নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেড়াই-পড়ি-লিখি.....

সজল জাহিদ

সজল জাহিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরকীয়া- ভোগের নয়, উপভোগের....!!! (কথাগল্প)

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৬

কোথায় ছিলে এতদিন? দেখিনি তোমায়?

ওহ আমি? পাহাড়ে গিয়েছিলাম।

জানো তো আমি পাহাড় প্রেমী, পাহাড় আমার প্রেম।

ওকে ছাড়া বেশীদিন থাকতে পারিনা।

হুম, পরকীয়া না...?

হ্যাঁ হতে পারে সে যে যেভাবে খুশি ভাবতে পারে।

তুমি কি জাননা, পরকীয়ায় ঝামেলা কত?

কত দুঃখ, কষ্ট আর বেদনার?

তবুও কেন তোমরা পরকীয়া কর?

আরে পাগল শোন......

পরকীয়ায় যেমন দুঃখ-কষ্ট আর বেদনা আছে,

তেমনি সুখ-আনন্দ আর ভিন্ন আবেগও আছে।

কিভাবে একটু বলত?

শোন, পরকীয়ায় আছে এক অন্য আনন্দ, ভিন্ন সুখ আর অনন্য আবেশ।

পরকীয়াকে ভোগ করতে নেই, এটা উপভোগের।

ভোগ করতে গেলেই সর্বনাশ!

বোকারা ভোগ করতে যায় আর নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনে।

সুতরাং, এই ভ্রমন, ঘোরাঘুরি......

ঝর্ণা-পাহাড়-সমুদ্র বা বন-জঙ্গল...... চল উপভোগ করি, ভোগ নয়।

কারণ, ভোগেই সর্বনাশ!

বাব্বাহ, তুমি তো দেখছি পরকীয়ার উপর পিএইচডি করেছো!

হুম তাই বুঝি?

আমি যদি পিএইচডি করে থাকি তো সেখানে তোমার অনেক অবদান জানো তো?

আমার অবদান? কিভাবে?

বলছি শোন......

হুম শুনছি......

শোন, পাহাড় আমার অনেক আগে থেকেই ভালো লাগে,

পাহাড় আমার প্রেম আর আমি হলাম পাহাড় প্রেমী,

বেশী দিন ওকে না দেখে, না ছুঁয়ে থাকতে পারিনা!

তাই তো ছুটে যাই কিছুদিন পর পরই।

তুচ্ছ করে সমাজ, সংসার আর সাধ্যও!

আর যেদিন থেকে জানলাম...।

তুমিও পাহাড় ভালোবাস, তোমাকেও পাহাড় টানে,

তুমিও পাহাড় প্রেমী, ছুঁতে চাও পাহাড়,

চাও বাঁধতে আলিঙ্গনে ওই পাহাড়কে...

সেদিন থেকে পাহাড় আমার......

শ্রেষ্ঠ সুখ! অমোঘ আকর্ষণ আর অনন্ত ভালোবাসা।

প্লিজ এভাবে আর বলনা,

কেন?

আমি চলে আসবো উড়ে উড়ে

ডানা মেলে, মেঘ হয়ে, বৃষ্টি হয়ে, হয়ে কুয়াশা...

তাই বুঝি?

হুম তাই, আর বলনা এভাবে,

নিওনা ছিনিয়ে আমায়,

আমার আমির কাছ থেকে?

এই মুহূর্তে কি ইচ্ছে হচ্ছে জানো কি?

কি?

নাহ, থাক... সে কল্পনা আর সুখের ভাবনাতেই আবদ্ধ।

নাহ, বলত? দিলেতো উতালা করে, বল? আরে বলই না?

হুম... ইচ্ছে হচ্ছে উড়ে গিয়ে ছুঁয়ে দেই কোন সবুজ পাহাড়,

সামনে সারি সারি পাহাড়, ঝকঝকে নীল আকাশ, কোকিলের কুহুতান, ঝিরঝিরে বাতাস, সবুজ মখমলে মোড়ানো ঘাস, আর বটের ছায়ায় বসে......

গা ছুঁয়ে ছুঁয়ে তুমি-আমি!

আর পিছনে একটি টং ঘর!

তোমার আমার আবাস!

কেমন হত বলত?

আমি নেই!

মানে কি? কোথায় গেলে?

কোথায় আবার? পাহাড়ে চলে গেছি তোমার বর্ণনায়!

দেখছি, ভাবছি আর অনুভব করছি...

কি?

শুনবে?

হ্যাঁ শুনবো, শুনবই!

সামলাতে পারবে তো নিজেকে?

কি জানি? জানিনা, তবুও বল...

আমি দেখছি, তোমার মত করেই

আরও বেশী আবেগ আর ভালোবাসায় জড়িয়ে!

আমি দেখছি......

কোন এক পাহাড়ের কোলে তুমি-আমি ছুঁয়ে ছুঁয়ে এক অন্যকে,

তোমার কোলে মাথা রেখে দেখছি দূরের পাহাড়,

আছে গাছের ছায়া, কিন্তু তবুও......

তবুও কি?

আমাদের দেখে সূর্য যেন হিংসায় জ্বলে-পুড়ে মরছে!

