নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।
পুরোজাতি যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে এক কাতারে এসে দাঁড়িয়েছে ঠিক সেসময় আগামী সোমবার জামাত সারাদেশে হরতাল ডেকেছে । এর আগে হরতাল ডেকে ছিল কসাই মোল্লার রায়ের দিন । আমরা দেখেছি রায়ের পর কসাই মোল্লা আদালত থেকে পুরো জাতির মুখে চপটা ঘাত করে ভি চিহ্ন দেখাতে দেখাতে গাড়িতে চেপেছে। ভাবটা এমন ছিল পারলিনা ফাঁসি দিতে ? আদালতে কাদের মোল্লার জন্য আইনি লড়াই যেমন লড়েছে জামাতের আইনজীবি নামক রাজাকারগুলি ঠিক তেমনি রাজপথে পুলিশ আর জনগনের মালের উপড় তান্ডব চালিয়েছে শিবির আর জামাতের নব্য রাজাকারেরা।এসব সকলের জানা ।
জামাত কক্সবাজারে তাদের তিনজন সন্ত্রসী কর্মীর মৃত্যুতে আবার পরো দেশে হরতাল ডেকেছে ।যারা কিনা নিহত হয়েছে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করতে গিয়ে । ঠিক একই দিন অন্য একটি ঘটনায় মীরপুরে হত্যাকরা হয়েছে রাজীব হায়দার শুভ “থাবা বাবা” নামের একজন ব্লগারকে ।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে ব্লগিং এর সঙ্গে জড়িত আছি প্রায় তিন বছর যাবত । নিহত ব্লগারের সঙ্গে আমার তেমন পরিচয় না থাকলেও দু’একবার উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে অন্য একটি বিষয় নিয়ে । কিন্তু একটি ইস্যুতে আমাদের লক্ষ্য ছিল এক সেটি হলো সকল রাজাকারদের বিচার এবং ফাঁসি । প্রথম আলো,সময় ব্লগে,বিডিনিউজ ব্লগে জামাতের বিরুদ্ধে লেখার পর আমিও বেনামে হুমকি পেয়েছি ।মাস ছয়েক আগে আমার বাসার দারোয়ানের কাছে এসেও কয়েকজন আমার সর্ম্পকে খোজ খবর করে গেছে । গতকাল তার মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর থেকে রাতে ঠিক মতো ঘুমাতে পারিনি । এ রকম পরিনতি তো আমারসহ অন্যান্য ব্লগারদেরও হতে পারে । জন্মেছি যখন তখন মরতেই হবে । আল্লাহ্ যখন মৃত্যু দেবেন চলে যাবো । তবুও হাজার হাজার ব্লগারের জীবনের কথা চিন্তা করে বলছি - আমাদের পরিচয় 'ব্লগার' আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি ।
কেননা জামাতের রাজনীতির সঙ্গে আফগানীস্থান , ইরাক,লিবিয়ার বিপথগামী জঙ্গি সংগঠনগুলোর অনেক মিল রয়েছে । জিহাদের নামে এরা যে কোন সময় হত্যাকান্ড ঘটাতে পারে । একাত্তরেও আমরা জামাতের এই একই চরিত্র দেখেছি । জামাতের মুরুবি রাজাকারেরা তাদের নব্য রাজাকার কর্মীদের বারবার এই বলে ওসিয়ত করছে যে, তারা ইসলামের শক্রদের বিরুদ্ধে তারা জিহাদে আছে ।জিহাদের পুরো সংজ্ঞাই এরা পাল্টে দিয়েছে। ইসলামকে জামাত ব্যবহার করছে নিজেদের ইচ্ছে মতো ।
যা বলছিলাম, যে উদ্দেশ্যে এ লেখা, পুরো দেশবাসিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জামাত আবার হরতাল ডাকার সাহস পায় কোথায় ? কারা যোগাচ্ছে জামাতকে এতো সাহস ? কেন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানো কমসূর্চি ঘোষুনাকারী, হত্যার নির্দেশদাতা জামাতের নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না ? ক’জন ব্লগারের লাশ পরলে সরকার প্রকৃত অর্থেই জামাতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ? সরকার জামাতকে নিষিদ্ধ করে বিল আনার কথা বলছে, আমরা চাই না এ নিয়ে কালখেপন করা হোক তাই যতো তারাতারি সম্ভব জামাতকে নিষিদ্ধ করুণ । জামাতকে জঙ্গি সংগঠন হিসাবে ঘোষুনা করুণ ।
পরিশেষ : পবিত্র কোরআনে আছে – “দেশ প্রেম ঈমানের অঙ্গ” মরার পর মহান আল্লাহকে বলতে পারবো আমি আমার দেশের জন্য মরেছি । তাই আমি আমার সঙ্গে ঈমান সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি ।এবার তোমার যে শাস্তি কিংবা পুরস্কার যেটি ইচ্ছে আমায় দাও ।
©somewhere in net ltd.