নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেড়াই-পড়ি-লিখি.....

সজল জাহিদ

সজল জাহিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক ভক্তের অবাক গল্প......!

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৫


লেখালেখি যখন থেকে শুরু করি, কিছু কিছু বন্ধু আছে যারা সব কিছুতেই অংশগ্রহণ করেন। সেটা ইতিবাচক বা নেতিবাচক যেভাবেই হোকনা কেন? বেশ কিছু দিন পরে চোখে পড়লো কেউ একজন আছেন যিনি আমি যাই লিখিনা কেন বা পোস্ট করিনা কেন, সেখানে তার উপস্থিতি থাকেই। যেটা বেশ অবাক করেছে আমাকে। এভাবে দিন যত যায়, আমার পোস্টে তার উপস্থিতির সরবতা বাড়তেই থাকে। যেটা বেশ কিছুটা অভিভূত হবার মতই।

আমার বন্ধু তালিকার অধিকাংশ বন্ধুই জানে যে আমি বেশ সেকেলে, যে কারণে মোবাইলে ঠিকঠাক নেট ব্যাবহার করতে পারিনা। আর সেই কারণে বাসায় বা মোবাইলেও নেটের তেমন ব্যাবস্থা রাখিনি। তার চেয়েও বড় কথা, নেট ফ্রেন্ডলি তেমন কোন মোবাইল-ই আমার ছিলোনা। এখন অবশ্য দিন কিছুটা বদলেছে, সেও বউয়ের বদৌলতে! তিনি আমাকে কোমল ফোনের প্রতি মোহগ্রস্ত করায় বিশেষ অবদান রেখেছে।

কারণ যতটা না আমার জন্য তার চেয়ে বেশী সামাজিক অবস্থানের জন্য! আমাকে নিয়ে কোথাও যেতে আমার পরিবারের সবার স্ট্যাটাসে বাঁধে! কারণ আমার ভাঙা-চুরা নোকিয়া ১৬৫০! যেটার আবার কি-বোর্ড আছে কি নেই! রঙ চটে গেছে! মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে যায়!! আর সর্বোপরি চার্জ দিতে হয় হাতে ধরে থেকে!!! এই সব যন্ত্রণা যতটা না আমাকে পোড়ায় বা ঝামেলায় ফেলে তার চেয়ে বেশী পারিবারিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করে! যে কারণে শত অনিচ্ছা সত্ত্বেও এই যুগের কোমল ফোনের ব্যাবহার করা শুরু করতে হল। যার ফলাফল স্বরূপ কোথাও ফ্রি নেট বা ওয়াই-ফাই পেলেই একটু ঢুঁ মারি।

তেমনই একদিন। অফিস শেষের সন্ধায়, গেলাম কোন এক কাছের আত্মীয়র বাসায়। যেখানে আবার আজকাল কার আতিথিয়তা “ওয়াই-ফাই!” রয়েছে। আমিও নিয়ে নিলাম পাসওয়ার্ড! আর ঢুঁকে পরলাম ফেসবুকে নিজের অজান্তেই! ফেসবুকে ঢুকেই আমি তো তাজ্জব বনে গেলাম, কারণ কি? দেখি ৫০+ নোটিফিকেশন!! আমি খুশি হব নাকি দুঃখিত ঠিক বুঝতে পারলামনা। শুধু ভাবছিলাম আমি তো সম্প্রতি এমন কোন কিছু কোথাও দেইনি বা লিখিনি যে কারণে এতো এতো নোটিফিকেশন আসতে পারে? ঘটনা কি?

আর তার চেয়েও বড় কথা আমার এতো এতো ফ্রেন্ডও নাই যে এতোগুলো নোটিফিকেশন একসাথে আসবে। কি ব্যাপার? নোটিফিকেশন ক্লিক করতেই দেখলাম একজন আমার অনেক অনেক লেখায় ও পোস্টে তার বিচরণ ঘটিয়েছেন!

এবার একটু উৎসুক হয়েই তার প্রোফাইলে গেলাম, কিন্তু তেমন কিছু বুঝলামনা। যাই হোক আবার সবকিছু যেমন-তেমন। আমি আমার মতন ফেসবুক চালাই, লিখি, পোস্ট করি, “অগোছালো শব্দ-কথার” আপডেট দেই, আরও কত কি? সবই স্বাভাবিক নিয়মে আর বাস্তবতা মেনে চলছে তার গতিতে।

‘অগোছালো শব্দ-কথা” এলো। আশা-নিরাশা, আনন্দ-বেদনা, খোঁচা-প্রশংসার মিশ্রণে আর আগামী দিনগুলোর ভাবনায় সময় কেটে যাচ্ছিল। এরই মধ্যে এলো টিওবির বসন্ত দিন! সেই বসন্ত আরও বেশী রঙ ছড়ালো আমার এক ভক্তের ক্ষুদ্র এক ঘটনা! কি সেটা? চলুন শুনি......

