নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে \"আমার কবিতা নামে\" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন

আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আগামী ৪০ বছর পর স্বাধীনতার ইতিহাস বলে কিছু থাকবে না …

২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:০০

দীর্ঘ ৯ মাস ,৩০ লাখ শহীদ আর 2 লাখ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময় অর্জিত হয়েছে যে স্বাধীনতা, তা ক্রমশ মলিন হয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত একটু একটু করে বিকৃত করা হচ্ছে স্বাধীনতার ইতিহাস ।



স্বাধীনতার পরবর্তীতে প্রতিটি সরকারের আমলেই ইতিহাস পরিবর্তন, পরিবর্ধনের ঘটনা ঘটেছে । অতি রঞ্জিত তথ্য অন্তুভুক্ত করতে গিয়ে ইতিহাস সংরক্ষণের তোয়াক্কা করেনি কেউ । নেতা, নেত্রীকে খুশি করার জন্য ইচ্ছে মতো ভুল তথ্য যেমন জুরে দেয়া হয়েছে ঠিক তেমনি সঠিক তথ্য ফেলে দেওয়া ও হয়েছে এবং এ ধারা এখনও চলছে ।



সব চাইতে মজার ব্যাপার হচ্ছে , স্বাধীনতার পরবর্তীতে যতোগুলো সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তাদের প্রধানরা স্বাধীনতা বা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যতোখানি বিকৃত করেছেন তার চাইতে অনেক বেশি করছে- সরকারের সুবিধা ভোগী চেলা চামুন্ডেরা । এরা নিজ স্বার্থ সিদ্ধি করার প্রয়াসে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করতে একটুও কুণ্ঠা বোধ করেনি বা করে না ।



মুক্তিযুদ্ধের ৪৫ বছর পরেও যেমন মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি করা সম্ভব হয়নি । ঠিক তেমনি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও অবিকৃত ভাবে লিপিবদ্ধ করে রাখার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি । মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটি নাম সর্বস্ব মন্ত্রণালয় থাকলেও সেটি এই দীর্ঘ ৪৫ বছরে কাজের কাজ কিছুই করেনি । প্রতিবছর ১৬ ডিসেম্বর কিংবা ২৬ শে মার্চ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন কিছু ভিডিও আর বঙ্গবন্ধুর ৭ইমাচের ভাষণ সম্মিলিত একটু দুটি সিডি বাজারে ছেড়েই তাদের দায়িত্ব শেষ করছে ।



যে জাতি নিজের স্বাধীনতার ইতিহাস তার নতুন প্রজন্মের জন্য সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করে রাখতে পারে না সে জাতি নতুন প্রজন্মের কাছে কিছু আশাও করতে পারে না । মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিক ভাবে তুলে ধরার পরিবর্তে এদেশের রাজনীতিবিদেরা মুক্তিযুদ্ধকে ক্ষমতায় থাকার এবং ক্ষমতায় যাওয়ার হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে । ঠিক তেমনি সাধারণ মানুষ ও কিন্তু, অনেকাংশে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করার জন্য দায়ী । অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, কেউ যাকে ইচ্ছে তাকে রাজাকার বলে গালি দিতে পারে । মতের মিল না হলে, স্বার্থে আঘাত লাগলেই এখন মানুষ রাজাকার বলে গালি দিতে কুণ্ঠা বোধ করে না ।



দিনে দিনে মানুষ মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে । নতুন প্রজন্মরা বঞ্চিত হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস থেকে । শরীর আর ক্ষমতার বলে, শহীদ মিনার আর স্মৃতি সৌধ হয়তো দখল করে রাখা যায় কিন্তু সঠিক ইতিহাসের অভাবে যে দখল ক্রমশ নাজুক আর দুর্বল হয় পরে । ক্ষণিকের আবেগ , ক্ষণিকের স্বার্থের খেলার কাছে প্রতিদিন বলি হচ্ছে ৩০ লাখ শহীদের ভালবাসা , ত্যাগ।



মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব ব্যক্তি ভারতের আতিথেয়তায় পরম নি-চিন্তে সময় কাটিয়েছেন , তারাই আজ রাষ্ট্র ক্ষমতায় । আর যারা সন্মুখ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছেন, দীর্ঘ ৯ মাস বনে, জঙ্গলে যুদ্ধ করে স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে এনেছেন তাদের ঠাই হয়েছে আস্তা-কুড়ে । সুতরাং আরাম আয়েশা থাকা মানুষগুলো তো আর তাদের আরাম আয়েশ ত্যাগ করতে পারেন না । তাই তারাও নিজেদের আরাম আয়েশ আরো পাকা পোক্ত করার জন্য তোষামোদি জী হুজুর , জী আপা , জী ম্যাডাম ,জী স্যার নিজেদের ক্ষমতা ধরে রেখেছেন বা বাড়িয়ে চলেছেন ।



দলিয় সমর্থন না থাকলে চাকরী পাওয়া যায় না । ব্যবসা করা যায় না । ব্যবসা করা গেলেও দলীয় সমর্থন না থাকলে কোন সুবিধা পাওয়া যায় না । চাঁদা দিতে হয় । নেতাকে ডোনেশন দিতে হয় । থানায় টাকা দিতে হয় । তাই, কে যায় এতো ঝামেলায় ? দেশ , স্বাধীনতা চুলোয় যাক আগে নিজ স্বার্থ হাসিল করে নেই । এই মন্ত্রতে চলছে এখন দেশ । তাই স্বাধীনতার ইতিহাস যদি আগামী ৪০ বছরে একেবারে মুছে যায় তা হলে বলার কিছু থাকবে না । আমি তো অনুমান, করছি আগামী ৪০ বছর পর স্বাধীনতার ইতিহাস বলে কিছু থাকবে না ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১৮

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আর তখনই আসবে প্রকৃত স্বাধীনতা ।।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৬

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: যে জাতি নিজের স্বাধীনতার ইতিহাস তার নতুন প্রজন্মের জন্য সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করে রাখতে পারে না সে জাতি নতুন প্রজন্মের কাছে কিছু আশাও করতে পারে না ।

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:১০

খেলাঘর বলেছেন:

মুক্তিযু্দ্ধের 'বর্তমান ইতিহাস' কে বা কাহারা লিখেছে? কোন ইতিহাস বিকৃত হবে?

২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৩০

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: মন করুণ একটি বোতলে শরবত আছে; আপনি প্রতিদিন একটু করে শরবত পান করেন এবং বোতলের যেটুকু অংশ খালি হয় সেটুকু পানি দিয়ে পূরণ করে রাখেন । এ রকম চলতে থাকলে এক সময় কিন্তু বোতলে আর শরবত থাকবে না পুরোটাই পানি হয়ে যাবে । কিংবা শরবত পানির সঙ্গে মিশে গিয়ে তার স্বাদ হারিয়ে ফেলবে । ঠিক এভাবেই প্রতিদিন আমাদের গৌরব আমাদের অহংকারের ইতিহাস হারিয়ে যাচ্ছে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.