নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন হত্যাকাণ্ডের বেশ কিছু দিন পার হয়ে গেছে । কিন্তু এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের জট খুলতে পারেনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী । তবে দুই সংস্থা যে তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সেটা মিডিয়ার কল্যাণে ইতি মধ্যে আমরা জানতে পারছি । দুটো সংস্থাই তাদের তদন্তের সর্ব শেষ অগ্রগতি খয়,খবর,ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে আমাদের সব কিছু জানবার সুযোগ করে দিয়েছে ।
ফারদিন হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ দেখে , খবরগুলো বিশ্লেষণ করে আমার একটি নিজস্ব একটি অবজারেভেশন জন্মেছে । সেটাই সকলের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য এই ব্লগটা লিখতে ইচ্ছে হলো ।
দুই প্রশ্ন মাথায় নিয়ে আমরা ফারদিন হত্যাকান্ড রহস্যের জটের পেছনে ছুটতে পারি -
"প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে, ফারদিন কে হত্যা করলো কারা ?
দ্বিতীয় প্রশ্ন হচ্ছে, ফারদিন কে কেন হত্যা করা হলো ? "
এ দুটি হচ্ছে যে কোন হত্যাকাণ্ডের প্রধান জিজ্ঞাসা । প্রশ্ন দুটির উত্তর পাওয়া গেলে । কোন হত্যাকাণ্ড সম্পর্কেই আর কোন প্রশ্ন থাকে না । সকল অংকের হিসের মিলে যায় পানির মতো ।
আমরা জানি আরেক মেধাবী ছাত্র আবরার হত্যাকাণ্ডের পর বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি এক প্রকার বন্ধ হয়ে গেছে । তাই এ হত্যাকাণ্ডটি যে ছাত্র রাজনৈতিক কারণে সংঘঠিত হয়েছে , সেটা খুব জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না । তবে একেবারে উড়িয়ে ও দেওয়া যাচ্ছে না । শুধু শুধু কোন কারণে ছাড়া তো আর একটি ছেলেকে হত্যা করা হবে না । যদি সাধারণ হত্যাকাণ্ড হতো তাহলে খুনিরা এতোদিনে ধরা পরে যেতো । কিন্তু খুনের ধরণ , নিরাপদে লাশ নদীতে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেওয়া দেখে মনে হচ্ছে, এর পেছনে এমন কোন চক্র রয়েছে তারা শুধু শক্তি শালী নয় ক্ষমতাবান ও । এবং চাইলে তারা যে কাউকে, যখন তখন খুন করে লাশ গায়েব করে দিতে পারে ।
র্যাবের ভাষ্য থেকে আমরা জেনেছি, ফারদিন ওইদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার বান্ধবির সাথে ধানমন্ডি,টিএসসি, রামপুরা,জনসন রোড, কেরানীগঞ্জ , গুলিস্তান , জুরাইন, যাত্রাবাড়ী হয়ে নারায়ণগঞ্জের চাঁনপারা পর্যন্ত গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ।
মোবাইলের ট্যাকিং সফটওয়ার ব্যবহার করে ফারদিনের মুভমেন্ট এর তথ্য জানা হয়েছে , তাই ফারদিন এ'র মুভমেন্ট সর্ম্পকে কারো মনে প্রশ্ন জাগার কথা নয় । তবে কেউ যদি, ফারদিনের মোবাইল সেটটি নিয়ে এসব জায়গায় ঘুরাঘুরি করে তাহলে সেটা ভিডিও বা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ছাড়া নিশ্চিত হওয়া যাবে না ।
"এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে,ফারদিনের মোবাইল ট্রাকিং করা গেলে ওই সময় ফারদিনের মোবাইলের
আশেপাশে থাকা মোবাইল গুলি কি ট্রাকিং করা যায় নাই? গেলে ই তো খুনিদের ধরা পরে যাবার কথা। "
কিন্তু সি সি ক্যামেরার ফুটেছে আমরা শুধু ফারদিনকে রামপুরা ও য়াত্রবাড়িতে হাটতে দেখেছি । এর মধ্যে রামপুরার ফুটেছে রিকশায় বসা ফারদিনকে চেনা গেলেও যাত্রবাড়ীর ফুটেজে শারীরিক গঠন দেখে বুঝা গেছে ওটা ফারদিন হতে পারে । তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, অন্য জায়গার ফুটেজগুলো নেই কেন ? র্যাবের তদন্ত আবার ডিবি পুলিশ ডিনাই করেছে , তাদের ভাষ্য ফারদিন চানপাড়ায় নিহত হয় নাই । কারণ তাকে যখন যাত্রাবাড়ীতে দেখা গেছে সেখান থেকে হত্যাকান্ড পর্যন্ত চানপাড়ায় পৌছানো সম্ভব নয় ।
