নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার আছে অনেক কিছু, শিক্ষা নিবে কতজন?

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition)

সবার জন্যে শিক্ষা। আমার জন্যে তো বটেই। নিজে আগে শিক্ষা নিয়ে আরেকজনের মাঝে তা ছড়িয়ে দেওয়া...এটাই থাকবে আমার লেখাগুলোর উদ্দেশ্য।

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমগ্র ঢাকা যখন একটি ডাস্টবিন!

১১ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:১১

কোন এক মনিষী বলেছেন, ''হয় পড়ার যোগ্য কোন কিছু লেখো, নাহয় এমন কিছু করো যা লেখার যোগ্য।''

প্রতিদিনই কিছু না কিছু লিখতে হয়। কখনো মানুষের জন্যে, কখনওবা শুধু নিজেরই জন্যে। কিনতু, লিখেতে হলে ভুরি ভুরি আইডিয়ার প্রয়োজন যে! এতো আইডিয়া কোথায় পাই? মাঝেই মাঝেই খুব ভাবনায় পড়ে যাই। আইডিয়া তো আর মুদি দোকানের বয়ামে রাখা চকলেট নয় যে টাকা দিলেই কেনা যাবে! তাহলে উপায়?

গতকাল এ নিয়ে ভাবার সময়ই উপরের উক্তিটি পেয়ে গেলাম। পড়ে মনে হলো, পড়ার যোগ্য কোন কিছু লেখা যেহেতু কঠিন, এমন কিছু করেই দেখি না কেন যা নিয়ে লেখা যায়।

কি এমন করা যায় কোন লেখার বিষয়বস্তূ হয়ে যাবে!

এ নিয়ে ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম কাল রাতে। সকালে উঠেই ছোটবেলায় বাবার বলা একটি উপদেশ মনে পড়ে গেলো। আমি যখন রাস্তায় হাঁটতাম তখন এদিক-ওদিক তাকিয়ে হাঁটতাম। রাস্তায় রকমারি জিনিসপত্র দেখতে দেখতে হাঁটতে বেশ মজাই লাগতো। এমন অনেক দিন গেছে, উপরের দিকে তাকিয়ে হাটতে হাটতে প্রায়শই গোবরে পাড়া দিয়েছি।

এ নিয়ে বাবা প্রায়ই বকা দিতেন। বলতেন- নিচের দিকে তাকিয়ে হাটোস না কেন, উজবুক। অনেক কিছু শিখতে পারতি। আমার মাথায় কিছুতেই ঢুকতো না, নিচের দিকে তাকিয়ে হাঁটলে কি এমন শেখা যায়!

অনেক দিন পর কথাটি আজ মনে পড়লো। তাই, অফিসে যাওয়ার সময় সিদ্ধান্ত নিলাম, আজ ঢাকার রাজপথ দেখতে দেখতে হাঁটবো। দেখিইনা কি শেখা যায়!

লালমাটিয়ার আড়ং পর্যন্ত আসতেই প্রথমেই চোখে পড়লো একটি ব্লেইড! আশে পাশে তাকালাম। কোন সেলুন চোখে পড়লো না। তাহলে এটা এখানে কি করে এলো! অনেক ভেবেও বুঝতে পারলাম না। মানুষ কেন যে এই জিনিসটা রাস্তায় ফেলে! নিজ জাতিকে গালি দিতে দিতে রাস্তা থেকে তা তুলে পাশের একটি গর্তে ফেলে দিলাম।

রাস্তা পার হয়ে বাসে করে ফার্মগেট এসে রিক্সায় উঠলাম। এতোক্ষণে আবার রাস্তার দিকে তাকাবার ফুরসৎ পেলাম। সিগারেটের প্যাকেট! এই জিনিসটা মনে হয় রাস্তায় ফেলতেই আনন্দ! পুরো রাস্তা জুড়েই এখানে-সেখানে পড়ে রয়েছে।

থুথু! এটা আর এমন কি! বাঙালী তো রাস্তার আশে-পাশে প্রাকৃতিক কাজও করে ফেলে। তবুও, মনে হলো মনে রাখি। ঢাকার রাস্তায় দেখেছিলাম একবার, নাতিদের বলতে পারবো!

অফিসে যেতেই যেতেই দেখলাম রশি, রঙ, কাঠি, টিনের কৌটা আরো কত কি! মনে হলো...সমগ্র বাংলাদেশ যেন একটি ডাস্টবিন!

আনিসুল হক সাহেব করছেন কি! কিছু এওয়ারনেস কেম্পেইন করার কথা কি কেউ থাকে একটু মনে করিয়ে দিবে না!

