নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।
গতকাল ছিল বিশ্ব নারী দিবস । বাংলাদেশের নারীরা দিনটি নিয়ে বেশ উত্তেজনায় পার করেছে । মিটিং , সিটিং সব হয়েছে । দু, এক জায়গাতে মিছিল ও হয়েছে । তবে ঢাকার কোথাও মিছিলের খবর পাওয়া যায়নি । শহীদ মিনারে গতকাল বেশ ব্যস্ত সময় কেটেছে নারী নেত্রীদের । যারা ঘর সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন সারা বছর তাদেরও ঘর থেকে বের মিটিং আনার তোর জোর কম ছিল না এসব নেত্রীদের । শত হলেও নারী দিবস বলে কথা ।
অনেকে আবার বাসার কাজের মেয়েটাকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন, ভ্যানটি ব্যাগ টানার জন্য । ছেলে মেয়েরা নিশ্চয় যার যারটা নিয়ে টিয়ে খেয়েছে । একদিন নিজের কাজ নিজে করলে কোন সমস্যা না । নাটক গান বাজনা খুব একটা না থাকলেও দাবি দাওয়ার কথা ছিল টনটনে। সব চাইতে যে, দাবী দাওয়াটা বেশি ছিল সেটা হচ্ছে , নারী পুরুষের সমান অধিকার । তাও আবার পিতার সম্পত্তিতে । অর্থাৎ নারীরা পিতার সম্পত্তিতে ভাইয়ের সমান হিস্যা চায় । ভাই মোট সম্পত্তির যে অংশ পাবে একজন নারীও তাই পাবে । এটাই তাদের দাবী । সম্পত্তির এক কণাও তারা ছাড়তে রাজি নয় । আবার স্বামীর সম্পত্তির অংশ ও তাদের থাকতে হবে । বিষয়টা একটু জটিল এবং সেই সঙ্গে কুটিল বলেও আমার কাছে মনে হয়েছে । দেখা যাক আইন কি বলে ?
বাংলাদেশ যেহেতু একটি মুসলিম দেশ হলেও এদেশে মুসলিম এবং হিন্দু দুটো আইনই আদালতে গ্রহণ যোগ্য । মুসলিম আইন অনুযায়ী একজন কন্যা তার পিতার সম্পত্তির এক ভাগ পাবে, ভায়েরা পাবে দুই ভাগ । এবং অন্য একটি অংশ থেকে স্ত্রী ও আত্মীয়স্বজনদের অংশ থাকবে । যেহেতু আত্মীয়স্বজনদের অংশ আগেই পৃথক হয়ে যায় তাই বাকী অংশটি স্ত্রী প্রাপ্য হয় । এই অংশটি বেশ গুরুত্ব বহন করে । একজন নারী যখন স্বামী হারা হন তখন পুত্র,কন্যারা তাদের না দেখ ভাল করলে এ অংশটি দিয়ে ঐ নারী তার ব্যয় ভার বহন করতে পারেন । আবার এই নারীর পিতার কাছ থেকে পাওয়া সম্পত্তির অংশ এবং দেন মোহরের প্রাপ্য অংশ সব মিলে তার আর কারো মুখাপেক্ষী হবার দরকার পরে না । তাহলে দেখা যাচ্ছে , মুসলিম আইন অনুযায়ী একজন নারী তিন ভাবে সম্পত্তি পাচ্ছে - ১. পিতার সম্পত্তির অংশ ২. স্বামীর সম্পত্তির অংশ এবং ৩. দেনমোহরের টাকা । এটা হচ্ছে মুসলিম আইন । একজন নারীর জীবনকে আল্লাহ্ এভাবে নিরাপদ করেছেন । ইসলামে আইন অনুযায়ী একজন নারীর জীবন হচ্ছে সবচাইতে নিরাপদ ।
এবার আসি হিন্দু আইন কি বলে , হিন্দু আইন নারীদের পিতার সম্পত্তির কোন অংশ পাওয়ার অধিকার দেয় না , একজন নারীকে তার বিবাহের সময় পিতা কর্তৃক যেসব অংশ দিয়ে দেওয়া হয় সেটুকুই তার সম্পত্তি । পরে সে নারী আর পিতার কাছ থেকে কোন কিছু দাবী করতে পারে না । বিশেষ করে সম্পত্তির কোন অংশ ।
