নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে \"আমার কবিতা নামে\" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন

আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দলের ভেতর থেকেও সৈয়দ আশরাফের নীরবতা, নিষ্ক্রিয়তা কি প্রমাণ করে ?

১২ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৪১

আমার ব্লগার পরিচয়টি আমার পরিবারের সবার জানা ছিল না । কিন্তু এখন সেটি আর কারো অজানা নয় । এক কান দুই কান হতে হতে পরিবারের কর্তারা সবাই জানে গেছেন আমি একজন ব্লগার । তাদের কাছে ব্লগার মানের আতঙ্ক, উটকো ঝামেলা নিজের ও পরিবারের কাঁধে নেওয়া । আমার বাবা প্রথমে বুঝেছেন ব্লগ জিনিষটা কি ? এর উপকার, অপকার ই বা কি ? তারপর অত্যন্ত বিজ্ঞের মতো আঙুল উঁচু করে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, এসব ব্লগ ট্লগ লেখা বাদ দাও । স্ত্রী, পুত্র সংসারের দিকে মনোযোগী হও । দেশের জঞ্জাল তোমার নিজের কাঁধে নিতে হবে না । তুমি মরে রাস্তায় পরে থাকলে কেউ খোজও নিতে আসবে না । কি দরকার বাবা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর ? পরিবারের অন্যান্য মুরুব্বিদের ও একই মতা । কোন ব্লগার খুন হলে বা ব্লগ সংন্ত্রান্ত কোন ঘটনা ঘটলে সবাই আমার খোজ খবর নেয় সাবধান করে । জানতে চায় আমার আবার কোন সমস্যা হবে না তো ?

বাবার নিষেধ, মুরুব্বীদের আদেশ এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের উপদেশ মেনে আমি ও বেশ সর্তক । পারতপক্ষে বিতর্কিত বিষয়ে কিছু বলতে যাই না । চোখের সামনে প্রতিদিন কতকিছু ঘটে লেখার জন্য হাত নিশপিশ করে কিন্তু তবুও আমি নীরব চন্দ্র ভৌমিক হয়ে থাকি । বেঁচে থাক প্রাণ । লেখা কোন ধর্মের বিপক্ষে গেলে মৃত্যুর হুমকি আমার সরকারের বিরুদ্ধে গেলে জেলে যাবার ভয় । উভয় জ্বালা নিয়ে পথ চলা । দেশে তথ্য আইন বলে একটা জিনিষ আছে না ? দালালির গুন না থাকায় বিশ্ব বোকাদের কাতার ভুক্ত হয়ে আছি ।

যাক বিষয়ে চলে আসি । যে লেখাটির জন্য এতো বড় ভূমিকা লিখে ফেললাম তাড়াতাড়ি তার ভেতর ঢুকে যাই তা না হলে অন্য ব্লগার ভাইরা আমাকে ব্লগ লিখতে বারণ করবে । আজ যা নিয়ে লিখবো সেটি অতি সরল এবং একই সঙ্গে অতি গরল । রাজনীতির বিষয় । রাজাদের বিষয় নিয়ে আমার মতো আম জনতার না ভাবলেও চলে তার জন্য অনেক ক্যাডার আছেন ব্যবসায়ীরা আছেন সঙ্গে তাদের নিজে নিজে স্বার্থের টানও আছে । আমাদের স্বার্থ নাই তাই উচিত কথা বলতে বাধা ও নাই ।

সৈয়দ আশরাফকে যে ভাবে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হলে সেটা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু । কিছু না বলে না লিখে থাকতে পারলাম না । দলের ভেতরে সবচেয়ে ক্লিন নেতা, ক্লিন মন্ত্রী বলে যে মানুষটি টিকে ছিল তাকেই কিনা ছুড়ে ফেলে দেওয়া হল । এতে করে একটি ম্যাসেজ সকলের কাছে চলে গেছে , সেটি হল ক্লিন ইমেজ আর ক্লিন নেতা হলে দলে টিকে থাকা যাবে না । দেশের গণতন্ত্রের যে করুন অবস্থা তাতে সৈয়দ আশরাফ এর সঙ্গে এমন ব্যবহারে আওয়ামীলীগের সকল নেতা কর্মীর কাছে অন্য এক বাতা চলে গেছে । তার শরীরে যে রক্ত বহমান তাতে সৈয়দ আশরাফ অনেক আগেই শুধু মন্ত্রিত্ব কেন, দল থেকে দূরে সরে গেলে সেটা হতো অনেক বেশি সম্মানের । আমরা সোহেল তাজকে দেখেছি । তিনি আপোষ করেনি । তরুণ রক্ত হুঙ্কার দিয়ে চলে গেছেন । সোহে তাজের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ না করে দল অনেক দিন ধরে রাখলেও কোন কাজ হয়নি । তিনি ফিরে আসেনি । বহুদূরে চলে গেছেন । তার শরীরের ও যে ঐ একই রক্ত বহমান ।

