নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।
এক সময় ব্রিটিশরা বিশ্ব শাসন করেছে । বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের অবসান ঘটিয়ে সেখানে তাদের শাসন কায়েম করা ছিলো অনেক চ্যালেঞ্জের ব্যাপার । এ ক্ষেত্রে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিলো মুসলিম শাসক নয় ফরাসীরা । সেই কাজটাই অত্যন্ত নিপুণ দক্ষতার সঙ্গে করেছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হর্তাকর্তারা । আর এ কাজে তাদের সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে , ভারতীয় উপমহাদেশে বসবাস করা হিন্দু পূজারী ও বণিক শ্রেণী । মুসলিমরা যখন, নিজেদের অস্তীরের জন্য ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়ছিল হিন্দুরা তখন ইংরেজদের সান্নিধ্য লাভে সচেষ্ট ছিল । সাধারণ হিন্দুরা কিন্তু এসব চক্রান্ত থেকে দূরে ছিলো । বিনিময়ে তাদের প্রত্যাশা ছিলো, ইংরেজ প্রভুদের করুণা, দয়া,দাক্ষিণ্য ও সুদৃষ্টি । এখানে, কথা প্রসঙ্গে বলি, "দুর্গা পূজার সূচনা কিন্তু তখন থেকেই শুরু । " নিজেদের পাপ কাজে সাধারণ হিন্দুদে'র সম্পৃক্ত করাই ছিলো দুর্গা পূজা আয়োজন করার মূল উদ্দেশ্য । ধর্মের নামে সব চলে । এটা পূজারী ও ইংরেজ প্রভুরা খুব ভাল করে জানতেন ।
ভারতীয় উপমহাদেশে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এতোটা সাফল্য তৎকালীন ইংল্যান্ডের ক্ষমতায় থাকা রাজা,রাণী বা শাসন ক্ষমতায় থাকা কর্তারা আশা করেনি । কিন্তু ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে লুটতরাজের ফলে সম্পদে পাহাড় দেখে তাদের লোভ বেড়ে যায় । ধীরে ধীরে ইংল্যান্ডের রাজনীতিতে ভারতীয় উপমহাদেশে শাসন টিকিয়ে রাখা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে । এর ফলে ইংল্যান্ডের জৌলুস বেড়ে যায় । ভারতীয় উপমহাদেশে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে বাণিজ্য করার অনুমতি দেওয়ার কারণে, ইংল্যান্ডের শাসন ব্যবস্থায় রাণীর গুরুত্ব বৃদ্ধি পায় । রাণীর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ রানীর মুকুটে উঠে আসে, ভারত থেকে লুট করে নিয়ে যাওয়া মুসলিমদের সর্ম্পদ মহামূল্যবান হিরা কহিনুর ।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কিন্তু কোন রাজনৈতিক দল ছিলো না । সেটি ছিলো, ব্রিটিশ ব্যবসায়ী কর্তৃক পরিচালিত একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মাত্র । ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতীয় উপমহাদেশে বাণিজ্য করার জন্য ষোড়শ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত একটি জয়েন্ট-স্টক কোম্পানির নাম । যার সরকারি নাম "ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি"।
ইংল্যান্ডের তৎকালীন রাণী প্রথম এলিজাবেথ এই কোম্পানিকে ভারতীয় উপমহাদেশে বাণিজ্য করার রাজকীয় সনদ বা অনুমতি প্রদান করেছিলেন ১৬০০ সালের ৩১ ডিসেম্বর। যারা আন্ত:জাতিক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলো । যাদের মূল কাজ ছিলো, অন্যান্য দেশ থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য এনে ইংল্যান্ডে বিক্রি করা । অর্থাৎ এক কথায় সাপলাইয়ার ।
( লুট করা কহিনূর শোভা পাচ্ছে রাণীর মুকুটে । )
