নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।
আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত নেতা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি-মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী যে মহা-বেকায়দায় পরেছেন তা কারো জানতে আর বাকি নেই । ধর্ম স্তম্ভ ধরে টানাটানি করলে যা হবার তাই হয়েছে । সত্যি বলতে, তিনি যে ভাবে পবিত্র হজ্বকে নিয়ে কথা বলেছেন তাতে যে কোন মুসলমানের অন্তরে আঘাত লাগারই কথা ।
লতিফ সাহেবও বেশ ভাল করেই জানেন, মুসলমানরা হজ্ব পালন করে শুধু আল্লাহ্ হুকুম পালন করার জন্য । যেহেতু প্রতিটি সামর্থবান মুসলমানদের উপর হজ্ব ফরজ করা হয়েছে - সেহেতু জীবদ্দশায় একবার না একবার হজ্ব পালন করতেই হবে।
বাংলাদেশসহ প্রতিবছর সমস্ত বিশ্ব থেকে কোটি কোটি মুসলমান হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব গিয়ে থাকেন । আর তা শুধুমাত্র আল্লাহ্ র সন্তুষ্টি পাওয়ারই আশায় করে থাকেন ।
হজ্ব এর সাথে অর্থনৈতিক ব্যাপারটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত । একজন মানুষের হজ্ব পালন করতে বাংলাদেশের টাকায আড়াই থেকে তিন লাখ বা তারও অধিক-টাকা খরচ হয়ে থাকে । সেই হিসাবে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা বিদেশে যে চলে যাচ্ছে তাতে কোন সন্দেহ নেই ।
অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে ব্যাপারটি দেশের চিন্তার বিষয় । কিন্তু অর্থনৈতিক দৃষ্টি কোন থেকে ব্যাপারটি দেখার কোন অবকাশ নেই । হাজি সাহেবরা তাদের নিজ উপার্জনের টাকা ব্যয় করে হজ্ব পালন করে থাকে । আমার টাকা আমি মদ খেয়ে ব্যয় করতে পারি আবার দুধ খেয়েও ব্যয় করতে পারি সেটা আমার ইচ্ছা ।
এ পর্যন্ত যা লিখলাম তা ঠিক আছে কিন্তু এখন যা লিখবো তা অনেকের কাছে ভাল লাগতে নাও পারে । কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা অধিকার কারো নেই । এতোটা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা করো নেই বা থাকা উচিত নয় । আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এখানে ভুল করেছেন ।
মুহাম্মদ ( স : ) কে নিয়ে কথা বলেছেন তিনি বলেছেন, আবদুল্লার পুত্র মুহাম্মদ ছিলেন বুদ্ধিমান । তার উচ্চারণের মধ্যে নবীর প্রতি কোন সম্মানবোধও ছিল না । যেমন ছিল না জয়কে নিয়ে কথা বলার সময়। জয়কে স্যার, স্যার বলে সন্মধন করলে হয়তো মন্ত্রিত্ব হারাতে হতো না । আমরা হচ্ছি আবেগপ্রবণ জাতি অতি আবেগে আশ্রাব সাহেব যেমন বলেছিলেন- তিনি হিন্দুও না আবার মুসলমানও না । কথা হচ্ছে - মরার পর আশ্রাব সাহেবের দেহটি কি করা হবে ?
