নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে \"আমার কবিতা নামে\" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন

আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেরেস্তাতান্ত্রিক - ফেরেস্তাগন আল্লাহর রায় শুনে হতা্শ হলেন , ফ্যাল ফ্যাল করে একজন অন্যজনকে দেখতে লাগলেন । ভাবটা এমন এটা কোন রায় হলো !!!

১৪ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:১৮

দৈবাত কারণে খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনার একই দিনে মৃত্যু হয়েছে । বেশ কয়েকদিনের রাস্ট্রিয় শোক, অনেক স্মৃতিচারণ, অনেক শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দু’জনকে দাফন করা হয়েছে । ফেরেস্তাদের মধ্যেও এই দু’জন মাইয়াতকে নিয়ে উৎসাহের কোন কমতি নেই ।

যেহেতু দুজই দীর্ঘদিন একটি রাস্ট্রের রাস্ট্র প্রধান ছিলেন সেহেতু দুজনের পাল্লাই পাপ পূণ্যে বোঝাই । কে কোন পুরস্কার বা শাস্তি পায় তা দেখার জন্য ফেরেস্তাদের মধ্যে তুমুল আলোচনা চলছে । একজন বললেন, উনি এটা ভাল করেছেন তো অন্য জন বলছেন উনি ওটা খারাপ করেছেন ।কেউ বলছেন উনি পুরস্কৃত হবেন তো অন্য জন বলছেন, না উনি শাস্তি পাবেন । অনেক আলোচনা, অনেক সমালোচনা চলছে তো চলছেই ।

সেই সঙ্গে সবাই অপেক্ষায় আছেন আল্লাহ্ দু’জনের ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেন তা দেখার । সব দেখে, শুনে মহান আল্লাহ্ ফেরেস্তাদের উদ্দেশ্যে বললেন, দেখ যেহেতু দু’জন একটি গনতান্ত্রিক রাস্ট্রেক শাসক এর দায়িত্ব পালন করেছে দীঘদিন এবং দু’জনই নিজেদেরকে গনতন্ত্রের ধারক, বাহক বলে পরিচয় দিতেন । তাই এই দু’জনের বিচারের প্রক্রিয়াও হবে গনতান্ত্রিক অথাৎ ফেরেস্তাতান্ত্রিক । তোমরাই উনাদের ভাগ্য নিধারণ করবে । তোমাদের ১৫ দিন সময় দেয়া হলো, যাও উনাদের কৃতকর্মের চুলচেরা বিচার বিশ্লেষন করে তোমরা একটি সিদ্ধানে উপনিত হয়ে আমার কাছে আস । আমি তোমাদের সিদ্ধান্তকেই আমার রায় বলে ঘোষুনা দেব ।

আল্লাহ্’র কথা শুনে অনেক ফেরেস্তা ভাবলেন এটা একটা কথা হলো ? আমরা তো এক ঘন্টাতেই উনাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেব । ফেরেস্তাদের মধ্যে একজন তো বলেই ফেললেন, রাব্বুল আলামিন সময় কি একটু বেশি হয়ে গেল না ? আমাদের তো ইবাদত বন্দিগী রয়েছে । আমরা বড় জোর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এই দু’জন মাইয়াতের ব্যাপারে একটি সিদ্ধানে উপনিত হতে পারবো । তাদের শাস্তিও নিধারন করে ফেলব ।

মহান আল্লাহ একটি হেসে বললেন, পারলে তো ভাল । তবুও যাও তোমাদের ১৫দিনই সময় দেয়া হলো । আল্লার কথার উপর তো আর কোন কথা চলেনা । ফেরাস্তারা ভাবলেন , যাক একদিনের মধ্যে বিচার কাজ সম্পূর্ণ করে বাকি দিনগুলো ইবাদত বন্দেগী করে কাটিয়ে দেবো । আল্লাহর দরবার থেকে ফিরে যাওয়ার সময় একজন ফেরেস্তা বললেন – রাব্বুল আলামিন এই ১৫ দিন উনাদের কি হবে ? আল্লাহ বললেন – এই ১৫ দিন উনাদের বেহেস্ত আর দোযগের মাঝামাঝি একটি স্হানের দু’প্রান্তে রেখে দাও । শুধু প্রয়োজনের সময় জেরা করতে পারবে ।