কিন্তু ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যবসা করার অনুমতি পেয়ে, মুসলিম শাসকদের উদারতা,দুর্বলতা, মুসলিম ও হিন্দুদের কর্মচারীদের বিশ্বাস ঘাতকতার ফলে , ভারতীয় উপমহাদেশকে তারা দু'শো বছর গোলাম বানিয়ে ফেলতে স্বক্ষম হয় ।
এতো কিছুর পর কিন্তু ইংল্যান্ড এই উপমহাদেশকে তারা নিজেদের সাথে অন্ত:ভুক্ত করেনি । তার কারণ ছিলো , গোলাম'দের কখনো তারা নিজেদের জাতে উঠতে দিতে চায়'নি । তাই যতো দিন পেড়েছে, শাসন করে শুষে খেয়ে । এক প্রকার বিনা রক্ত পাতে ছেড়ে দিয়ে চলে গেছে ।
দিনে দিনে পানি অনেক, গড়িয়েছে । গোলামেরা ইংল্যান্ডে পাড়ি দিয়েছে। ফুট,ফরমাশ খেটে, খুটে অড জব করে । নিজেদের কমিউনিটিতে ছেলে, মেয়ে জন্ম দিয়ে সে দেশে স্থায়ী হয়েছে ।
জেনারেশনের পর জেনারেশনে ইংরেজদের মধ্যে অনেক পরিবর্তন এসেছে । ধীরে ধীরে সেই গোলামেরা নিজেদের যোগ্যতা , মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে ইংল্যান্ডের মূল রাজনীতিতে ঢুকে পরেছে । বৈষম্য কিন্তু মরে যায়নি এখনো আছে ।
এই গোলাম বলতে কিন্তু শুধু ভারতীয় উপমহাদেশ নয় এশিয়া, আফ্রিকা , মধ্যপ্রাচ্য অর্থাৎ যেখানে যেখানে ইংরেজদের শাসন ব্যবস্থা কায়েম ছিলো সেখানকার নেটিভদেরকেই বুঝানো হতো ।
এবার সেই গোলামেরা বসেছে ইংল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর পদে । যার পিতা শুনেছি, জন্মেছেন কেনিয়ায়, মা ছিলেন নাকি পাকিস্তানী । কিন্তু উনি আবার নামে ঋষি । দেখা যাক গোলামদের শাসন ইংল্যান্ডে কতদিন টিকে । কিংবা গোলামদের শাসনে প্রভুদের প্রতিক্রিয়া ক্যামন হয় ।
সাখাওয়াত বাবনে'র ব্লগাংশ
২৫।১০।২২
২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩৭
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: তা তো অবশ্যই । আমাকে ভাই ডাকবে সেটা আপনি কল্পনাতেও কল্পনা করি না । উনি ভাই ডাকবেন মোদীকে । ইতিমধ্যে গরু পুজার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে দাদা
২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩৭
নতুন বলেছেন: উহা ( ঋষি সুনাক ) জন্মগতভাবে বৃটিশ; উহা আপনাকে ভাই ডাকবে না, বরিস জনসনকে ভাই ডাকবে।
এরা জাতে বৃটিশ, এরা নিজেদের ভারতীয় মনে করে মোদির সাথে কোলাকলির জন্য ঝাপিয়ে পড়বেনা।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৫৪
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আপনার সাথে সহমত । জুতার তলা চেটে বলবে, মধুর চেয়েও মিষ্টি
৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৪৩
সোনাগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, " ইতিমধ্যে গরু পুজার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে দাদা "।
-পশ্চিমে সবাই স্বাধীনভাবে নিজের ধর্ম পালন করতে পারে; ইরান, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে অন্য ধর্ম পালন করা অসম্ভব।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৫৩
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: কোন দেশে বসবাস না করলে শুধু মাত্র শোনা কথায় সেই দেশ সর্ম্পকে ধারণা সঠিক ধারণা পাওয়া যায় না । পাকিস্তানের হিন্দু সর্ম্পকে যা বলা হয় তার অধিকাংশ ই মোদী সমর্থকদের প্রোপাগান্ডা । যেমনটা বাংলাদেশের হিন্দুদের সর্ম্পকে প্রচার করা হয় । তবে আমার এসব নিয়ে মাথা ব্যথা নেই । আমি রাণি প্রথম এলিজাবেদ কে দেখি মুগ্ধ হয়ে আছি , কি সুন্দর ছিলেন তাই না ?
৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:০৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ব্লগার সোনাগাজী বলেছেন : ঋষি সুনাক জন্মগতভাবে বৃটিশ; উহা আপনাকে ভাই ডাকবে না, বরিস জনসনকে ভাই ডাকবে।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:২৮
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: প্রভূকে ভাই ডাকতে পারা তো ভাগ্যের ব্যাপার
৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: উপমহাদেশে জন্ম মানেই কি গোলাম? ঋষি সুনাক জন্মগতভাবে বৃটিশ। পড়ালেখা রাজনীতি সব ওখানেই। ব্রিটিশরা ওনার যোগ্যতার কারণেই ওনাকে পছন্দ করেছে।
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানে কি এমন উদার রাজনীতি পাবেন? এসব দেশে তো নিজের ধর্মের বাইরের লোকদেরই ক্ষমতা দিতে চায় না।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:২৭
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: মানবতার শক্র যদি মানবতার বন্ধু হয়ে উঠে তাহলে বুঝতে হবে, "ডাল মে, কুচ কালা হ্যাঁয় । " মুখে যাই বলুন না কেন , আপনার বাড়ির কাজের লোকের কাছে কিংবা তার বংশধরদের কারো কাছে, আপনি কখনো,মেয়ে, বোন কিংবা নিকট আত্মীয়ের বিয়ে দেবন না । এটা বাস্তবতা ।
৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: বৃটিশরা এখন নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার হাতিয়ার হিসেবে মার্কিনীদের তাবেদারী করাকেই বেছে নিয়েছে।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৩
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সেটা তো আছেই । রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের পর ইংল্যান্ড থেকে দলে দলে ধনী ব্রিটিশরা স্থায়ী ভাবে বসবাসের জন্য পাড়ি জমাচ্ছে আমেরিকায় । তবে বিষয় সেটা নয় , কথা হচ্ছে, গোলামদের শাসনে প্রভুদের প্রতিক্রিয়া কি হবে ?
৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ঋষি সুনাককে কথিত পাকিস্তানী পরিচয় দিতে লজ্জা লাগলো না?
ঋষি সুনাক জন্মগতভাবে বৃটিশ হলেও তার বাবা মা ভারতীয়। ভারত থেকে কেনিয়ায় যায়, পরে সেখান থেকে ইংল্যান্ডে গিয়েছে। পড়ালেখা রাজনীতি সব ওখানে হলেও উনি মনে প্রানে ভারতীয় হিন্দু। বিয়ে করেছেন ভারতে।
ঋষির শ্বশুর একজন ইন্ডিয়ান বিলিয়নিয়ার। সুনাকের পরিবারে ইন্ডিয়ান (হিন্দু) কালচার পালন করা হয়, রিসেন্ট দেওয়ালী পালন করেছেন। এবং তার মেয়েদের নাম ভারতীয় স্টাইলে রেখেছেন।
শুধু ব্রিটেনেই না, ভারতীয়রা আমেরিকার রাজনীতিতেও অবদান রেখেছে।
আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্টও একজন ভারতীয় বংশ। উনিও মনে প্রানে ভারতীয় হিন্দু।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৪৮
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আপনি যেমন পড়ে এই তথ্যগুলো দিলেন , আমি সেই রকম পড়েই লিখেছি । হুট এর মধ্যে করে লজ্জা ঢুকালেন কেন ? সেটা তো আপনার মতো নারীদের ভূষণ । থুক্কু , আপনি তো আবার পুরুষ । সরি , ভুল করে ফেলেছি ।
আচ্ছা বলুন তো দেখি , ঋষি সুনাকের দাদা ও নানার নাম কি ?
৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৫০
মোগল বলেছেন: সাদা চামড়ার দল আস্তে আস্তে দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে, এদের ব্যবসা চাইনিজরা নিয়ে যাচ্ছে আর চাকুরি ভারতীয়রা নিয়ে যাচ্ছে।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:১০
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: লুটের সম্পদ শেষ । কহিনুর বিক্রি করলে কেনার চেষ্টা করবো । খোজ রাইখেন ভাই
৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: বিট্রিশ রা এই উপমহাদেশে ভালো কি কিছুই করে নাই?
