নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগের স্বত্বাধিকারী সামিয়া

সামিয়া

Every breath is a blessing of Allah.

সামিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

আহা জীবন

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২৩

ছবি: এইমাত্র তুললাম

সে অত্যন্ত শঙ্কিত ভীতু কিছুটা ঘোরের ভেতর তখনো, অল্প কয়দিনে ওজন পাঁচ কেজি লুজ হয়েছে, বয়স ষাট ছুঁই ছুঁই, আমার দিকে তাকিয়ে বললেন আর বোলোনা ইতি ভেতরে কি গেঞ্জাম হুড়োহুড়ি চিল্লাচিল্লি, আমি যে রোগী একটা, সেদিকে ওদের খেয়ালই নেই, হাসছে , গান গাইছে , কথা বলছে, 
আমি বললাম ভেতরে কারা ডাক্তারেরা?
নাআআআআআ, ওরা ওরা, ঐ যে থাকেনা ওয়ার্ড বয় ক্লিনার নার্স এইসব, ওরা অনেক, আর হইচই চিৎকার, আমি তো একমনে আয়াতুল কুরছি পড়ছি ওদের জ্বালায় পড়তেও পারছিনা শুরুতেই গোলমাল পাকিয়ে যাচ্ছিলো বলবো আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহু বলতেছি আল্লাহুমা ছাল্লে আলা মোহাম্মাদ, ওরা এত কথা বলে, তখনো ডাক্তার আসেনি। 
আমি তো ভয়ে আধমরা একবার ভাবলাম একটা ধমক দিয়ে বলি থামো এতো জোরে কথা বলছ কেন? এত নয়েজ করছ যে তোমাদের এখানে তো থাকতেই পারছি না ইচ্ছে করছে এখান থেকে উঠে চলে যাই।

আগ্রহ নিয়ে উনাকে বললাম বলছিলেন? উনি মুখ বেজার করে বললেন, নাআআআআআ কি করে বলবো আমি তো হাতটাই উঁচু করতে পারছিলাম না কি একটা ইঞ্জেকশন দিয়েছিল মনে হচ্ছিল সারা শরীর অবশ, আর মরা মানুষের মতন দুই টুকরা সাদা কাপড় গায়ের উপর, নীচে এক টুকরা উপড়ে এক টুকরা।তখন কেমন লাগে বলতো?
কি ইকজেকশন দিয়েছিল অ্যানেসথেসিয়া ? 
হবে হয়তো এরকম কোন কিছু আবার নাও হতে পারে কারণ আবার আমাকে একটা রুমে ঢুকিয়েছিল কেমন বেল্ট বেল্ট চারদিকে ওটায় ঢোকার পর আর কিছু মনে নেই হতে পারো ওটা একটা অ্যানেসথেসিয়া রুম। 
সে আরও জানালো যে তার পায়ের রগ কেটে নিয়ে ওটা বুকে লাগিয়ে দিয়েছে।
আমি বললাম রগ কেটে ফেলেছে! তাহলে আপনি হাঁটবেন কীভাবে, পঞ্চাশোর্ধ্ব তার অতি রূপবতী ওয়াইফ বললেন যে মানুষের পা এ দুইটা রগ আল্লাহ্‌ এক্সট্রা দিয়ে দিয়েছেন, যেন জরুরী প্রয়োজনে কেটে নিয়ে শরীরের কোনখানে লাগানোর দরকার পড়লে কেটে নিতে পারে। 
উনি আমার অফিসের জী এম, সে তার জীবনের সবথেকে আতঙ্কগ্রস্ত একটি সময়ের বর্ণনা দিচ্ছিলেন ওপেন হার্ট সার্জারি অপারেশন এবং সে অত্যন্ত ভীতু মানুষ ।

উনার কথা শুনতে শুনতে মাথায় এলো যে এভাবে একটা মৃত মানুষ যদি আবার জীবিত হন এবং তার আত্মীয় স্বজনদের কাছে ফিরে এসে সবাইকে তার দুর্বিষহ সেই মৃত্যুর ঘটনা বর্ণনা করতে পারতেন!
কিভাবে সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন? তখন তার কি অনুভূতি হয়েছিলো? যখন তাকে খাটিয়ায় শুইয়ে অন্যান্যরা জানাজা পড়ছিলেন কিংবা তাকে কবরের উদ্দেশে নিয়ে যাচ্ছিলেন? কীভাবে তাকে কবর দেয়া হয়েছে ?কবর দেওয়ার পর তার কেমন লেগেছিল? যখন তার পেট ফুলে উঠেছিল যখন তার শরীরের মাংস পচা শুরু করল? পেটের নাড়িভুঁড়ি পচে যখন নাক মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসছিলো তখন তার কেমন ভয়ংকর লেগেছিল সময়টা? কবরের একেকটি অন্ধকার রাত কতটা ভয়াবহ ছিল তাদের।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: কিছু মনে করবেন না শেষের প্যারা পড়ে গা গুলিয়ে উঠেছে।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪০

সামিয়া বলেছেন: Oh sorry brother :(

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪৩

মিরোরডডল বলেছেন:




ছবিতে আলোছায়ার খেলাটা সুন্দর ।

ভালোইতো পড়ছিলাম কিন্তু লাস্ট প্যারায় এসব কি বলে :(
ইটস ওয়ান ওয়ে জার্নি । নো টার্নিং ব্যাক ।
ইফ উই লাইক টু ফিল দ্যা টেস্ট, উই হ্যাভ টু গো থ্রু ইট :)


"আহা জীবন... কতো ভালোবাসা বাসি ,
নোনা জলে , নোনা জলে , কতো হাসাহাসি "




০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২৪

সামিয়া বলেছেন: লাস্ট প্যারাটা কঠিন বাস্তব মানুষের শেষ পরিনতি, বেশ গোছানো মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২৭

ফয়সাল রকি বলেছেন: খুবই ভয়ংকর সময় পাড় করেছেন তিনি। তবে আপনার চাওয়ার বর্ণনাটা আরো ভয়ংকর।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২৫

সামিয়া বলেছেন: আচ্ছা আচ্ছা

৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৮

মাসুদুর রহমান (শাওন) বলেছেন: শেষের লাইনগুলো সত্যিই খুব ভয়ঙ্কর!!

