![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবে ফিরবে? আমার বউয়ের প্রশ্ন।
আমার অভিসারিণী যেদিন ছাড়বে! আমার উত্তর।
আমার চেয়ে, তোমার অভিসারিণীই বড় হল? আবার প্রশ্ন।
তুমিই বল, এই বয়েসে ঘরের, ঘরণী বেশী আকর্ষিণীইয়া, কাঙ্ক্ষিত? না, অভিসারিণী বেশী কাঙ্ক্ষিত? তুমিতো আমার চেয়ে বেশী সাহিত্য প্রেমী।
নাহ, মানছি, এই বয়সী পুরুষ মানুষের কাছে, অভিসারিনিরাই বেশী কাঙ্ক্ষিত, আকর্ষণীয়! তোমার সাথে কথায় না ১৫ বছর আগে পেরেছি না, এখন পারবো! আর তুমি তো, তুমিই, এক পিছ!
তোমার কাছেতো এখন, ঘরকা মুরগী ডাল বরাবর! অভিমান মিশ্রিত অভিযোগ।
এইতো আবার ভুল করলে? তুমি ভাল করেই যান, তোমার হাতের দেশী মুরগী আমার কত প্রিয়? আর সাথে যদি থাকে একদম পাতলা মুশুরডাল (রাবির হলের মত!), একটু শুকনো মরিচ আর সরিষার তেলের মিশ্রণের আলু ভর্তা! তাহলে আমি কি পরিমাণ খেতে পারি! যে আমাকে ধরে উঠাতে হয়! আমার উত্তর।
ঠিকআছে যাও, তবে বেশী দিন থেকনা! আর সাথে কিছু নিয়ে যেও!!!
নাহ, প্রকৃতির কাছে যাব, প্রকৃতির মত, প্রাকৃতিক ভাবে, কিচ্ছু নেবনা!!!!!
ব্যাস, শুরু হল ২০১৪ এর লক্ষ্যহীন, একক এডভেঞ্চারের রোমাঞ্চ।
রাত ৯:০৫ এ বাসাথেকে বে হলাম, কমলাপুরের উদ্দেশ্য, কমলাপুর গিয়ে দেখি, আমার এক কলিগ তার এক বন্ধুর সাথে দাড়িয়ে আছে, আমার অপেক্ষায়! এক থেকে তিন, যদিও তাদের যাওয়াটা নিয়েও আমার সন্দেহ ছিল!
ডলফিন পরিবহনের বাসে উঠে বসলাম, রাত দুইটা, বাস ছাড়ল কুমিল্লা থেকে ৩০ মিনিটের বিরতির পর।
পিছনের ছিটের একজন জিজ্ঞাসা করলো, আপনারা বান্দরবানের কতদূর যাবেন?
ঠিক জানিনা, যতদূর যেতে পারি বা যেতে দিচ্ছে, ততদুর, আমাদের উত্তর।
আমরা তিনজন?
আপনারা?
আমরাও তিনজন।
তাহলে চলেন একসাথে যাই, যতদূর যাওয়া যায়, কি বলেন? সহযাত্রীদের আহ্বান?
ঠিকআছে, তাহলে, আমরা ছয়জন হলাম, সবাই হাত মেলালাম, পরিচিত হলাম, ওরা তিন বন্ধু, আল-আমিন, মিতুল আর প্লাবন।
সকাল ৭ টা, বাস থেকে নামলাম এবং রুমা বাস স্টপে গেলাম, নাস্তার টেবিলে একজনের প্রশ্ন, ভাই এখন কি সাকা যেতে দিচ্ছে?
ঠিক জানিনা ভাই, আমারও সেই লক্ষ্য নিয়েই এসেছি, দেখাই যাক না কতদূর যাওয়া যায়? অন্য এর একজনের উত্তর।
টিকিট কাটবো, এমন সময়, একজন জানতে চাইল ভাই, আপনাদের সাথে কি আমরা যেতে পারি? আমরা প্রথম বান্দরবান এসেছি?
অবশ্যই, আপনারা কয়জন?
