নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।
বাংলাদেশের দামাল টাইগারদের পাকিস্তান বধের পর একটু নড়ে চড়ে বসে ছিলাম । চোখে মুখে ছিল বিস্ময় । প্রতিটি ম্যাচের টিকেট যোগার হয়ে যাচ্ছিল অদৃশ্য কারো ইশারায় । অথচ এক সময় একটি ম্যাচের টিকেট পাওয়ার জন্য কি না করেছি । কতো বড় ভাইকে ধরেছি । কতো বন্ধুর দুলাভাইকে দুলাভাই, দুলাভাইয়ের ভাইকে ও দুলা ভাই ডেকেছি । কখন ও কাজ হয়েছে কখন ও হয়নি । টিভিতে খেলা দেখে মন ভরিয়েছি । কিন্তু এখন প্রতিটি ম্যাচের টিকেট যোগার হয়ে যায় কিন্তু মাঠে যেতে পারিনা । একে ওকে ফ্রি টিকেট দিয়ে দেই ।
যা বলছিলাম, বাংলাদেশের পাকিস্তান বধের পর কিছুটা শঙ্কা বা কিছুটা ভয় আবার অন্যরকম এক ভাল লাগা কাজ করছিল । এ জয়ের ধারা টিকে থাকবে তো ? নাকি ফুস হয়ে যাবে । শ্রীনিবাসের বাংলাদেশ নিয়ে বিমাতা সুলভ আচরণের পর ডালমিয়ার বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক মন্তব্য ও সিদ্ধান্তে টিম ইন্ডিয়ার বাংলাদেশ সফর । অতপর তারা এখন সিরিজ হেরে বসে আছে ।
ভারতের যে কোন ম্যাচ হারার পর ভারতীয় মিডিয়ার খবর দেখতে খুব ভাল লাগে । ভারতীয়দের কাছে ক্রিকেট যে কি তা বোঝা যায় । টিম জিতলে উল্লাসের যেমন কমতি থাকে না ঠিক তেমনি হারলেও দোষারোপ করতে কাউকে ছাড়ে না । খেলোয়াড়দের বাপ ভাই থেকে শুরু করে গালফ্রন্ডে এমনকি মহল্লার কুকুর ও দোষারোপ থেকে বাদ যায় না ।
বাংলাদেশের কাছে হারার পর থেকে ইন্ডিয়ানদের ধৈর্যের সকল বাধ ভেঙ্গে পরেছে । নিজেদের খেলোয়াড়দের তুনোধুনো করার সঙ্গে সঙ্গে ওরা বাংলাদেশ, বাংলাদেশের দর্শক, খেলোয়াড়দের কটাক্ষ করতেও ছাড়ছে না । নানা পাপাগোন্ডায় ভাসছে ভারত । হ্যাপা-রুবেল থেকে শুরু করে পাকিস্তানের নিষিদ্ধ খেলোয়াড় আমির ও বাদ যাচ্ছে না । উদ্দেশ্য বাংলাদেশের জয়কে খাট করে দেখানো । দাদাদের মাথা তো খারাপ হয়েছেও পেটও খারাপ হয়ে গেছে । মগজে মননে ভারতীয়রা এখন দেউলিয়া হয়ে গেছে । শূন্য মস্তিষ্কে ভারতীয় মিডিয়া কাকে কি বলছে বুঝতে পারছে না ।
একটি সময় ছিল পাকিস্তান ভারতের ম্যাচ থাকলে মানুষের নাওয়া খাওয়া বন্ধ হয়ে যেত । বাস,ট্রেন থেকে শুরু করে মোড়ের চায়ের দোকান সর্বত্র চলতো ক্রিকেটের আলোচনা । যুদ্ধ যুদ্ধ একটা ভাব বিরাজ করতো । পাকিস্তানের সঙ্গে এখন সেই জায়গায় চলে এসেছে বাংলাদেশ । সীমান্তে হত্যা , গরু নিষিদ্ধ, মুসলমানদের নিয়ে বিজিপি নেতাদের নানান মন্তব্য,কর্মকাণ্ড, ভারতকে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের আসন থেকে বহুদূরে নিয়ে গেছে । এখন বাংলাদেশ ভারত ম্যাচ মানেই টান টান উত্তেজনা । অন্যরকম এক শক্তির খেলা । দুই জাতির,দুই ধর্মের যুদ্ধ । অনেকে এমনটাই ভাবেন ।
কোন কিছু লিখতে বসলে লেখার আর খেই থাকে না কোথা থেকে কোথায় চলে যাই অথচ একজন লেখকের সব সবচাইতে বড় গুন হচ্ছে, কম কথায় মুল বিষয়টা পাঠককে বুঝিয়ে দেওয়া । বাংলাদেশের কাছে ভারতের হারার পর ভারতীয় ও মিডিয়ায় নানান খবর ভাসছে । ভারতীয় টিমকে তুনোধুনো করার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে দর্শক,ক্রিকেটারদের হিংস পশুর সঙ্গে ও তুলনা করতে পিছ পা হচ্ছে না ভারতীয় নামি দামি দৈনিকগুলো । মওকা মওকা এখন ভারতীয়দের জন্য লজ্জা । ভারতীয়দের দেখলে নিজের অজান্তে মনের ভেতর ভেতর কে যেন গেয়ে উঠছে মওকা মওকা ও দাদা মওকা মওকা ।
বিশ্বকাপে ভারতের কাছে বাংলাদেশের পরাজয়ের পেছনে আইসিসি যে লজ্জাজনক আচড়নের পরিচয় দিয়েছে তাতেই খোলাসা হয়ে গিয়েছিল যে, আইসিসি মানে ভারত । ভারত যা চাইবে আইসিসিতে তাই হবে । ভারতের পরাজয়ের পর এখন শুরু হয়েছে এক অন্য ইতিহাস । অন্য এক ধারা, অন্য এক যুগের ।
