![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আচ্ছা, বাংলাদেশের নায়িকারা কি আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখেনা? নাকি দেখলেও বোঝেনা যে তাদের সেকাল আর একালের পার্থক্য?
ভক্ত হোক বা নাই হোক, সাধারণ মানুষ সে সিনেমা প্রেমী হোক বা নাই হোক দেশে বা দেশের বাইরের নায়ক-নায়িকা, গায়ক-গায়িকা বা বিখ্যাত কোন খেলোয়াড়দের একটা সহজ-স্বাভাবিক ও নিয়মিত ছবি আমাদের মানসপটে আঁকা হয়ে যায়, আমাদের অজান্তেই, সে আমরা সেই সব তারকাদের পছন্দ করি বা নাই করি, ভক্ত হই বা না হই। এটা হয়েই যায় প্রতিনিয়ত পেপার-পত্রিকা-ব্যানার-পোস্টার-বিভিন্ন বিজ্ঞাপন আর নানা মাধ্যমে দেখতে-দেখতে।
তো এইসব মাধ্যমের বদৌলতে এই সব বিশেষ মানুষদের প্রতি একটা বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গী আর কিছু জানা-অজানা চিত্র তৈরি করে ফেলি আমরাই আমাদের চোখ-মন ও ভাবনার মিশেলে কিছু ছবি ও ইমেজও। এবং সেই পটে আঁকা ছবি ও ইমেজই পরবর্তীতে সেইসব তারকাদের বাছ-বিচার আর মূল্যয়নের চাবিকাঠি ও হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে খুব স্বাভাবিক ভাবেই। যেটা সেই তারকার জন্যও গুরুত্তপূর্ণ তার ইমেজ ও পরবর্তী জীবনের স্বাভাবিক ও কম-বেশী জনপ্রিয়তা ধরে রাখার জন্য। জনপ্রিয়তা সবাই-ই চায় কম বা বেশী, প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে।
এখন অনেকের মনে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জেগেছে, আমার এই সব ফালতু আর একটু গম্ভীর ভাবনার হেতু কি? আমি যে এক-আধ লাইন ভুলভাল আর আতলামি টাইপের লেখা লেখি, সেসবের সাথে এই লেখার সারমর্ম কি? আর আমার এই সব লেখার দরকারটাই বা কি?
সেটা হল, মন-বিবেক আর ভাবনার তাড়না সাথে লেখালেখির নেশা কাটাতে নতুন একটা প্লট যা না লেখা পর্যন্ত ভিতরের খচখচানিটা কাটছেনা।
মূল ঘটনা হলঃ গত সপ্তাহের শেষ দিকে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় পত্রিকার সাপ্তাহিক বিশেষ প্রকাশনায় এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় আর কোটি কিশোর-যুবক-মধ্য বয়সী পুরুষের হৃদয়ে ঝড় তোলা এক নায়িকার “তরমুজ” আকৃতি মুখের বীভৎস ছবি! হ্যাঁ বীভৎস-ই, যা দেখে আমার মেজাজ শুধু খারাপ-ই হয়নি, ইচ্ছে হচ্ছিল, নিজের গালে নিজেই কষে দুটো চড় মারি! কেন দেখলাম এই পত্রিকা কেনই বা চোখে পড়লো সেই গাঁ ঘিনঘিনে, অসস্থিকর আর উগড়ে বমি করার মত একটা ছবি?
সেই নায়িকাকে তো আর সামনে পাবার উপায় নেই, তাই এই আত্ন-প্রহারের দ্বারাই যদি প্রশমিত হয় কিছুটা চোখের যে ক্ষতি হল, সেই জ্বালা ও মন বেদনা।
আর সেই পত্রিকাও মাশাল্লাহ! এতো কিছু থাকতে ওই নায়িকাকে নিয়েই কেন তাদের সংবাদ বানাতে হবে আর তা ফলাও করে ছবিসহ প্রচার করে সাধারণ মানুষের মেজাজ খিচিয়ে তুলে আর চোখের আরাম নষ্ট করতে হবে?
