নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সব কিছুই একটু কম বুঝি।

সাকেরা সূচনা

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো আপডেট হবে

সাকেরা সূচনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোটা নিয়ে কিছু কথা

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:৪৬

কোটা বিষয়টি উপস্থাপন করতে গেলে প্রথমেই কোটার ধারনাটিকে পরিস্কার করা উচিৎ। একটি দেশের কিংবা রাস্ট্রের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী কে একটি বিশেষ সুবিধার আওতায় এনে তাদের চাকরি বাকরি সুবিধা দেওয়াই হলো কোটা ব্যবস্থা। সম্প্রতি কোটা আন্দোলন একটি বিশেষ ইস্যু হয়ে দাড়িয়েছে তা নিয়েই আমার কিছু মতামত।
বাংলাদেশে সরকারী চাকুরী ব্যস্থায় কোটার পরিমান ৫৬শতাংশ। এর মধ্যে রয়েছে মুক্তি যোদ্ধা, নারী কোটা, প্রতিবন্ধী কোটা, উপজাতি কোটা, ও জেলা কোটা। প্রথমে আসি মুক্তিযোদ্ধা কোটায়। যেটা ৩০ শতাংশ আমরা জানি মুক্তিযুদ্ধে বাংলার অনেক মানুষ প্রান হারিয়েছে তাদের জন্য সরকার অনেক কিছুই করছেন, আহত ও পঙ্গুদের জন্য বাড়ি সবার জন্য ভাতা, চিকিৎসা ইত্যাদি। এবং তাদের প্রথম প্রজন্মকে কোটার আওতায় ছিলো সেটা স্বাভাবিক কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের ২য় প্রজন্মকে কোটা ব্যবস্থার অন্তরভুক্ত করা যৌক্তিক কিংবা সমীচীন নয়। জেলা কোটা দরকার নেই বলে মনে করি বাংলাদেশ এখন অনেক দিক থেকে এগিয়ে সেই সাথে যোগাযোগ ও রাস্তা ঘাটেও উন্নত, এখন পিছিয়ে পড়া কোনো জেলা আছে বলে মনে হয়। দেশের কোনায় কোনায় ডিজিটালাইজেশন বিদ্যুৎ পৌছে গেছে এবং সেই সাথে আমরা ৪র্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট ( 4G) ব্যবহার করি। নারী কোটা ১০% মেয়েরা এখন সব দিক থেকে এগিয়ে রেজাল্টে, টিভিতে সাংবাদিকতায় এবং রান্নাঘরে। সুতরাং তাদের কোটা সুবিধা না দিয়ে উপযুক্ত সুযোগ দেয়া হোক যাতে তারা নিজেদের যৌগ্যতার প্রমান দিতে পারে। উপজাতি ও প্রতিবন্ধী কোটা অবশ্যই রাখা উচিৎ। এবং একটি দেশকে এগিয়ে নিতে হলে কোটা ব্যবস্থা অবশ্যই সচল রাখতে হবে, তবে সুষ্টু ও সচেতন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
দেশের আর্থ সামাজিক দিক বিবেচনায় এটা কি হুমকি স্বরুপ নয় কি?
কোটা ব্যবস্থায় অন্য এক খারাপ দিক হল এই ব্যবস্থার ফাক ফোকরে খুব সহজেই দূর্নীতি করা যায়। এটাও কি দেশের জন্য ভাল কিছু নিয়ে আসছে?
১৯৮৭ সালে মালয়শিয়া স্বাধীনতা লাভ করে আজ তারা কোথায়? আর আমরা কোথায়। একটু কি আমাদের টনক নড়ে না?
আসুন মেধাবি সমাজ গড়ি, বৈসম্য মুক্ত সমাজ তৈরি করি।
বাংলাদেশ ইতিমধ্যে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে যাওয়া কয়েকটি ধাপ পুরন করেছে সেখানে অবশ্যই মেধাবীদের সরকারি চাকুরি তথা চেইন অব কমান্ডে মেধাবীরাই আসুক তাহলে বাংলাদেশের প্রবৃত্তি ত্বরান্বিত হবে। তাই কোটা ব্যবস্থা শিথিল হোক এটাই কাম্য।
কোটা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা হোক, এটাই বাংলার আপামর জনগনের প্রানের দাবি।

কোটা হোক সংস্কার
এটাই জরুরী দরকার।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.