নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে \"আমার কবিতা নামে\" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন

আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপহরণ - সাখাওয়াত বাবনে\'র কল্পকাহিনী (৩য় পর্ব)

১৪ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:১২



তিন

চোখ খুলে তাকাতেই ঘরের ভেতর মনুষ্যাকৃতি কয়েকটি আবছায়া দেখতে পেলাম । অপারেশন টেবিলে গোল হয়ে দাড়িয়ে থাকা চিকিৎসকদের মতো তারা ও আমার চারপাশে গোল হয়ে দাড়িয়ে আছে । আমি সিলিং এর দিকে মুখ করে শুয়ে আছি । হাত,পা,অসাড় হয়ে আছে । শরীরের কোন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নাড়াতে পারছি না । শরীর বলে কিছু যে একটা আছে সেটাই অনুভব করছি না । মনে হচ্ছে, শুধুমাত্র মস্তিষ্ক নিয়েই আমার জন্ম । শরীর টরির সব শুধুই কল্পনা । ছোট বেলায় খেলতে গিয়ে ব্যথা পাবার কারণে ডান পায়ের হাঁটুতে একটা অপারেশন হয়েছিলো । কেন জানি আজ এতোগুলো বছর পর সেই স্মৃতিটা ফিরে এসেছে । অপারেশনের আগে মেরুদণ্ডের পেছনে ইনজেকশন দিয়ে শরীরের নিচের অংশটা অবশ করে ফেলার হয়েছিলো। এ মুর্হূতে সেরকম একটা অনুভূতি হচ্ছে । মনে হচ্ছে, এরাও ইনজেকশন দিয়ে মস্তিস্ক থেকে শরীরটা আলাদা করে ফেলেছে । শরীর বলে কিছুই নেই আমার।

শারীরিক অনুভূতি না থাকলেও অল্প সময়ের মধ্যেই মস্তিষ্ক পুরো মাত্রায় সচল হয়ে উঠলো। কয়েক মুহূর্ত মধ্যে বুঝতে পারলাম আমার শরীর নিয়ে আবছায়াগুলো কিছু একটা করছে । তাকিয়ে থাকা ছাড়া আপাততো আর কিছু নেই । আমি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে আবছায়াগুলোকে দেখতে লাগলাম, কিন্তু পরিষ্কার কিছু দেখা যাচ্ছে না । ঘরের ভেতর ধোয়াটে এক পরিবেশ বিরাজ করছে । লম্বাটে মুখা আকৃতির অবয়বগুলো তাদের সরু সরু হাতগুলো দিয়ে খুব দ্রুত আমার শরীর নিয়ে কিছু একটা করছে । মাঝে মাঝে নিজেদের মধ্যে অদ্ভূত ভাষায় কথা বলছে । তাদের সেসব কথার বিন্দু বিসর্গ কিছু বুঝতে পারছি না । একাগ্র চিত্তে তারা এতোটাই ব্যস্ত যে, একটিবারের জন্যও আমার মুখের দিকে তাকাচ্ছে না । আমি গলা খাকাড়ি দিয়ে, কথা বলতে চেষ্টা করেও তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারলাম না ।

