![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি নাজমুস সাকিব।সপ্ন দেখতে ভালোবাসি যদিও আমার কোনো সপ্নই সত্যি হয়না
মানুষ আত্মহত্যা কেন করে? নিশ্চয়ই তার কোনো কারণ আছে। কেউ কেউ তো আর এমনি আত্মহত্যা করবেনা!
ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন বাবা মায়ের ছোটবেলা থেকে। প্রতিবছর স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষায় ১ম হয় সে। এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেল। শুধু জিপিএ ৫ নয়, গোল্ডেন এ প্লাস। তার মাথায় ঢোকানো হলো তাকে এইচএসসিতেও এ প্লাস পেতে হবে। এ প্লাস পেলেই হবে না গোল্ডেন এ প্লাস পেতে হবে। নইলে যে বুয়েটে চান্স পাওয়া যাবেনা, অনেক কষ্টকর হয়ে যাবে। রেজাল্ট আসল, একটা সাবজেক্টে এ গ্রেড। বাবা মা খুব বকল। ভিতরে ভিতরে পুড়ছে ছেলেটি। পরেরদিন দেখা গেল তার পড়ার টেবিলে তার মার্কশীটের পাশেই ছোট এক টুকরা কাগজ কলম দিয়ে চাপা দেওয়া।
ছেলেটিকে যদি চাপ দেওয়া না হতো, বোঝানো হতো যে গোল্ডেন এ প্লাস ছাড়াও জীবন চলে সে কি আত্মহত্যা করতো? করতো না।
মেয়েটি খুব সুন্দর, হাজারো ছেলের স্বপ্ন সে। একদিন এক বখাটের নজরে আসল মেয়েটি। কিছুদিন অনেক উত্যক্ত করল। একদিন এসিড ছুড়ে দিয়ে পালালো বখাটে। মেয়েটির মুখমণ্ডল পুড়ে গেছে অর্ধেকটা। আর কেউ তার দিকে ফিরেও তাকায় না। সে অবশ্য এখন আর সে সুযোগও কাউকে দেয়না। ওড়না দিয়ে সবসময় মুখ ঢাকা থাকে তার। কিছুদিন পর তার পুরো দেহটাই ঢাকা পড়ল মাটির নিচে।
ছেলেটিকে খুব ভালোবাসতো মেয়েটি। কিন্তু মেয়েটির পরিবার মেনে নেয়নি সেটা। এক পর্যায়ে পালিয়ে বিয়ে করে মেয়েটি ছেলেটিকে। ছেলেটি তাকে ডিভোর্স দেয়। মেয়েটির নিজের বলতে আর কিছু নেই। তার পরিবার তাকে আর নিবেনা। এতই নিষ্ঠুর তারা। মেয়েটির আর কিছু করার নেই। সে তার বাকি দিনগুলো গুনছে। অনাহারে দিন কাটছে, তার পাশে দাড়ানোর মত কেউ নেই এখন তার, সে কি করবে এই জীবন নিয়ে? অতঃপর জীবনের সমাপ্তি।
মেয়ে দুটির পাশে যদি পরিবার থাকত তারা কি আত্মহত্যা করতো? করতো না।
প্রতিবছর প্রায় দশ লক্ষ মানুষ আত্মহত্যা করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-এর মতে প্রতি বছর সারা বিশ্বে যে সব কারণে মানুষের মৃত্যু ঘটে তার মধ্যে আত্মহত্যা ত্রয়োদশতম প্রধান কারণ। কিশোর-কিশোরী আর যাদের বয়স পঁয়ত্রিশ বছরের নিচে, তাদের মৃত্যুর প্রধান কারণ হচ্ছে আত্মহত্যা। নারীদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার হার অনেক বেশি। পুরুষদের আত্মহত্যা করার প্রবণতা নারীদের তুলনায় তিন থেকে চার গুণ।
যারা আত্মহত্যা করে তারা প্রত্যেকেই বিভিন্ন মানসিক অবসাদে ভোগে। মানসিক অবসাদের অপর নামই আত্মহত্যা। আত্মহত্যা অন্যকিছু নয়। যারা আত্মহত্যা করে তাদের পাশে যদি তাদের পরিবার পরিজন থাকত, তাকে সবকিছুর ইতিবাচক, নেতিবাচক দিক সম্পর্কে বোঝাতো, নিষ্ঠুর না হয়ে মানবিক হতো তবে আত্মহত্যার হার অনেক কমে যেত।
২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:১৩
মুহাঃ আমিরুল ইসলাম বলেছেন: আত্মহত্যা পাপ, আত্মহত্যাকারী পাপী। সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে এটি নিষিদ্ধ।
৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৩৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আত্মহত্যা সাময়িক সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান!
৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লিখেছেন তারপরও আত্বহত্যা কোন সমাধান নয়।
৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২৫
Nazmus Sakib বলেছেন: হ্যা, আত্মহত্যার আগে শতবার ভাবা উচিত
৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২৫
Nazmus Sakib বলেছেন: হুম
৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২৬
Nazmus Sakib বলেছেন: হুম আত্মহত্যা করা কারোরই উচিত নয়, তবে আত্মহত্যার পিছনে অনেক ঘটনা থাকে
৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২৭
Nazmus Sakib বলেছেন: সর্বশেষ পরিসংখ্যান এটি
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৩২
নাগরিক কবি বলেছেন: ২০১৪ সালের পরিসংখ্যান মতে বাংলাদেশের অবস্থান ১০ম।