আমার অবজারভেশন হচ্ছে, যে ছেলেটির আগামীকাল পরীক্ষা সে নিশ্চয় সারারাত ধরে অজানা,অচেনা জায়গায় অকারণে ঘুরাঘুরি করবে না । বান্ধবি'কে রামপুরা নামিয়ে দিয়ে আসার পর পর তার হলে চলে আসার কথা , কিন্তু তা না করে উনি গেলেন শহরের আরেক মাথা কেরানিগন্জে । যা ফারদিনের চরিত্রের সাথে একেবারে যায় না ।
আমার কাছে মনে হচ্ছে, "ফারদিনকে রামপুরা থেকেই কিডনাপ করা হয়ে ছিলো । এবং তারা তাকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্যই এখানে ওখানে ঘুরে বেড়িয়েছে, গাড়িতেই মারধর করেছে । এবং পরিশেষে খুন করার সুযোগ না পেয়ে অথবা ফারদিন তাদের সাথে যে কোন বিষয়ে এক মত হবার করণে তাকে জুরাইন হয়ে যাত্রাবাড়ি নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দিয়েছে । সে কারণেই ফারদিন'কে সিসি টিভি ফুটেজে রাত দুটোর সময় যাত্রাবাড়ীতে হাটতে দেখা গেছে ।
ফারদিন'কে ছেড়ে দেবার পর খুনিদের মনে সন্কা জাগে ফারদিন হয়তো ফিরে গিয়ে তাদের পরিচয় ফাঁস করে দিবে । সেই ভয়ে তাকে আবার গাড়িতে তুলে নিয়ে হত্যা করে নিবিঘ্নে লাশ নদীতে ।ফেলে দিয়েছে । এখান প্রশ্ন জাগে এরা কারা ? কারা ফারদিনকে তুলে নিয়ে গেলো ? তুলে নিয়েছে এটা আমার অনুমান । আর অনুমানটি করেছি , সেই কারণে, এখানে একটু ভাবার বিষয় আছে , "সাধারণ কোন ছাত্রের পক্ষে গভীর রাত্রিরে এভাবে শহর ময় ঘুরঘুর করা সম্ভব নয় । "
নিশ্চয় যারা তাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল তারা সকলের সন্দেহের উর্ধ্বে এবং শহরময় তারা ঘুরে বেড়ালেও তাদের কেই গ্রেফতার করবে না । প্রশ্ন হচ্ছে , এরা কারা ? এক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আর রাজনৈতিক ক্ষমতা ছাড়া অন্য কারো এমন ক্ষমতা নেই।
হয়তো বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোষাক ব্যবহার করে অন্যকেউ এমন কাজ করেছে । এমনটা তো ঢাকা শহরে অহরহ ঘটছে । তেমনটা না হলে বাকি রইলো রাজনৈতিক অপ শক্তি ?
কিন্তু ইডেন, বুয়েটের ঘটনায় তারা তো চাপে আছে , অহেতুক শূণ্য থেকে কোন খুন, খারাবির মধ্যে গিয়ে কেউ ই অহেতুক বির্তকিত হতে চাইবে না । তাহলে কি এমন কোন তৃতীয় পক্ষ রয়েছে যারা ফারদিনকে হত্যা করে নিবিঘ্নে লাশ নদীতে নিয়ে ফেলে দেবার মতো সাহস রাখে ? যদি তাই হয় তাহলে ধরে নিতে হবে, তাদের সকল ধরনের ক্ষমতাই রয়েছে ।
ফারদিন হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারাই রয়েছে, তারা যতো শক্তিশালী হোক না কেন, আশা করি তারা একদিন ধরা পরবে । কেউ আইনের উর্ধ্বধে নয় । এভাবে মেধাবী ছাত্রদের হত্যা করে জাতীকে মেধা শূন্য করে কেউ পার পেয়ে যেতে পারে না । ফারদিনের পিতা, মাতা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাবার ভাষা আমার নেই । তবে বিশ্বাস করি সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার একদিন হবে ।
২০ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩০
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: বিপদে গা বাচিয়ে চলার নাম আধুনিক বাঙ্গালী, খালি মাঠে বড় বড় কথা, আকাশে মেঘ দেখলে সেই ইস্যুতে আর ব্লগিং চলে না। নেতিয়ে থাকে।
মেয়ে বন্ধু নিয়ে ঘুরে বেড়ানো তো অপরাধ নয়। সে ভাল ছাত্র ছিলো নিশ্চিত পরিকল্পনা করেই পড়াশোনা করতো।
২| ২০ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪০
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি পরীক্ষার রাতে বা তার আগের দিন মেয়ে নিয়ে ঘুরার মতো ভালো ছাত্র ছিলেন?
