নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেড়াই-পড়ি-লিখি.....

সজল জাহিদ

সজল জাহিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভ্যাট বিরোধী আন্দোলন ও একটি শিক্ষা।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৬

বেশ কয়েকদিন থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশের যেসব জায়গায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে শিক্ষা সেবার উপরে আরোপিত মূসক প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এই আন্দোলনের পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে আমি কোন মন্ত্যব্য করবোনা।

তবে একটা বিষয় আমাকে খুব আলোড়িত করেছে সেটা হল তাদের কোন সাংগঠনিক শক্তি নেই বা ছিলনা। তারা তাদের দাবীর অনেকটাই আদায় করে নিয়েছে। সরকার তাদেরকে আশ্বস্ত করেছে যে শিক্ষার্থীদের কোন প্রকার মূসক দিতে হবেনা। সুতরাং শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের দিক থেকে দেখলে তারা পুরোপুরি সফল।

কিন্তু যে বিষয়টা চোখে লেগেছে বা মুগ্ধ করেছে, সেটা হল এইসব সাধারন, সত্যিকারের সাধারন শিক্ষার্থীরা কোন রকম ভাংচুর-মারামারি-দৌড়াদৌড়ি-আগুন-টায়ার পোড়ানো-জোর-জবরদস্তি-ঢিল ছোড়াছুড়ি সর্বোপরি কোন রকম আর্থিক ক্ষতি বা গনবিরোধী বা দেশের সম্পদের কোন রকম ক্ষতিসাধন ছাড়াই তাদের দাবী আদায় করে নিয়েছে প্রায়।

সরকার তাদের সত্যিকারের চাওয়া ও একাগ্রতা দেখে তাদের উপর সরাসরি যে চাপ ছিল সেটা সরিয়ে নিয়েছে। অন্যত্র দিয়েছে, সেটা আলাদা কথা। আমি এটা স্বীকার করছি যে পথচারী ও সাধারন মানুষের জীবন-যাপনে বেশ কিছু সমস্যা ও কষ্ট স্বীকার করতে হয়েছে। কিন্তু এটাও স্বীকার্য যে বড় কোন সফলতা পেতে হলে ছোট-ছোট কিছু কষ্টের কাছে পরাজিত হতেই হয়। এটাই স্বাভাবিক ও চিরন্তন নিয়ম।

অথচ এই শিক্ষার্থীরাই যদি সাধারন সংগঠিত ও তথাকথিত ছাত্র রাজনীতি করা দলের মত শুরুতেই বাসে আগুন, মানুষের যান মালের ক্ষতি সাধন, দেশের সম্পদের ব্যাপক অনিষ্ট করতে শুরু করতো তাহলে এই আন্দোলনের ফলাফল ভিন্নও হতে পারতো! অন্তত আমি এখনো দেখিনি বা শুনিনি বা কোথাও কোন রকম সংবাদও চোখে পরেনি যে কোন শিক্ষার্থী কোথাও এমন সংঘাতমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত বা ঘটেছে।

এই সব সত্যিকারের সাধারন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আমি যে শিক্ষাটা পেলাম-দেখলাম বা নিলাম সেটা হল, সত্যিকারের অবাস্তব নিয়ম-নীতি ও অযথা চাপিয়ে দেয়া বোঝাও খুব সহজেই সরিয়ে দেয়া যায় সঠিক একাত্মতা ও সত্যিকারের একাগ্রতার মাধ্যমে। মানুষ-সমাজ-সম্পদ বা কোন রকম দেশদ্রোহী কর্মকাণ্ডে সংগঠিত না থেকেই।

সকল সত্যিকারের দাবী-ই আদায় হতে পারে বা করতে পারে, সুষ্ঠু-স্বাভাবিক-অরাজনৈতিক-অহিংসা মূলক সুস্থ আন্দোলনের মাধ্যমে এবং সত্যিকারের একাগ্রতা ও গণজাগরনের মাধ্যমে, যা অনেক আগে হত বা ঘটত বইয়ে পড়েছি আর গল্পে শুনেছি আর এই প্রথম চোখে দেখলাম।

সত্যি-ই জন্ম আর বুঝে ওঠা শুরু করার পর থেকে হিংসা-হানাহানি-অমানবিকতা-লুটপাট-চুরি-জোচ্চুরি-খুন-খারাপি-স্বেচ্ছাচারিতা-জোরজার মুল্লুক তার-বিচারহীনতা-গুম-খুন-ক্রস ফায়ার আর রাজনৈতিক হানাহানি-রেশারেশি আর বিরোধীতার খাতিরে বিরোধীতা দেখতে-দেখতে পুরনো দিনের অহিংস আর অরাজনৈতিক আন্দোলনের গল্পগুলোকে রূপকথার গল্প মনে হত!

