নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সর্দারজী

সর্দারজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য; #নেতা যে মাশরাফি!

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:২৬

ঘটনা ০১
পৃথিবীতে সপ্তম আশ্চর্য পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। কিন্তু যদি অষ্টম আশ্চর্য বলে কোন কিছুর আবির্ভাব হতো, সেটা কোনটা হতো বলে আপনার ধারণা?
আমার মনে হয় কেউ যদি বলে ঢাকা শহর জ্যামমুক্ত তাহলে সেটা পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য হিসাবে লিখিত হয়ে যাবে আমি নিশ্চত। পৃথিবীর অনেক অসম্ভব কাজ অনন্ত জলিল (বাংলার টম ক্রুজ ;)) সম্ভব করতে পারবে বোধ হয়! কিন্তু ঢাকা শহর জ্যামমুক্ত করা অনন্ত জলিল তো দূরের কথা; লিলট অনন্ত, হিরো আলম (বাংলার জেমস্‌ বন্ড :p) কারও কল্পনাতেও আসবে কিনা সন্দেহ।
সেহেতু ঢাকা শহর জ্যামমুক্ত হলে সেটা হবে বিশ্বের অতালিকাভুক্ত গিনেচ রেকর্ড। তাহলে?
ঘটনা ০২
বাংলাদেশ বনাম ইংল্যাণ্ড দ্বিতীয় ওয়ান-ডে আজ। হিসাবের ক্যালকুলেশনে আমার অফিসের কাজে সাইন্স ল্যাব টু নীলক্ষেত আর শাহবাগ টু বেইলি রোড মেরে বেড়াচ্ছি আমার অন্জিনচালিত বাইকে করে। বাইক চালাইয়ে কিছু না হোক ঢাকা শহর অলিগলির সুউচ্চ অট্টিালিকা চিনেছি।
চা খাচ্ছি নিত্য স্থান ধানমণ্ডি ২৭ এর আর্ট গ্যালারির পাশে। চা চেয়েও কয়েকবার পেলাম না, মামা বাটলার আ্উট হওয়ার অপেক্ষায়। স্মার্ট ফোনের ক্রিক ইনফো আর ইউটিউবে আমি এবং আমার বন্ধু অপেক্ষায় আরও একটি হউ হুল্লোড় করার।
যাই হোক আগের কথায় আসি। ঢাকা শহর মানুষহীন দেখা যায় দুই ঈদের মধ্যের ৪/৫ দিন। নির্জন ঢাকার একটা আলাদা সৌন্দর্য আছে। বিশেষ করে যারা নির্জনতা প্রিয় তারা অন্য অর্থ পাবেন এই ইট পাথরের নির্জন শহরে।
আচ্ছা সুখ কিসে পাওয়া যায়? আমার মনে হয় ভাগাভাগিতে। সুখ-দুঃখ যাই বলুন ভাগাভাগিতেই এটা বেড়ে যায়। একাতেও সুখ আছে তবে সেটা ক্ষণস্হায়ি।
বাঙালী সুখপ্রিয় জাতি। তারা ভাগাভাগিতে বিশ্বাসী। সুখে সর্বোচ্চ রেকর্ডও আছে বাংলাদেশের। আমাদের অভাব কিসের তাহলে?
ঘটনা ০৩
অষ্টম আশ্চর্য বাংলাদেশে আজকাল ঘটতে চলেছে। তাই নাকি? কিভাবে? তাহলে কী গিনেচ রেকর্ড করেই ফেলবে বাংলাদেশ? রবিবার ঢাকার মতো শহরে একটি ভাইটাল ডে। জ্যাম আর ক্যাচামেচিতে দিনটি শুরু করে সেটা রাত অব্দি কাটাতে হয়। কিন্তু অসম্ভব হলেও এই সুখের শহরে আজ তিন ভাগের এক ভাগ জ্যাম ছিল কিনা সন্দেহ। বিজয় স্মরণীতে আমি জ্যামমুক্ত দেখেছি, দেখেছি রিকশাওয়ালার উইকেট পাওয়ার আনন্দ। কেন জানেন?
আজ বাংলাদেশের দামাল ছেলেরা সাদা চামড়ার কিছু ছেলেদের সাথে লড়বে। এই লড়াই ১১ জনে সীমাবদ্ধ হলেও, আমরা সুখ প্রিয় জাতি, আমরা সুখ-দুঃখ এক সাথে ভাগে বিশ্বাসী। তাইতো আমরা মাঠের বাইরে মাশরাফি বাহিনীর সাথে লড়ছি। নেতা যদি হয় মাশরাফি আমরা তাঁর পিছে আছি দেশের জন্য।
বাংলাদেশের স্বার্থে এক প্রাণ, আমরা এক জাতি।
অষ্টম আশ্চর্য আমাদের দরকার নেই। আমরা যেন সারাটি জীবন এভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশর ভালোর সাথে থাকতে পারি।
আমরা লড়বো, আমরা গড়বো, আমরা জয় করবো। :)
.
.
সর্বোপরি অভিনন্দন বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম। (উই হ্যাভ নো হেটার্স)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৩৯

সেলিম৮৩ বলেছেন: অাবেগটা একটু বেশি হয়ে গেলনা।

২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:২১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
আবেগ!!! আবেগ!!!

অতিরিক্ত আবেগ!!

জেতার পর আবেগ থাকা খুবই ভালো, কিন্তু অতিরিক্ত হওয়া উচিৎ না - কারণ আমরা জিতলে হারতেও হবে। মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ এটা। এই অতিরিক্ত আবেগ যেন হারার পর গালি-গালাজে পরিণত না হয় - সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:০০

দিয়া আলম বলেছেন: কাজের ফাঁকে ফাঁকে খেলাটা দেখেছি, অভিনন্দন মাশরাফিকে, অনেক ভালো খেলে সে,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.