নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগের স্বত্বাধিকারী সামিয়া

সামিয়া

Every breath is a blessing of Allah.

সামিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

রহস্য গল্পঃ বিচিত্র (প্রথম পর্ব)

০৭ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:০২


সারাদিনের ব্যস্ততা কাজকর্ম শেষ করে যখন বাইরে বেরিয়ে এলাম তখন পুরো শহরটায় বৃষ্টি নেমে এসেছে, একেবারে ঝুম বৃষ্টি, ব্যাগ থেকে ছাতা বের করে মাথায় দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম, বাস এলেই উঠে যাব এ নিয়ে আর চিন্তা কি!

কিন্তু একের পর এক বাস এলো গেলো কিন্তু কোনটাতেই উঠতে পারলাম না। অবশ্য বাসে ওঠার জন্য কোন তাগিদ অনুভব করলাম না এই মুহূর্তে।
বাসায় আমার স্বামী আছেন উনি চাকরী হারিয়েছে আজ ৬ মাস নতুন চাকরী পাওয়ার জন্য তেমন কোন চেষ্টা উনাকে করতেও দেখছিনা, পাশাপাশি চাকরী ছেড়ে দিয়ে অবসর উনি খুবই আনন্দের সাথে উপভোগ করছে। সংসারের কোন কিছুর ভেতরই তার বিন্দু মাত্র ভুক্ষেপ নেই আগেও যে খুব একটা ছিল তাও না।

এই যে আমি সারাদিন পর বাসায় যাব যাওয়ার সময় বাজার করে নিয়ে যেতে হবে, রান্না করতে হবে তারপর উনাকে সময় মত খেতে দিতে হবে যেন এসব তার প্রাপ্য সেবা। এরকমটাই নিয়ম।

দিন দিন এই খাটাখাটুনীতে শরীরে কোন শক্তি পাইনা আর, ইদানিং তো এমন হয় কলিংবেল টিপে ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকি ঘণ্টাব্যাপী তার দরজা খোলার ভুক্ষেপ পর্যন্ত নেই। জিজ্ঞেস করলে বলবে শুনতে পায়নি। এসব নিয়ে ঝগড়া করেও কোন লাভ নেই তাছাড়া উনার সাথে ঝগড়া যেটা হয় এক পাক্ষিক, সে ঝগড়ার সময় বধীর এবং বোবা হয়ে থাকে।

বৃষ্টির আগের চেয়ে আরও বেড়ে গেছে! চারপাশে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টির অজস্র ধারা কি এক মোহনীয় দৃশ্যের অবতারনা করছে! যেখানটায় দাঁড়িয়ে ছিলাম সেখানে এখন হাঁটু ছুঁই ছুঁই পানি থই থই করছে।
অদুরে একটা পুলিশের গাড়ি এসে থেমেছে আমাকে সোজা রেখে, ভেতরে একজনই পুলিশ বসা, অন্যজন ড্রাইভার। রাস্তায় এত লোকজন এত ভিড় তবু আমাকেই সে লক্ষ্য করছে।

লক্ষ্য করছে বললে ভুল বলা হবে সে আমার কাছ থেকে একটা কিছু আহ্বান চাইছে, ঘড়িতে সময় সন্ধ্যা ৭ টা, কিন্তু বৃষ্টির জন্যই বোধহয় কিংবা মনের ভেতর কোন অচেনা ভয়ে মনে হচ্ছে মধ্যরাত!! এমন সময় প্রায় প্রতিদিনই তো বাড়ি ফেরা হয়, কই তখন তো এমন ঘোর লাগা চোখে পুলিশ তাকাতে সাহস পায় না!