কিন্তু আমাদের এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন আর কোন সংগঠন বহির্ভূত নিরীহ শিক্ষার্থীরা চোখে আঙুল দিয়ে প্রমান করে ছাড়ল যে অহিংসা আর অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ছাড়া আর দেশ ও সমাজের কোন রকম ক্ষতি সাধন ছাড়াও আন্দোলন করা যায় বা দাবী আদায় করা যায়।

তোমাদের অনেক অনেক আর অনেক ধন্যবাদ, এমন সুস্থ আর স্বাভাবিক আন্দোলন করে সেই সব তথাকথিত রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনকে দেখিয়ে দেবার জন্য যে তোমারাও পারো।

কিন্তু তারা কি এটা দেখেছে, বুঝেছে বা তাদের বোধে কি এটা এসেছে? বা তাদের পিছনে যারা থাকে বা আছে?

কি জানি! এটাই প্রশ্ন?

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৮

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: সহমত!

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০১

ওয়াহিদ রহমান বলেছেন: এটা সম্ভব হয়েছে পুলিশের সহযোগিতার ফলে।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৫

সজল জাহিদ বলেছেন: হতে পারে, সেটা যে কারনেই হোক, এইটা কিন্তু একটা দৃষ্টান্ত!

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪০

শারলিন বলেছেন: পুলিশ কোন ধরনের বাঁধা দেয়নি বরং সাহায্য করেছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। এটা ছাত্রদের ক্রেডিট নয়। ক্রেডিট সরকারের। কারন সরকারের নির্দেশেই পুলিশ তার কাজ করে। অন্য যে কোন আন্দোলনের ক্ষেত্রে পুলিশি বাঁধা আসে বলেই ভাংচুর শুরু হয়। গতকাল অফিস থেকে ফেরার পথে দেখেছি ছাত্ররা অবস্থান করছে ২৭ নাম্বার এ, আর পুলিশ খেজুর বাগান থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে দিচ্ছে। তো ছাত্ররা তো গাড়ি পাচ্ছেই না ভাঙ্গার জন্য। তারা ভাংবে কি করে?
লেখক একটু ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখবেন। পুলিশ যদি সহযোগিতা না করত তাইলে আন্দোলন এর উলটা চিত্র দেখতাম।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭

সজল জাহিদ বলেছেন: আমি একবারও বলিনি যে পুলিশ সাহায্য করেনি, অবশ্যই পুলিশ ভালো ও সুস্থ দায়িত্ব পালন করেছে, কিন্তু শিক্ষার্থীদের কে বাহবা না দেবারও কোন কারণ দেখছি না। ওরা সুস্থ-স্বাভাবিক আর মার্জিত ব্যাবহার করেছে বলেই কিন্তু পুলিশ ওদের কে কিছুই বলেনি বা কোন অরাজকতা তৈরি হয়নি। অন্যথায় অন্যকিছুও ঘটতে পারতো। ভেবে দেখুন না অন্যান আন্দোলনের সাথে এই আন্দোলনের বিস্তর ব্যাবধান। ধন্যবাদ।

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০

শারলিন বলেছেন:
অন্যান্য আন্দোলনেও যদি এভাবে পুলিশ সাহায্য করত তাইলে সব আন্দোলন ই এম্ন হত
লেখক হয়ত ভুলে গেচেন কিচুদিন আগে শাহবাগে পয়লা বৈশাখে মেয়েদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে যখন মেয়েরা রাস্তায় নেমেছিল তখন এই পুলিশ ভাইরাই মেয়েদ্র কে পেতাসছিল। তখন তারা এভাবে সাহায্য কতে এগিয়ে আসেননি। সবি তাদের ইচ্ছা

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১

সজল জাহিদ বলেছেন: আমি আপনার সাথে সহমত। সেটাই সবার সহযোগিতা আর সহমর্মিতা থাকলে খুব সহজেই অনেক কঠিন সমস্যারও সমাধান করা যায় আর অনেক ভয়াবহতা থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.