![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রওজা, আমার পুত্রের বিদ্যালয়ের প্রথম পরিচিত সহপাঠী! এবং অতি আবশ্যিকভাবেই বালিকা!
আমার পুত্র তাহার ৩য় দিবসের বিদ্যালয় শেষে করিয়া ঘরে ফিরিয়াছে, এবং দুপুরের আহারের প্রাক্কালে, আমার মস্তিষ্কে খেয়াল চাপিল, আরে, পুত্রের বিদ্যালয়ের সহপাঠী দিগের খোঁজ নেয়া আবশ্যিক! যথা চিন্তা, তথা জিজ্ঞাসা...
বাবা তোমার সহপাঠী দিগের নাম বলিতে পারিবে?
পুত্র বলিল, আমার একজন সহপাঠীর নাম, রওজা! আর কাহারো নাম স্মরণ করিতে পারিতেছিনা!
কোন কালক্ষেপণ ছাড়াই আমি আর আমার সহধর্মিণী একে, অন্যের নেত্রে চাহিলাম, স্ববিস্ময়ে!
এবার আমার সহধর্মিণী শ্লেষের সহিত কহিল “পুত্রের বাবার যাহা চরিত্র!! পুত্র কি আর তাহার ব্যত্যয় ঘটাইবে!?”
এইবার, আমি ততোধিক বিস্ময়ের সহিত কহিলাম, আমার চরিত্রেউপর হেণ কথা কহিবার পূর্বে, তোমার একাধিক বার ভাবিয়া লওয়া ঠিক বোধ করিতেছি, তাহাও, পুত্রের সম্মুখে!
তুমিই কহ, তুমিহীনা কভু কারো পানে চাহিয়াছি?
তা চাহনি, সেই আদিকালে, কিন্তু ইদানিং আমি অতিসয় হতবাক হইয়া যাইতেছি, তোমার কার্যক্রম অবলোকন করিয়া! যাহা আমার লাগিয়া আতঙ্কিত হইবার মতই।
সেই সব রাখিয়া, এইবার পুত্রের কর্ম লইয়া ভাবিত হও, তুমি তো তাও উচ্চমাধ্যমিক পাশের অধিককাল পরে, উচ্চশিক্ষার সুযোগ লইয়া, ললনা খুঁজিতে বাহির হইয়াছিলে, কিন্তু তোমার পুত্র তো ততদূর যাইবার আগেই, তোমাকে অতিক্রম করিতে চাহিতেছে বোধহইতেছে!
আর পুত্রকেও বলি হে শোন, “শুধু নিজের লাগিয়া বালিকা খুঁজিয়া খান্ত দিলে চলিবেনা হে, তোমার পিতার আজকাল যে অবস্থা দেখিতেছি তাতেকরে, তুমি, তোমার বালিকার সাথে, তাহার মাতার খোঁজও লইও! আর ভালকরে দেখিয়া লইও, যে উহাও যেন, সৌন্দর্য আর আকর্ষণের আঁধারসম হয়তো, যথাযথা!”
এইবার আমি কহিলাম, শোন হে আমার প্রানপ্রিয় আব্বুজি, তুমি তোমার বালিকা নিজেই খুঁজিয়া লইও, তাহাতে আমার কখনই, কোনই আপত্তি থাকিবেনা, শুধু তোমার পিতার একটা সুত্র মানিয়া চলিলেই হইবে... তাতে তোমার আর আমার দুইজনেরই যথাসম্ভব স্বার্থ হাসিল হইবে!
এইবার, পুত্রের মাতা কহিল, তাহা কেমন করিয়া? কহতো শুনিবার চাই?
আমি কহিলাম, পুত্রকে “ শোন আব্বুজি, যখনি তুমি কাহাকেও তোমার পছন্দের তালিকাতে ফেলিতে চাহিবা, তুমি শুধু খেয়াল রাখিবা, বালিকা যেন, অতি, আবশ্যিক ভাবেই, তোমার মাতার চাইতে, সুশ্রী, সদ্ভাব, সদা হাস্য, সুযোগ্য সরবংসহা হয়!”
তুমি যদি এই সুত্র মানিয়া লইয়া কাহাকেও পটাইতে পারো তাহা হইলে আমার আর কোন দুশ্চিন্তাই থাকিবেনা, তোমাকে লইয়া!”
এইবার, পুত্রের মাতা স্ববিস্ময়ে কহিলেন, “তুমি তো কোন কালেই আমাকে সুশ্রী বলিয়া তোমার মনোভাব প্রকাশ করনাই, তাহা হইলে, পুত্রকে কেন এই সুত্র মানিতে বলিতেছ?
আমি কহিলাম, আমি কি এবারেও তোমারে সুশ্রী কহিয়াছি?? আমি তো বলিয়াছি, তোমার চাহিয়া সুশ্রী হইতে! তাহার মানে তো, তোমার সুশ্রী হওয়া নহে আদৌ!! ততোধিক গুরুত্ত হইলো, উহা নিতান্তই, আমার আর পুত্রের ব্যাপার স্যাপার, তুমি আর ইহার ভিতরে প্রবিষ্ট হইয়া আমাদিগের ভবিস্যতের স্বপ্ন ভঙ্গের কারণ হইওনা!!!
এইবার, আমি আমার পুত্র সেইদিনের অপেক্ষায় দিন গুনিতে শুরু করিলাম.....................
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬
সজল জাহিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও অনেকখানি!
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫
আরাফআহনাফ বলেছেন: সেই দিন আর কতদুর ?!
ভালো লাগলো, সাধু রম্য ।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৫
সজল জাহিদ বলেছেন: হা হা হা। সেই দিন?? সেটা নাহয় উহ্যই থাকুক! অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩
মানবী বলেছেন: :-)
রম্য ভালো লেগেছে পড়ে, ধন্যবাদ সজল জাহিদ।