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২৭

সামিয়া বলেছেন: এটা তো ঘটে মৃত্যুর পর সবার বেলায়, এত ভয়ংকর ভয়ংকর করার কিছু নেই, কত কত মৃত্যু কত ভয়ংকর ভাবে হয়, আমিতো মৃত্যুর পরের অবস্থা লিখেছি যা প্রতি মানব দেহে ঘটে।

৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বোন,লেখার থিম বা গল্পের পটভূমি ঠিক আছে।

জীবন !!! আসলেই জীবন !!!!! আহারে জীবন।

সহজ সরল জি এম ( যদিও জি এম রা একন এত সহজ সরল অয়না আর এত সহজ সরল অইলে জি এম অইতে পারব না
অফিসের রাজনীতি বাচিয়ে) সহজ ভাষায় যা বলেছে তাই বাস্তব অপারেশন বা অ্যানেসথেসিয়া (অবেদন বিদ্যায় ,মানে অজ্ঞানের ডাকতররা যা করে) দেয়ার পরের বাস্তব ছবি।

যদিও অজ্ঞানের পর আবার সবাই জেগে উঠে তা অনেকটা মরার পর বেঁচে উঠারই মত তবে প্রকৃত মরার পর আর বেঁচে উঠবে না ।তবে উঠলে ভালই হত দুনিয়ায় বেহুশ মানুষ কিছুটা হলেও হুশ ফিরে পেত ঘটনাডা কি ঘটে মরার পর তা জানতে পেরে।তবে কি ঘটে বা ঘটতে পারে এ ব্যাপারে ধর্মে কিছুটা বলা আছে মানুষের সতর্কতার জন্য।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫১

সামিয়া বলেছেন: ভালো একটা মন্তব্য করেছেন পড়ে ভালো লাগলো। আর এটা গল্প না বাস্তব অভিজ্ঞতা ভাইয়া, উনি আসলেই আমাদের অফিসের জি এম ছিলেন গত বছর রিটায়ার্ড এ চলে গিয়েছেন।

৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এ অবস্থার ভিতর দিয়ে আমি দুই বার গেছি।প্রথমে২০০১ সালে বাই পাস সার্জারির সময়।সকাল ১০টা থেকে পরের দিন সকাল আটটা পর্যন্ত কোথায় ছিলাম কেমন ছিলাম কিছুই মনে নেই।ঘুম ভাঙ্গার মতো মনে হল,দুই পাশে দুই জন নার্স,ওরা নড়াচড়া করতে না করলো।বুকে এবং পেটে দুটি চিকন রাবারের নল ডুকানো।কিছু ক্ষন পর আস্তে আস্তে নল দুটি বের করে ছোট গোল দুটি পেঁচ লাগি দিল ।কিছুই টের পেলাম না কোন ব্যথাও করলো না অপারেশন শেষ।দুই দিন কেবিনে থেকে সোজা বাংলাদেশ।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫৩

সামিয়া বলেছেন: আল্লাহ আপনাকে নেক হায়াত দিক সেই দোয়া রইলো, জীবনে কঠিন সময় পার করে এসেছেন আপনি।

৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি আজকাল অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে ভাবছেন।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫৪

সামিয়া বলেছেন:
আমি কিন্তু দেখেছি একটু আগে আপনার পোষ্ট।

৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: ছবিটা সুন্দর হয়েছে।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫৫

সামিয়া বলেছেন: এই জায়গাটা ছবির থেকে বেশি সুন্দর সবসযয়

৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৫৯

মা.হাসান বলেছেন: নিয়ার ডেথ এক্সপিরিয়েন্সের কয়েক হাজার ঘটনা আছে। অনেক গুলো গবেষণাও হয়েছে। আউট অফ বডি এক্সপিরিয়েন্সের ঘটনা বোগাস বলে উড়িয়ে দেয়া যায় না। আফটার ডেথ এক্সপিরিয়েন্সের ঘটনা ধর্মিয় বইয়ের বাইরে শোনা যায় না। আকাম কুকাম না করলে (বা কম করলে ) ঐ জগতে সমস্যা হবার কথা না ।
জি.এম. সাহেবের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৪৯

সামিয়া বলেছেন: মন্তব্যে ভালোলাগা জানবেন। ধন্যবাদ ও ফাল্গুনের শুভেচ্ছা।

১০| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৪৭

আমি সাজিদ বলেছেন: ছবিটা সুন্দর

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৫০

সামিয়া বলেছেন: এই জায়গাটা বাস্তবে ছবির থেকেও বেশি সুন্দর সব সময়ই। ধন্যবাদ

১১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১০

মপোতোস বলেছেন: চমৎকার একটা ছবি। রোগ-ব্যধি-জরা-মৃত্যু এগুলো নিয়ে প্রচুর ভেবেছি জীবনে। দশ-বারো বছর বয়স থেকে। কিন্তু মনে হয়, এত ভাবার দরকার নাই। এগুলো ভেতরে এক ধরনের মরবিডিটির জন্ম দেয়।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৫১

সামিয়া বলেছেন: ঠিক বলেছেন, ছবিটা ভালো লেগেছে তাই ভালো লাগলো, ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.