নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে \"আমার কবিতা নামে\" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন

আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের সমুদ্র সীমা ও জেলেদের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব কার? কবে বন্ধ হবে জেলেদের নিখোঁজ হওয়া ?

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৪৬



বিষয়টি গুরুতর, বিচলিত ও চমকে উঠার মতো ।

নিম্নের হেড লাইনগুলো পড়ুন ।

"সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হলেন ১৯ জন জেলে ।
সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ শতাধিক জেলে .।
গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলার ডুবি, ২ জেলে নিহত, নিখোঁজ ২
উত্তাল সাগরে ডুবল মাছ ধরার ট্রলার, নিখোঁজ ১১ জেলে
সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ২০ জেলে নিখোঁজ
গভীর সমুদ্রে ট্রলার ডুবে নিখোঁজ ৮
ভোলায় গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ ৮ জেলে।। উদ্ধার-৩
সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ৭ জেলে নিখোঁজ
ট্রলার থেকে উদ্ধার মৃত ১০ জেলের পরিচয় মিললো । "

উপরের হেডিংগুলো পড়ার পর শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যাবার কথা । জীবন জীবিকার তাগিদে রুটি রুজির ধান্ধায় সমুদ্রে গিয়ে মানুষগুলোর চোখের সামনে থেকে চিরতরে হারিয়ে যাচ্ছে । অথচ তাদের নিরাপত্তার জন্য কিছু করা হচ্ছে না । সমুদ্রে নিখোজ এইসব হতভাগ্যদের ভাগ্য ভালো হলে, কখনো কখনো তাদের প্রাণহীন দেহ পাওয়া যায় । আর তা না হলে হারিয়ে যায় চিরতরে । স্ত্রী,পুত্র,সন্তান, মা, বাবার কাছে আর ফেরা হয় না কোনদিন। অথচ উন্নত দেশ হলে তাদের এই নির্মম পরিনতি ভোগ করতে হতো না । নিখোঁজ হবার কারণ খুঁজে বের করে সমূলে উৎপাটন করা হতো ।

মাছ ধরা একটি প্রাচীন পেশা । পৃথিবীর শেষদিন পর্যন্ত পেশাটি ঠিকে থাকবে । আগে সংবাদ পত্র বা বিশ্ব মিডিয়ায় সোমালিয়ার জল দস্যুদের হামলার কথা শুনা যেত । সাগরে জলদস্যুদের তৎপরতা বহুকাল ধরেই চলছে । সোমালিয়ার উপকুলে এই আধুনিক জলদস্যুদের উৎপাত শুরু হয় ২০০০ সালের পরে। দেশিও ও ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত এসব জলদস্যুরা প্রায়শই বিদেশি জাহাজের উপর হামলা করে সেগুলো দখল করে নিয়ে গিয়ে জাহাজের নাবিক ও মালামাল জদ্ধ করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সেসব ছেড়ে দেয় । যুদ্ধ ও ক্ষুধায় দীর্ণ দেশটিতে অনেক দিন ধরে কোন সরকার নেই - এ অবস্থায় তাই উপায়ান্তর না দেখে তারা এ পথ বেছে নিয়েছে।

কিন্তু বাংলাদেশর সমুদ্র সীমায় তাহলে জেলেরা নিখোঁজ হচ্ছে কেন ? প্রায় বলা হয় তারা সমুদ্রের ঝড়ের কবলে পরে নিখোঁজ হয়েছে । কিন্তু প্রকৃত সত্য কি সেটা আমরা কেউ ই জানি না । বা আমাদের জানতে দেওয়া হয় না । সেই অভাগা জেলেদের ভাগ্যে আসলে কি ঘটে তা আমরা কোনদিন জানতে পারি না । অথচ বাংলাদেশের জলসীমা পাহারা দেবার জন্য রয়েছে প্রশিক্ষিত,আধুনিক নৌযান ও অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত শক্তিশালী একটি নৌ বাহিনী। তবুও হতভাগ্য জেলেদের মাছ ধরতে গিয়ে অকালে মৃত্যু বরন করতে হচ্ছে । এ যেন একটি জাতি গোষ্ঠীর ও দেশের নিরাপত্তার প্রতি পরিষ্কার অবহেলার বহি:প্রকাশ ।