২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৫
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: খুব ভাল বলেছেন
১০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:২৪
সোনাগাজী বলেছেন:
পশ্চিমে কিছুদিন না'থাকলে, পশ্চিম সম্পর্কে ও তাদের সংস্কৃতিকে বুঝা কষ্টকর।
১১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: বিবিসির খবরে দেখলাম এই নতুন প্রধান্মন্ত্রীর স্ত্রীর ট্যক্স ফাকি দেয়ার ইনভেস্টিগেশন চলছিল। কতদিন গদি টিকে তাই দেখেন !!
২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫৮
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: হুম সেটাই দেখার অপেক্ষায় আছি
১২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪০
পুকু বলেছেন: দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আবশ্যক।ঘিলুতে নানাবিধ সমস্যা।আপনার লেখায় তারই বহিঃপ্রকাশ।ঘড়পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়।মধ্যযুগীয় ঢিন্তাভাবনা নিয়ে বর্তমান বিশ্বরাজনীতির বিশ্লেষণ না করাই ভাল।আমার ব্যক্তিগত মতামত।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫৯
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ও লে বাবা এ তো দেখি মত্ত ব্লগার, ইংরেজ চলে গেলে ও গোলাম রেখে গেছে
১৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩৭
বিটপি বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী আবারো ফাউল তথ্য দিয়ে ফেঁসে গেছে।
মনগড়া তথ্যঃ আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্টও একজন ভারতীয় বংশ। উনিও মনে প্রানে ভারতীয় হিন্দু।
আসল তথ্যঃ আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট তার বাবাকে কখনও দেখেননি। জন্মের পরের তার বাবার সঙ্গে মায়ের ডিভোর্স হয়ে যায়। সারাজীবন ভারতীয় হিন্দু মায়ের আশ্রয়ে থেকেও তিনি নিজেকে ভারতীয় বা হিন্দু কোন পরিচয়ই দেননা। উপরন্তু তিনি একজন ব্ল্যাক আমেরিকান ব্যাপ্টিস্ট হিসেবে পরিচয় দিতে ভালোবাসেন। সে কারণেই ভারত ঘেঁষা রিপাবলিকানের পরিবর্তে তিনি রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের জন্য ডেমোক্রেট দলকে বেছে নিয়েছেন। উইকিপিডিয়া তার পরিচয় নিশ্চিত করেছে ব্ল্যাক ব্যাপ্টিস্ট হিসেবে।
মনগড়া তথ্য ২ঃ ঋষি সুনাক জন্মগতভাবে বৃটিশ হলেও তার বাবা মা ভারতীয়। ভারত থেকে কেনিয়ায় যায়, পরে সেখান থেকে ইংল্যান্ডে গিয়েছে।
আসল তথ্যঃ ঋষি সুনাকের পরিবার তিন প্রজন্ম ধরেই ভারতের বাইরে বসবাস করে। তার দাদা-দাদী দেশ স্বাধীন হওয়ার অনেক আগেই বর্তমান পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গুজরানওয়ালা থেকে পূর্ব আফ্রিকায় পালিয়ে গিয়েছিলেন। তার বাবার জন্ম কেনিয়ার নাইরোবিতে। অনেক বছর বাদে তারা যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন শহরে এসে বসবাস করতে থাকেন। উনিশশো আশি সালে জন্ম হয় ঋষি সুনাকের। তিনি সাউদাম্পটনেই বড় হয়েছেন। ব্রিটেনের সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা ধারণা আছে যে ঋষি সুনাক খুবই ধনী। সেজন্যই আম জনতার সঙ্গে তার একটা দূরত্বও রয়েছে।
গুগল করলে এই তথ্যগুলো পাওয়া খুব একটা কঠিন নয়। তারপরেও হাসান কালবোইশাখীর গলাবাজি দেখলে মনে হয় চলন্ত বিশ্বকোষ - তার চাপাবাজি কেউ ধরতে পারবেনা!
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩৩
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার বুঝার মাঝে তেজপাতা আছে, উহা ( ঋষি সুনাক ) জন্মগতভাবে বৃটিশ; উহা আপনাকে ভাই ডাকবে না, বরিস জনসনকে ভাই ডাকবে।