নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অতীত আর ভবিষ্যত নিয়ে কখনো ভাবি না। অতীত নিয়ে ভেবে কোন লাভ নেই কারণ সেটা আর ফিরে আসবে না আর ভবিষ্যত নিয়ে ভাবি না কারণ সেটা আমার জীবনে আসবে কিনা তা কেউ জানে না, তাই যা করবো আজই। সর্বদা যা করবো বর্তমান পরিস্থিতি দেখে।
সময় এখন জেএসসি/জেডেসি পরীক্ষার। এই পরীক্ষার কয়েক মাস পড়ই শুরু হবে এসএসসি / সমমানের পরীক্ষা। ইতিমধ্যে এইবারের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের টেস্ট পরীক্ষার ফলাফলও প্রকাশিত হয়েছে।
আর এখনই সময় স্কুল কতৃপক্ষের ব্যবসার। না এটা আইন ব্যবসা বা কোন কাপড়ের ব্যবসা না। এটা হলো আদর্শ বা শিক্ষার ব্যবসা।
যারা এই বছর এসএসসি পরীক্ষার টেস্ট পরীক্ষা দিয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই ফেল করেছে ২/১ বিষয়ে। কিন্তু সরকার থেকে নির্দেশ আছে ১ সাবজেক্টে ফেল করলে তাকে বোর্ড পরীক্ষায় চান্স দেওয়া হবে না। কিন্তু কে শোনে সরকারের কথা। ফেলের বদলে নেওয়া হচ্ছে টাকা। বলা যায় ব্লাক মানি। কারণ এটা সৎ পথের টাকা না।
যারা ফেল করেছে তাদের জন্য নিয়ম অনুযায়ী বেশি হলে আরেকবার পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু কিছু স্কুলের শিক্ষকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বানিয়ে ফেলেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ফেল করা পার সাবজেক্টের জন্য নিচ্ছে ১০০০-২৫০০ টাকা। এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশ সমুদ্রের পানিতে ডোবার আগেই নিজের মধ্যে সংঘর্ষ বাধিয়ে দেশ করবে ধ্বংস।
এর বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলে না কেনো? কারণটা হলো," ধরেন আপনি একটা সন্তানের বাবা/মা আর আপনার সন্তান টেস্টে ফেল করছে এখন আপনি প্রতিবেশীদের কী বলবেন? লজ্জা করবে তাই না? আর এমন সময়ই যদি স্কুল থেকে এমন একটা দেওয়া হয় যদি যে ১০০০ টাকা দিলেই পাস তাহলে আপনি নিশ্চয়ই রাজি হবেন। " ধরলাম আপনি রাজি হবেন না কিন্তু অনেক বাবা/মা আছেন যারা এটা অনেক আনন্দের সাথে গ্রহণ করেন।
আবার এমন অনেক পরিবার আছে যাদের এই টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই। তারা কী করবে জাতির কাছে জানতে চাই?
এবার আসেন টেস্ট পরিক্ষার পর ফর্ম ফিলাপের পালায়। সেখানেও ব্যবসা। কোচিং বা দূরের বিদ্যালয়ে/কলেজে হল পড়ার নাম করে নিয়ে নিচ্ছে মধ্যবিত্তদের সামর্থ্যের বাহিরের টাকা। অনেক স্কুল আছে যেখানে নিচ্ছে ৪০০০-৬০০০ টাকা। যেটা অনেক পরিবারের পক্ষ থেকে এফোর্ট করা সম্ভব না। লাখে একজন হলেও পাবেন যে কিনা ফর্ম ফিলাপের টাকার জন্য পরীক্ষা দিতে পারেনি।
কিন্তু কে তোলে এর বিরুদ্ধে গলা? বেশি গলা তুলতে গেলে আবার গলা হারানোর ভয়।
আসলে ফর্ম ফিলাপের জন্য কত টাকা লাগে?
এইবার সরকার নির্ধারিত ফর্ম ফিলাপের টাকার পরিমাণ
• সাইন্স / বিজ্ঞান : ১৬৬৫
• কমার্স / ব্যবসা : ১৪৪৫
• আর্স / মানবিক : ১৪৪৫
এবার অনেকেই ঠাসকি খেয়ে যাবেন কারণ এতো কম টাকা ফর্ম ফিলাপে! হ্যাঁ এতো কমই। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শুরু করছে ব্যবসা। এ হলো ব্লাক মানিকে এক অন্য উপায়ে সাদা করার পদ্ধতি। অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা জেনেও কিছু বলতে ভয় পায়। আর পাওয়াটাই স্বাভাবিক। এখন আপনি তাদের পক্ষ থেকে করতে পারেন সাহায্য। ' ১০৬ ' এই নাম্বারটা দুদকের ( দুর্নীতি দমন কমিশন )। এই নাম্বারে কল দিয়ে সমস্যার কথা বললে তারা সরাসরি চলে আসবে আপনার স্কুলে।
ভয় হলো যদি পরিচয় ফাঁস হয় এবং পরে যদি কোন সমস্যায় পরেন। এইজন্য আপনি আপনার পরিচয় করতে পারবেন গোপন।
শিক্ষা বোর্ডের এই বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত। আর এর সাথে আমাদের অভিভাবকদেরও। নিজে না বদলে অন্যের দোগ ধরে কোন লাভ নাই। শিক্ষা বোর্ড ও থানা শিক্ষা অফিসারদের সচেতন হওয়া বিশেষ দরকার। আপনার এলাকায়ও যদি এমন ঘটনা হয়ে থাকে তাহলে কল দিন ' ১০৬ '
২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: আমার ধারনা গত ১৬/১৭ বছরে লেখা পড়ার মান অনেক কমে গেছে।
৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: প্রতিবাদ হওয়া উচিৎ। সব বাচ্চারা পাশ করে না এতে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই এই মানসিকতা অভিভাবকের পরিবর্তন হওয়া দরকার। আবার বাচ্চাদের পাশ না করার কারন ভালো লেখা পাড়া না শিখানো। তা হলে ব্যবসা হবে না।
শিক্ষকরা তাদের দায়িত্ব পালন করেন না সঠিক ভাবে এজন্য বাচ্চা পড়ালেখায় আগ্রহ পায় না।
কিছু হলে সরকারকে দোষ দিয়ে হৈ চৈ করা অভ্যা।ি কিন্তু মূল থেকে পরিবর্তন করা দরকার অনেক কিছু।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১২
MD Shahinur Rahman Dipu বলেছেন: প্রতিবাদী ও সচেতনমূলক লেখা। যে দেশের শিক্ষাব্যবস্থারই এমন হাল সে দেশে সু-শিক্ষিতের বদলে সুদখোর ঘুষখোর কিংবা দূর্নীতিবাজ জন্মাবে এটাই স্বাভাবিক।