ইলিশ মৌসুমে প্রায়শই শোনা যায় ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ চুরি করে নিয়ে যায় এবং এসময় । যদিও কয়েক বছর যাবত মিডিয়াগুলো এ ধরনের নিউজ করা থেকে বিরত থাকছে । কিন্তু গত শনিবার সাগরে মাছ ধরে ফিরে আসা একটা ট্রলার অন্য একটি অর্ধ ডুবন্তে ট্রলার দেখতে পেয়ে সেটিকে টেনে পাড়ে নিয়ে আসার পরেও সেটা বরফ রাখার কক্ষ থেকে হাত পা বাধা, জালে প্যাঁচানো, মাথা ও হাত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ১০ টি মৃত অর্ধ গলিত দেহ উদ্ধার করে । এ যেন মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যাকাণ্ড । মাছ লুটপাটের পর নিজেদের পরিচয় লুকাবার জন্যই চালানো হয়েছে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্মম হত্যাকাণ্ড । এভাবেই লুট পাটের পর হত্যা করে ট্রলার গুলো ডুবিয়ে দেওয়া হয় উত্তাল সমুদ্রে ফলে কোন আলামত থাকে না । দু'দিন পর সবাই ভুলে যায় ।

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমা ১২০০০ নটিক্যাল মাইল। এই সমুদ্র সীমায় রয়েছে ভারত ও মিয়ানমার । ভারতের জেলেদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে মাছ চুরি, বাধা দিলে জেলেদের মারধোরের অভিযোগ বহু পুরাতন । তাই গত শনিবার ভেসে আসা ট্রলারে হতভাগ্য জেলেদের যে ভারতীয় জলদস্যু নামের জেলেরা হত্যা করেনি তা নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না । সন্দেহের তীর সবার আগে তাদের দিকে।

তবে এই নির্মম ঘটনার ফলে একটি কথা অন্তত পরিষ্কার হলো সেটা হচ্ছে, "মাছ লুটপাটের পর সমুদ্রে নিখোঁজ জেলেদের হত্যা করে তাদের ট্রলার সমুদ্রে ডুবিয়ে দেয়া হয় বলেই তারা আর কোনদিন ফিরে আসে না । "

তবুও ব্যাপক অনুসন্ধান করে এ ব্যাপারে সমাধানে আসতে হবে । গড়ে তুলতে হবে পাল্টা প্রতিরোধ । কেননা একের পর এক এসব হত্যাকাণ্ড দেশের সীমান্ত নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে । যদি দেশের জল সীমায় জেলেদের নিরাপত্তা দেওয়া না যায় তাহলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নৌবাহিনী রেখে দেশের কি উপকার হচ্ছে ? যে মানুষগুলো দেশের মানুষের খাদ্যের যোগান দেবার জন্য জীবন বাজি রেখে সমুদ্রে যাচ্ছে । সেই সব মানুষের জীবন ও মালের নিরাপত্তার জন্য রাষ্ট্রই বা কি করছে ? রাষ্ট্র যাদের এ কাজে নিয়োগ করেছে , তারা কি যথাযথ ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে ? যদি করে থাকে তাহলে একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটছে কিভাবে ?

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে জেলেদের জীবন অনেক কষ্টের। তাঁরা আজীবন মানবেতর জীবনযাপন করে।
তাঁরা যখন নদী অথবা সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়- বেঁচে ফিরবে কিনা তার নিশ্চয়তা নেই। ছোট একটা নৌকা নিয়ে মাঝ দরিয়ায় যায়।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:১৯

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: লেখার মূল অংশ হতে আপনার ফোকাস থেকে সরে গেছে। তবুও বলছি , দেশের নদী নালায় মাছ ধরে জেলেদের জীবন কষ্টের হলেও তারা বেচে তো থাকে । কিন্তু সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের হত্যাকান্ড কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না ।

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:০৯

শাওন আহমাদ বলেছেন: দীর্ঘশ্বাস...

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:২১

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: দীর্ঘশ্বাস...নয় চাই সমাধান । কার্যকরি পদক্ষেপ নেবার এটাই সময় ।

৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:০৮

শাওন আহমাদ বলেছেন: আমরা সবাই চাই সকল সমস্যার সমাধানের রাস্তা বের হোক। যদি সত্যিই সেটা সম্ভব হতো; তবে কতইনা ভালো হতো।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৪

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: দেশ প্রেম না থাকলে এটা সম্ভব না । দ্বায়িত্ববোধ ও কাজ হচ্ছে ঈমানের অংশ তাই সেটা যথাযথ ভাবে পালন করা উচিত । রাস্ট্রের উচিত সমুদ্র ও স্থল সীমান্তের শক্তি বাড়ানো ।

৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

কিরকুট বলেছেন: রাজীব নূর ভাই @ এই পোস্টের মূল ফোকাস হলো এই রাস্ট্রের পরিচালকবৃন্দ চোর। আর ওনার পীর সাব হলো সব কাজের কাজী। অহাই উনি বলতে চাচ্ছেন।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ধান্ধান্দনের কুকুরের বাচ্চাগুলো ফুটফুটে সুন্দর :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.