নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী জন্ম চট্টগ্রামে। জীবিকার প্রয়োজনে একসময় প্রবাসী ছিলাম।প্রবাসের সেই কঠিন সময়ে লেখেলেখির হাতেখড়ি। গল্প, কবিতা, সাহিত্যের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলা পত্রিকায়ও নিয়মিত কলামও লিখেছি। shakawatarticle.blogspot.com/

সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী.

আমি খুবই সাদামাটা একজন মানুষ। শখের বশে লেখালেখি শুরু করেছি। চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু লেখার। পছন্দ করি বই পড়তে।

সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. › বিস্তারিত পোস্টঃ

বন্ধুত্বের বন্ধনে বিশ্ব এক হোক: আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবসের অঙ্গীকার

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৭:৩৮



বন্ধুত্ব হলো এক অমূল্য মানবিক সম্পর্ক, যা মানুষের জীবনে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলে। এই সম্পর্ক কেবল ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতার মধ্যে আবদ্ধ থাকে না, বরং এটি সমাজের ভিত্তি এবং বিশ্বশান্তির চালিকাশক্তি হিসেবেও কাজ করে। আত্মার সঙ্গে আত্মার এই বন্ধন মানুষকে আনন্দ, দুঃখ, হতাশা এবং সাফল্যের প্রতিটি ধাপে সঙ্গ দেয়। যখন আমরা বন্ধুত্বের কথা বলি, তখন কেবল সুখ-দুঃখের ভাগাভাগিই নয়, বরং আস্থা, সহানুভূতি, সহমর্মিতা আর ভালোবাসার এক নিবিড় বন্ধনের কথাই বলতে চাই।
আজকের এই দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে যখন মানুষ ক্রমশ একা হয়ে পড়ছে, তখন বন্ধুত্বের গুরুত্ব আরও বেশি করে অনুভূত হয়। বিশ্ব যখন বিভিন্ন ধরনের সংঘাত, বিভেদ আর অস্থিরতায় জর্জরিত, তখন বন্ধুত্বের বন্ধনই পারে বিভেদের দেয়াল ভেঙে মানুষকে এক ছাতার নিচে আনতে। আর এই মহান লক্ষ্যকে সামনে রেখেই পালিত হয় আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবস।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে ৩০ জুলাইকে আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। তবে এর ইতিহাস আরও পুরনো। ১৯৫৮ সালে প্যারাগুয়েতে ড. আর্টেমিও ব্রাচো প্রথম এই দিবস পালনের প্রস্তাব করেন, যা পরবর্তীতে "World Friendship Crusade" নামে পরিচিতি লাভ করে। এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং বিশ্বকে একাত্ম করা। এই দিনটি মনে করিয়ে দেয়, বন্ধুত্ব কেবল ব্যক্তিগত আনন্দ নয়, এটি বিশ্বব্যাপী শান্তি, সম্প্রীতি ও বোঝাপড়ার এক শক্তিশালী মাধ্যম।
বন্ধুত্ব: মানবিক সম্পর্কের মূল
মানুষ সামাজিক জীব। তাই একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশে থাকাই মানবসভ্যতার মূল ভিত্তি। এই সম্পর্কের কেন্দ্রে থাকে বন্ধুত্ব। বন্ধুত্ব কেবল দুটি মানুষের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে না, এটি তাদের আত্মিক সম্পর্ককে এক নতুন মাত্রা দেয়। বন্ধু হলো সেই ব্যক্তি যে আপনার ভালো সময়ে পাশে থাকে, দুঃসময়ে সান্ত্বনা দেয়, বিপদে হাত বাড়িয়ে দেয় এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনাকে সমর্থন করে। এই সমর্থন কেবল মৌখিক নয়, এটি একটি মানসিক শক্তি যা মানুষকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।
বন্ধুত্ব হলো সহানুভূতি ও সহমর্মিতার প্রতীক। একজন প্রকৃত বন্ধু আপনার আবেগ-অনুভূতিকে বুঝতে পারে, আপনার কষ্ট অনুভব করতে পারে এবং আপনার সফলতায় মন খুলে আনন্দিত হয়। এই সম্পর্ক পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত।