২০ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৮
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: না, আমি পরীক্ষার তিন মাস আগে ঘায়েব হয়ে যেতাম। কেউ খুজে পেতো না।
কিন্তু এরা এ যুগের ছেলে মেয়ে এদের প্রসেসর, র্যাম আপনার, আমার সাথে মিলবে না। কিন্তু এটা অপরাধ নয়।
প্রশ্ন হচ্ছে,তাকে হত্যা করলো কারা? কেন হত্যা করলো?
৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫৮
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি বলেছেন, "প্রশ্ন হচ্ছে,তাকে হত্যা করলো কারা? কেন হত্যা করলো? "
-আপনার লেখা থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, সে অস্বাভাবিক জীবন যাপন করতো; বাকীটুকু কোন না কোনভাবে ইহার সাথেযুক্ত হতে পারে।
২১ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:২৩
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আমার লেখায় মোটেও বলা হয়নি উনি অস্বাভাবিক জীবন যাপন করতেন। আপনি লেখাটি পড়েন নাই, এখানে গোপন একটি ম্যাসেজ আছে। পড়লে বুঝতে পারতেন।
৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০০
শায়মা বলেছেন: কি যে কষ্ট লাগে।
আবরারের মৃত্যু কখনও মেনে নিতেই পারি না। এখন আবার এই ফারদিনের মৃত্যু। চেহারা দেখলেই বুঝা যায় সে কতখানি মেধাবী ছিলো।
২১ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:২৭
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ছেলেটার চেহারা দেখে মনে হয় না কোন মানুষ তাকে হত্যা করতে পারে,আল্লাহ তুমি ওকে ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতে নিও
৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:৩৯
সোনাগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন: ছেলেটার চেহারা দেখে মনে হয় না কোন মানুষ তাকে হত্যা করতে পারে,আল্লাহ তুমি ওকে ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতে নিও
-আল্লাহকে অনেক কাজ দিচ্ছ্বেন, উনি পারবে কিনা, সেটা তলিয়ে দেখেন।
২১ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৬
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: প্রিয় সোনাগাজী,
যার যার কবরের মাটি তার তার । আপনার কবরে যেমন অন্য কেউ যাবে না ঠিক তেমনি অন্যের ধর্ম ভাবনাও বা বিশ্বাসও আপনার না । আপনার এই জ্ঞানের কোন মূল্য নেই যদি না আপনি স্রষ্টার সৃষ্টি রহস্য বুঝতে না পারেন । তাই অন্যকে আঘাত করে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা জেন্টেলম্যান এটিটিউড ।
৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:২৯
করুণাধারা বলেছেন: আবরার হরতাল পর বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়। কিন্তু এবছর মার্চে ছাত্রলীগ আবার বুয়েটে সক্রিয় হবার পাঁয়তারা করে সেসময় ফারদিন প্রতিবাদের নেতৃত্বে ছাত্ররা পুনরায় বুয়েটে ছাত্র রাজনীতির প্রবেশে বাঁধা দেন। এমন অপরাধের কোন সাজা হবেনা??ফারদানের মৃত্যু
২১ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫০
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন । এমনটা শোনা যাচ্ছে । ভারচুয়ালি অনেক কথা শুনা যাচ্ছে । তবুও আশা করছি, সত্য একদিন বের হয়ে আসবে । কাউকে হত্যা করে কেই পার পেতে পারে না । ফারদিনের পিতা মাতার আহাজারি আর দীর্ঘশ্বাসে তাদের সুখের প্রাচীর ভেঙ্গেচুরে শেষ হয়ে যাবে ।
৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৯
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: মাদক কারবারিরা।
২১ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০১
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: মনে হচ্ছে না । ফারদিন সিগারেট পর্যণ্ত খেতো না । সে কেন মাদক কিনতে যাবে ? ফারদিনকে অপহরণের পর থেকে হত্যার আগ পর্যণ্ত তার মোবাইলের আশে পাশে থাকা মোবাইলগুলো পর্যালোচনা করলেই খুনিরা ধরা পরতে বাধ্য । আশা করি ধরা পরবে ।
৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১৯
কাঁউটাল বলেছেন: ছাত্রলীগের কাজ
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৯
সোনাগাজী বলেছেন:
পরীক্ষার আগেরদিন মেয়ে নিয়ে ঘুরেছে?