![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শরৎ এলে বাংলার প্রকৃতি যেন সাদা-সাদা কাশফুলের পরশে এক অনন্য সাজে সেজে ওঠে।
দিগন্তজোড়া কাশবন হাওয়ার দোলায় যখন নাচে, মনে হয় প্রকৃতি হাসছে। শরতের নীল আকাশ, সাদা তুলোর মেঘ আর কাশফুলের সমুদ্র সব মিলিয়ে তৈরি হয় স্বপ্নের মতো এক দৃশ্য।
শরৎ আশ্বিনের এই হাওয়া বলে যায়,
সব কষ্টই একদিন মিলিয়ে যাবে কাশফুলের মতো,
কিন্তু যে কথা না-বলা থাকে মনে,
সেটাই বেঁচে থাকে আজীবন।
আমার বাসার কাছেই দিয়াবাড়ি।
এই সময়টাতে এখানে কাশফুলের সাথে ছবি তোলার জন্য উপচে পড়া ভিড় প্রতিদিন। মাইলের পর মাইল সাদা কাশবন যেন ঢেউ তুলে দাঁড়িয়ে থাকে। সেই দৃশ্য আমারো ভীষণ ভালো লাগে।
আমি অবাক হয়ে ভাবি, কি যে ছেলেমানুষি! অথচ এই সরল ছেলেমানুষিতেই যেন আনন্দ। শরতের হাওয়ায় কাশফুল দোলে, মানুষের ভিড় জমে, আর আমি দাঁড়িয়ে থেকে সবার আনন্দ দেখে মুগ্ধ হই। মানুষ গুলো সবাই কি সুখী সে সময়।
শরতের আকাশে মেঘের ভেলা ভাসে,
সাদা কাশফুলের দোলায় ভেজে চোখ
সব নীরবতা সীমা অতিক্রম করে
হৃদয়ের ভরা আমার হাজারো অভিমান।
লেখাগুলো অনলাইনে বসে বসেই লিখলাম। ইদানিং কিছু মন খারাপ সময় যাচ্ছে।
০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:০৪
সামিয়া বলেছেন: তোমার ছন্দে ছুঁয়ে যায় মনের সব অভিমান,
সুখী কন্যার লেখায় ঝরে শান্তি সুখের প্রান।
তোমার মতন আমার শাশুড়ি আম্মা প্রায়ই আমার দিকে চেয়ে বলে জীবনে যা চাইছি আমি তাই পাইছি, আমার জীবনে আর কোন অপূর্ণতা নাই।
জানি আমি অতোটা আহামরি কিছু না তবু তোমার মন্তব্যটা পড়ে মন ভালো অনুভব করছি। ভালো থেকো।
২| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:০১
দি এমপেরর বলেছেন: যা বলতে চেয়েছিলাম উপরে বলে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে আর কিছু বললাম না
০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:০৫
সামিয়া বলেছেন: আচ্ছা আচ্ছা, পোষ্টে আসার জন্য ধন্যবাদ।
৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৩৮
অপ্সরা বলেছেন: তুমি আর কি আমি জানিনা শুধু জানি তুমি স্নোহ্যোয়াইট কন্যা!!!
শ্বাশুড়িআম্মার কথা শুনে তাকে যেন দেখতে পাচ্ছি!!!!!!!!!!!
০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:৪৪
সামিয়া বলেছেন: এইখানে কমেন্টে লাভ রিয়েক্ট দেয়ার অপশন নাই বলে মুখে মুখে দিলাম।
৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৩৯
অপ্সরা বলেছেন: হা হা এমপেররভাইয়াও আমার মত ভাবছে...... কাঁশের চাইতেও তো তোমার কাঁশফুল হাত সুন্দর হয়ে গেলো....... এখন দিয়াবাড়িতে কি হবে!!!!!!!!