চারপাশে দেখলাম আশেপাশে আর একটা মেয়েও নেই হঠাৎ করেই জায়গাটা মেয়ে শুন্য হয়ে গেলো কি করে!!
বেশির ভাগ পুরুষ চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দাঁড়িয়ে!! তারা বেশির ভাগ রাস্তার শ্রমিক একটু অদুরে দেখলাম এক প্রবীন দম্পতি দাঁড়িয়ে আছে।
পুলিশের দিকে ফিরলাম সে অন্য কিছুর আহ্বান দুই চোখে নিয়ে এখনো একভাবে আমায় দেখছে, দিশেহারা আমি প্রবীণ যুগলের কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম।।

ভয়ংকর ঝম ঝম বৃষ্টি আধো আলো আধো অন্ধকারে প্রবীণ মহিলাটি কি জানি অশরীরী আত্মা ভেবে বসেছে কিনা কে জানে! তারা বেশিক্ষন তাদের পাশে দাঁড়াতে দিলো না আমায়! দ্রুত হেঁটে আমার কাছ থেকে সরে গেলো এবং সেই পুলিশের ভ্যান এর কাছে গিয়ে দাঁড়ালো। পুলিশ এই দৃশ্যপট বদলে যারপরনাই মহা বিরক্ত হয়ে তার ভ্যান নিয়ে অন্য দিকে রওয়ানা দিলো।
আমাদের মেয়েদের কবে যে মানুষ শ্রদ্ধার চোখে দেখবে এবং রাস্তাঘাটে মানসন্মান নিয়ে চলতে পারবো কে জানে!!

একই ভাবে এক হোন্ডাওয়ালা লোক আমার প্রায় পায়ের কাছে থামল, তার হোন্ডার হর্ন এবং লাইট বার বার অন অফ করতে থাকলো! দেহ ব্যাবসায়ী মেয়েদের এইভাবেই সংকেত দেয়া হয় নাকি!!
কি সর্বনাশ! আমায় ওরকম কিছু ভেবে বসে নেই তো!! আমি চারপাশে তাকালাম তীব্র বেগে বৃষ্টির ফোঁটা এসে পড়ছে রাস্তায় চারপাশে জমে যাওয়া পানিতে ছায়া ছায়া অন্ধকারে কি এক অদ্ভুত নৈসর্গিক এক পৃথিবী সৃষ্টি করছে যে এত বিপদের ভেতর ও মনে মনে তা খানিকটা উপভোগ করলাম!

এর মাঝে নিজের অবস্থান নিজের নিরাপত্তাহীনতা এসব কিছু আমায় তীব্র ব্যথিতও করছে, যেমন ব্যথিত করেছিলো আমার বিয়ের পর আমার স্বামীর ব্যাপারে প্রথম উপলব্ধি, পাগল!! হ্যাঁ একথা সত্যি যে আমার বাবা তেমন কিছু না দেখে যাচাই বাচাই না করে একটা পাগলের সাথে আমায় বিয়ে দিয়ে দিয়েছে, এটা একটা আ্যরেঞ্জ ম্যারেজ ছিল, এবং ইদানীং মাঝে মাঝে আমি এই বিয়েটা কে ঘৃণা করি।।

বিয়ের তৃতীয় দিন যখন আমি প্রথমবারের মত তার সাথে বান্দরবান বেড়াতে গেলাম সে সেখানে সব থেকে উঁচু পাহাড়ে বিশ্রামহীন উঠে এবং আমি শারীরিক এই একটানা পরিশ্রম সহ্য করতে না পেরে যখন পাহাড়ের রুক্ষ ঘাসের উপর শুয়ে পড়লাম, তখন সে আমার পাশে এসে যে কথাটি বলল কোন পাগল ছাড়া কি কেউ এরকম বলতে পারে!!