অগ্যতা আবার ছোট বেলার স্মৃতিতে ফিরে গেলাম । মনে মনে ভাবতে লাগলাম, এদের অপারেশন শেষ হলে, ঘন্টাখানেকের মধ্যে হয়তো ছোটবেলার মতো অপারেশনের পরের যন্ত্রনাটা ফিরে আসবে। এতোগুলো বছর পরেও ছোট বেলার সেই ব্যথাটা অনুভব করতে পারলাম । বাবাকে দেখলাম, আমাকে কোলে করে ডাক্তারের কাছে দৌড়ে যাচ্ছেন । তার শরীরের উষ্ণতা , ঘ্রাণ এসে নাগে লাগলো । অস্পষ্ট স্বরে বাবা বাবা বলে ডেকে উঠলাম । ছোট বেলায় যারা আমার অপারেশন করেছিলেন তাদেরকেও স্পস্ট দেখতে পাচ্ছি । পুরো ঘটনাটা এতো নিখুঁত ভাবে ফিরে এলো যে,সত্যি সত্যি মনে হতে লাগলো আমার বয়স কমে গেছে । আমি যেন আবার ফিরে গেছি আমার সেই ছোট বেলায় । পরিচিত পথ ঘাট,স্কুল বন্ধু বান্ধব একে একে সবাই ফিরে যেতে আসতে লাগলো। টের পাচ্ছি ধীরে ধীরে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। চেষ্টা করেও তাকিয়ে থাকতে পারছি না একসময় তলিয়ে গেলাম স্মৃতির অতলে ।

ঘুম ভাঙল ক্ষীণ একটা স্বরে ।
কেউ আমার নাম ধরে ডাকছে । চোখ খুলে কাউকে দেখতে পেলাম না । ঘরে আমি একা । চারপাশে তাকিয়ে বুঝলাম আমি এখনো সেই রুমটাতেই শুয়ে আছি ।
বিছানা থেকে উঠতে গিয়ে অনুভব করলাম,শরীরের কোন ভর বা ওজন নেই । সঙ্গে সঙ্গে গতরাতের ঘটনাটা মনে পড়ে গেলো । চমকে উঠলাম । তাহলে কি আমার হাত,পা কেটে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে । দ্রুত হাত পায়ের দিকে তাকিয়ে সেগুলো নেড়েচেড়ে দেখতে লাগলাম । না! সবকিছু ঠিক ঠাক আছে । কিছুই কেটে কুটে বাদ দেয়নি । ভর শূন্য শরীর নিয়ে ভেসে ভেসে জানালার কাছে চলে গিয়ে দাড়াতেই আলবার্ট আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্বটি মনে পরে গেলো । ভদ্রলোক অনুমান করেছিলেন, শূন্যে আলোর গতির ভর শূন্য হয়ে যায় । আলোর গতিতে ছুটতে চাইলে সবার প্রথম শরীরকে ভর শূন্য করতে হবে । কারণ আলোর কোন ভর নেই ।

তাহলে কি এই স্পেস ক্রাফট বা মহাকাশযানটি আলোর গতিতে ছুটে চলেছে ? কিন্তু সেটা কি করে সম্ভব ? আলোর গতি হচ্ছে , সেকেন্ডে ৩০০০০০ কি.মি । এই গতিতে চললে যে কোন মহাকাশযান পুড়ে ভস্ম হয়ে যাবার কথা । নিশ্চয় এটির গতি অনেক কম হবে। বড় জোড় ২০০০০ কিলোমিটার হলেও হতে পারে। কিন্তু তবুও মনের ভেতর কেন যেন খচখচ করতে লাগলো । বিষয়টা নিশ্চিত হবার জন্য জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে ও সেরকম কিছু বুঝতে পারলাম না । উল্টো মনে হলো কোটি কোটি ঝিকিমিকি ঝিকিমিকি আলোক বিন্দুর মাঝ দিয়ে খুব ধীর গতিতে এগিয়ে চলেছে স্পেসক্রাফ'টি । নানান চিন্তা মাথার ভেতর এসে ভিড় জমাচ্ছে । ঠিক সে সময় নারী কণ্ঠে কেউ ডেকে উঠলো, চার্লি ? হঠাৎ আরো মুখে নিজের নাম শুনে এতোটাই চমকে উঠলাম যে তড়িঘড়ি করে পেছনে তাকাতে গিয়ে হাত,পা সমেত উল্টে গিয়ে দেয়ালের সাথে বারি খেলাম । নিজেকে সামলে নিয়ে পেছন ফিযে কাউকে দেখতে পেলাম না । একবার মনে হলো, হয়তো ভুল শুনেছি । পেছন ফিরে জানালার দেয়াল ঘেঁষে দাড়িয়ে রইলাম । মনে প্রাণে চাইছি আবার যেন কণ্ঠস্বরটি শুনতে পাই । আহা ! কতোদিন করো কণ্ঠস্বর শুনি না ।