ছবিটা দেখেই সেদিনের পত্রিকাটা পড়ার বা আরো একবার দেখার রুচি নষ্ট হয়ে গেছে শতভাগ। তাই ওটা দুরেই রেখেছিলাম। কিন্তু ওই যে আছেনা, যা থেকে আপনি দূরে থাকতে চান বা দূরে সরিয়ে রাখতে চান যেসব চিন্তা ভাবনা, সেই সবই আপনাকে ঘিরে ধরবে আপনি চাইলেও আর না চাইলেও! ঠিক তেমনই। কোত্থেকে যেন গতকাল রাতে আবার ওই পত্রিকাটা আবার আমার চোখের সামনে!
এবার জেগে উঠলো আমার লেখার আকুলতা! আর যদি লিখবোই তবে তো পড়তে হবেই! পড়াশুনা না করে না যেনে বা না বুঝে কি লেখা যায়? না লেখা ঠিক? তাই পড়লাম সহস্র গাঁ ঘিনঘিনে আর অসহ্য অনিচ্ছা সত্ত্বেও!
পড়ছিলাম আর প্রতিটা শব্দের শেষে মনের ও চোখের মাঝে চলে আসছিলেন সুচিত্রা সেন! সে কি শুধুই নায়িকা? সেতো আসলেই মহা-নায়িকা! আর ভাবছিলাম কে বা কারা দিয়েছিলেন ওনাকে এই নাম তাদের-ই তো একটা অস্কার বা এই জাতীয় পুরস্কার পাওয়া উচিৎ ছিল শুধু সুচিত্রা সেনের মহা-নায়িকা নাম করনের জন্যই! হ্যাঁ আমার অন্তত তেমনই মনে হল।
চলুন দেখি বা পড়ি আমাদের সেই “তরমুজ” মুখো আর “তেলের ব্যারেলসম” এক সময়ের নায়িকার কিছু উক্তিঃ যা সাক্ষাৎকার গ্রহীতার প্রশ্নের আলোকে প্রতি উত্তর হিসেবে উনি দিয়েছেনঃ
১) “হ্যাঁ একটু মোটা হয়ে গেছি, কিন্তু আগামী বছর থেকে আবার ডায়েট শুরু করবো, তবে আমি জিরো ফিগার হতে চাইনা”
- আমার উপলব্ধিঃ আরে জিরো ফিগার হতে কে বলেছে, ক্যামেরার সামনে না এলেই তো হত, সাধারণ মানুষের মনে সেই পুরনো সুন্দর ছবিটাই থাকতো সব-সময়।
২) “আমি বাইরের খাবার খুব পছন্দ করি, খাবার দেখলে আমি লোভ সামলাতে পারিনা, যে দেশেই যাইনা কেন, সেই দেশের সেরা খাবারটা আমার চাই-ই, চাই”
- তো খাবারই খেতো, আবার অভিনয়ের কি দরকার ছিল?
৩) “আজ একটি রোমান্টিক গানের শুটিং করতে এখানে এসেছি!”
-হাঁয় সর্বনাশ! ধরণি দ্বিধা হও, এই অবস্থায় রোমান্টিক গান! আল্লাহ জীবনে যেন সেই গান চোখের সামনে না আসে!
হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাবে তবে!
আর তার ব্যাক্তিগত কথা গুলো নাহয় বাদই দিলাম, সে যে কি অসংলগ্ন আর শিক্ষা ও বোধহীন তা ভাষায় প্রকাশের অনুপযুক্ত!
