![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পা নামক বিনে পয়সায় পাওয়া চাকা দুটি উদ্দেশ্যহীনভাবে চলতে চলতে যখন চোখ জোড়া কাউকে সুন্দর চকচকে গাড়িতে নামতে দেখে,উঠতে দেখে তখন বড়ই ভালো লাগে।
গাড়ির দরজা খোলা,রূদ্ধ করার দুটো শব্দই সুরেলা মনে হয়।
মানুষটার জন্যও ভালো লাগে। মানুষটার ভালো থাকার কারণ চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি।
নিশ্চয়ই একটা মনোরম বাসস্থানও আছে,খাওয়া পরার সমস্যা নেই,সুচিকিৎসাও হাতের মুঠোয়।
ছেলে মেয়েদের ভালো পড়াশুনার সুযোগ আছে। আহা!
কিন্তু যদি মানুষটার গাড়িতে ওঠা ও নামার পথ ছাড়াও চোখের আড়ালে আরেকটা পথ থাকে?
সে পথের কথা ভাবলে বুকে ছ্যাঁত করে উঠে।
সে পথ দিয়ে চলাচল করে দুর্নীতি,শোষণ,লুণ্ঠন।
সে পথে সুরেলা শব্দ হয় না,কান পাতলে মৃদু কান্নার আওয়াজ পাই। কিছুক্ষণ কান পেতে থাকলে হঠাৎ ফোঁপানির শব্দও পাই। চমকে উঠে কান সরিয়ে নিই।
মানুষটার এই পথে গাড়ি আসায় নিশ্চয়ই অন্য কেউ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফিটনেসবিহীন প্রায় বিকল বাসের দরজায় ঝুলে ঝুলে যাচ্ছে।
ওই মানুষটার কারখানায় সারা মাস ঘাম ঝরিয়ে মা বাবা কিছু টাকা পায়,ছেলে মেয়েরা দীর্ঘ প্রতিক্ষায় থাকে মাস শেষে নিশ্চয়ই এবার নতুন ব্যাগ কিনে দেওয়া হবে।
কিনে দিলেও কিছুদিন পরে বাবা মায়ের মুখে তেমন হাসি থাকে না।
বেশ কিছুদিন হলো বাবা মা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আরো অনেক মানুষের সাথে চিৎকার করে কি যেনো বলছে। একবার তাদের টিভিতে দেখেছে ছেলে মেয়েরা। কিন্তু অদূরেই দাঁড়িয়ে আছে অস্ত্র সজ্জিত পুলিশ দল।
তারা নাকি বাব মাকে ধাওয়া করে,গায়ে লাঠি ছোড়ে,পা তুলে দেয়,গরম পানি ছোড়ে,কখনো গুলিও ছোড়ে। ছেলে মেয়েরা একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে চোখ বন্ধ করে কাঁপে.....
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫
সায়েম হোসেন রনি বলেছেন: এ প্রশ্নের উত্তর বড়ই বিস্তৃত। এক কথায় শিক্ষা,সুশাসন,জনগণের জাগরণ,আমাদের অর্থ লোভ থেকে মুক্তি...
২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: যখন ছাত্র ছিলাম পকেটে টাকা পয়সা থাকতো না।
কিন্তু আমরা সব বন্ধুরা ঘুরে বেড়াতে খুব পছন্দ করতাম।
আমাদের এক বন্ধু ছিল পলাশ নাম। সে খুব ভালো গান গাইত।
পলাশ বলতো চল আজ অমুক জাগায় যাই। আমরা বললাম টাকা নাই তো।
পলাশ বলতো ১১ নাম্বার আছে তো। ১১ নাম্বারে করে চলে যাবো।
১১ নাম্বার হলো ইংরেজিতে 11।
দুই পা হলো 11
অর্থ্যাত পায়ে হেঁটে আমরা অনেক দূর দূর পর্যন্ত ঘুরে বেড়াতাম।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৯
সায়েম হোসেন রনি বলেছেন: আমার লেখায় আপনার দুটো মন্তব্য পড়ে মনে হলো আপনি মানুষটা খেয়ালী কিন্তু সাবলীল।
শেষমেষ আমার সাবলীল মানুষ পছন্দ। অন্য মন্তব্যটা আমি কি বুঝে যেনো মুছে ফেলেছি,তার জন্য 'স্যরি'। আপনিও 'স্যরি' লিখেছিলেন। স্যরির বদলে স্যরি কাটাকাটি যায় কিনা জানিনা কিন্তু ক্ষমা করবেন।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০২
সায়েম হোসেন রনি বলেছেন: আর আমার হাঁটার ইতিহাস বেশ দীর্ঘ। সেই তৃতীয় শ্রেণী থেকে উদ্দেশ্যহীন হাঁটার অভ্যেস। কখনো কখনো এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলা,আবার কখনো কয়েক দফায় এক জেলা থেকে অন্য জেলায়ও হেঁটে গেছি।
সব জায়গায় দম্ভ করে বলে বেড়াই,"হাঁটো বাঙালি হাঁটো"...
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০৬
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এসব বন্ধ হবে কবে?