নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কালস্রোত

সায়েম হোসেন রনি

সায়েম হোসেন রনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিধান

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১৬

কোনো মানুষই সময়ের উর্ধ্বে যেতে পারে না।
পরবর্তী বিভিন্ন যুগে কি থেকে কি হবে তা অনেক চিন্তা করেও শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায় না।
শত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিলেও সময়ের সাথে টক্কর দেওয়া অতো সহজ না।
এক সময় ছিলো শুধু মানুষ। এরপর কখনো পুরুষরা নারী সৃষ্টি করেছে,নারীরা পুরুষ সৃষ্টি করছে।
বিভিন্ন সমাজে, বিভিন্ন যুগে নারীরা ছিলো সমাজের প্রধান,পরিবারের প্রধান।
আরবেও ইসলাম পূর্ববর্তী যুগে নারীপ্রধানের যুগ গেছে।
এখন পুরুষের দ্বারা,সমাজের দ্বারা 'নারী' সৃষ্টি হইছে।
সংখ্যালঘুদের জন্য,সামাজিক কারণে বঞ্চিতদের জন্য আলাদা সুযোগ সৃষ্টি করা হয়।
যেহেতু সমাজে মানুষের একটা অংশকে 'নারী' বানানো হইছে,সময়ের সাপেক্ষে তাদের সামাজিক ভাবে বঞ্চিত করা হইছে, তাদের জন্যও আলাদা সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।
এখন নারীরা অনেক ক্ষেত্রে মানুষ হয়ে গেছে,অনেক ক্ষেত্রে পুরুষকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। তাই শত চিন্তা করেও ভবিষ্যৎ সময়ের যথাযথ সিদ্ধান্ত না নিতে পারা এক হাজার,দুই হাজার বছর আগের মানুষের ঘোষণা এখন ঠিক টিকে না। কিন্তু যেহেতু অন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের কথা শুনতে হচ্ছে,এখানে জোর করে হলেও কোনো একটা পদ্ধতি বের করে শুনতে হবে।
তাঁরা বলে গেছেন যে!
তবুও টিকে না,বাস্তবতা বাস্তবতাই।
আইনের কাছে তাঁদের কথা,কাজ খুবই বাজে ভাবে হেয় হচ্ছে।
গ্রিসে ধার্মিক মানুষেরাও একটা সময় কিশোরদের যৌনসঙ্গী হিসেবে ব্যবহার করতো। জ্ঞানীরাও করতো। প্লেটোর যৌনসঙ্গী কিশোরের দিকে অন্য জ্ঞানীরা ঈর্ষার দৃষ্টিত তাকাতো,প্লেটো তাকাতো অন্যদের যৌনসঙ্গীর দিকে। এখন এই দেশে কেউ নয় বছরের কিশোর কিশোরীকে যৌনসঙ্গী হিসেবে তো দূরের কথা,বিয়েও করতে পারে না। করতে গেলে জেল জরিমানার আইনে জড়াতে হবে।
তবুও কিছু মানুষ আড়চোখে তাকাবে,অস্ফুট শব্দে কিছু একটা বলবেই। কারণ তিনি করে গেছেন,তাঁরা করে গেছেন।
জন্মকালীন মৃত্যুর হার কমছে,মাতৃ মৃত্যুর হার কমছে।
তাতে কি? মৃত্যু তো অনিবার্য। তাই বলে তাঁকে,তাঁদের অমান্য করা যায়?
তাঁরা তো বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের ভালো চায় সেই নিদর্শনই দেখিয়ে গেছে। এখন তাঁদের কাজের উল্টোতে কিছু বিষয়ে ভালো হচ্ছে,ঠিক মিলতেছে না। মাথা চুলকানো লাগতেছে। চুলকানো তে কোনো লাভ নেই যদি না শেষ পর্যন্ত চিন্তায় সময়ের নিয়ম না আসে।
সময় মানুষের উর্ধ্বে,চিন্তার উর্ধ্বে। এক বা একাধিক মানুষ কতটা চিন্তা করে সব সময়ের, সব যুগের জন্য বিধান তৈরি করতে পারে। এতো সোজা না!
নারী প্রধান সমাজের কোনো নেত্রী যদি বিধান করতো যে এক নারী দুই জন পুরুষকে বিয়ে করতে পারবে,পুরুষ একটা সময়ে একাধিক বিয়ে করতে পারবে না। সে সমাজে পুরুষের সেই ক্ষমতা নাই,আর্থিক সামর্থ্য নাই যে একাধিক বিয়ে করতে পারবে। আবার সেই বিধানের সময় হিসেব করা দেখা গিয়েছিলো নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যা বেশ বেশি। তাই সেই সব পুরুষদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য নেত্রী সময়ের উপযোগী বিধান তৈরি করেছিলো।
বহু বছর দেখতে দেখতে সৃষ্টি হয়ে গেলো উল্টো পরিস্থিতি। নারীর সংখ্যা গেলো বেড়ে। এখন কি করার?
দুইটা বিয়ে করার তো বিধান,এখন তাহলে একাধিক নারীর এক পুরুষকে ভাগাভাগি করে নেওয়া দরকার।
অন্যথায় যে বিধান টিকে না!নেত্রী বলে গেছেন যে!

কেউ কেউ আবার চিন্তা শুরু করলো নেত্রীর সময় তো পুরুষ ছিলো বেশি,তাদের আর্থিক সামর্থ্যও ছিলো না। এখন দেখা যায় কোনো নারী চালাতে পারে একাধিক পুরুষ,কোনো পুরুষ চালাতে পারে একাধিক নারী। মহা ঝামেলা। কিন্তু বিধান না মেনে কিভাবে পারা যায়? এ যে অবমাননা!
বিধান না মানলে যে ধ্বংস নেমে আসবে,সবকিছু শেষ হয়ে যাবে।
তিনি বলে গেছেন যে!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৬

আখ্যাত বলেছেন: পৃথিবী তো এখন একটা ছোট্ট গ্রাম
এই গ্রামের সবার জন্য অভিন্ন একটা সংবিধান হতে পার না?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০২

সায়েম হোসেন রনি বলেছেন: সেটা হতে পারে,কিন্তু বিধানকে সময়ের সাথে বেঁধে দেয়া যায় না। সময়ের প্রয়োজনেই বিধান গড়ে ওঠা উচিত। সেই বিধানই সমস্যা সমাধান করতে পারবে,সময়ের অনোপযোগী বিধান তা পারবে না

২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: প্রকিতি সব ঠিক করে দিবে। কারন ভারসাম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা চলতে পারে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.