![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার ছোট বেলায় ঈদ নিয়ে যে কয়টা স্মৃতি আছে তার সব গুলোই ভয়ানক । সেই ক্লাস ৫ এ থাকতে ৫ বছর বয়সের পিচ্চি বোনকে নিয়ে শাজাহানপুর খালার বাসাতে চুরি করে চলে আসা কিংবা ঈদ এর সালামি পেয়ে ছোট বোনকে ২০০ টাকার হাবিজাবি খাওয়ানো , যখন বয়স আরও কম ছিল মেবি ক্লাস থ্রি তে পরতাম । কিন্তু জুতা চুরির ঘটনার আসে পাশে কোন ভয়ানক কিছু নাই ...। তখন আমরা কোনাপাড়া তে নিজেদের বাসাতেই থাকি । আমাদের বাসাতে আমার এক বন্ধু (রকি) ছিল । ওর বাসাতে সেইবার ঈদ এর মাস তিনেক আগে একটা ছেলে (মাহিদুল) বেড়াতে আসলো । তো কয়েক মাস ধরেই আমাদের সাথে খেলত , মাঝে মাঝে একসাথে খেলা ও দেখতাম । আমরা খুব ভালো বন্ধু হয়ে গেলাম । যে ঈদ এর দিন আসলো সে নামাজের পর ঘুরতে যাবে না । কিন্তু কেন যাবে না বলাতে বলে , তার জুতা নাই । কি এক ঝামেলা ???? তখন ক্লাস ২ তে পড়ি । আমাকে দিয়ে চামে চামে বহু কাজ করিয়ে নিতো অনেকেই । তো আমারা ঠিক করলাম জুতা চুরি করব যদিও ঐটা রকির বুদ্ধি । সেই মোতাবেক প্ল্যান হল । মসজিদের ছাদে গেলাম রকি আমাকে চকচকে একদম নতুন জুতা দেখিয়ে দিলো । আমি বললাম পারব না । যদিও উত্তেজনার বসে আগে বলসিলাম এটা কোন ব্যাপারই না । । শেষমেশ ও বলল যে ও জুতা ছাদের কার্নিশে রাখবে আমি নীচে ফেলবো আর নীচে মাহিদুল দাঁড়িয়ে আছে । তখন রাজি হলাম ।তখন ছাদের এক কোনাতে রকি জুতা রাখলো , কিন্তু সেটা ধাক্কা দিয়ে নিচে ফালানোর সাহস হয় নি ! অনেক ভয়ে আমি নামাজ শেষ করি । নামাজ শেষে পিচ্চির বাপ চিল্লাচিল্লি শুরু করে । শেষ মেস কার্নিশ থেকে জুতা নিয়ে ক্ষান্ত হয় । আমি ও ভয়ে ভয়ে মসজিদ ত্যাগ করি । মনে হচ্ছিল এই বুঝি মাইর দে । ঠিক করে রাখছিলাম মারলে রকির নাম বলে দিব ।
এর পরের প্রতিক্রিয়া যা হয় ঐদিন রাগে মাহিদুল আমাদের সাথে আর কোন কথা বলে না । ঘুরতেও যাওয়া হয় না ।অনেক মিস করি ছোটবেলা টাকে । কত মজা করতাম । এখন কিছুই ভালো লাগে না । সব কিছু যান্ত্রিক লাগে আমার । ভাবি কেন যে বড় হলাম ...............। থাকতাম আরও কিছু দিন ছোট হয়েই , খারাপ তো ছিলাম না ।
©somewhere in net ltd.