![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোরিয়ানরা সিনেমা দিয়ে শুধু কলিজাতেই আঘাত করে না, সিনেমার প্রতি ধাপে-ধাপে ধারালো চাকু দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে।
ছবির কাহিনী শুরু হয় একটি মেয়েকে( Ye Seung)দিয়ে যার সহজ সরল আংশিক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বাবা( Yong-Goo)ছোট একটি মেয়েকে কিডন্যাপ ও সেক্সুয়াল এব্যুস্টমেন্ট এর কারনে মৃত্যুদণ্ড পেয়ে মারা যান।তার অনেক বছর পর Ye Seung তার বাবার কেস নিয়ে কোর্টে লড়াই করেন এবং মৃত বাবাকে নির্দোষ প্রমাণিত করেন।
প্রথম প্লট শুরু হয় বাবা Yong-Goo তার ছয় বছরের মেয়ে Ye Seung নিয়ে sailor moon নামক একটি স্কুল ব্যাগ নিয়ে। মেয়ে বাবাকে আবদার করে ব্যাগ নিয়ে দিতে, সহজ-সরল ও মানসিক প্রতিবন্ধী Yong-Goo তার মেয়ের জন্য ব্যাগ কিনতে দোকানে গিয়ে দেখা হয় তার মেয়ের বয়সী একটি মেয়ের সাথে যার কাঁধেও ঝুলানো থাকে Sailor Moon এর ব্যাগ। মেয়েটি ছিলো পুলিশ কমিশনারের মেয়ে। একদিন সেই মেয়টা বাড়ি ফেরার পথে দেখে Yong-Goo বসে টাকা গুনছে মেয়েটি তাকে জিজ্ঞেস করে পরে তারা sailor moon ব্যাগটি কিনেছে কি না, সহজসরল Yong-Goo খুশি হয় এবং বলে অবশ্যই কিনবে তারা সেই ব্যাগ। সেই মেয়েটির সাথে ফেরার পথে মেয়েটি রাস্তায় পড়ে গিয়ে ইটের সাথে ধাক্কা খেয়ে মারা যায় এসময় Yong-Goo মেয়েটিকে উষ্ণতা দিয়ে বাচানোর চেষ্টা করলে একজন মহিলা দেখে ফেলেন এবং একটি মিস-আন্ডাস্ট্যান্ডিং এর সূচনা হয়।
তারই রেশ ধরে অপহরণ, হত্যা এবং ধর্ষণের মামলা হয় Yong-Goo এর নামে। মৃত্যুদন্ডে দণ্ডিত(sentenced to death)হয়ে থাকতে হয় কারাগারে, Cell No. 7 এ। বোকাসোকা কিন্ত পরোপকারী Yong-Goo একদিন তার সেলের দলনেতার উপকার করলে সে জানতে চায় Yong-Goo তার কাছে কি চায় ,বিনিময়ে Yong-Goo তার ছোট্ট মেয়ে Ye Seung কে দেখতে চায়। দলের সবার প্রচেষ্টায় কৌশলে একদিন Ye Seung আসে কারাগারে। কারাগারে ওই Cell no. 7 এ সবার সাথে ছোট্ট Ye Seung এর ঘটতে থাকা হাসি কান্নার টুইস্ট গুলো দিয়েই এগিয়ে যেতে থাকে মুভির কাহিনী।
এরপরেও নানা গতিতে কাহিনী এগুতে থাকে, সবার প্রচেষ্টা থাকার পরেও বাবাYong-Goo কে বাচানো গেলো না। সন্তানের জন্য প্রতিবন্ধী বাবার এ বিসর্জন যেন পৃথিবীর সমস্থ সত্য কে হার মানিয়ে দেয়।
কিভাবে Ye Seung সেলে ভেতর আসে বাবার সাথে দেখা করতে, কেন সব সত্য জানার পরেও Yong-Goo কে মৃত্যু মেনে নিতে হলো এসবের জন্য দেখতে হবে Miracle in Cell No. 7. সর্বোপরি বলতেই হবে যে বাবা ও মেয়ের যে অকৃত্রিম ভালোবাসা দেখানো হয়েছে অসাধারন ভাবে।(যারা মুভি ভালোবাসেন তাদের জন্য একটি অসাধারণ রেসেপি না দেখলে অনেক বড় মিস করেছেন বলা যায়)। আমার কোনোদিন কোনো মুভি দেখে চোখ ভিজে উঠেনি, এই মুভিটা ব্যতিক্রম। সিনেমার শেষের দিকে Ye Seung যতবার তার বাবা কে "আপ্পা" বলে ডাকে ততবারেই বুকটা ধরাস করে উঠে।
©somewhere in net ltd.