ইউরোপের বা ব্রিটিশ আইন হচ্ছে পিতার সব সম্পত্তির এক ছত্র মালিক হবে পিতার বড় সন্তান । তিনি পিতার অন্যান্য সন্তানদের সম্পত্তির আয় হতে হিস্যা দিয়ে থাকেন । তা হলে ভেবে দেখুন আমাদের সচেতন নারী নেত্রীরা ইউরোপে তো নারীরা পিতার সম্পত্তির অংশের ভাগ চেয়ে আন্দোলন করে না ।
সমাধিকার আদায়ের যে আন্দোলন ইউরোপ, আমেরিকায় চলছে , সেটার অর্থ ও দেশের নারী নেত্রীদের জানা নেই । এনজিও'র টাকা খাওয়ার একটা উপায় হিসাবে এদেশে নারী নেত্রীরা এসব মিটিং মিছিল করে থাকে । সেই সঙ্গে সরকারের কাছ থেকে কিছু সুযোগ সুবিধা ও মিডিয়া কভারেজ । এই হচ্ছে তাদের আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য । কৈ দেখলাম না তো নারী দিবস উপলক্ষ্যে নারী নেত্রীরা কয়েকশ নারীকে সাবলম্ভি করে তুলেছেন । এসিড দগ্ধ নারীদের বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন । বাসার বুয়া বা কাছের মেয়েদের উপর নির্যাতনের বিচার চেয়েছেন । কিংবা তাদের একদিনের ছুটি দিয়েছেন । কিংবা অসহায় নারীদের জন্য বড় অংটা অংশ টাকা ব্যয় করেছেন । এসবের কোন কিছুই নারী আন্দোলনের অংশ কোন দিন ছিল না । ছিল শুধু প্রাপ্তি আর না প্রাপ্তির গল্প ।
একজন নারী যদি পিতার সম্পত্তির সমান ভাগ দাবী করতে পারে তা হলে তো একজন পুরুষও নারীর সম্পত্তির অংশ যেটা সে পিতার কাছ থেকে প্রাপ্ত যেটার অংশ ও চাইতে পারে ? দেনমোহর না দিতে পারে । নিজের সম্পত্তি থেকে নারীকে সম্পত্তির অংশ না দিতে পারে । ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক ক্যাচাল তৈরি করতে পারে । একজন নারী তিন ভাবে সম্পত্তির বা সম্পদের মালিক হন আর পক্ষান্তরে একজন পুরুষ শুধু পিতার কাছ থেকে সম্পত্তির অংশ প্রাপ্ত হয়ে থাকেন । তবে এখানে উল্লেখ্য যে একজন পুরুষও তার স্ত্রীর রেখে যাওয়া সম্পত্তির অংশ পেয়ে থাকেন ।
পাদটীকা : নারীর সমান অধিকার আদায়ের জন্য যে আন্দোলন ইউরোপ আমেরিকায় চলছে , সেটার অর্থ হচ্ছে কর্ম ক্ষেত্র, জীবনের সব পর্যায়ে নারীর মূল্যায়ন নির্ধারণ করার লক্ষ্যে পিতার সম্পত্তির ভাগ প্রাপ্তির জন্য আন্দোলন নয় । কিছু অতি লোভী মূর্খ নারীর মাথা থেকেই এমন চিন্তা আসতে পারে । সুতরাং অতি লোভী নারীদের ফাঁদে পা দেওয়া বুদ্ধিমানের নারীর কাজ নয় ।
০৯ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:০১
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সব ক্ষেত্রে নারীদের জীবনের নিরাপত্তা চাই ।
২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৪৬
দ্যা আহমেদ মামুন বলেছেন: কাজের মেয়েদের নিয়ে কলকাতায় কিছু আর্ট ফিল্ম হয় যা আর্ট থাকে
০৯ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:০২
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: এরা অবশ্য বিশেষ একটি শ্রেনী
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯
তারেক বলেছেন: হুম। ঠিকই নগদ বলেছেন।