![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন জ্বরের ঘোরে কপালে একটা হাতের স্পর্শ পেলাম
শক্ত খসখসে, মমতাময় সেই হাত। প্রথমবারের মত সেই স্পর্শে বুঝলাম, এই হাত কত না পরিশ্রমের সাক্ষী, তার
ভাইদের মানুষ করেছে, নিজের ছেলেমেয়েদের জন্য দিনরাত খেটেছে। চেনা অচেনা আরো কত মানুষের জন্য খেটেছে আমার পরোপকারী বাবা।
আজ আমার অনেক জ্বর, শরীরটা কাঁপছে, কপালে হাত রাখার জন্য কেউ নেই। আব্বা, আপনার সেই হাতটা খুব মনে পড়ছে আজ। মনে হচ্ছে আপনার হাতটা মাথায় রাখলেই সব জ্বর কমে যাবে।
আব্বা, আপনি কেন চলে গেলেন?
আমি তো মনের দিক থেকে এখনো ছোট, আপনার ভারী গলায় বলা কথাগুলো, জ্বর এলেই আপনি ডাব কেটে মগ ভর্তি করে রাখতেন, ডাবের শাঁস গুলো আলাদা বাটিতে তুলে দিতেন, বার বার তাড়া দিতেন খাওয়ার জন্য। আব্বা, আপনি কোথাও নেই।
একবার আমার অফিস থেকে ফিরতে ফিরতে অনেক রাত হয়ে গেল। আকাশ জুড়ে বৃষ্টি থেমে থেমে বাজ পড়ছে।
জলমগ্ন গলি পেরিয়ে যখন এলাকার রাস্তায় পা রাখলাম, হঠাৎ সেই চেনা কণ্ঠটা কানে বাজল ছাতা নে ভিজে যাবি ঝড়ের মধ্যে আব্বা ছাতা নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। নিজে অনেকটা ভিজে গিয়েছেন সেদিকে খেয়াল নেই, আমাকে বলছেন তুই ভিজলে ঠান্ডা লাগবে!
আর আমি তখন শুধু তাকিয়ে ছিলাম, এই মানুষটা, যিনি নিজের আরাম অসুবিধা কিছু না ভেবে
আমার জ্বরের আশঙ্কায়ও দুঃশ্চিন্তায় কুঁকড়ে আছেন।
আজ অনেক দিন হয়ে গেছে, আমি আবার বৃষ্টিতে ভিজি, জ্বরে পুড়ি। এখন আর আব্বা নেই দুশ্চিন্তা করার জন্য।
আব্বা, আপনি কোথায় হারিয়ে গেলেন?
আমার দুচোখ জলে ভিজে যাচ্ছে আপনার না থাকায়।
১৩ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:১৩
সামিয়া বলেছেন: হুম অবশ্যই
২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:২৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার আব্বার জন্য দোয়া করবেন। ওনার জন্য সাদকা করবেন ।
১৩ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:১৩
সামিয়া বলেছেন: অবশ্যই
৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:৫০
কামাল১৮ বলেছেন: বাবা মা এমনি হয়।
১৩ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:১৩
সামিয়া বলেছেন: হুম
৪| ০৫ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১:৫৩
ডার্ক ম্যান বলেছেন: একদিন সবাই হারিয়ে যাবে
১৩ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:১৩
সামিয়া বলেছেন: হুম
৫| ০৬ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:১৪
জনারণ্যে একজন বলেছেন: কেমন আছেন এখন আপনি, সামিয়া। আশাকরি সুস্থ্য হয়ে গেছেন এতদিনে।
ভালো থাকবেন।
১৩ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:১৪
সামিয়া বলেছেন: সুস্থ হতে সময় লেগেছে, এখনো উইকনেস কাটিয়ে উঠতে পারিনি পুরোপুরি।
৬| ০৬ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:০২
রাজীব নুর বলেছেন: তখন চারিদিকে করোনা।
আব্বা হাসপাতালে ভরতি। আব্বার করোণা হয়েছে।
অনেকদিন আব্বার হাসপাতালে থাকলেন। আব্বার করোনা ভালো হলো।
ডাক্তার আব্বাকে বললেন, আপনি দুই একদিনের মধ্যে বাড়ি যেতে পারবেন।
আমি গভীর ঘুমে।
ভোরবেলা হাসপাতাল থেকে ফোন এলো। আব্বা মারা গেছে।
১৩ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:১৪
সামিয়া বলেছেন: আহারে
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:৩৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনার আব্বার জন্য দোয়া করবেন। ওনার জন্য সাদকা করবেন।