আমরা চার বন্ধু, ব্র্যাক উনিতে পড়ি।
ঠিক আছে চলেন, একসাথে টিকিট কাটি। ছয় আর চার, দশ জনের বেশ বড় একটা টিম হয়ে গেল।
পিয়াল, সামি, তৌহিদ আর হাংরি! (বন্ধুদের দেয়া নাম)। সবাই মিলে বাসে উঠলাম।
রুমা যেয়ে বাস থেকে নামার পরে আরও দুই ভাই যোগ দিল আমাদের সাথে, নাজমুল আর সাইফুল, মোট বারজন, সাথে গাইড ঠিক হল, বাসি মং, মোট তেরজনের বড় একটা টিম হয়ে গেল।
চাঁদের গাড়িতে করে বগালেক ঠিক তিনটা। আমার মাথায় এডভেঞ্চারের নেশা! সবাইকে বললাম, সময় এক ঘণ্টা, ফ্রেশ ও লাঞ্চ সারার জন্য। সবাই তাতে নিম রাজি, কারণ অনেক ধকল গেছে এবার একটু বেশী বিশ্রাম চায়, আমার তাতে কোন আপত্তি নাই, কারণ আমিতো চাইই দেরি করে শুরু করুক, কেওকারাডং এর উদ্দেশ্যে যাত্রা, যতো দেরি তত রোমাঞ্চ! আমার অনেক দিনের একটা প্ল্যান রাতে ট্রেকিং করার! আধো আলো, আর আধো অন্ধকারে পাহাড় চড়ার রোমাঞ্চকর নেশায় আমি রোমাঞ্চিত!
গাইড কে বললাম, তুই শুধু বলবি, তোর কতক্ষণ লাগে, আমাদের না! ট্রেকিং করে কেওকারাডং যেতে। কারণ সাধারণত গাইডের চেয়ে আমাদের দিগুন বা তার চেয়েও বেশী সময় লাগে, আর নতুনদের প্রায় তিনগুন!
গাইড বলল ১:৩০ মিনিট লাগবে, কেওএ পৌছাতে!! আসলে তো ২:৩০ বা ৩ ঘণ্টা! কখন, কখন ৪ ঘণ্টাও লেগে যেতে পারে, হাটার আর মানসিক জোড়ের উপর যা নির্ভর করে।
বিকাল ৪ টা ৪০, কেওকারাডং (কেও) এর উদ্দেশ্যে পথচলা শুরু। সবার অনেক উদ্দ্যম আর হাটার জোর, আমি সবার পিছনে, ধীরে, ধীরে, আস্তে, আস্তে, মানিয়ে নেবার চেষ্টা। ধীরে ধীরে হাটার টিপস টা ওদের কে দেইনি কারণ, চাইছিলাম ওঁরা সবাই একটু বেশী ক্লান্ত হোক, পথ চলতে দেরি হোক, সন্ধা নামুক, রাত্রি শুরু হোক আর রাতে পাহাড়ে চড়ার রোমাঞ্চ বাড়ুক! রোমাঞ্চের রোমাঞ্চকর স্বাদ নিতে হলে, এটুকু বেঈমানি করাই যায় বোধয়! আর তা যদি হয় পাহাড়ের প্রেমের টানে, আমার অভিসারিণীর টানে, তাহলেত কথাই নেই! কারণ, প্রেম মানেই, পাগলামি, অভিসার মানেই একটু বেইমানী! নিষিদ্ধতার প্রতি দুর্বার আকর্ষণ আর সীমাহীন আকুলতা।
আমার অবস্থাও তাই। পাহাড়, প্রেম আর পাগলামির প্রতি মোহাচ্ছন্নতা, অভিসারের আকুলতা! অভিসারিণীর আলিঙ্গনের আকর্ষণ!! অধর দিয়ে, অধর ছোঁয়ার নিষিদ্ধ নেশা!!! আমি মোহাবিষ্ট সেই নেশাতে............
চিংড়ি ঝর্ণা পারহতেই, সূর্য অস্তগামী! সবাই উদ্বিগ্ন, আমি খুশি আর রোমাঞ্চিত!
