পরী...এই করেছ ভাল, চলে গেছ

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০২

এই করেছ ভাল চলে গেছ চুকিয়ে-বুকিয়ে সবকিছু

লোটা-কম্বলের এই শেষাঙ্কের জীবন থেকে।

কিই বা মিলতো, তোমার আকাংখা যদি বা থাকতো

কিছু শখ, কিছু আশা ভালবাসা দিনান্তের অস্তরাগের মখমল চাদর।

সারাজীবনের কাঙ্খিত উষ্ণতা না মিলতো তোমার, না আমার।

না হতো কখনো পায়ে পায়ে পথ চলা, হতো কি দু’জনের দুটি হাত আর হাতের আঙ্গুলে

খেলাচ্ছলে প্রেমের বুনুন তৈরি করা!



অনুভবে কখনই সার্থক হতো না দুজনের উষ্ণ নিঃশবাসের উদ্ভ্রান্ত উঠানামা,

কান পেতে শোনা হতো না কখনই খুব কাছে থেকে ‘ভালবাসি...খুব ভালবাসি’।

দু’কাপ কফি নিয়ে মুখোমুখি অনন্ত বসে থাকা কখনই হতো না ।

আকাশ আমাদের হতো না কখনই, বৃষ্টির জল তোমার আমার জন্য নয়।

চোখে চোখ রেখে মুখোমুখি দাড়াবার সম্ভাবনা যদি নাই থাকে তবে

আর কেন বিরান ইস্টিশনে দাঁড়িয়ে থাকা,

কোন সে রেলগাড়ি আসবে তোমাকে আমাকে নিয়ে যাবে কোন সুখের রাজ্যে?



আমার দীর্ঘ সীমাবদ্ধ জীবনে, পরী, দিয়েছি অনেক

আমাকে দেবার ছিল না কেউ। চির চৈত্রের বিশুস্ক নদী আমি

একদিন তুমিই হঠাৎ ফাগুনের ভরা রাতে এলে। মাত্র কয়েকটা দিন, পরী,

কেন ফাগুনে এসে তুমি ভরা শ্রাবনের জলে ভাসিয়ে গেলে!

তোমায় ছুঁয়ে দেখতে চেয়েছি একটিবার, শুধু একটিবার, সত্যি তুমি পরী কি না !

তুমি সরে গিয়েছ, হয়তো তোমার অস্তিত্ব কিম্বা অনস্তিত্ব বুঝতে দিতে চাও নি।



এই করেছ ভাল কষ্টের জীবন থেকে তুমুল পালিয়ে যেয়ে

সুখের ঘর বেঁধো, সুখে থেকো, পরী!

দেখো না কি চিত্রকর তার ভালবাসার ক্যানভাস একদিন কেমন ভালবাসা ভুলে নিলামে তুলে দেয়!

তুমিও তেমনি শুক্লপক্ষের জোসনার রঙে আঁকা আমাদের ভালবাসার রঙিন ক্যানভাস

পরী, তুমি বিক্রি করে দিয়েছ অনেক চড়া দামে। এইবার কিনবে তুমি সুখের বাগান।



কি দেখেছিলে তুমি এ পোড়া চোখের মাঝে! বেঁচে গেছ বড়,

কে জানে, হয়তো লেখা ছিল তোমার সর্বনাশ এ দু’চোখের কোণে।

বলেছিলে... তুমি ‘পরী’, পরী হয়েই এসেছিলে বটে,

চলেও গেলে পরী হয়ে।



যে পালক ফেলে রেখে গেলে সে তো প্রেম, সেই তো ভালবাসা...

আমার স্বপ্ন দিনের মখমল চাদর।

৬ টি +০/-০