বিশেষ করে আমাকে!

কেন কিভাবে?

এই যে তোমার কোলে মাথা দিয়ে আছি, সেটা সে সহ্য করতে না পেরে।

পাতার ফাঁক ফোঁকর দিয়ে আমার চোখে ছোবল মারছে, ওর অসহনীয় উজ্জ্বল আলো দিয়ে!

তাই চোখ ঝলসে পাহাড়ও হয়ে গেল আবছা......

আর তুমি, তোমার দীঘর কালো রেশমি কোমল চুল গুলো ফেলে দিলে আমার মুখের উপরে

মেঘ হয়ে ছায়া দিলে!

আমি দেখছি পাহাড়, তোমার উড়ে যাওয়া এলো চুলের ফাঁক গলে!

আর তোমার আঁচল চাঁদর আমার, হয়ে শীতের উষ্ণতা!

আর হচ্ছি গন্ধে মাতাল...

তোমার, তোমার চুলের আর তোমার তুমির গন্ধে!

এই আবেশে যেন অন্ধ আর বোধ লুপ্ত আছি অনন্ত কাল...

বুঝতেই পারিনি, এমনকি তুমিও!

কখন রোদ ঢেকে গেছে সত্যিকারের কালো মেঘে,

দমকা হাওয়া ছুটল পাহাড়ি নির্জনতাকে ছুটি দিয়ে।

পড়িমরি করে ফিরে এলাম আমাদের টঙের আবাসে।

তুমি বাঁশের মাচায় বসে পা ভেজালে,

ঝরঝর বৃষ্টিতে।

আর আমি, বৃষ্টি হয়ে তোমায়.........

শীতের বৃষ্টি একটু বেশীই ঠাণ্ডা যেন......

আর তাই একটু উষ্ণতার খোঁজে......

তুমি আমাতে আর আমি তোমাতে হয়ে একাকার!

ইস আর বলনা, আর বলনা দোহাই তোমার, পায়ে পড়ি!

কিভাবে পারো এভাবে ভাবতে?

কোন রঙ দিয়ে আঁক এমন কল্পনা?

কোথা থেকে আসে তোমার এতো আবেগ?

কেনই হও এতো উন্মাদ আর উত্তাল?

তুমি জানোনা আমি ভিজে গেছি......

তোমার রল্পনার রঙে, সুখের শিশিরে, আবেগের কুয়াশায়...

আর ভেসে গেছি, ভালোবাসার অঝোর ধারায়.........!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৪

আমি মিহু বলেছেন: প্রথমে ভেবেছিলাম পুরোটা পড়ার ধৈর্য হবেনা। কিন্তু পড়া স্টার্ট করার পর পুরোটা পড়েই থামলাম। খু ভালো লাগলো। আমি আমার প্রেমিকাকে এটা কপি করে দিয়ে বলবো তোমার জন্য লিখেছি B-) ;)

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৮

সজল জাহিদ বলেছেন: হা হা হা। তবেই না লেখাটা সার্থক! অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: টাইটেল দেখে ভাবছিলাম কোন সচেতনতা মুলক লেখা। পরে দেখি, সম্পূর্ণ আরেক ঘটনা।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫

সজল জাহিদ বলেছেন: হা হা হা। যাক লেখার টাইটেল অন্তত আপনাকে পড়তে বাধ্য করেছে। ধন্যবাদ।

৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৮

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: আমি শিওর না, এটা কি পাহাড় প্রেম ?
না ঝরণা প্রেম ?
না বান্দরবন প্রেম ? না বান্দর ( বাদরামী ) প্রেম !
বিয়ে তো করছেন ! বাচ্চা - কাচ্চাও তো আছে !!
যাই হোক - আমার বাসার বুয়া অনেক সচেতন,
আমার বউ এর কাছে একদিন তার উদ্বেগ জানিয়ে প্রশ্ন করে - " ভাই কিছু দিন পর পর বান্দরবন যায় কেন ? - পরিবার আছে নাকি ?? "

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩২

সজল জাহিদ বলেছেন: হা হা হা হা...... ব্যাপক তো? এটা সকল প্রেমের সমষ্টি ভাই। ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪১

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: আমার বৌ আরেক 'পরিবার' নিয়ে চিন্তিত না - কারণ সেটা আমাকে আরো অনেক দায় দায়িত্বে আটকে ফেলবে । বৌ ভাল করেই জানে আমি স্বাধীনতার বিপরীতে আর কিছুকে বেছে নিব না । একটা পরিবার-ই আমার স্বাধীনতাকে ব্যাপক হুমকিতে রেখেছে - আরেকটা হলে তো পুরাই বন্দী ।

কিন্তু বৌ সপ্তাহখানেক আগে আফসোস করে বলছিল আমার কোন ভাই নাই , থাকতে তোমাকে পিটাইত !
দোয়া কইরেন ভাই বিপদ আপদ থেকে আল্লাহ যেন বাচায় ।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬

সজল জাহিদ বলেছেন: হা হা হা, বেশ তো? সাবধান তবে! দোয়া করি ভালো থাকুন সবাইকে নিয়ে, সব সময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.