একটু আঁধার নামতেই সবাই চাঁদের খোঁজ শুরু করলো, আমিও খোঁজ শুরু করলাম, একটু আলো হলে মন্দ হবেনা। যদিও আমার কাছে পূর্ণ চার্জসহ লাইট রয়েছে, তবে তা এখনকার জন্য নয়, অবশ্যই নয়, ওটা বিশেষ প্রয়োজনেই শুধু বের করবো।
শুরু হল নতুনদের পা ব্যাথা, রগে টান পড়া, মাংসপেশি শক্ত হয়ে যাবার মোট ব্যাপার-স্যাপার, যা প্রথমবার পাহাড়ে চড়ার সময় সবারই কম-বেশি হয়ে থাকে। আমারও একটু কষ্ট হচ্ছিল কারণ, আমার পিথে ১৮ কিলো ওজনের একটা ব্যাগ রয়েছে!
হ্যাঁ ১৮ কিলো, কারণ লক্ষ্য যেহেতু এভারেস্ট, প্রস্তুতুতি নেবার এটাই সময়, ওজন বহন করার প্রাকটিসটাও নেবার উপযুক্ত জায়গা। কি নেই ব্যাগে? চাল, ডাল, তেল, আদা, রসুন, মরিচ, ডিম! (চালের কৌটার ভিতরে, যেন ভেঙে না যায়), পেঁয়াজ, আলু, ফুলকপি, টমেটো, গাজর, শসা আর অনেক, অনেক শুঁকনো খাবার। ৭ দিনও যদি খাবার পাওয়া না যায়, আমার চলবে! কোন চিন্তা নেই, ইনশাল্লাহ! সাথে একটা ছোট স্বপ্নও আছে? কেওকারাডং এর চুড়ায় সবজি খিচুড়ি রান্না করবো, সাথে ডিম ভাজি! জোশ হবে, যদি করা যায়।
আমাদের টিমের সামি, সবচেয়ে হেলদি, আর পারছেনা! তবুও যেতে হবে! একবার এর কাঁধে, একবার ওর কাঁধে হাত রেখে পথ চলছে! শুরু হল ওকে জীবনের গপ্ল শোনান, ঠিক যেমন করে আমি আমার ছেলেকে গল্প শোনাই! সামির মনোবল বাড়ানোর জন্য, ওর ব্যাথে ভুলে পথ চলতে পাড়ার জন্য, রোমান্টিক গল্প দিয়ে শুরু, এক গল্পতেই ও ৩০ মিনিট পথ হেটে এসেছে! বুঝলাম। ও পারবে, আর আমিও পারবো, ওকে গল্পে ভুলিয়ে রেখে আজকের লক্ষ্যে যেতে, তা রাত যতই হোক!
অর্ধেক পথ এসে গেছি, এমন সময় আরও একজন তার প্রায় অপারগতা জানান দিয়েছে! তৌহিদ, হ্যাংলা-পাতলা, কিন্তু আদরের দুলাল, আর পারছেনা! পা ছেঁচড়ে চলা শুরু করেছে প্রায়!
এবার দুজনকে সামনে পিছনে নিয়ে, একটা জীবনের গল্প শোনালাম, ওঁরা অনেক উজ্জীবিত, হাঁটছে আর শুনছে, এক হাঁটাতে দার্জিলিং পাড়ার একটু আগে! প্রায় ৪০ মিনিট!! সবায় বসে পড়লো। রাত তখন অনেকটা হয়ে গেছে, চাঁদও যেঁটুকু ছিল, ডুবি, ডুবি করছে, আলো আর তেমন নেই, বেশ অন্ধকার! একটা গা ছমছমে পরিবেশ!