অনেকটা সময় অতিবাহিত হবার পর, আমি চিৎকার করে ডেকে উঠলাম, কে ? কে তুমি ? আমাকে ডাকছো কেন ?
সাথে সাথে খুব মৃদু কণ্ঠে উত্তর এলো, চার্লি , আমি এলিস । এই স্পেস ক্রাফটের ২২০১ তম ক্যাপ্টেন । স্পেসক্রাফট T90B12 D তে তোমাকে স্বাগতম ।
এটা স্পেসক্রাফট বা নভোযান সেটা তো আগেই বুঝতে পেরেছি , কিন্তু ২২০১ তম ক্যাপ্টেন কথাটা শুনে আমি হেসে ফেললাম । কেননা বিজ্ঞানী না হলেও একটা মহাকাশযানের আয়ুষ্কাল নিয়ে আমার মোটামুটি ধারনা আছে । আর সেটা কোন অবস্থাতেই দুই হাজার বছর হতে পারে না । তার আবার ২২০১ তম ক্যাপ্টেন ।
হাসতে হাসতে বললাম, এলিস আমার সাথে মজা করো না । দেখো আমি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত । এ অবস্থায় তোমার এই রসিকতা নিতে পারছি না । তুমি যতোতম ক্যাপ্টেনই হও না কেন, তাতে আমার কিচ্ছে যায় আসে না । আমাকে কেন নিয়ে এসেছ সে প্রশ্নের জবাব দাও ? তা না হলে, আমি পৃথিবীতে ফিরে তোমাদের বিরুদ্ধে মামলা করবো ।
আবার নীরবতা নেমে এলো । এলিস কোন উত্তর দিলো না ।
আমি চিৎকার করে উঠলাম, হ্যালো, শুনতে পাচ্ছ আমার কথা ? জবাব দাও আমার প্রশ্নের ।
এবার নারী কণ্ঠে শুনা গেল, চার্লি তুমি কতোটা নিশ্চিত ?
কোন ব্যাপারে নিশ্চিতের কথা বলছ ?
এই যে বললে পৃথিবীতে ফিরে যাবার কথা । এ ব্যাপারে তুমি কতোটা নিশ্চিত ?
আমি দাতে দাঁত চেপে বললাম, তার আগে আমার প্রশ্নের জবাব দাও, আমাকে কেন নিয়ে এসেছ ? কোথায় নিয়ে যাচ্ছ ?
এলিসের কণ্ঠস্বরে কোন পরিবর্তন দেখা গেলো না , সে আগের মতোই সুমিষ্ট স্বরে বলল, একটু জানালার কাছে যাবে প্লিজ ।
কেন ?
আহা দাড়াও না । তারপর বলছি ।
আমাদের পুরুষদের সব চেয়ে বড় দোষ হচ্ছে,আমরা নারী দেখলেই গলে একেবারে ত্যানা ত্যানা যাই । তাদের কোন কথা অগ্রাহ্য করতে পারি না ।
অনিচ্ছা সত্ত্বেও জানালার কাছে গিয়ে বললাম, কি ? বলো এবার ।
বাহিরে তাকাও ।
আমি জানালা দিয়ে বাহিরে তাকালাম। বরাবরের মতো তারকারাজি'তে ঝলমল করেছে অন্ধকার আকাশ । নতুন কিছু চোখে পড়লো না । শুধু মনে হলো, মহাকাশযানটি আর চলছে না এক জায়গায় স্থির হয়ে আছে । আমি বললাম, কি দেখতে বলছ ?
সঙ্গে সঙ্গে জানালার গ্লাসের মধ্যে একটু পরিবর্তন এলো । মনে হলো রং টা পরিবর্তন হয়ে গেছে ।
এলিস বলল, এবার বাহিরে তাকাও ।
আমি আবার বাহিরে তাকালাম । খুব কাছে আলো জ্বলমলে উজ্বল বর্ণের গোলাকার একটি ছায়াপথ দেখা যাচ্ছে । এতোটা কাছ যে মনে আর মাত্র কয়েক মাইল গেলেই ছুয়ে ফেলতে পারবো পৃথিবী থেকে ২.৫ মিলিয়ন দূরে অবস্থিত ছায়াপথটিকে। হাজার হাজার লাখ লাখ পাথর হিরা, জহরত মনি মাণিক্য বুকে নিয়েরাতের আকাশ আলোকিত করে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। নিজের অজান্তে মুখ দিয়ে বিস্ময়সূচক শব্দ বের হয়ে এলো ।
