নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।
স্বাধীনতার নামে অখাদ্য কুখাদ্য ছেপে যার বই মেলাটাকে নষ্ট করছে এদের ধরে ধরে ফাঁসি দেওয়া দরকার । সদরঘাট আর পল্টনের ফুটপাতে যাদের বই পাওয়া যায় তারাই নাকি এখন বই মেলার সেরা প্রকাশক । সেরা লেখক । বাংলা একাডেমীর নিয় করা দরকার কম করে ১০ হাজার কপির নীচে কোন বই ছাপা হলে সে বই, প্রকাশন বই মেলার স্টলে স্থান পাবে না । স্টলে বরাদ্দের জন্য আবেদন করতে পারবে না ।
অবস্থা এমন যে পাঁচশ বই ছেপে কেউ হয়ে যান লেখক আবার কেউ প্রকাশক । মাঝখানে পরে বেচারা সাহিত্যের বাজে বারোটা । আবার কেউ কেউ নাম কামাবার জন্য ধর্মকে খোঁচা দিয়ে বই ছাপিয়ে জাতে উঠার চেষ্টা করে । এদের জন্যই এ দেশে এখনও সাহিত্যের কোন উন্নয়ন ঘটছে না । কিছু হলেই ধর্মকে খোঁচাও,ধর্মীয় অনুভূতিতে হাগ, মুত, যা ইচ্ছে বল ।
হুমায়ুন আহমেদ,মিলন এরা তো কাউকে খোঁচা খুঁচি করেনি । হুমায়ূন আহমেদ তো তার বিভিন্ন উপন্যাসের ভেতর ইসলাম এবং হিন্দু উভয় ধর্মের খারাপ এবং ভাল দিকগুলো নিয়েই লিখেছেন ঠাট্টা মশকারা করেছেন । কৈ কেউ তো তাতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হননি । এখন দেশ লোক ধর্মকে নিয়ে লিখছে তাই বিদেশ থেকে ভাড়া করে এনে বই অনুবাদ করো ।
১৯৯৩ থেকে যখন মেলায় যেতাম তখন সকাল থেকে সন্ধ্যা,সন্ধ্যা থেকে সারারাত মেলা চলত । পুরো এক মাস সকাল থেকে আবার আরেক ভোর পর্যন্ত মেলা চলতো । পুরো একমাস দিন রাত, চব্বিশ ঘন্টা মেলা , ভাবা যায় ! হাজার হাজার নতুন বই । নতুন বই গন্ধে তখন মেলায় ভাসতো মানুষ, আনন্দ উল্লাসে কেটে যেত পুরো একটা মাস । কতো মজাই না হতো । আর এখন মেলা শুরু হয় বেলা ৩টায় শেষ রাত ৮টায় । রোবোটিক মেলা ।
কারণ আমরা স্বাধীনতা ভোগ করতে জানি না । জানি না নিজের অবস্থান সম্পর্কে । যাদের জন্য যেমন ঔষুধ ,এদের জন্য এটাই যথেষ্ট । বন্ধ করে দিন বই মেলা । পুরো উপমহাদেশের মধ্যে বড় বই মেলা কোথাও হতো কিনা সন্ধেহ আছে । মেলার আজকের এই অবস্থা শুধু বাংলা একাডেমীর ব্যর্থতা নয় । এ ব্যর্থতা মেলা উপস্থিত হওয়া কাগুজে লেখক আর প্রকাশকদের । যাদের লোভের কারণে বই মেলা আজ নষ্ট হতে বসেছে ।
এক সময় মেলায় যাবার প্রস্তুতি নিতাম সকাল থেকে আর এখন যাই চোরের মতো টুপ করে দু একজন লেখকের বই কিনে আবার চোরের মতো চলে আসি । আখতারুজ্জামান ইলিয়াস,শামসুল হক এর বইয়ের গন্ধ নেই । মন ভরে না । শাস্তি ও পাইনা । বই মেলা আসলেই আমার কষ্টে শরীর জ্বালা করে । কিছুতেই শাস্তি পাই না ।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আরো বড় হুমমমমমমমমমম
২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯
আলী আকবার লিটন বলেছেন: আমার কেউ কেউ নাম কামাবার জন্য ধর্মকে খোঁচা দিয়ে বই ছাপিয়ে জাতে উঠার চেষ্টা করে । এদের জন্যই এ দেশে এখন সাহিত্যের কোন উন্নয়ন ঘটছে না ।
যথার্থই বলেছেন। সহমত প্রকাশ করছি।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০
মুহিব বলেছেন: ১০০০০ কপি!!! শামসুল হকের বই কয়টা ছাপা হয়? নতুন েলখকরা কি বই বের করবে না?