কিন্তু আকাশটা?? কিজে নান্দনিক সাজে সেজেছে তা বলার নয়, পরিষ্কার, ধবধবে আকাশে লক্ষ্য তারাদের আড্ডা! যেন আমাদের ১২ অভিযাত্রীকে একটা সুন্দর সম্ভাবনায় আচ্ছন্ন করেদিল। সবাই ভীষণ খুশী ওই আকাশ আর আকাশের তারাদের তাদের সাথে পেয়ে! এই প্রথম সবাই তাদের ব্যাথা একটু হলেও ভুলে গেছে! তাদের রাত্রিতে পাহাড় চড়াটাকে সার্থক মনে করছে! হ্যাঁ সবাই একসাথে, এই প্রথম বারের মত সত্যি কারের খুশিতে হাই-ফাইভ করলো, যদিও লক্ষ্য এখন কিছুটা দূরে, তবুও ওই আকাশ আর ভীষণ আলোকউজ্জ্বল তারারাই তাদের প্রেরণা হল। সত্যিই দারুণ ছিল ওই সময় টুকু, একই সাথে আকাশ দেখা, তারাদের আপন করা, ভয়কে জয় করার মানসিকতা আসা, আর দুরের পথটুকুর পরে আরও মোহাচ্ছন্ন কিছু পাবার আশা জাগা।
আর কতদূর ভাই? গাইডের কাছে জিজ্ঞাসা?
আর ৩০ মিনিট, গাইডের উত্তর,
“ভাই আপনার ৩০ মিনিট তো আমাদের কাছে ৩ ঘণ্টা!! সত্যি কইরা কোন, আর কত সময় লাগবো”
সামি আর পারেনা, তৌহিদ আর নরেনা!
দার্জিলিং পাড়া পার হবার পরে প্রথম বার ওদের জন্য (সামি আর তৌহিদ) আমার অনেক সাধনার এক বেলার আহার, পানির বিকল্প, চলার সাথী, ট্রেকিং এর টনিক, দুটো কফি চকলেট দিলাম! হ্যাঁ যারা পাহাড়ে যায়, অনেক দিনের জন্য, এডভেঞ্চারের নেশায় তাদের কাছে দুটো কফি চকলেটের মূল্য এমনই! কখনো-কখনো এর চেয়েও বেশী! ওঁরা এতে অনেক খুশী, ওদের কাছেও অনেক কিছু আছে, কিন্তু কফি চকলেট নেই, এটার ঘ্রাণই ওদের অনেক প্রাণচঞ্চল করে দিল, মুখেপুরে নিয়ে চলতে শুরু করলো, সাথে রইল গল্প বলা আর ওদের মনোযোগ অন্যত্র সরিয়ে রাখার চেষ্টা।
আর মাত্র ১৫ মিনিট, সত্যিই ১৫ মিনিট! ওদের জন্য নয়, গাইডের জন্য, হয়তো আমার জন্যও! সামান্য কিছু বেশী। এবার সামি পুরোপুরিই শুয়ে পড়লো! সবাই ওকে নিয়ে পড়লাম, দুজন মিলে ওর থাই মেসেজ করে দিলাম, ওকে বিভিন্ন রকম শ্রুশা দেবার পরে, প্রায় ২০ মিনিট পরে আবার শুরু করলাম, একটু পরেই গাইড দেখাল, ঐযে উপরে ছাদটা দেখা যায় ওইটাই চুড়া! কেওকারাডং!
“ও ভাই, ওখানে যেতে তো আরও ২ ঘণ্টা লাগবে!! আপনি কি বলেন, ওইটা কি কাছে হইলো??” কষ্ট আর আক্ষেপ মিলেমিশে একাকার।
“তার চেয়ে আজ একটু পিছনে গিয়া, দার্জিলিং পাড়াতেই থাকি, পারলে কাল সকালে উঠমুনে”
“মরণের চেয়ে পরাজয় ভাল, পৃথিবীতে দ্যাখার আরও অনেক কিছু আছে? প্লেনে যামু, দেখমু, ছবি তুলুম, আবার প্লেনে ফিরা আমু, আমার দরকার নাই কেওকারাডং জয় করার”
এক একজনের ক্ষোভ, ঝরে পড়ছে আমার উপর, মন খারাপ হয়নি, কেবল মনটা একটু কেমন করেছে, কি দরকার ছিল, নিজের রোমাঞ্চের জন্য অন্যদেরকে এতো কষ্ট দেয়ার? কিন্তু বিবেক কোন প্রশ্ন করেনি দেখেই মনে, মনে ভাল লেগেছে। ওরাও খুশী হবে, যখন জয় করবে, বললাম...