''স্যার, ও স্যার, নামেন। আইসা পড়সি।'' রিক্সায় আসতে আসতে কখন যে ভাবনার রাজ্যে ডুব দিয়েছিলাম বুঝতেই পারিনি! টের-ই পাইনি অফিসের কাছে পৌঁছে গেছি। রিক্সাওয়ালার ডাকে সম্বিত ফিরলো।

একটি দীর্ঘশ্বাস চেপে রাস্তায় নামলাম।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:০৬

সুমন কর বলেছেন: বাঙালীর অভ্যাস পরিবর্তন হতে সময় লাগবে.....!

১২ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৩০

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: আরো সময়! সেই অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গের যুগের বাঙালী'র এখনো আরো সময় দরকার!

২| ১২ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন:
//কোন এক মনিষী বলেছেন, ''হয় পড়ার যোগ্য কোন কিছু লেখো, নাহয় এমন কিছু করো যা লেখার যোগ্য।''// - মহান বাণী !!!

আমরা বহুদিনের বহু বদ অভ্যাসের কারণে আ্জকের এই অবস্থায় উপনীত হয়েছি। সুতরাং এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সময়ের দরকার। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কিছু ঝুলন্ত ডাস্টবিন বসিয়েছে , কিছু দূর পর পর। এখন দেখা যাক, জনগণ কি করে?

১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:২৯

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: সেই সময়টা যত তাড়াতাড়ি আসবে। জাতির জন্যে তা তত মঙ্গল হবে।

শুধু ডাস্টবিন বসালে চলবে না। মানুষকে হাতে ধরে শেখাতে হবে। স্কুলগুলো থেকে তা শুরু করা যেতে পারে যেমন উন্নত দেশগুলোতে করা হয়।

৩| ১২ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan's Tuition) ,





ভালো লিখেছেন ।
তবে নতুন নতুন আইডিয়া তো আর ডাষ্টবিনের ময়লা নয় যে উপচে পড়বে !!!!!!!!! :(

সহ-ব্লগার শামছুল ইসলাম লিখেছেন - .....সিটি কর্পোরেশন কিছু ঝুলন্ত ডাস্টবিন বসিয়েছে , কিছু দূর পর পর। এখন দেখা যাক, জনগণ কি করে?
জনগণ জনগণের কাজটিই করছে । অর্থাৎ কিছুই না । ঝুলন্ত ডাস্টবিনের চারপাশেই ময়লা দেখেছি , ডাস্টবিন পরিষ্কার । B:-/

১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:৩০

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: ধন্যবাদ। নতুন নতুন আইডিয়া হাতের কাছে না থাকলে, নতুন নতুন কর্ম সম্পাদন করে তা নিয়ে লেখার আইডিয়াটা মন্দ নয়!

৪| ১৩ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: মেগা সিটি ম্যানেজমেন্টঃ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং ড্রেনেজ পরিকল্পনার প্রাসঙ্গিক বিষয় সমূহ

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কিছু ক্ল্যাসিক্যাল উপায় নিয়ে আমার লিখা। সম্প্রতি উত্তর সিটিতে কিছু ঝুলন্ত ডাস্টবিন বসানো হয়েছে। কিন্তু সিটিজেন এওয়ারনেস খুবই হতাশার।

১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:৩৯

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: এক জেনারেশনে হবে না। কয়েক জেনারেশনে হয়তো কোন পরিবর্তন আসবে যদি ছোটবেলা থেকে তা শিখাতে পারি। শুধু বি-এর পাঠ্য-পুস্তকে থাকলে চলবে না, প্রাক্টিকালি শিখাতে হবে।

আমি বিদেশে দেখেছি, ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের তাদের শিক্ষক-শিক্ষিকারা রাস্তায় বের হয়ে হাতেকলমে অনেক কিছু শিখাচ্ছেন। আমাদের স্কুলগুলোর কয়টা তা করছে?

আরেকটু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এসব এওয়ারনেস পরিকল্পনায় আমাদের সমাজের নিচু শ্রেণীর মানুষ অবহেলিত থেকে যাচ্ছেন। অথচ, রাজপথে উনাদেরই আনাগোনা বেশি। তাই, এই শ্রেণীর মানুষদের কিভাবে এসব পরিকল্পনার মাধ্যমে মানসিকতার পরিবর্তন করা যায় তা একটু ভাবে দেখতে হবে।

আপনার লেখাটি পুরো পড়ে মন্তব্য জানাবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.