তুমি এখন যে ছায়াপথ বা গ্যালাক্সিটি দেখতে পাচ্ছ সেটির নাম হলো, অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি । এটির দূরত্ব এখনো ৩০০ লাইট ইয়ার । আমাদের গন্তব্য ওখানে । অ্যান্ড্রোমিডা হল আমাদের মিল্কি ওয়ে ছায়াপথের সবচেয়ে নিকটবর্তী প্রধান ছায়াপথ। এই ছায়াপথটির নাম পৌরাণিক রাজকুমারী এন্ড্রোমিডার নাম অনুসারে রাখা হয়েছিলো। তুমি কি জানো , রাজকুমারী এনড্রোমিডা কে ছিলেন ? তুমি যদি গ্রিক পৌরাণিক কাহিনী পড় তাহলে রাজকুমারী অ্যান্ড্রোমিডা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবে । অবশ্য তুমি শুনতে চাইলে আমি এখনো তার সম্পর্কে তোমাকে অবহিত করতে পারি ।
আমি মাথা নেড়ে না করে বললাম, তুমি গ্যালাক্সি নিয়ে কি বলছিলে সেটা আগে বলো ।
এলিস একটু থেমে আমার বলতে শুরু করলো, অ্যান্ড্রোমিডা ছায়াপথ হচ্ছে, স্থানীয় ছায়াপথ গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ছায়াপথ । যার প্রতিবেশী হিসেবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মিল্কি ওয়ে, ট্রায়ান্গুলাম গ্যালাক্সি বা ছায়াপথসহ আরো অনেক ছোট বড় ছায়াপথ । অনেক দিন থেকে ই ধারনা করা হচ্ছে, অ্যান্ড্রোমিডায় এমন বেশ কিছু গ্রহের অবস্থান করছে যেগুলোর মধ্যে পরিষ্কার ভাবে প্রাণে থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে ।
প্রায় ৭০০ বছর আগে এখান থেকে পাঠানো একটি রেডিও সিগনালের সূত্র ধরে গবেষনা শুরু হয়েছিলো । আমরা এখন তার খুব নিকটে পৌছে গেছি । যে রেডিও সিগনালটি পাওয়া গিয়েছিলো সেটির ব্যাপ্তি ছিলো প্রায় তিন মিনিট । তা বিশ্লেষণ করে এমন কিছু আলামত পাওয়া গিয়েছে যাতে প্রমাণিত হয় এখানে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছ । এবং তারা ও আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে আগ্রহী । আমাদের এ মিশনের মূল উদ্দেশ্যে হচ্ছে তাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে সেসব তথ্য ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা ।
এক নাগারে কথাগুলো বলে এলিস নিশ্চুপ হয়েগেলে । জানালার কাচে স্থাপন করা টেলিস্কপের মোটা কাচ দিয়ে অ্যান্ড্রোমিডা লাখ লাখ উজ্বল নক্ষত্রগুলোর দিকে তাকিয়ে আমার ভেতটা ক্যামন করে উঠলো । মনে হলো অসংখ্য প্রাণ উগ্রিব হয়ে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে । কিন্তু সে অপেক্ষার মধ্যে কোন নমনিয়তা বা কোমলতা নেই আছে হিংস্রতা ।
আমি আপন মনে বলে উঠলাম, এলিস ! আমার ভয় করছে । হয়তো আমরা আমরা কোন বিপদে পড়তে যাচ্ছি ।
প্রতিউত্তরে এলিস একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো, ভয় নেই , আমরা ইতিমধ্যে সব ভয় অতিক্রম করে এসেছি । তুমি খুব ভাল করে আন্ড্রোমিডাকে পর্যবেক্ষণ করো । তোমার অনুভূতিগুলো আমাকে জানাও । মনে রাখবে তোমার প্রতিটি ভাবনা আমাদের এ মিশনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ । হোক সে যতো ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কিংবা হাস্যকর ।