প্রথমে আমি তার কথা বিন্দু মাত্র সিরিয়াস ভাবে নেইনি হেসে উড়িয়ে দিয়েছি, হাস্যকর জোকসই তো ছিল ওটা, বলল
- বউ চল আমরা উড়ি!!
- কীভাবে!
- কেন এই পাহাড় থেকে লাফ দিয়ে!!
- পাহাড় থেকে লাফ দিলে তো মরে যাব!
- আরে না মরে যাবে কেন! উড়বো আমরা উড়বো! পাখির মত উড়বো! মেঘের ভেতর উড়বো!! ধুসর সাদাটে মেঘ! আহ!! অক্সিজেন! খাঁটি অক্সিজেন!
- তুমি পাগল হয়ে গেছ!
- না বউ বিশ্বাস কর এভাবে উড়া যায়! একদম চিলের মতন। তুমি শুধু হাত দুটি উপড়ের দিকে ছড়িয়ে দেবে আর নির্ভার করে দেবে শরীর! আর মনে বিশ্বাস রাখবে যে তুমি উড়তে পারো! ব্যস সে কি এক অপার্থিব আনন্দ হবে! আমরা উপর থেকে পৃথিবী দেখবো পৃথিবীর মানুষ দেখবো আর সব চাইতে বড় কথা পৃথিবীর সমস্ত দুঃখ কষ্ট জড়া যন্ত্রনা ছাড়িয়ে আমরা আকাশে বিচরন করবো!!
পৃথিবীর এই দৈন্যতা আমাদের একদম স্পর্শ করতে পারবেনা সত্যি বলছি!!
- আমি উড়তে চাইনা!
- না তুমি উড়তে চাও!
- না আমি উড়তে ঘৃণা করি!
- তুমি হয়তো শুধু প্লেন জার্নি ঘৃণা কর!
- আমার মাথা ঘুরায়!
- ওটা তোমার জলযানগুলোতে ভ্রমন করার সময় হয়!!
- তুমি বুঝতে পারছনা মানুষ উড়তে পারেনা!!

উনি গম্ভীর আর চুপচাপ কিছুক্ষন বসে উঠে দাঁড়িয়ে হেঁটে হেঁটে একদম পাহাড়ের শেষ প্রান্তে চলে গেলো! যেখান থেকে পা বাড়ালে কয়েকশো মিটার নীচে মাটি কিংবা ধারালো পাথর!
আতংকিত আমি এগিয়ে গিয়ে তার হাত টি ধরলাম, করছো কি তুমি? কি করছো?

সে আমার দিকে তাকাল! অপ্রকৃতস্থ চাহনি!
ভয় পেয়ে দুই পা পিছিয়ে এলাম! আমার সদ্য বিবাহিত স্বামী!!! পাগল!!!!

অনেক চেষ্টার পর বাসে উঠতে পারলাম, এখন রাত সাড়ে আঁটটা, বাড়ির কাছে নেমে সবচাইতে কাছের সুপার সপে ঢুকলাম বাজার করতে। কিছু শাকসবজি, তেল, ডাল, মশলা ও বিফ কিনে যখন বাসায় ঢুকলাম তখন রাত নয়টা! নিজেই চাবি দিয়ে দরজা খুললাম। যেদিন থেকে আমার স্বামীর দরজা খুলে না দেয়া রোগ হয়েছে সেদিন থেকে নিজের কাছেই ঘরের চাবি রাখি!।