০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:৪৫
সামিয়া বলেছেন: দিয়াবাড়ি শত শত সুন্দরীরা ভীড় করে রোজ। আমার হাত না হলেও চলবে।
৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:২৮
কামাল১৮ বলেছেন: কাঁশফুল আর হাত কে কার অলঙ্কার।
০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:৪৬
সামিয়া বলেছেন: কাশফুল আমার হাতের অলংকার
৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:৪৯
বাজ ৩ বলেছেন: ছবিগুলো খুবই সুন্দর হয়েছে
০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:৪৬
সামিয়া বলেছেন: থ্যাংক ইউ
৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:৫৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: সামিয়া,
বাহ.. সবাই দেখছি শরতের কাশের বনে হাওয়ার লুকোচুরির কথা ভুলে গিয়ে ছবিতে আপনার হাতখানি দেখে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করছেন।
মন্তব্যগুলো দেখে আমার আবার কবি বুদ্ধদেব বসুর "একখানা হাত" কবিতার কথা মনে পড়ে গেলো!
০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:৪৯
সামিয়া বলেছেন: একখানা হাত
আকাশে জমেছে মেঘ; পথ নিরিবিলি;
সব চুপ। রাত দু-প্রহর।
বাড়িগুলি অন্ধকার পথের দু-ধারে;
ঘুমায় শহর।
শরীরে জমেছে ক্লান্তি, দুই চোখে ঘুম,
হেঁটে-হেঁটে একা ফিরি বাড়ি।
এখনই আসবে বৃষ্টি, তাই জোর ক’রে
চলি তাড়াতাড়ি।
হঠাৎ পথের বাড়ির
নিচের ঘরের জানালায়
দেখিলাম, ম্লান নীল ইলেকট্রিকের
আলো দেখা যায়।
শুধু এই জানালায় আলো জ্বলিতেছে,
অন্ধকার শহর নিরালা;
কাছে এসে চোখ তুলে যেই তাকালাম,
—বুজিলো জানালা।
নিলাম তাহারই ফাঁকে পলকের তরে
একখানা শাদা হাত দেখে—
দুইটি কবাট এসে বুজিল তখনই
দুই দিক থেকে।
একখানা শাদা হাত, কয়টি আঙুল,
আংটির হীরার ঝলক,
মণিবদ্ধে সরু এউলি, ম্লান-নীল আলো,
—চোখের পলক।
আবার দু-চোখ ভ’রে ঘুম জ’মে এলো,
সকল পৃথিবী অন্ধকার;
—এই কথা না-জেনেই মৃত্যু হবে মোর
হাতখানা কার।
এসেছি নিজের ঘরে, বৃষ্টিও এসেছে,
হাওয়ার চিৎকার যায় শোনা;
যার হাত, কাল তার মুখে দেখি যদি,
আমি চিনিবো না।
বিছানায় শুয়ে আছি, ঘুম হারায়েছে,
না জানি কখন কত রাত;
—কখনো সে হাত যদি ছুঁই, জানিবো না,
এ-ই সেই হাত।
আপনার মন্তব্য পড়ে সার্চ দিয়ে পড়লাম কবিতাটা, অনেক সুন্দর একটা কবিতা, এত এত কবিতার ভীড়ে এত সুন্দর কবিতাটা আমার পড়া হয়নি এই জীবনে, আপনাকে কি বলে যে ধন্যবাদ দিই।
৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:০০
সামরিন হক বলেছেন: গিয়েছিলাম সেদিন কাঁশবনে দেখি সব ফুলগুলো হয়ে আছে মলিন।
ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে।
শরতের অভিনন্দন আপনাকে।
০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:০৫
সামিয়া বলেছেন: ছবিগুলো কাশফুল ফোঁটার শুরুর দিকে তোলা। এখন মলিন হয়ে গিয়েছে, তাও ঐ নিয়ে মেতে আছে সব। ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:৩৯