কালো টাকা দিয়ে হজ্ব করলেও হাজি আবার সাদা টাকা দিয়ে হজ করলেও হাজি । কোন পার্থক্য নাই । সৎ মানুষের যেমন দাম নাই তেমনি সাদা টাকা দিয়ে হজ পালন করা হাজিদেরও বেইল নাই ।
আমরা হজ্ব আর হাজি নিয়ে কামড়া কামড়ি করি আর ফায়দা লুটে সৌদি সরকার । সৌদি বাদশার হেরেম চলে অর্থের ঝনঝনানি । গরিব দেশের টাকা হজের উ-ছিলায় চলে যায় সৌদি সরকারের হাতে । সৌদি সুলতানেরা নারীদের শরীরে টাকা উড়ায় । ঘোরার , উটের দৌড় খেলে । নিরীহ বাংলাদেশি কর্মীদের বেতন না দিয়ে নির্যাতন করে । প্রতিবাদ করলে আকামা কেরে নেয় । দেশ থেকে বের করে দেয় ।
বাংলাদেশ থেকে যারা প্রতিবছর হজ করতে সৌদি আরব যান তাদের ভোগান্তির কোন শেষ নেই । ভোগান্তি শুরু হয় - এদেশের দালাল আর সৌদি এম্বাসি থেকে । ভিসা দেয় মিসকিনের মতো । তা ছাড়া নানান রকম হয়রানি সৌদি সরকার কর্তৃক হাজি-গন সহ্য করে থাকেন । মক্কা মদিনায় নানান রকম প্রতারকরা ওৎ পেতে থাকে । বয়স্ক হাজিদের কোরবানি করে দেবার নামে টাকা মেরে দেয়ে । একটি পশু জবেহ করে দশজনের থেকে টাকা নেয় । এটা যদিও সৌদি সরকার করে না । তবুও এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না ।
কাবা শরীফের চার পাশে এতো বড় বড় সুউচ্চ অট্টালিকাগুলো যে, দেখা যায় সেগুলো কি জানেন ? যেগুলোর বেশির ভাগই হচ্ছে হোটেল । জি হা পাঁচ তারকা হোটেল । ডিস টিভি থেকে শুরু করে সব আছে সেখানে । ইচ্ছে করলে সেই সব হোটেলের জানালা দিয়ে সরাবের গ্লাস হাবে হাজিদের তোয়াবের দৃশ্যও দেখা যায় । আর এই সব হোটেলের মালিক হচ্ছে বদমাইশের শিরোমণি সৌদি বাদশা ও তার ভাই ভ্রাতা-গন এবং তাদের ছেলে মেয়েরা । ব্যবসায়ের নেশায় মক্কার শরীফের সীমানা কমতে কমেতে এবং জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে যে, হাজিদের তোয়াব করারও উপায়ও নেই । যেখানে পাখিরাও কাবা-শরীফের উপর দিয়ে উড়ে না তা উপর উঠে গেছে মানুষ । নবীর রওজা শরীফ ও তো কিছুদিন পূর্বে সরাবার পায়তারাও তারা করে ফেলেছিল কিন্তু বিশ্বব্যাপী মুসলমানের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি ।
এতো কিছু দেখার পর যখন লতিফ সাহেবরা যখন বলেন, হজ করে হাজি সাহেবেরা দেশের অর্থ নষ্ট করছেন তখন আর কোন প্রতিক্রিয়া হয় না । ক্যামন যেন চুপসে যাই । একটি বার হজ্ব করতে অনেক হাজির সারা জীবনের সঞ্চয় চলে যায় । অথচ সৌদি সরকার ইসরাইলের ফিলিস্তিনি হত্যার প্রতিবাদ করে না । মিসরে নির্বিচারে ভ্রাদার হুডের সমর্থক মুসলমানদের হত্যার মদদ দিয়ে যায় ।
এসব দেখার পর মনে হয়, হজ করা আসলেই অর্থের অপচয় । সে টাকা দিয়ে বাড়ির পাশের, দেশের ভেতরের দরিদ্র মানুষগুলোর সেবা করলে আল্লাহ মনে আরও বেশি সন্তুস্ঠ হতেন ।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৪
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ব্যথা অন্যের শরীরে থাকলে অনুভব করা যায় না কিন্তু ব্যথা যদি নিজ শরীরে হয় তবেই বোঝা যায় ব্যথা কাকে বলে ।
২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ! বেশ ভেবেছেনতো!!!
সউদ অকাল কুষ্মান্ড সরকার অপরাধ করে বলে- আল্লাহর দেয়া বিধানই বাদ দেয়া যায়!!!
আরব -আন্তর্জাতিক রাজনীতির আর স্বার্থের প্যাচে ফেলে আল্লাহর হুকুমকে অমান্য করাই যায়!!!
ব্যক্তি মতে প্রকাশের স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে যা খুশি তাই বলা যায়!!!
আল্লাহর রাহে অর্থ ব্যায় অপচয়!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
বেশ ! বেশ! নব্য নাস্তিক? নাকি সুশীল হবার কুপ্রচেষ্টা!!! অথবা ইউরোপে পলিটিকাল এসাইলাম প্রার্থী!!!!!