বৃষ্টি কমে গেছে! ভেতরে আলো নেই! লাইট জ্বালাতে গিয়ে লক্ষ্য করলাম কেউ একজন বেলকনির কার্নিশের উপর দাঁড়িয়ে! মনে ভয় হল! বললাম
- কে?ওখানে কে!?
দৌড়ে কাছাকাছি যেতেই দেখি আমার স্বামী দাঁড়িয়ে! কিন্তু ওখানে কেন!!
- তুমি কি করছো এখানে??
পাশ ফিরে চাইলো!
বললাম,
- না না ওভাবে চেওনা পেছন ঘুরে! পড়ে যাবে তো! নেমে এসো! এক্ষুনি নেমে এসো উপড় থেকে!
- আমি আজ কোন কথা শুনবোনা!
- কি করতে যাচ্ছ তুমি! দেখো এরকম সবার জীবনেই হয়! এক চাকরী যে আজীবন টিকে থাকে তা তো না! এই দেখোনা আমাদের অফিসেই! গত এক মাসের মধ্যে ৩ জনের চাকরী চলে গেছে! এরকমটা হতেই পারে! তাছাড়া আমি তো আছি নাকি!
- তুমি বুঝবেনা!
- কি বুঝবোনা! তুমি চেষ্টা করলেই এর থেকে ভালো একটা চাকরী পেতে পারো প্লিজ পাগলামি করোনা!!
তার মুখে একটা হাসি ছড়িয়ে গেলো! হাসিটা অস্বাভাবিক! ওদের বাসায় আমাদের বাসায় এখুনি ফোন করে খবর দেয়া দরকার!! কেমন করে আমি একা ওকে সামলাবো! এপার্টমেন্টটা ৮ তলায়!! নীচে খটখটে কংক্রিটের রাস্তা,
এত উঁচু থেকে পড়লে জীবিত থাকা দূরে থাক একদম গুঁড়িয়ে যাবে!!
- ওগো তুমি কি করতে যাচ্ছ আমায় কি বলবে? প্লিজ এমনটা করো না! নেমে আসো নেমে আসো!
- খবরদার আমার দিকে এক পা ও এগোবে না, আমি আজ উড়বোই!
থমকে দাঁড়াই আমি!
- কি করবে??
- উড়বো! আকাশের উপর উড়বো! মেঘে মেঘে উড়বো! উড়ে উড়ে দেশ বিদেশ দেখার মত করে গ্রহ উপগ্রহ দেখে আসবো !আহ! কি এডভেঞ্চারই না হবে এই পানসে জীবনে!!
- প্লিজ তুমি পাগলামি করোনা! তুমি যা ভাবছো এসব মানুষের পক্ষে করা সম্ভব নয়!!
- মানুষের পক্ষেই সম্ভব! সব সম্ভব!!
তারপর পরই সামনের দিকে লাফ দিয়ে অদৃশ্য হয়ে যায় সে!
সারাদিনের পরিশ্রমের পাশাপাশি এত বড় একটা দুর্ঘটনা আমাকে প্রচণ্ড রকম দুর্বল করে দেয়! দুচোখে অন্ধকার নেমে আসে!
তারপর আর কিছু মনে নেই!!

ওভাবে কতক্ষন পড়েছিলাম আমি জানিনা!! যখন আমার জ্ঞান ফিরলো, যখন আমি চোখ মেললাম, দেখি অনেকেই আমাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে, ঘরের সব কয়টি লাইট জ্বলছে! এদের ভেতর পুলিশ ও আছে! একজন ফ্রাষ্ট এইড বক্স নিয়ে আমার সেবা করছে! এক পুলিশ কাছে এগিয়ে এসে বলল আপনি ঠিক আছেন!! মিসেস রহমান? আপনি কি আমাদের একটু একটু করে খুলে বলবেন আসলে কি হয়েছিলো? আমি চারপাশে তাকালাম সবার চোখমুখ বিষাদ আর উদ্বিগ্ন!! ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়ে আছে আমার সদ্য কেনা বাজারগুলো! ধীরে দুর্বল কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলাম এখন রাত কয়টা!
রাত একটা মিসেস রহমান!!
রাত একটা!! এতক্ষনে নিশ্চয়ই ওর গোসল সম্পন্ন হয়েছে!! নিশ্চয় খাঁটিয়ায় পড়ে আছে ও অন্তীম গৃহে যাওয়ার জন্য! নিশ্চয়ই সবাই আমার অপেক্ষায় এখনো বেচারা স্বামীর দাফন করায়নি!! আমায় শেষ দেখা দেখাবে বলে!! কি আর দেখাবে!! কিছু কি অবশিষ্ট আছে! এত উঁচু থেকে পড়ে গেলে কিই বা অবশিষ্ট থাকে!

