![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চল শীত শীত কুয়াশাঘেরা আর ঘাসে ঘাসে শিশির জড়ানো এক সকালে হেটে যাই তুমি-আমি এভাবে...
বায়ে ধীরে বয়ে চলা একটি ছোট নদী। নদীর টলটলে পানিতে শীতের কুয়াশারা যেন ধোঁয়া হয়ে উড়ছে। ওপারে ছোট্ট সবুজ গ্রাম। এপারে নদীর তীর ঘেঁসে সবুজ ঘাসে ঘাসে মখমলের চাদর বেছানো মেঠো পথ। ঘাসে ঘাসে সারা রাত ধরে ঝরে পরা শিশিরে সিক্ত চারিদিক। শিশিরের গাঁয়ে ভোরের প্রথম আলো পরে তোলা ঝিলিক। পাশেই খেজুর গাছের রস নামানো টুংটাং শব্দ। হেটে চলেছি তুমি আমি.........
তুমি হলুদ জামদানীর উপরে গাঁয়ে চাপিয়েছ টকটকে লাল শাল। হাতে সাত রঙের বর্ণিল রেশমি চুড়ি। উঁচু করে বাঁধা আমার প্রিয় খোঁপা। খোঁপায় পরেছ দুটি কাঠগোলাপ। একটি ধবধবে সাদা আর একটি সাদা ও হালকা হলুদের মাখামাখি অনিন্দ্যতা! পায়ে নূপুর তবে শব্দহীন!
কেন? নূপুর শব্দহীন হবে কেন?
তুমি হেটে যাবে আলতো পায়ে, নূপুরের শব্দ হবে আর সেই শব্দ অন্য কারো মনে অনুরণ তুলবে সে আমি মানতে পারবোনা। এই ভুলটা কখনো করোনা। নূপুর পর, তবে শব্দহীন!
আচ্ছা, আর কি ভাবছো বল......
টিপ এনেছ তবে পরোনি এখনো। কারণ ওটা আমিই পরিয়ে দেব! একটি ছোট্ট কালো টিপ। ঠিক কপালের মাঝখানে। শিহরিত হবে কিছুটা আমার ছোঁয়াতে! যেন দমকা হাওয়া একটু খানি। আমি পড়বো কালো পাঞ্জাবি আর উপরে জড়াবো শুভ্র একটি শাল। চোখে-মুখে তোমাকে স্পর্শের আকুলতা! যা তুমি বুঝতে পেরেছ। আর তাই......
তাই কি?
তুমি ঘাসে পা ছোঁয়ালে, আমি ছুঁয়ে দিলাম তোমায় শিশির হয়ে! জড়ালাম তোমায় হয়ে কুয়াশা! আমার পাঞ্জাবির বাম পকেটে পুরে দিলে তোমার ডান হাত। মিলে গেল দুটি হাত। পেল উষ্ণ আলিঙ্গন! আর তাই শিহরিত তুমি-আমি, হয়ে একাকার.........
ইস, সত্যিই যদি এমন হত, তবে কেমন হত?
ইস যদি এমন হত!
কেন হয়না? চলে এসো একদিন এমন করেই হাঁটবো দুজন, কোন এক অজানায়, অচিন নদীর তীরে, ছুঁয়ে মিহি ঘাস, সিক্ত হয়ে শিশিরে, ভিজে কুয়াশায়, ছুঁয়ে ছুঁয়ে তোমাকে আর তুমি আমাকে!
তুমি কিভাবে কর এমন কল্পনা!
আমি করি কারণ আমি...
কি?
আমি... “কল্পনাদের আস্কারা দেই...!”
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪
সজল জাহিদ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২১
সুমন কর বলেছেন: কথামালায় ভালো লাগা রইলো।