০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৬
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ভাইজান কি যোহরের নামাজ পড়েছেন ? আছরের আযান হয়েছে চলুন নামাজ পড়ে নেই আগে ।
৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:০২
হানিফঢাকা বলেছেন: Brother, you totally mess up all the things. Hajj is Faraz for us who are capable of doing so (both financially and physically). That's the law of Almighty. Nobody should look at it for any conditional matters.
How the Saudi govt use the money earned from Hajj is totally their matter, there is nothing to do with anybody's hajj. Does Allah or Prophet (PUBH) gave any condition that if the govt did not spend money in a particular way, you should not perform Hajj? I saw many people like you who has some allergy on Saudi govt because of their wealth and life style. Brother, if you had such wealth, you would do the same, perhaps more. Why should they live like us? Or why don't they lead their life in 100% according to Quran and Hadith is their matter. If they do wrong, they have to answer it to Almighty, like all of us. But, bringing such issues with performing Hajj is a most nonsensical things.
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার দীঘ মন্তবের জন্য ধন্যবাদ - আমি কি একবারও বলেছি হজ পালন করা থেকে বিরত থাকতে ? আপনি হয় আমার পুরো লেখাটি পড়েনি নয়তো বুঝতে পারেনি আমি মূলত কি বলতে চেয়েছি । হজ আল্লায় ফরজ করেছেন প্রতিটি সামর্থবান মানুষের উপড় তাই সামর্থ থাকলে হজ পালন করতেই হবে । সব সৌদি খারাপ নয় তবে বেশির ভাগই শয়তানের দলে ।
৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৬
শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: লোক দেখানো কোনো আমলই আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীনের নিকট গ্রহনযোগ্য নয়। হাজী সাহেবদের টাকা মন্ত্রীর গোচরাভূত হল আর রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা সুইস ব্যাংকে চলে যাচ্ছে সেটার ব্যাপারে তাে একদিনও কোনো মন্তব্য দেখলাম না। যতো দৃষ্টি গরীবের টাকার দিকে। হজ্ব করলেই সকল গুনাহ মাফ হবে এমনটা কিন্তু নয়। হজ্ব ইসলামের একটা স্তম্ব আর এটি ফরয করা হয়েছে ধনী ব্যক্তির জন্য।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৮
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাল বলেছেন ।
৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: আমাদের কারোই যে কোন ধর্ম নিয়েই হোক না কেন , কোন কটূক্তি করা উচিৎ না । একজন জনপ্রতিনিধি তো অবশ্যই না ।
দেখুন হজ্বের কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম কানুন আছে । কালো টাকায় হজ্ব হয় না । আর আপনার সেই সামর্থ্যও থাকতে হবে ।
সৌদির অনেক কাজকর্মই প্রশ্নবিদ্ধ ও নিন্দনীয় । কিন্তু সেই পাপের ভাগী তারা । আমাদের তীর্থস্থান তো ওখানেই ! সেক্ষেত্রে কি করা যাবে ! আপনার সামর্থ্য থাকলে আপনি হজ্ব করবেন আর অবশ্যই আপনার আশেপাশের দরিদ্র মানুষগুলোকে সাহাজ্জ করবেন । ব্যাস ! কিমপ্লিকেটেড করার কিছু দেখি না ভাই ।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১১
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সুন্দর বলেছেন । ধন্যবাদ
৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:২৫
আলাপচারী বলেছেন: good
২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১১
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯
এম ই জাভেদ বলেছেন: বর্তমান সৌদি সরকার ইসলামের সোল এজেন্ট নয় , আপনি কেন খামোখা উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতে চাইছেন? ইসলামের মূল স্তম্ভ নিয়ে ধৃষ্টতা পূর্ণ মন্তব্যের জন্য আপনার শাস্তি হওয়া দরকার। নবীজির অমর্যাদা যে করবে তাকেও অপমানজনক পরিনতি ভোগ করতে হবে অনিবার্য ভাবে । আল্লাহ স্বয়ং এ ধরনের ব্যক্তিদের ব্যবস্থা করবেন।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আমার পুরো লেখাটি পড়ুন । অতপর মন্তব্য করুণ ।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫
♥কবি♥ বলেছেন: উচিৎ কথার দাম ম্যাঙ্গো পিপল কোনদিনই দিতে পারবে না ভ্রাতা।