এক লক্ষ্য পূর্তি উৎসবের দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে হাটছি ধীরে ধীরে। এগোচ্ছিলাম সামনে অপেক্ষারত অন্য কয়েকজন বন্ধুর দিকে, গোধূলি আড্ডায় বসবো বলে। খেয়াল করলাম পিছনে কেউ আমাকে অনুসরণ করছে, কিছুটা অসস্থি নিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, কিছু বলবেন?

“জি ভাইয়া, আমি দুইদিন থেকে আপনার সাথে দেখা করতে আর কথা বলতে চাইছি...”

“তো সমস্যা কি আমি তো ছিলাম-ই, সেই পরশু দুপুরে এসেছি”

“জি ভাইয়া দেখেছি, কয়েকবার কথাও বলতে চেয়েছি, কিন্তু পেরে উঠিনি!”

“সে কি কেন?”

“নাহ আপনি আমাকে চিনবেন কিনা তাই? আমি আপনার সব লেখাই পড়ি!, যদি কখনো ফেসবুকে ঢুকতে না পারি তো, যখন ঢুকি আপনার লেখা খুঁজে খুঁজে পড়ি!”

এ কথা শুনে আমি বেশ বিব্রত ও লজ্জিত আর ভালোলাগা তো আছেই!” কার না লাগবে!

“আচ্ছা, আপনার নাম?”

“আমি.........”

“আচ্ছা, আচ্ছা আপনি তিনি! হ্যাঁ আপনাকে আমি চিনি তো, অন্তত নামে চিনি, এই কারণে যে আপনি আমার সব লেখাই দেখি পড়েন!” মনে আছে বেশ ভালোভাবে। তো কথা বলতে কি সমস্যা ছিল? আমি তো তেমন গম্ভীর নই, কারো সাথে দুরত্ত রেখেও চলিনা, তেমন ভাব-সাব ও তো নেই আমার, একা একাও তো থাকিনা, তো আমার মত “হ্যাবলা কান্তর” সাথে কথা বলতে সাহস হলনা কেন?

“না মানে এমনি-ই! ভাইয়া আপনার বই নেবো আর ছবি তুলতে চাই আপনার সাথে”

“হ্যাঁ অবশ্যই কোন সমস্যা নাই”।

পরে হল দুটোই! সাথে অনেক অনেক গল্প-কথা আর ভালোলাগার ভাগাভাগি। সে এসেছিল ঢাকার বাইরে থেকে, শুধুই নির্মল ভালোবাসার টানে আর জীবনের অনন্য কিছু আনন্দঘন মুহূর্ত উপভোগের জন্য। যেটা সে পেয়েছে বলেই আমার বিশ্বাস।

আমার সৌভাগ্যের ব্যাপার এই যে আমার এই সত্যিকারের ভক্তটি কোন মেয়ে নয়! সে ছেলে!! মেয়ে হলে যে কমেন্টে আর ইনবক্সে কত কি শুনতে হত কে জানে!

তাই এই সত্যি কারের ভক্তের (অন্যরা সত্যি কারের নয়, তা কিন্তু নয়। যদি কেউ থেকে থাকেন) নিখাদ ভালোবাসা পেয়ে আমি যতটা না আপ্লুত আর আবেগে সিক্ত, তার চেয়ে অনেক বেশী আবেশে জড়ানো আর উপভোগ্য তার কাছে ভালোলাগা আমার লেখা গুলো।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩২

বিজন রয় বলেছেন: কে সে?

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

সজল জাহিদ বলেছেন: একজন ভক্ত!!! হা হা হা। ধন্যবাদ।

২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

নাজরুল ইসলাম পাটওয়ারী বলেছেন: খুব সুন্দর। সেই ছেলেটির হাত ধরে আমিও আপনাকে আমার ভালবাসা জানাই। ধন্যবাদ আপনাকে

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪১

সজল জাহিদ বলেছেন: জি অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৭

ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: আসলেই আসল ভক্ত জোটে না সবার ভাগ্যে। আপনার কর্ম ভাগ্য দু টো ই ভালো।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩

সজল জাহিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯

রানা আমান বলেছেন: যারা আপনার লেখা পড়বে তারা আপনার লেখার ভক্ত হতে বাধ্য ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০০

সজল জাহিদ বলেছেন: কি যে বলেন...!! চলে আসুন বই মেলায় আজ। ৬ টার পরে থাকবো। অবশ্যই সময় পেলে।

৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১১

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: আমারও একটা ভক্ত ছিলো সে প্রায় আমার লেখার প্রশংসা করতো কিন্তু এখন দিন পালটেছে এখন সে আমার লেখা নিয়ে ফান করে ।

আপনার ভক্তের কাহিনী পড়ে আমিও উৎফুল্ল হলাম ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১২

সজল জাহিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.