যাই হোক, আল্লাহর দরবার থেকে বের হয়ে ফেরেস্তাগন কাজে লেগে গেলেন । প্রথম দিকে বিচার কার্য সহজ মনে হলে ক্রমশ তা জটিল হয়ে উঠল । অনেক তথ্য, প্রমানাদি, অনেক জটিল বিষয় একের পর এক উঠে আসতে থাকায় বিচার কার্য আরো কঠিন থেকে কঠিন হয়ে উঠল । এক দিন, দুই দিন, তিন দিন করে কোথা দিয়ে যে, ১৫টি দিন চলে গেল ফেরেস্তাগন টেরই পেলেন না । ১৫ দিন শেষে ফেরেস্তাগন লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে আল্লাহর কাছে এসে আরো সময় চেয়ে আবেদন করলেন । আ্ল্লাহ হাসি মুখে আরো একমাস সময় দিলেন । এবারও ফেরাস্তাগন ভাবলেন একমাস ! এটা তো অনেক বেশি সময় ।এতো সময় নিশ্চই লাগবে না ! কিন্তু মুখে কিছু বললেন না ।

দেখতে দেখতে একমাসও অতিক্রম হয়ে গেল কিন্তু ফেরেস্তাগন কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারলেন না । এ বিষয় ও বিষয় নিয়ে ফেরেস্তাগনের মধ্যে মত বিরোধ হতে হতে ফেরেস্তাগন প্রায় দু’টি শিবিরে ভাগ হয়ে যায় যায় অবস্থা । এমন পরিস্থিতিতে সিনিয়র ফেরেস্তাদের হস্তক্ষেপে ফেরেস্তাগন কোন রকম একটা সিদ্ধান্তে উপনিত হযে আল্লাহ্’র দরবারে উপস্থিত হলেন । বিচার কার্য দীঘায়িত এবং নিজেদের মধ্যে দ্ধন্ধ সৃস্টির হওয়ার জন্য ফেরেস্তাদের মধ্যে লজ্জায় কোন সীমা ছিল না ।

আল্লাহ্ বললেন , বল হে ফেরেস্তাকুল তোমাদের বিচারে এই দুজন মাইয়াত দোষী না নিদোষ ? ফেরেস্তারা একস্বরে বললেন , হে ইজ্জতে জালাল ওনারা দু’জনই দোষি । ওনারা কিছু ভাল কাজের পাশা পাশি অনেক খারাপ কাজ করেছেন । তবে যতোটা না নিজেরা করেছেন তার চেয়েও অনেক অনেক বেশি ওনাদের নাম ভাঙিয়ে ওনাদের চেলা চুমুন্ডারা করেছে । হত্যা, গুম, টেন্ডার , কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাস, পদ্মা সেতু , জিয়া ট্টাস্ট,বাড়ি দখল,নারায়নগঞ্জের সেভেন মাডারসহ এমন কোন কিছুই বাদ নেই যা ওনাদের নাম ভাঙিয়ে করা হয়নি । সব যেনে শুনেও ওনার চুপ থেকেছেন । সব সহ্য করেছেন । সেই দোষও এসে পরেছে ওনাদের উপর ।

আল্লাহ বললেন, তা ওনাদের কি শাস্তি তোমরা দিতে চাও ? তা কি ঠিক করেছো ? ফেরেস্তারা বললেন না, তা তো ঠিক করিনি । ফেরেস্তারা আবারও লজ্জা বোধ করলেন । কেননা বিচার কার্য দীঘায়িত হয়ে যাওয়ায় আসল কাজটিই করা হয়নি ।

- তাহলে ঠিক করো, বলো কি শাস্তি তোমরা দিতে চাও ?

