নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।
একের পর এক ছাত্র হত্যা মনকে বেশ বিষন্ন করে দিয়েছে । দৈনিকগুলোর পাতা জুড়ে সেই সংবাদ মনকে বারবার নাড়া দিয়ে যাচ্ছে । সহপাঠিরা কি নির্মম হলে নিজ সঙ্গিকে এভাবে নির্মম ভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ফেলে তা ভেবে পাইনা । বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী সায়াদ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা রুস্তম ঘৃন্ন্য রাজনীতি নামক দানবের শিকার । শিক্ষার্থী সায়াদ নিজদলের কর্মীকতৃক আহত হবার পর সারা রাত সেভাবে বিনা চিকিৎসায় পরে ছিল তা আমার মনে নানান প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে । কেন একটি সরকারী হাসপাতালে একজন আহত ব্যক্তি বিনা চিকিৎসায় সারা রাত পরে থাকবে ? যদি যথাসময়ে সায়াদের চিকিৎসায় হতো তা হলে তিনি হয়তো বেচে থাকতেন ।
ঐ সময়ে কি হাসপাতালে কোন চিকিৎসক ছিলেন না ? রাতের সিপটে যাদের ডিউটির কথা ছিল তারা কোথায় ছিলেন ? খোজ নিয়ে দেখা যাবে তারা হয়তো নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিলেন ।
আমি মনে করি, সায়াদ হত্যাকান্ডের জন্য শুধু ছাত্রলীগের ছেলেরা নয় কর্তব্য অবহেলার জন্য হাসপাতালের চিকিৎসকরাও দায়ী । দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক ।
নিজ কক্ষে অধ্যায়নরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণকারী ছাত্র রুস্তম মরে প্রমান করেছে যে ছাত্রলীগের সবাই সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত নয় তাদের মধ্যে কেউ কেউ লেখা-পড়াও করে । আর সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ কর্মীরা প্রমাণ করেছে ছাত্রলীগের মধ্যে যারা লেখাপড়া করে তাদের বেচে থাকার অধিকার নেই ।মৃত্যুই হচ্ছে তাদের পুরস্কার । দুটি হত্যাকান্ড পিতামাতার কোল থেকে কেড়ে নিয়েছে দুটি প্রাণ ভেঙে দিয়েছে তাদের স্বপ্ন । তিল তিল করে বড় করে তোলা সন্তান হারানোর বেদনা শেখ হাসিনা কি অনুভব করতে পারেন ? পারেন না যদি পারতেন তাহলে জাহাঙির নগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ছেলেরা যখন অপর এক ছাত্রকে হাত পা ভেঙ্গে তিনতলা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছিল তখনই ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্হা নিতেন । সে সময় যদি ব্যবস্হা নেওয়া হতো তা হলে হয়তো এদুটি প্রাণ বেচে যেতো আজ যারা বেচে আছে তাদেরও এ থেকে শিক্ষা নিতে হবে । রাজনীতি তোমাকে সাময়িক সাফল্য দিলেও দিতে পারে স্থায়ি মৃত্যু । অতএব সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ।
©somewhere in net ltd.