন্ত ছিল।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬

সজিব আহমেদ আরিয়ান বলেছেন: একদম সঠিক কথা সিনেমায় একটু পরিবর্তন করেছে!

৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৬

সুমন কর বলেছেন: ভালো সংবাদ।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৭

সজিব আহমেদ আরিয়ান বলেছেন: ভালো সংবাদ না গর্বের ব্যাপার বলুন। কারণ আইরা বাংলাদেশী।

৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২১

Sujon Mahmud বলেছেন: ছবিটি এখনো দিকিনি....

২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

সজিব আহমেদ আরিয়ান বলেছেন: অনেক আগের ছবি তাই দেখে এতো ভালো নাও লাগতে পারে কিন্তু কাহিনীটা মারাত্নক!

৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
আমি উপন্যাসটি পড়েছি মুভিটি দেখিনি । ইচ্ছে আছে মুভিটি দেখার প্রতিদিন ই সার্চ করি ।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯

সজিব আহমেদ আরিয়ান বলেছেন: আমি জানি না এটা নেটে সম্পূর্ণটা পাবেন কিনা তার চেয়ে একটা সিডি কিনে দেখেন !

৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২১

অনল চৌধুরী বলেছেন: যে তথাকথিত ভালো ছবি,সেটা ভারতীয়রা না,ফরাসীরা আবিষ্কার করেছিলো পুরষ্কার দিয়ে।
এই ছবিতে নোংরা দারিদ্রের প্রদর্শণী ছাড়া অার কিছুই না।এর দেখাদেখি বাংলাদেশের পরিচালকরাওবিদেশী পুরষ্কারের লোভে অভাব-দারিদ্র নিয়ে ছবি বানানোর প্রতিযোগিতা শুরু করে।
এদের মধ্যে আমজাদ হোসেনের গোলাপী এখন ট্রেনে,ভাত দে,শাকেরের সূর্যদীঘল বাড়ি'র নাম উল্লেখ করা যায়।
কুরাসওয়ার সেভেন সামুরাই অভাব নিয়ে না,ডাকাতদের বিরুদ্ধে জাপানী গ্রামবাসীদের বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধযুদ্ধ নিয়ে বানানো।অথচ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানে,রাশিয়া,জার্মানীন কোটি বোটি লোক না খেয়ে মারা গিয়েছিলো।
কিন্ত তারা কোনদিনও নোংরা অভাব-দারিদ্র নিয়ে ছবি বানায়।বানিয়েছিলো স্বাধীনতা সংগ্রাম,দেশপ্রেম,বীরত্ব নিয়ে।
সত্যজিত রায় ভারতের অতীত গৌরবের ইতিহাস,ইংরেজ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রাম-এসব নিয়ে ছবি বানাতে পারতেন।কিন্ত এসবের পরিবর্তে বেছে নিয়েছিলেন দারিদ্র।
কিন্ত বাংলা সাহিত্য যেমন পথের পাচালী,পদ্মা নদীর মাঝি,প্রাগৈতিহাসিকের মতো অভাব,দারিদ্র,হাহাকারের মতো জীবনের অন্ধকার দিকগুলি নিয়ে লেখা,এদেশের তথকথিত সুস্থ ছবিগুলিও সেরকম,যার প্রবর্তক এই পথের পাচালী।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০১

সজিব আহমেদ আরিয়ান বলেছেন: সঠিক কথা, একমত!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.