আবারও ফেরেস্তাদের মধ্যে শোরগোল শুরু হয়ে গেল । একজন বলেন এই শাস্তি দেয়া হোক তো অন্যজন বলেন না ঐ শাস্তিটা ঠিক । সহজ থেকে সহজতর আবার কঠিন থেকে কঠিনতর কোন শাস্তির বিষয়েই ফেরেস্তাগন এক মত হতে পারছে না । মহান আল্লাহ্ অনেকক্ষন ধর্য ধরে ফেরেস্তাগনের কর্মকান্ড দেখলেন । তারপর একসময় বললেন, তোমরা সবাই থাম । সঙ্গে সঙ্গে সবাই চুপ । আল্লাহ্ বললেন- এখন থেকে তোমাদের ফেরেস্তাতন্ত্র বন্ধ । এই তন্ত্রতান্ত্রিক জটিলতা তো দেখছি মানব কূলের মতো তোমাদের জন্যও বিপদ ডেকে আনবে । এই দু’জনের শাস্তি আমি ঠিক করে দিচ্ছি । ওনাদের শাস্তি হচ্ছে বলে, আল্লাহ্ একটু থামলেন । ফেরেস্তাগনের কৌতুহলের পেরামিটার আবারও বেড়ে গেল । আল্লাহ্ কি রায় দেন তা শুনার জন্য সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন । আল্লাহ্ সবার দিকে চোখ বুলিয়ে একটু হেসে বললেন, ওনাদের শাস্তি হচ্ছে ওনারা কেয়ামতের পূর্ব পযর্ন্ত একই কক্ষে, একই সঙ্গে, একই বিছানায় থাকবেন । এবং একই জিনিষ পত্র ব্যবহার করবেন । ফেরেস্তাগন আল্লাহর রায় শুনে হতা্শ হলেন । ফ্যাল ফ্যাল করে একজন অন্যজনকে দেখতে লাগলেন । ভাবটা এমন এটা কোন রায় হলো !!! এই সামান্য শাস্তির জন্য এতো কস্ঠের কোন মানে হয় ! মহান আল্লাহ্ তখন মিটিমিটি হাসতে লাগলেন ।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: তার চাইতে ওনারা দোযখে থাকাটা প্রেফার করবেন!

১৪ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৮

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: মহান আল্লাহ্ তখন মিটিমিটি হাসতে লাগলেন ।

২| ১৪ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ওনাদের শাস্তি হচ্ছে ওনারা কেয়ামতের পূর্ব পযর্ন্ত একই কক্ষে, একই সঙ্গে, একই বিছানায় থাকবেন । এবং একই জিনিষ ব্যবহার করবেন ।

কঠিন শাস্তি!!!

শফিক রেহমান একবার এরকম স্যাটায়ারে এরশাদ, সেঞ্চুরি মানিক আর জয়নাল হাজারীর শাস্তি দিয়েছিল -প্রত্যেকের সামনে ৭০টা হুর থাকবে, শুধু কারওই ঐটা থাকপে না :P =p~ =p~ =p~ =p~

১৫ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪২

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: বহুত কঠিন শাস্তি :)

৩| ১৪ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০১

ভুয়া প্রেমিক বলেছেন: সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে এইসব না লিখলেই কি নয়?

আপনি তো বুঝতে পারবেন না যে কোনটায় বেয়াদপি হয়ে যাচ্ছে। :(

০২ রা জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৪৪

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ভুলের জন্য মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি ।

৪| ১৪ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১১

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:

১৫ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:০৯

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: :) :) :)

৫| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:০২

উড়োজাহাজ বলেছেন: ইয়া আল্লাহ! তুমি তাদের উপর এমন গজব নাজেল করলা কেন?

১৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আল্লাহ্ আমাদের জাহানামের আগুন থেকে রক্ষা করুক, আমিন

৬| ১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৩০

বাংলার ঈগল বলেছেন: লেখার থিমটা ভালো!
কিন্তু উদাহরন হিসাবে কি দেওয়া যায় আর কি দেওয়া যায় না তা বোধ হয় লেখকের জানা নাই :-B !!!

১৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই, আমার জ্ঞান এমনিতেই খুব কম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.