যখন দুটি মানুষ একে অপরের প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখে, তখন তাদের মধ্যে একটি অবিচ্ছেদ্য বন্ধন তৈরি হয়, যা তাদেরকে মানসিক শান্তি ও স্বস্তি প্রদান করে। এটি এমন এক আশ্রয়স্থল, যেখানে মানুষ কোনো প্রকার ভয় বা দ্বিধা ছাড়াই নিজের সব কথা খুলে বলতে পারে। বন্ধুত্বের এই গভীরতা মানুষকে জীবনের পথে সাহস ও শক্তি যোগায়, যা অন্য কোনো সম্পর্ক থেকে পাওয়া কঠিন।
বন্ধুত্বের বৈশ্বিক ভূমিকা
বন্ধুত্ব কেবল ব্যক্তিগত জীবনেই সীমাবদ্ধ থাকে না, এর প্রভাব বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত। এটি সংস্কৃতির পার্থক্য ভুলিয়ে মানুষকে একতাবদ্ধ করতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যখন বিভিন্ন দেশের মানুষ বন্ধুত্বের হাত বাড়ায়, তখন তারা একে অপরের সংস্কৃতি, রীতিনীতি এবং জীবনধারা সম্পর্কে জানতে পারে। এই বোঝাপড়া সাংস্কৃতিক বিভেদ কমাতে সাহায্য করে এবং বৈশ্বিক সহনশীলতা বৃদ্ধি করে।
যুদ্ধ, বিদ্বেষ ও দ্বন্দ্ব নিরসনে বন্ধুত্বের শক্তি অপরিসীম। ইতিহাস সাক্ষী যে, অনেক আন্তর্জাতিক বিরোধ বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে। যখন বিভিন্ন দেশের নেতারা একে অপরের প্রতি বন্ধুর মতো আচরণ করেন, তখন সংঘাতের পরিবর্তে সহযোগিতার পথ খুলে যায়। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এবং সহমর্মিতা আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে মজবুত করে এবং শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গঠনে এক অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা এবং মানবজাতির কল্যাণের জন্য বন্ধুত্বের কোনো বিকল্প নেই। এটি এমন এক সেতু যা বিভিন্ন দেশকে একে অপরের সঙ্গে জুড়ে দেয় এবং সংঘাতের পরিবর্তে সংহতি ও শান্তি নিশ্চিত করে।
আজকের বিশ্বে বন্ধুত্বের চ্যালেঞ্জ
প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জীবনযাত্রা অনেক সহজ হলেও, বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে কিছু নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর সমাজে একাকিত্ব একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো আমাদের অনেক মানুষের সঙ্গে সংযুক্ত রাখলেও, এই সম্পর্কগুলো প্রায়শই ভার্চুয়াল এবং অগভীর হয়। প্রকৃত বন্ধুত্বের জন্য যে ব্যক্তিগত যোগাযোগ, পারস্পরিক সময় কাটানো এবং সরাসরি সহানুভূতি প্রয়োজন, তা এই ভার্চুয়াল সম্পর্কগুলোতে প্রায়শই অনুপস্থিত থাকে। ফলে মানুষ বহু বন্ধু থাকা সত্ত্বেও একাকিত্বে ভোগে।
এর পাশাপাশি, রাজনৈতিক, জাতিগত ও ধর্মীয় বিভাজনগুলো বন্ধুত্বের পথে এক বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন দেশের মধ্যে যখন রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়, তখন এর প্রভাব সাধারণ মানুষের বন্ধুত্বের ওপরও পড়ে। জাতিগত বিদ্বেষ এবং ধর্মীয় গোঁড়ামি মানুষকে একে অপরের থেকে দূরে সরিয়ে দেয়, যা পারস্পরিক বিশ্বাস এবং বোঝাপড়াকে ব্যাহত করে। সামাজিক বৈষম্য ও বৈরিতা বন্ধুত্বের অন্তরায়। যখন সমাজের একটি অংশ অন্য অংশের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে, তখন বন্ধুত্বের মতো নির্মল সম্পর্ক গড়ে তোলা কঠিন হয়ে পড়ে। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে কীভাবে সত্যিকারের বন্ধুত্বের বন্ধন গড়ে তোলা যায়, তা আজকের বিশ্বে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।
আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবস: উদযাপনের উদ্দেশ্য ও বার্তা
আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্বজুড়ে আন্তঃসাংস্কৃতিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি করা। এই দিনটি মানুষকে সুযোগ করে দেয় ভিন্ন সংস্কৃতি, জাতি এবং ধর্মের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করার। এর মাধ্যমে মানুষ একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে শেখে এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহনশীলতার গুরুত্ব উপলব্ধি করে।
এই দিবসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হলো তরুণ প্রজন্মকে বন্ধুত্বের মূল্য শেখানো। বর্তমান সময়ে যখন তরুণরা ডিজিটাল স্ক্রিনে বেশি সময় কাটায়, তখন তাদের প্রকৃত বন্ধুত্বের গুরুত্ব সম্পর্কে জানানো জরুরি। বিদ্যালয়, কলেজ এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে এই দিনটিতে বন্ধুত্ব বিষয়ক কর্মশালা, সেমিনার এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেতে পারে, যা তরুণদের মধ্যে বন্ধুত্বের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়াও এই দিবসের একটি অন্যতম লক্ষ্য। হ্যাশট্যাগ #InternationalFriendshipDay ব্যবহার করে মানুষ তাদের বন্ধুদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারে এবং বন্ধুত্বের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে পারে। এর মাধ্যমে বৈশ্বিক পর্যায়ে একটি ইতিবাচক এবং বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হয়, যা মানুষকে একে অপরের কাছাকাছি আনতে সাহায্য করে।
বন্ধুত্ব গঠনে আমাদের করণীয়
বন্ধুত্বকে শক্তিশালী করতে হলে কিছু মৌলিক গুণের চর্চা করা অত্যন্ত জরুরি। এর মধ্যে অন্যতম হলো সহানুভূতি ও সহনশীলতা। অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া মানে তাদের আবেগ-অনুভূতিকে বুঝতে পারা এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে সম্মান করা। সহনশীলতা মানে ভিন্ন মতাদর্শ বা জীবনধারাকে মেনে নেওয়া এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া। এই দুটি গুণ বন্ধুত্বের ভিত্তি তৈরি করে।
পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতার চর্চা বন্ধুত্বের জন্য অপরিহার্য। যখন আমরা একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই এবং তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হই, তখন সম্পর্ক আরও গভীর হয়। বন্ধুদের প্রতি সহমর্মিতা দেখানো মানে তাদের প্রয়োজনে পাশে থাকা এবং তাদের সমর্থন দেওয়া।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বিভাজনের দেয়াল ভেঙে একে অপরকে গ্রহণ করা। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ বা রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিত্তিতে মানুষকে বিচার না করে তাদের মানুষ হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। বন্ধুত্বের আসল সৌন্দর্য এখানেই নিহিত যে, এটি সব ধরনের ভেদাভেদ দূর করে মানুষকে এক সুতোয় বেঁধে ফেলে। একটি সত্যিকারের বন্ধুত্বের জন্য প্রয়োজন উদার মন এবং পরোপকারী মনোভাব।
বন্ধুত্বের অনুপ্রেরণামূলক কিছু উদাহরণ