ক্রিকেট একটি খেলা । একটি বিনোদন । আমরা বাংলাদেশিরা যথেষ্ট ভদ্র,নম্র এবং বিনয়ী জাতি হিসাবে বিশ্বে পরিচিত । কিছু ভারতীয়দের মতো কূটকৌশলী নই । আজ আপনারা হেরেছেন আগামীতে আবার জিতবেন । তাই বলে কোন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে , জনগণের বিরুদ্ধে কুৎসা করা, মিথ্যা বলা বিনোদনের বহি:প্রকাশ নয় । জনাব ডালমিয়া আমাদের সঙ্গে যে মহান ব্যবহারের পরিচয় দিয়েছেন তাতে ভারতের অবস্থান বাংলাদেশের মানুষের কাছে অনেক উঁচু একটি স্থানে পৌছে যাওয়ার কথা । দয়া করে নোংরা কাদা ছড়িয়ে সেই আসনটি থেকে কিছুতেই নিজেদের নিচে নামানোটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না । আমাদের কিন্তু হরাবার কিছুই নেই আছে অর্জনের । কিন্তু টিম ইন্ডিয়া আর ভারতের হারাবার ভয় আছে সব কিছু । আশা করি এ বোধটা দাদাদের আছে । শেষ কথাটি বলে শেষ করছি - বাংলাদেশ টিম হয়তো খেলছে টিম ইন্ডিয়ার বিপক্ষে কিন্তু বাংলাদেশের কোটি দর্শক কোটি মানুষ কিন্তু খেলছে শ্রীনিবাস ও আইসিসির অন্যায়ের বিরুদ্ধে ।
২| ২৪ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: একটি লেখা এতোবার পড়া হয় কি ভাবে !!!!
২৫ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৮:৫০
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন:
৩| ২৪ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:১৮
জাদিদ বলেছেন: আপনার এই লেখাটি সামহোয়্যারইন অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে শেয়ার করা হয়েছে। ফেসবুক থেকে অনেকেই পড়েছেন কিন্তু ব্লগাররা কেউ আলোচনায় অংশ নেন নি।
২৫ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৮:৫১
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, বিষয়টি পরিস্কার হলো ....
৪| ২৪ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
শাহেদ সাইদ বলেছেন: একেবারে ভাসুরের সাথে কথাবার্তা। বাংলাদেশ ভারতের বিরুদ্ধে খেলছে না শ্রীনিবাসনের বিরুদ্ধে।
শিরোনাম দেখে হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পাচ্ছিনা। কোন গুল খেয়ে মশুগুল হয়ে আছেন লেখক আল্লাহ জানেন।খেলার সাথে রাজনীতি আর রাজনীতিতে তোষণ রীতি মেলাতে মেলাতে আমরা খেলার মাঠেও প্রতিপক্ষ চিনতে পারছি না
২৫ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৯:১২
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । আপনি কি বিশ্বকাপের ঘটনা ভুলে গিছেন ? আইসিসির প্রেসিন্ডেন্ট লোটাস কামালকে এই শ্রীনিবাস নামের লোকটা কি ভাবে অপমান করেছিলেন ? আইসিসির আইন ভঙ্গ করে তিনি প্রেসিডেন্টকে উপেক্ষা করে নিজে চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে ট্রফি তুলে দিয়েছিলেন ? সেই অপমানটা তিনি শুধু লোটাস কামালকে করেননি করেছেন বাংলাদেশকে, পুরো ১৬ কোটি মানুষকে । তাই আমি মনে করি আমারা শুধু টিম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে খেলছি না খেলছি আইসিসি,শ্রীনিবাসের অন্যায়ের বিরুদ্ধে । দিচ্ছি অপমানের জবাব । ভারত বাংলাদেশের খেলাটির কথা মনে করুণ - দেখুন কি কি অন্যায় লজ্জাজনক সিদ্ধান্তগুলো আইসিসি নিয়েছিল সেই সময় । আপনার কাছে সেগুলো যদি অপমানজনক মনে না হয় তাহলে তো আপনাকে আমার কিছু বলার নাই । এই লেখাটিও তা হলে আপনার জন্য নয় ভাই ।
৫| ২৪ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:১৬
টয়ম্যান বলেছেন:
৬| ২৪ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৫
মিতক্ষরা বলেছেন: "এখন বাংলাদেশ ভারত ম্যাচ মানেই টান টান উত্তেজনা । অন্যরকম এক শক্তির খেলা । দুই জাতির,দুই ধর্মের যুদ্ধ । অনেকে এমনটাই ভাবেন । "
এরকম ভাবনা সম্পূর্ন ভুল। খেলা বিনোদন মাধ্যম। খেলা সব সময়েই প্রীতি এবং বন্ধুত্বের প্রতীক।
ভারত আজ হেরেছে, কাল জিতবে। খেলায় জয় পরাজয় খুব স্বাভাবিক। ক্রিকেটে হারলে ভারতীয়রা খুব বেশী আপসেট হয়ে পড়ে। এই চাপের কারনে অনেক সময় তাদের খেলোয়াররা ঠিক মত খেলতে পারে না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:১৩
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: একটি লেখা এতোবার পড়া হয় কি ভাবে !!!!