জনারণ্যে একজন বলেছেন: ছবিগুলি সুন্দর হয়েছে। দিয়াবাড়ি কখনো যাওয়া হয়নি। ঢাকায় এই নামে যে কোনো জায়গা আছে, এটা দেশে থাকতেও কখনো শুনিনি।
যাই হোক।
'কাশ ফুল' কবে থেকে আবার 'কাঁশ ফুল' রূপে প্রোমোটেড হইলো জানি না। পর পর তিনজন যখন 'কাঁশ ফুল' বললেন, আমি নিজেও একটু কনফিউজ হয়ে গুগল করলাম - শব্দটা 'কাশ' হবে নাকি 'কাঁশ' হবে - জানার জন্য। খুব সম্ভবতঃ সম্মান প্রদানার্থে 'কাশ ফুল'কে 'কাঁশ ফুলে' পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।
তাও মন্দের ভালো যে কাশ ফুলকে 'বাঁশ ফুলে' রূপান্তরিত করা হয়নি।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:০৯
সামিয়া বলেছেন: উত্তরার পাশেই দিয়া বাড়ি, উত্তরার নাম কি শুনেছিলেন কখনো? দিয়া বাড়ি হয়েছে অনেক বছর আগে আপনি বোধহয় তার ও আগে দেশ ছেড়েছেন। ভুল বানান বোধগম্য হলে সমস্যা কি, ভার্সিটির স্যার ম্যাডাম থেকে শুরু করে অফিস লাইফেও কত পিএইচডি করা লোকজনও দেখতাম সিলি সিলি সব বানান ভুল করে এটা আমার কাছে কোন সমস্যা না। ভালো থাকুন ধন্যবাদ।
১০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:২৮
জনারণ্যে একজন বলেছেন: নাহ, উত্তরার নাম শুনিনি কখনো? ঢাকাতেই এই জায়গা? তবে এক পরিচিত মেয়ে ছিল এই নামে।
অফিস লাইফেও পিএইচডি করা লোকজন পেয়েছেন, এটা জেনে ধন্য হলুম। গ্যাস স্টেশনে কাজ করি, বুঝেনি তো।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:৫০
সামিয়া বলেছেন: আপনি যদি উত্তরা না চেনেন তাহলে হয়তো আপনি সিটির বাইরে ছিলেন।দয়া করে গুগল ম্যাপ দেখবেন কি?
ইয়া আল্লাহ!! এমন ভাবে রিপ্লাই দিয়েছেন যেন আমি চাপাবাজি করেছি। দেশ সম্পর্কে এদেশের মানুষ সম্পর্কে আপনার অনেক নেগেটিভ ধারনা।
১১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১:১৮
জনারণ্যে একজন বলেছেন: ম্যাপ দেখলাম। উত্তরা দেখি এয়ারপোর্টের পাশেই!! বড়োই আচানক কথা।
আসলে সারাজীবন গ্রামে থাকলে যা হয় আর কি। এখানে আসার সময় যখন প্রথম প্লেনে চেপে বসেছি (অবশ্যই কোট-টাই পরে), তখনি প্রথম ঢাকা আসা। গ্রাম থেকে লঞ্চের হাতল ধইরা আইসাই, লোকাল বাস ধরে সোজা এয়ারপোর্ট। ঢাকা শহর চেনার আর সুযোগ পেলাম কখন!
ধানমন্ডি আর গুলশানের নাম শুনছি। আরো শুনছি ঐখানে নাকি সব বড়োলোকেরা থাকে। ওই এলাকার এক মাইয়ার সাথে প্রেম করার বড়োই শখ আছিলো জীবনে।
হায়রে জেবন! মনে হয়না এই শখ আর পূরণ হবে। (দীর্ঘনিঃস্বাশের ইমো হবে এখানে)।
দেশ সম্পর্কে এদেশের মানুষ সম্পর্কে আপনার অনেক নেগেটিভ ধারনা।
- কি আর কইত্তাম। মানুষডাই ছোডলোক আমি। গ্যাস স্টেশনে টয়লেট ক্লিন করতে করতে মনডাও হইয়া গেছে আরো ছোডো। (কাইন্দা দেওনের ইমো হবে এখানে)।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৮
অপ্সরা বলেছেন: কাঁশ সাদা হাস সাদা আরও সাদা ভাত

তাহার চাইতে সাদা কন্যা তোমার সোনার হাত!!!
সামিয়ামনি এমন সুন্দর হাতে এমন সুন্দর কাঁশের ফুল......