বোঝা যাচ্ছে কোন এক অজানা কারণে, আমি এ মিশনের অতি গুরুত্বপূর্ণ একজন । গুরুত্ব বেড়ে গেলে চিন্তা ভাবনার মধ্যেও পরিপক্বতা চলে আছে । তখন ধীরে সুস্থে, মেপে মেপে পা ফেলতে হয় । অনেকক্ষণ এলোমেলো ভাবনার পরে আমি বললাম, পৃথিবী থেকে অ্যান্ড্রোমিডা দূরত্ব কত বললে ?
সঙ্গে সঙ্গে এলিস উত্তর দিলো, পৃথিবী থেকে এন্ড্রোমিডা দূরত্ব প্রায় ২.৫৩৭ মিলিয়ন লাইট ইয়ার বা 2.5 মিলিয়ন আলোকবর্ষ (770 কিলোপারসেস ) ।
আমি অবাক হয়ে বললাম, বলো কি ? এতোটা পথ অতিক্রম করে কি মানুষের পক্ষে সম্ভব ?
ঠিক তখনি এলিস ভয়ংকর তথ্যটা দিলো, আমরা ইতিমধ্যে ২.৩৫৭ লাইট ইয়ার পথ অতিক্রম করে এসেছি । বাকি পথটা অতিক্রম করবো চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণের পর। ইতিমধ্যে আমরাও আমাদের এই মহাকাশযান থেকেও অনেকগুলো পরিষ্কার রেডিও সিগনাল পেয়েছি । যেগুলো আসছে, অ্যান্ড্রোমিডা হতে । কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবো তোমার পর্যবেক্ষণ রিপোর্টের পর । তোমার সিদ্ধান্ত ই হবে আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ।
আমি অবাক হয়ে প্রশ্ন করলাম , আমার ? আমার সিদ্ধান্ত ?
এলিস , খুব মৃদু স্বরে বলল, হ্যাঁ , তোমার সিদ্ধান্ত ।

চলবে ..........।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এই গল্পটা কত পর্বে হবে?

১৪ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪৪

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: কেন ভাই বিরক্তি লাগছে ? পর্বগুলো ছোট ছোট । তাই আশা করি ১০ পর্বে শেষ হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ ।

২| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৫১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: না না বিরক্তি লাগবে কেন?

১৫ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৩০

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন:

৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৪১

জুল ভার্ন বলেছেন: গল্প সাবলীল গতিতে এগুচ্ছে। ভালো লাগলো।

১৫ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:১৪

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: পুরাটা পরলাম

১৫ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:১৪

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: শুকরিয়া ভাই

৫| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:০৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ভালো লাগলো।

১৫ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:১৪

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ

৬| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি নিশ্চয়ই সাউথ ইন্ডিয়ান মুভির ভক্ত?

১৫ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:১৫

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: এই কথা ক্যান বললেন ভাই?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.