নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।
অফিস থেকে ফেরার পথে অনেকদিন পর মুরগীর বাজারে গেলাম। রমজান মাস চারিদিকে যেন কেয়ামতের হইচই৷ একজনের মাথা আরেকজন খাচ্ছে । কার আগে কে কেনাকাটা শেষ করে বাড়ি যাবে তা নিয়ে বিস্তর তোড়জোড় ।
মুরগির বাজার ক্রেতা শূন্য । লোকজন নেই বললেই চলে । মুরগী ওয়ালা একরাশ বিরক্ত নিয়ে বসে আছে। ধীরেসুস্থে তার কাছে গিয়ে দাম জিজ্ঞাসা করতে, সে মুখ না তুলে বলল, ২০০ টাকা। "২০০ টাকা" এমন ভাবে উচ্চারণ করলো যেনো নিজের কলিজা টেনে ছিঁড়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। বুঝলাম ভোক্তা অধিকারের লোকজনের প্যাঁদানি খেয়ে তাদের মেজাজ-মর্জি খিচে আছে। বেচা বিক্রিতে আগ্রহ নেই।
পরিস্থিতি অনুকূলে বুঝতে পেরে একটু খোঁচাতে ইচ্ছে করলো। তাই বেশ সিরিয়াস হয়ে বললাম,১৮০ টাকা হয় না? ব্যাটা নিজের রাগ চেপে রেখে শান্ত ভাবে বলল,না হয় না। আমি আবার বললাম, তাহলে ১৯০ রাখেন। এবার আর সে আমার কথার উত্তর না দিয়ে বেচা বিক্রির খাতা চেক করতে লাগলো। বুঝলাম,আর খোঁচাখুঁচিতে লাভ হবে না। দাম কমতে থাকায় তারা এখন সকল খোঁচাখুঁচির ঊর্ধ্বে উঠে দাম বৃদ্ধির নতুন কোন প্লানে ব্যস্ত।
শেষমেশ বললাম,"দেন তিনটা মুরগী দেন।"
এবার সে আমার দিকে তাকিয়ে সগর্বে বলল, কেজি কিন্তু ২০০ টাকা। বুঝিয়ে দিলো সে তার কথায় অনড় । এতো অহমিকা এতো দম্ভ এরা কোথা থেকে পায় ? এদের হুঙ্কারে আমাদের জ্ঞান গরিমা আত্মসম্মান সব মুহূর্তে ধূলিসাৎ হয়ে যায় ।
অথচ আজও দৈনিকগুলোতে পড়েছি, বাজারে মুরগী নাকি ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । বাজারে এসে মনে হলো হলো একটা শ্রেনীকে খুশি করার জন্য আরেকটা শ্রেনী নিউজ করছে । এর পরে গিয়ে ঈদের সেলামীর জন্য লাইন দেবে ।
আর কথা বাড়াতে ইচ্ছে করলো না । সামান্য মুরগী ওয়ালা'কে খোঁচাতে গিয়ে নিজেই নিজের ছোড়া তীর বিদ্ধ হয়ে অন্তরে রক্ত ক্ষরণ অনুভব করতে লাগলাম । তাই মাথা নেড়ে বললাম,ঠিক আছে দেন। আপোষ করে ফেললাম,না করে উপায় কি? গত ১৪ বছরে এ দেশের জনগণ সবকিছুতেই আপোষ করতে শিখে গেছে। ঘরে স্ত্রী সাথে আপোষ, অফিসে দুনীতি গ্রস্ত কলিগদের সাথে আপোষ, বসের সাথে আপোষ, বাজারে সবজি ওয়ালা, মুরগী ওয়ালা,মাছ ওয়ালা,বাসে ট্রেনে বাদুড় ঝুলা হতে হতে কন্টাক্টরের সাথে আপোষ।
এতো আপোষের পরেও সন্তানের কাছে শুনতে হয়, "বাবা হয়ে তাদের জন্য নাকি কিছুই করিনি।" তখন আর জীবনের কোন মানে থাকে না । সব শূণ্য হয়ে যায় । শরীরটা অসার লাগে । মনের কোণে প্রশ্ন জাগে এতো, এতো আপোষে পাপোশ হয়ে যাওয়া জীবনে কি পেলাম আমি,আমরা মানে বাবারা ?
৩০ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৩৫
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: বাবারা কি পেলো ?
২| ৩০ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৩৯
সোনাগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন: বাবারা কি পেলো ?
সব বাবাই একদিন সন্তান ছিলো।
৩০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আদব খায়দা বলে একটা ব্যাপার ও ছিলো তখন ।
৩| ৩০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দেশি প্রোডাক্ট, দেশী কৃষকের নিজ হাতে ফলানো প্রোডাক্টের দাম কমানোর দাবি অগ্রহণযোগ্য।
একজন কৃষক বা মুরগি পালক তার কৃষি পণ্যের সর্বোচ্চ দাম পাওয়ার অধিকারী। পৃথিবীর সব দেশই দেশে উৎপাদিত পন্যকে অগ্রাধিকার দেয়।
কিন্তু সরকার কৃষকের পু*কি মেরে তথাকথিত মধ্যবিত্ত কে খুশি করতে ডলার খরচ করে মুরগি আমদানি করার ব্যাবস্থা করছে।
৩০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৪
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: দেশি প্রোডাক্ট খাওয়ানোর নামে যা করা হচ্ছে তাতে সব প্রোডাক্টই বিদেশ থেকে আমদানী করা উচিত । এতো লোভ ভালো না । প্রকৃত কৃষক কোন কালেই সুফল ভোগ করে না । করে কিছু কৃষক নামধারী সুবিধা ভোগী ।দালাল চক্র । আর বাশ খায় মধ্যবিত্ত শ্রেনীর লোকজন । দেশি কৃষকের ভালো করতে গিয়ে গরুর কেজি ৯০০ মুরগী ৩০০ টাকা । এমন কৃষকের বেচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো ।
৪| ৩০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:১৮
বিষাদ সময় বলেছেন: গত ১৪ বছরে এ দেশের জনগণ সবকিছুতেই আপোষ করতে শিখে গেছে।
কিন্তু কেন ?
৩০ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৫২
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: খুশির ঠেলায় ..............।
৫| ৩০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে সত্য কথা বলি, দীর্ঘদিন ধরে বাজারে গিয়ে মন ভরে কেনাকাটা করতে পারি না।
৩০ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৫১
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: এই তো আপোষ করতে শিখে গেছেন ভাই
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:২৯
কামাল১৮ বলেছেন: বাবা পেল সন্তান আর রমজানের কারনে মুরগি ওয়ালা পেলো তিন মুরগি একসাথে বেঁচার কাষ্টমার।