নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগের স্বত্বাধিকারী সামিয়া

সামিয়া

Every breath is a blessing of Allah.

সামিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

সবশেষে

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫


ঘরটা ভরে গেছে তীব্র লাল রঙের আগুনের মতো মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা একজন মানুষ হাতে ব্রাশ, পাশে রঙের বালতি। চারপাশের সব পথ ভিজে গেছে রঙে, শুধু তার পায়ের নিচে শুকনো একটা ছোট্ট টুকরো জায়গা সেখানেই সে আটকে গেছে।

এমন আটকে পড়া জীবনের সংখ্যা অগনিত। আমরা কাজ শুরু করি খুব যত্ন নিয়ে এগোতে থাকি। কিন্তু কোথাও না কোথাও হিসাবের ভুল হয়। ভেবেচিন্তে না করে একসময় এমন এক অবস্থায় পৌঁছাই যেখানে সবকিছু বন্ধ করে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।

মানুষের ভুল আসলে এটাই শুরুটা নিয়ে যত ভাবনা চিন্তা পরিকল্পনা, শেষটা নিয়ে তত চিন্তা নেই। ফলে এই রঙিন ঘরের মতো জীবনও অনেক সময় আমাদের আটকে দেয় ঘরের এক কোণায় যেখান থেকে না সামনে যাওয়া যায়; না পেছনে।

এই আটকে পড়ার ভেতরে যে শিক্ষা আছে তা হলো একবার যদি মানুষ বুঝতে পারে প্রোপার পরিকল্পনা ছাড়া জীবন কাটালে চলমান পথ গুলো একে একে বন্ধ হয়ে যায়; তবে সে যে পথেই যাক একটা পথ আর্জেন্ট এক্সিট রেখে তবেই কর্ম করবে।

ঘরের কোণায় দাঁড়িয়ে থাকা এই মানুষ কম বেশি আমাদের সবারই প্রতিচ্ছবি। তবে সব যে পরিকল্পনা চিন্তা চেতনা সচেতনতার থাকলে হয় না আসলে ব্যাপারটা সম্পূর্ণ তেমন ও নয়, অনেকের জীবন সচেতন পরিকল্পনার পর ও থামে, জীবনের চলার পথের সরল রাস্তা গুলো ও বন্ধ হয়। সেটার জন্য কাকে দোষ দেয়া যায়?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৩

বিজন রয় বলেছেন: সবাই কোথাও না কোথাও আটকে পড়ে ঠিক। কেউ কেউ দুরন্তভাবে বেরিয়ে আসে কেউবা হারিয়ে যায় ব্যর্থতার অতলে।
তবুও জীবন চলে, চলবে।

আপনি কবিতায় বেশি ভালো।

শুভসন্ধ্যা।

২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪১

কামাল১৮ বলেছেন: ইউনুস সেফ এক্সিট খুঁজছে।পেলে ভালো নয়তো বেঘোরে প্রানটা হারাতে হবে।

৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:১৪

সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: আমি ঠিক এমন ঘরে আটকে আছি প্রতিদিন কত আর্তনাদ করি কিন্তু মুক্তি পাই না আরো জটিল হয়ে যাচ্ছে.........

৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪৯

জনারণ্যে একজন বলেছেন: @ সামিয়া, ছোট্ট ওই এক টুকরো জায়গা থেকে আটকে পড়া থেকে মানুষটার বের হওয়ার পথ কিন্তু একটা আছে - ঠিক যেমনটি থাকে সবার জন্যই, সবসময়। সমস্যা শুধু বের হওয়ার পথটুকু আমরা জানি না, কিংবা জানতে চাই না।

মানুষটার হাতে যেহেতু ব্রাশ এবং রঙের বালতি আছে; সেহেতু এক কাজ করলেই হয়। দু/এক পা পিছিয়ে এসে অসম্পূর্ণ জায়গাটুকু রং করুক। শেষ হলে আবার দু' পা পিছিয়ে যেয়ে রং যেখানে মুছে গেছে, সেখানে রং করুক।

বেশিক্ষন কিন্তু লাগবে না মানুষটার বের হয়ে আসতে। ঘরে রং করাটাও অসম্পূর্ণ থাকবে না।

ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.