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: বই শুধু ব্যবসার জন্য নয় জ্ঞানের আলো ছড়াবার জন্যই বেশি প্রয়োজন । তাই তো প্রকাশকরা যেমন বাধ্য হয়ে একজন গুনি লেখকের বই ছাপাবেন ঠিক তেমনি নতুন লেখকেরাও যথেষ্ট যোগ্য না হয়ে গাঁটের টাকা খরচ করে বই ছাপাবার সাহস করবে না । সস্তার তিন অবস্থার মতো বই মেলার অবস্থা এখন ।
৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮
আজকের বাকের ভাই বলেছেন: বই ছাপার কপি যাই হোক, যে কোন লেখক বা প্রকাশক যদি লেখা নিয়ে একটা নুণ্যতম মান মেনে চলতেন তাতেই হতো।
এ ক্ষেত্রে মেলায় প্রকাশের আগে একটি কমিটী দিয়ে বইকে মুল্যায়ন করা যেতে পারে, যদিও তাতে কিছুটা পক্ষপাতিত্ব হওয়ার সম্ভাবনা আছে তবুও সাহিত্য তার মর্যাদাটা হারাত না।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০৩
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ভাল বলেছেন । কিন্তু সেখানে থাকবে দলীয় প্রীতি এবং ভীতি । যারা দল করবে তাদের বই মেলায় স্থান পাবে আর যারা দল করবে না তাদের বইও মেলায় স্থান পাবেনা । সুতরাং সবচেয়ে ভাল বুদ্ধি হচ্ছে কম করে হলেও ১০০০০ কপি ছাপতেই হবে । এতো প্রকাশকরা একটা বই ছাপাবার পূর্বে ১০০০০ হাজার বার চিন্তা করবে ।
৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯
ইমরুল_কায়েস বলেছেন: ভাইরে, আপনার ফরমুলায় গেলে বই কেবল রবিঠাকুররা ছাপাবে কাজী নজরুলদের কি অবস্থা হবে ভেবে দেখেছেন?
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০৪
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: নজরুলেন মানে লেখা হলে তা লক্ষ লক্ষ কপি ছাপা হবে । অনুবাদ হবে । বিক্রিও হবে ।
৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯
শাহ আজিজ বলেছেন: মুচি পাড়া সমৃদ্ধ বানিজ্যমেলার সময় বাড়ানো যায় বইমেলা কেন নয়? সকাল দশটা থেকে রাত ১২টা চলবে মেলা। পুরো আয়োজনটা সোহরাওয়ারদি মাঠেই হবে । বাংলা একাডেমী যেহেতু পাক একাডেমী হয়ে যাচ্ছে সেহেতু মেলার জন্য সিনিয়র নাগরিকদের নিয়ে কমিটি করে সব সিদ্ধান্ত হবে।
একদিকে আমি আপনার সাথে সহমত আবার এই বই ছাপানোর আগে যে প্রক্রিয়া ষে সময় কি তা নজরে আসেনি? কি এমন লেখা ছিল তাতে যে হেফাজতকে পুলিশি দায়িত্ব দিয়ে দিল ডি এম পি!! বায়তুল মোকাররমের বই থুক্কু তসবি ও টুপি মেলা ভেস্তে গেছে তাই নজর এবার বাংলার দিকে।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩২
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: বানিজ্যমেলা আর বই মেলা সমতুল্য নয় । কারো অনুভূতিতেই আঘাত করা যাবে না । সে ধর্মেরই হোক না কেন ।
৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আপনার প্রতিটি কথার সাথেই সহমত।
কিন্তু যদি ১০০০০ বই ছাপানো একজন যোগ্য নতুন লেখোকের পহ্মে সম্ভব না হয়?
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১২
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: নতুন লেখকদের অপেক্ষা করতে হবে ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৭
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: হুমমম....