আমি কিছুই বললাম না তাছাড়া ভেতর থেকে কথা বলার শক্তি ও পাচ্ছিনা! আমি এখন বিধবা!! হায়!
আমার স্বামী আমার সামনে থেকে লাফ দিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছে আর আমি কিনা কিছুই করতে পারলাম না!! অস্ফুট স্বরে ধীরে ধীরে পুলিশকে জিজ্ঞেশ করলাম! আমার স্বামী! আমার স্বামী কোথায়!?
যদিও জানতাম পুলিশ এখন কি বলবে!! তবু তার চিন্তাযুক্ত মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম আমার জীবনের সবচাইতে খারাপ দুঃসংবাদটি শোনার জন্য!! আমার স্বামীর মৃত্যুর খবর!!
কিন্তু পুলিশ অদ্ভুত এক কথা শুনালো!
- ইয়ে মিসেস রহমান! আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত! ঠিক কি হয়েছে আমরা কিছু বুঝতে পারছিনা! এক্ষেত্রে আপনার সাহায্যের দরকার হবে!
আসলে,
আপনার স্বামীকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:২২

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ভাল লেগেছে।

০৭ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯

সামিয়া বলেছেন: গল্পটি বেশ সময় নিয়ে লিখেছি। আর একজন গল্পকারের মুখ থেকে ভাললেগেছে কথাটাই যথেষ্ট অনুপ্রেরনার।
ধন্যবাদ।।

২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৯

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: তবে বানানগুলো একটু দেখবেন। অবশ্য বানানে আমিও বেশ কাঁচা। শুভ কামনা থাকবে।

০৭ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সামিয়া বলেছেন: হুম দরকারি একটা ইস্যু তুলে ধরেছেন, অনেক বানান অনিচ্ছায় ভূল হয় আবার অনেক বানান জানাই নেই সঠিক কোনটা, তাই দু একটা বানান অন্তত ধরিয়ে দিলে উপকার হতো অনেক।।

৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০

বনসাই বলেছেন: গল্পটি একটানে পড়ে আসলাম। বেশ ভালো চেষ্টা। শেষটা ঠিক জমে নি বলে মনে হল, বাসায় তো আর কেউ ছিল না তবে স্বামী নিখোজ এটা পুলিশকে কে জানালো? অন্য কোনো সমাপ্তি আশা করছিলাম।

০৭ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সামিয়া বলেছেন: আন্তরিক ভাবেই খুশি হয়েছি একটানে পড়ে ফেলেছেন জেনে।। আর পরামর্শের জন্যও।।
হুম শেষ অংশ অবশ্য পাঠকের জন্যই অমন রেখেছি, আমি তো চাইলেই ডিটেইল লিখতে পারতাম মিসেস রহমানের চিৎকারে পাশের ফ্লাটের অমুক ছুটে এসে পুলিসে খবর দিল।। :)
কারন মিসেস রহমানের দরজা যে লক করেনি সেটা স্পষ্ট রেখেছি।।
ভাল থাকবেন ধন্যবাদ।।

৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০৩

নাগরিক কবি বলেছেন: ভাল লাগা ও কেন যেনো না লাগা - দুটো অনুভূতি'ই পাচ্ছি। তবে ভাল লাগার পরিমাণটাই বেশি B-)

০৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:২৫

সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ নাগরিক কবি, ভালের পরিমান বেশি আমি এক বাক্যেই খুশি ।। :)

৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন, আপনাকে দিয়ে হবে। চালিয়ে যান।
শেষে তাড়াহুড়া হয়ে গেছে। কয়েক ঘন্টা একজন মানুষকে না পাওয়া গেলে, এটাকে নিখোঁজ বলা যায়না।

০৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

সামিয়া বলেছেন: ভাইয়া ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য দেখে।। তবে আমি এত কাজ একসাথে করি যে কিছুই যেন ঠিক মত করতে পারিনা :(
তবে আপনি বলেছেন যে আমাকে দিয়ে হবে এই বাক্যেই আমি খুশি।।
ও আচ্ছা নিঁখোজ সম্পর্কে আপনার তথ্য সঠিক। তাহলে আমার লেখা উচিত তাকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। আমি সময় করে ঠিক করে নেবো ভাই।। ধন্যবাদ।

৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩৪

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লাগলো, খুব সুন্দর করে বিচিত্র লেখেছেন।
ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।
শুভকামনা জানবেন

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:০৪

সামিয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই

৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৪৮

কবীর বলেছেন:
গল্প পড়ে ভালো লেগেছে +

ছবিটার অবস্থা এমন কেন !!! ;) ছবিটাও ভালো লেগেছে !!

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:০৫

সামিয়া বলেছেন: হাহা
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ

৮| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ভালো লাগল ।

১৫ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৯

সামিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

৯| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ!

ভিন্নতায় ভরপুর!
অফিসগামী নারীদের নিত্য যাতনার একটা অংশ দারুন ফুটেছে!
পারাবরিক জীবনে কত অজস্র অগুনিত অপ্রকাশীত যাতনা যে থাকে -না জানলে না দেখলে ভাবনায় আনাও অসম্ভব!
তেমনি এক গল্প দারুন মুন্সিয়ানায় ফুটিয়ে তুলেছেন।

সবার মন্তব্যের পর মনে হল- নিখোঁজটা এষ্টাবলিশ করতে শুধু জ্ঞান ফেরার পর টাইম ডিউরেশন নিয়ে খেললেই তা দারুন হয়!
তিন দিন বা সাত দিন এমন সময়! সাথে অফিস কলিগদের উপস্থিত রাখা যেতে পারে ;)

আমিতো আপনার গল্পের ফ্যান হয়ে যাচ্ছি! ;) হা হা হা

২০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪২

সামিয়া বলেছেন: বেশ উপকারী পরামর্শ এবং সমালোচনায় জানাই কৃতজ্ঞতা।
পরবর্তীতে গল্পটি আরেকটু ষ্টাবলিশ করার সময় আপনার সু পরামর্শ আমার মনে থাকবে।
আপনি যদি আমার গল্পের ফ্যান হয়ে যান তবে এটা একটি ইতিহাস, কারন আমি অনেক আগে থেকেই আপনার কবিতার ফ্যান।। এখন কি হবে!! :-B :-B ফ্যান ফ্যান কাঁটাকুটা = শুভাকাঙ্ক্ষী ।। :-B
হাহা ভাল থাকুন, ধন্যবাদ।।

১০| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: গল্প ভাল লাগল। মনে হচ্ছে লেখক অনেক রহস্যই নিজের ভেতর লুকিয়ে রেখেছেন যা এই মুহূর্তে অনেকের কাছে বিসদৃশ লাগতে পারে। পরের পর্ব না পড়ে অধৈর্য্য হয়ে অনেকেই কমেন্ট করেছেন দেখলাম।
লিখতে থাকুন আপু। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮

সামিয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। আজই দ্বিতীয় পর্ব পোস্ট করেছি তো।।
পড়ে মতামত জানাবেন আশা করি।।

অনেক অনেক শুভকামনা।।

১১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বাহ বেশ লিখেছেন এবার তাহলে ২য় পর্বটি পড়া যায়।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯

সামিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই পড়ে মন্তব্য জানিয়ে উৎসাহ দেয়ার জন্য।।

১২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৮

জাহিদ অনিক বলেছেন:





১ম পর্ব পড়া হলো ।
কাল ২য় পর্ব দেখব।

১ম পর্ব ভালো লাগলো। গৃহকর্তার রহস্যময় অন্তর্ধান !

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩১

সামিয়া বলেছেন: রহস্য গল্প পড়তে পছন্দ না হওয়া সত্ত্বেও পড়ে মন্তব্য জানিয়ে যাওয়ার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা ভাই।
শুভকামনা ও ধন্যবাদ রইলো।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.