ইতিহাসে এমন অনেক মহান বন্ধুত্বের দৃষ্টান্ত রয়েছে যা যুগে যুগে মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো হজরত মুহাম্মদ (সা.) এবং আবু বকর (রা.)-এর বন্ধুত্ব। ইসলামের ইতিহাসে তাঁদের বন্ধুত্ব ছিল অতুলনীয়। আবু বকর (রা.) সব সময় মহানবী (সা.)-এর পাশে ছিলেন, তাঁকে সমর্থন জুগিয়েছেন এবং প্রতিটি কঠিন মুহূর্তে তাঁর বিশ্বস্ত সঙ্গী হিসেবে কাজ করেছেন। এই বন্ধুত্ব পারস্পরিক বিশ্বাস, ভালোবাসা এবং আত্মত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ।
আরেকটি বিখ্যাত উদাহরণ হলো মহাত্মা গান্ধী এবং লিও টলস্টয়ের সম্পর্ক। যদিও তারা কখনও সামনাসামনি দেখা করেননি, তবুও তাদের মধ্যে গভীর চিঠিপত্রের আদান-প্রদান ছিল। টলস্টয়ের লেখা গান্ধীজিকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করেছিল এবং তাদের মধ্যে এক আত্মিক বন্ধন তৈরি হয়েছিল। এই সম্পর্ক প্রমাণ করে যে, দূরত্ব বা ব্যক্তিগত সাক্ষাতের অভাবও প্রকৃত বন্ধুত্বের পথে বাধা হতে পারে না, যদি মন ও চিন্তাভাবনার মিল থাকে।
সাম্প্রতিক সময়েও এমন অনেক আন্তর্জতিক বন্ধুত্বের গল্প দেখা যায়, যা বিশ্বকে অনুপ্রাণিত করে। যেমন, বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষামূলক আদান-প্রদান কর্মসূচি বা আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের একত্রিত হয়ে কাজ করা। এসব ঘটনা প্রমাণ করে যে, বন্ধুত্ব বিশ্বজুড়ে শান্তি ও সম্প্রীতি স্থাপনে কতটা শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে। এই উদাহরণগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, সত্যিকারের বন্ধুত্ব সব বাধা অতিক্রম করতে সক্ষম।
আসুন হাত বাড়িয়ে দেই
বন্ধুত্ব কেবল ব্যক্তিগত সম্পর্ক নয়, এটি বিশ্ব শান্তির চাবিকাঠি। এই সম্পর্ক মানুষের মধ্যে বোঝাপড়া, সহানুভূতি এবং সহনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে, যা বৈশ্বিক সংঘাত নিরসনে অত্যন্ত জরুরি। আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, পৃথিবীতে বিভেদ নয়, বরং একতার বন্ধনই আমাদের মূল শক্তি।
এই বিশেষ দিনে আমাদের অঙ্গীকার হোক — ভালোবাসা, সহানুভূতি ও বন্ধুত্বের বন্ধনে বিশ্বকে একত্রিত করা। আসুন, আমরা সকলে মিলে বন্ধুত্বের এই পবিত্র বন্ধনকে সম্মান জানাই এবং একে অপরের প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিই। যখন প্রতিটি মানুষ একে অপরের প্রতি সহমর্মী হবে এবং বন্ধুত্বের মূল্য উপলব্ধি করবে, তখন পৃথিবী আরও সুন্দর ও শান্তিময় হয়ে উঠবে। আসুন, প্রতিজ্ঞা করি যে, আমরা কেবল এই একটি দিনের জন্য নয়, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষণে বন্ধুত্বের আদর্শকে ধারণ করব এবং এর মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বিশ্ব গড়তে সাহায্য করব।


সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী
লেখক ও সমাজ বিশ্লেষক

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমার কোনো বন্ধু নেই। আমি একা।

২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:৩৮

রবিন.হুড বলেছেন: আপনার লেখা খুবই সুন্দর। আপনার ইসলামী লেখাগুলো তথ্যবহুল যুক্তিযুক্ত তাই আমি সবাইকে পড়ার জন্য শেয়ার করি। আপনার ব্লগ থেকে লেখাগুলো সংগ্রহ করে সংকলন করার জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। আপনি যদি বই আকারে প্রকাশ করে না থাকেন তবে সংকলিত গ্রন্থ হিসেবে আমি প্রকাশ করে সকলের পড়ার সুযোগ করে দিতে চাই। আপনার সাথে যোগাযোগের উপায় জানাবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.