“আরে যখন বুড়ো হবা? বাবা বা দাদা হবা তখন এই গুলোই হবে অর্জন”
“দেখবা, তখন কত গর্ব করে বলবা আমি এই বয়সে এটা করেছি, ওটা করেছি, প্রেম করেছি, ছ্যাকা খেয়েছি!”
“পাহাড় ছড়েছি, এভারেস্ট দেখেছি! দেখবা কত তৃপ্তি পাও”
“টাকা পয়সা, চাকুরী, ব্যাবসা এতো সবাই করে, এতো গর্ব করার কি আছে? তুমি নিজে কি করলা? কোথায়, কোথায় গেলা, কত দেশ দেখলা? কতটা পাহাড় চড়লা? কতটা হাটলা? কতটা কষ্ট করেছিলা? এই সব গল্প করতেই বেশী ভাল লাগবে” “ দেখবা এই সৃতি গুলই আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হবে, বুড়ো বয়সে, এই সৃতি গুলোই পরবর্তী জীবনে আমাদের সঙ্গী হবে, এই ভ্রমণ আর ছবি গুলোই আমাদের সবার নিঃসঙ্গ জীবনের পরম বন্ধু হবে”
একথা শুনে সবাই মোটামুটি একমত হল, এবং সবাই বলতে শুরু করলো তাদের পুরনো সৃতি ও সেই সব সৃতির সাথে মিশেথাকা কথা ও সময় গুলোর কথা। বলতে শুরু করলো, প্রাইমারি, হাইস্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সৃতি ও ছবি গুলোর সাথে মিশে থাকা কত মজা, কত দুষ্টমি, কত হাসি-কান্না ও মন ভাল –খারাপের গল্প, যা সবাই কে নাড়া দেই, পিছনে ফিরিয়ে নিয়ে যায়, অনেক ভাললাগার ও ভালবাসার টুকরো অতীতে।
সৃতি রোমন্থনের সাথে, সাথে হাঁটতে, হাঁটতে এক সময় পৌঁছে গেলাম কেওকারাডং এর নিচে, সবাই তখন পরিশ্রান্ত, ভীষণ ক্লান্ত, অবসন্ন কিন্তু সামান্য খুশী! এই কারনে যে আজ আর হাঁটতে হবেনা, একটু পরেই চুড়ায় উঠবে! ছবি তুলবে, কিন্তু আমার পক্ষে অপেক্ষা অসম্ভব, আমি উঠতে শুরু করলাম, একটু একটু করে, একপা, দুপা করে, পিঠের ব্যাগ নিয়েই, ওটা না নিয়েও আসা যেত, কিন্তু কেন? যেটা নিয়ে এতদুর আসতে পেরেছি, সেটা নিতে এটুকু কেন নয়? শেষ হল আজকের অভিযান, আমি এখন চুড়ায়! ওরাও আসছে, ব্যাগ রেখে!
কেওকারাডং এর চুড়ায় উঠে, অসম্ভব সুন্দর মেঘমুক্ত নীল আকাশে লক্ষ্য, কোটি জ্বলজ্বলে তারাদের দেখে মনে হল............
নীল চাদরে..............অজস্র সাদা ফুলের বাসর সাজিয়ে.........
আমার আলিঙ্গনের অপেক্ষায়..................।
আমার অভিসারিণী...............!
অধর ছুঁয়েছে অধর.........! অভিসারের পরম পাওয়া..................!!
২৬ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:২১
সজল জাহিদ বলেছেন: এতো বেশী বাতাস ছিল যে, বহুবার চেষ্টা করেও আগুনকে বসে আনতে পারিনি, তাই ক্ষান্ত দিয়েছিলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯
রানার ব্লগ বলেছেন: খিচুরি খান নি ??