যাদের বিরুদ্ধে নানান দুনীতির অভিযোগ তারা দিব্যি মন্ত্রী হিসাবে টিকে আছেন আর মন্ত্রিত্ব হারাতে হল এমন একজনকে যিনি কিনা পরীক্ষিত নেতা । বঙ্গবন্ধুর কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল । জাতীয় চার নেতা যদি খুনি ডালিম-মোস্তাক গংদের সঙ্গে আপোষ করতেন তাহলে তাদের প্রাণ হারাতে হতো না । কিন্তু তারা তা করেনি । পালিয়েও যাননি । বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে যেনেও নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন । খুনিদের ভয়ে পালিয়ে যাননি । অথচ বঙ্গবন্ধু যাদের কাছে টেনে নিয়ে ছিলেন তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি । বর্ণচোরার দল বর্ণ বদল করতে এক মুহূর্তও ভাবেনি । প্রথম সুযোগেই কার্য সাধন করেছেন । এক কাদের সিদ্দিকি ছাড়া আর কেউ ছিলেন না সেদিন প্রতিবাদ করার মতো ।

আবদুল জলিল,রাজ্জাক প্রমুখ নেতাদের ত্যাগ আর চেষ্টার কল্যাণেই আজ আওয়ামীলীগ দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় । কিন্তু সেই রাজ্জাক সাহেবকেও তিলে তিলে মর্মজ্বালা সহ্য করে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে । মইন-ফকরুদ্দিনের যরযন্ত্রের ফলে জলিল সাহেবকেও ঐ একই পথে হাটতে হয়েছে । আরো অনেক নেতার কথা ইচ্ছে করলে বলতে পারি কিন্তু ইচ্ছে হচ্ছে না । কেননা আওয়ামীলীগে প্রকৃত নেতা/কর্মীদের মূল্যায়ন হয় না । অতীতেও হয়নি এখনও হচ্ছে না ভবিষ্যৎ বলে যদি কিছু থাকে সেখানেও হবে না। ইতিহাসের ভুত বারবার ফিরে আসে ।

সুসময়ের মাছিদের ভিড় সোহেল তাজ সহ্য করেননি সরে গেছেন আর সৈয়দ আশরাফ থেকে গেলেও নীরব হয়ে গিয়েছিলেন । তার নীরবতাই ছিল তার প্রতিবাদ । তার দিনের পর দিন নিরব থাকাই বলে দেয় গণতন্ত্র রক্ষায় আওয়ামীলীগের অবস্থান আজ কোথায় ? এই সুসময়ের মাছিদের ভিড়ে গণতন্ত্রের মানস কন্যা আজ জনগণের হৃদয় থেকে অনেক অনেক দূরে সরে গেছেন । তারা শুধু একটি নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে সঠিক নির্বাচন হলে আওয়ামীলীগ ঠিকই জবাব পাবে । আওয়ামীলীগের কর্মীরাই দেবে সে জবাব । আপনার নীরবতা নিষ্ক্রিয়তাই প্রমাণ করে দেয় বাংলাদেশে আজ গনতন্ত্রের অবস্হান কোথায় ?

ভাল মানুষ সৈয়দ আশরাফ আপনি দু:খ করবেন না । আপনার পিতার প্রতি দেশের সাধারণ মানুষের যে সম্মান, সে শ্রদ্ধা তা বোধ হয় আপনিও অর্জন করতে চলেছেন । আপনার কষ্ট পাওয়ার, দু:খ পাওয়ার কিছু নেই । যারা পেছনে কলকাঠি নাড়ছে তাদের তাদের একদিন খুঁজেও পাওয়া যাবে না । আপনি কিন্তু ঠিকই থাকবেন সাধারণ কর্মীদের প্রিয় আশরাফ ভাই হয়ে । দলের হাল ধরার জন্য । কেননা আপনার সুইজ ব্যাংকে একাউন্টও নাই আবার বিশাল সম্পদও নাই । আপনার আছে সুনাম সেটা পেয়েছেন পিতার কাছ থেকে সেটা কেউ আপনার কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারবে না ।

পরিশেষে আমার পরিবারের উদ্দেশ্য একটি ছড়া বলি ..

ধরা যাবে না / ছোঁয়া যাবে না
বলা যাবে না কথা / রক্ত দিয়ে পেলাম শালার আজব স্বাধীনতা

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:২০

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সদ্য দপ্তর হারানো মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে সংসদ উপনেতা বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী করা হতে পারে। ঈদের পর তাঁকে এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হতে পারে জোর গুঞ্জন চলছে। আর ঈদের পর সৈয়দ আশরাফকে নিয়ে সৃষ্ট সঙ্কটের সুন্দর সমাধান হবে। এমনটাই জানিয়েছেন দলটির নীতি-নির্ধারক পর্যায়ের কয়েকজন নেতৃবৃন্দ।

তবে কি হেরে গেল
দুষ্ট ছানার দল ?
পায়ে তোদের লেগেছে মল
চোখ কেন ছল ছল ছল ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.