(একান্তই ব্যাক্তিগত ভাবনা, কাউকেই কষ্ট দিতে বা হেয় করতে নয়।)
১১ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৩৭
সজল জাহিদ বলেছেন: ভাই লিমন, আমার লেখার ভাবনার সাথে আপনার মতামতের মিল খুঁজে পাচ্ছিনা, হতে পারে এটা আমার অজ্ঞতা বা অপরাগতা। এখানে শুধুই খাবার কথা বলা হয়নি কিন্তু। তবে, আপনাকে ধন্যবাদ।
২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৩৭
লিমন১২ বলেছেন: www.nypost.com
৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৪২
হাসান রাজু বলেছেন: আর এই নিন আরেকটা সাক্ষাতকার । এইটাও প্রথম সারির পত্রিকায়
মিথ্যার জাহাজ কারে কয় ।
: কেমন আছেন?
: ভালো।
: কত দিন পর এফডিসিতে এলেন?
: এফডিসিতে তো কদিন আগেও এসেছি। শিল্পী সমিতির নির্বাচন, ইফতার পার্টি। তবে ক্যামেরার সামনে এসেছি ১ আগস্ট।
: পাগল মানুষ নতুন ছবি?
: না না, এই ছবিতে কাজ শুরু করেছি অনেক আগে। ছবির পরিচালক এম এম সরকার মারা যান ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর। এরপর কাজ স্থগিত হয়ে যায়। আমিও দেশের বাইরে চলে যাই। এখন ছবিটি পরিচালনা করছেন বদিউল আলম। কিছু কাজ বাকি ছিল। এবার দেশে এসে কাজগুলো শেষ করছি।
শাবনূর এখন বছরের কিছুটা সময় থাকেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে, আর বাকি সময় বাংলাদেশে। গত বছরের ১ অক্টোবর দেশে ফিরেছেন। জানালেন, ঈদুল আজহার আগেই অস্ট্রেলিয়ায় যাবেন। দুই মাস পর ঢাকায় ফিরবেন। বললেন, ‘অস্ট্রেলিয়া আমার সেকেন্ড হোম। আমি ওই দেশেরও নাগরিক। তা প্রায় পাঁচ বছর হলো।’
: গত বছর কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় নাগরিকত্বের ব্যাপারটি আপনি অস্বীকার করেছিলেন।
: তাই নাকি? আমি আসলে তা বলতে চাইনি।
শাবনূর এখন একা নন, তাঁর সঙ্গে আছে ছেলে আইজান। জানালেন, তাঁর ছেলের বয়স ১৯ মাস।
২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে প্রথম আলোকে শাবনূরের মা হওয়ার খবর জানান তাঁর বোন ঝুমুর। এরপর শাবনূর বলেন, শিগগিরই দেশে ফিরে তিনি অনুষ্ঠান আয়োজন করবেন। এই অনুষ্ঠানে স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে সবাইকে পরিচয় করে দেবেন। কারণ, মা হওয়ার পরই শাবনূরের বিয়ের বিষয়টি সামনে চলে আসে। তখন শাবনূরের বাবা শাহজাহান চৌধুরী মেয়ের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
: আপনি বিয়ে নিয়ে লুকোচুরি করেছেন। কেন?
: সবাই বিয়ের কথা আগে জানায়, আমি বিয়ে করে জানিয়েছি। সারপ্রাইজও বলতে পারেন। আমি একটু ব্যতিক্রম, তাই তেমন করেছি। আর স্বামী, সংসার, সন্তান নিয়ে আমি সামনে আসতে চাই না। বিয়ের পরই আমার ছবি মুক্তি পায়, তাই বিয়ের ব্যাপারটি তখন গোপন করেছিলাম। ভেবেছিলাম, বিয়ের খবর জানাজানি হলে হয়তো আমার ছবির ব্যবসায় তার প্রভাব পড়বে।
: আপনার বিয়ে হয়েছিল কবে?
: (কিছুক্ষণ চুপ থেকে) তারিখটা এ মুহূর্তে মনে পড়ছে না।
: আপনার স্বামী অনিক মাহমুদের সঙ্গে নাকি ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে?
: তাই নাকি? আমি নিজেই তো তা জানি না।
: এখন পর্যন্ত আপনাদের দুজনকে একসঙ্গে দেখা যায়নি।
: ও ওর মতো করে ব্যস্ত, আমি আমার মতো আছি। আমি কিন্তু এটাই চেয়েছিলাম।
: আপনি বলতে চাচ্ছেন, যা শোনা যাচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা?
