নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার আছে অনেক কিছু, শিক্ষা নিবে কতজন?

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition)

সবার জন্যে শিক্ষা। আমার জন্যে তো বটেই। নিজে আগে শিক্ষা নিয়ে আরেকজনের মাঝে তা ছড়িয়ে দেওয়া...এটাই থাকবে আমার লেখাগুলোর উদ্দেশ্য।

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেঁচে থাকার আনন্দে বলুন- \'চিহ্হ্হ্!\'

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৫৭

কথায় আছে- ''ঠেলার নাম বাবাজী।'' কথাটা মজা করে বলা হলেও যারা জীবনে এমন ঠেলা বা ধাক্কা খেয়েছেন তারা যদি একটু পিছু ফিরে দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে, সেই ধাক্কা না খেলে জীবনের অনেক কিছুই অপূর্ণ থেকে যেত। সেই ধাক্কাই জীবনের চলার পথে মানুষকে এগিয়ে দেয়।
কখনো ঈগলের দিকে লক্ষ্য করে দেখেছেন কি? কিভাবেই না ঈগল মা তার ছানাদের একে একে বাসা থেকে ধাক্কা দিয়ে শুন্যে ভাসিয়ে দেয়, মৃত্যুর ঝুঁকি থাকা সত্তেও!

তার মনে তখন সন্দেহের দোলা- ''পারবে তো তার ছানাগুলো বাতাসে ভাসতে?'' সব সন্দেহ ঝেড়ে ফেলে নিজের মায়ের কাছ থেকে ছোটবেলায় শেখা শিক্ষাগুলো কাজে লাগায় সে। নিজ মাথা দিয়ে ঠেলে বাতাসে ভাসিয়ে দেয় ছানাদের। মা হিসেবে এটাই হয়তো তার সর্বোচ্চ উপহার।

অন্যদিকে, বাচ্চাগুলোর মনে অবস্থা চিন্তার করে দেখুন। যে জন্মদাত্রী মা মুখে তুলে এতোদিন খাইয়েছে, সেই মা-ই তাদেরকে উঁচু বাসা থেকে এভাবে ঠেলে ফেলে দিচ্ছে! নিচে কঠিন জমি। সেখানে পড়লে নির্ঘাত প্রাণ যাবে। মনটা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় তাদের।

মায়ের কাছ থেকে একে একে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যাওয়া বাচ্চাগুলো প্রথমে বুঝতে পারে না কি করবে। নিরেট পাথরের মতো পড়ে যেতে থাকে মাটির দিকে যেখানে মৃত্যু অপেক্ষা করছে।

বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টায় শূণ্যে কখনো চরকির মতো পাক খেতে থাকে তাদের দেহ, আবার কখনো ডান বা বামে কাত হয়ে ডান ঝাপ্টিয়ে চেষ্টা করতে থাকে বাঁচার। তাদের দূর্বল ডানাগুলো প্রবল বাতাসের ধাক্কায় কুলিয়ে উঠতে পারে না।
মাটি আর মাত্র কয়েক গজ দূর। এ সময় তাদের বেঁচে থাকার প্রবল চেষ্টা নিজেদের মাঝে থাকা সহজাত প্রবৃত্তি থেকে বের করে আনে কিভাবে বাতাসে ভেসে থাকতে হয় সেই শিক্ষা।

ঈগল ছানা বাতাসে ডানা মেলে পরিপূর্ণ ভাবে। বেঁচে থাকার আনন্দে পাহাড়ী প্রান্ত জুড়ে তার উল্লাসের ধ্বনি ছড়িয়ে পড়ে- 'চিহ্হ্হ্!'

মুক্ত আকাশে ডানা মেলে নতুন এক শিকারী।

=======
২য় প্রকাশ
=======

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:৫৭

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: বেঁচে থাকার প্রবল চেষ্টা নিজেদের মাঝে থাকা
সহজাত প্রবৃত্তি থেকে বের করে আনে কিভাবে বাতাসে ভেসে থাকতে হয় সেই শিক্ষা।

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, কিন্ত আমরা কিছু পর ভুলে যাই
নুতন আগতরা কিভাবে বাচঁবে ?
তাদের জন্য কোন প্রশিক্ষন বা উপযুক্ত ব্যবস্হা রাখার সময় হয় না!
আমরা ব্যস্ত হয়ে পড়ি, আমার আখের কি ভাবে গুছাব,
প্রেম, ভালবাসা , নীতি নৈতিকতার ধার ধারি না ।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৪:১০

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: ফাইট করতে হবে, ছোট্ট ভাইটি। নতুনদের বেঁচে থাকতে হলে নিজের ডানায় নিজেকে উড়া শিখতে হবে। আমি যেমন শিখেছি। আমার মতো অনেকেই শিখেছেন দূর্বল পালক নিয়ে বাতাসের সাথে কিভাবে যুদ্ধ করতে হয়। হারিনি।

প্রশিক্ষক যদি শিক্ষার্থী'র কাছে না পৌছায়, শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষকের কাছে পৌঁছে যেতে হবে, গুরু দক্ষিণা-সহ। :)

শুভেচ্ছা থাকলো।

২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩১

আকবার বলেছেন: প্রশিক্ষক যদি শিক্ষার্থী'র কাছে না পৌছায়, শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষকের কাছে পৌঁছে যেতে হবে, গুরু দক্ষিণা-সহ <<<< চমৎকার

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.