: আমি তা বলব না। যাহা রটে, তা কিছুটা হলেও বটে। এখন যে আমাদের ছাড়াছাড়ির কথা বলা হচ্ছে, তা কিন্তু সত্য না।
বলিউড কিংবা হলিউডে নায়িকারা যখন জিরো ফিগারের দিকে ঝুঁকছেন, সেখানে শাবনূর পুরো উল্টো। তারপরও নিজেকে ‘নায়িকা’ ভাবতেই পছন্দ করেন তিনি।
: আপনি কিন্তু বেশ মুটিয়ে গেছেন।
: আমি নিজেও তা টের পাচ্ছি। এবার অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে জিরো ফিগার হতে না পারি, কয়েক বছর আগের শাবনূর হয়ে যাব। কথা দিলাম। এক দিনে তো স্লিম হতে পারব না। একদম না খেয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না।
: আপনি খেতে পছন্দ করেন?
: ঠিক ধরেছেন। ঝালজাতীয় খাবার বেশি খাই। তবে বাইরের খাবার বেশি পছন্দ করি। যখন যে দেশে যাই, সেই দেশের সবচেয়ে মজার খাবার খেতে চাই। খাবারের নাম শুনলে লোভ সামলাতে পারি না।
চলচ্চিত্রমহলে একটা কথা প্রচলিত আছে, শাকিব খানকে গোড়ার দিকে কৌশলী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন শাবনূর। এবার শাবনূর নিজেই তা স্বীকার করেন। বললেন, ‘চলচ্চিত্রে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য শাকিব খানকে আমি বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনের কথা বলেছিলাম। শাকিব তা মেনে চলেছে এবং সে সফল হয়েছে।’
চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা নিয়ে শাবনূর বললেন, ‘খুব খারাপ। আমার তো মনে হয়, আগামী পাঁচ বছরেও তা ঠিক হবে না। কারণ, চলচ্চিত্রে এখন একনায়কতন্ত্র চলছে। আমরা যখন কাজ করেছি, তখন অসংখ্য শিল্পী ছিলেন। এফডিসিও মুখর থাকত। আর এখন এফডিসির অবস্থাও খারাপ।’
নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বললেন, ‘সারা জীবনই ছবি নিয়ে আমার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। ছবির প্রস্তাব এসেছে, পছন্দ হয়েছে, কাজ করেছি। এখনো সেই নীতিতেই চলছি।’
কথা থামাতে হবে। শাবনূরের জন্য আটকে আছে শুটিং। শাবনূর ছুটে যান ক্যামেরার সামনে। পাগল মানুষ ছবির গানের দৃশ্যের কাজ হচ্ছে। রোমান্টিক গান। আর তাতে অভিনয় করছেন শাবনূর ও শায়ের খান।
১১ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮
সজল জাহিদ বলেছেন: আমার আর কিছুই বলার নাই ভাই......! হা হা হা, ধন্যবাদ।
৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩
সুমন কর বলেছেন: হাঁয় সর্বনাশ! ধরণি দ্বিধা হও, এই অবস্থায় রোমান্টিক গান! আল্লাহ জীবনে যেন সেই গান চোখের সামনে না আসে!
হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাবে তবে!
আমার চোখের সামনে আসবে না !! কারণ আমি দেখি না।।
১২ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৪৫
সজল জাহিদ বলেছেন: হা হা হা, ভাই সেটাই না দেখাটাই সর্বোত্তম।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৩০
লিমন১২ বলেছেন: I myself am a fan of spicy foods which includes chili. All my favorite home delivery restaurants order food from probably know what to deliver me by now. It is nothing non-spicy to put it simply! But did you know about a few facts that benefits of eating spicy food? I am sure most of the people who enjoy spicy stuff understand that they actually are having a few health benefits in the process.
to know more click this link
nypost.com