নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।
রাশিয়া আক্রমণের পর পুতিন দারুণ কঠিন একটি সময় পার করছেন । যুদ্ধে যতোটা সহজে জয় তুলে নিবেন বলে তিনি ভেবেছিলেন বাস্তবে ততোটা সহজ হয়নি । কেননা এই মুহূর্তে রাশিয়া একা পুরো ইউরোপ ও আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। কোন ঘোষুনা ছাড়াই আমেরিকা ও তার মিত্ররা ইউক্রেনের পক্ষে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নেমেছে । অন্যদিকে রাশিয়া তার এই কঠিন সময়ে চীন আর ইরানকে ছাড়া বিশ্বের অন্যকোন দেশকে পাশে পায়নি । শুরুতে তুরস্ক পাশে থাকলেও শেষ পর্যন্ত পাল্টি খেয়ে সরে গেছে ।
কাউকে পাবার আশা করে অবশ্য পুতিন ইউক্রেন আক্রমণ করেনি । তিনি ভেবেছিলেন একাই যুদ্ধটা শেষ করে ফেলবেন । কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি । যতো সময় গড়াচ্ছে যুদ্ধের ব্যয় ও হতাহতের সংখ্যা ততোই বাড়ছে । এ বিষয়টা মাথায় রেখে যুদ্ধের কৌশল হিসাবে , এক সময় পুতিনের পাচক বা বাবুর্চি হিসাবে কাজ করা ইয়েভগেনি প্রিগোশিন নামক ব্যক্তিকে যুদ্ধের কাজে লাগিয়েছিলেন ।
ইয়েভগেনি প্রিগোশিন পুতিনের সহানুভূতি পেয়ে পাচক এর কাজ ছেড়ে ভাড়াটে সৈন্য সংগ্রহ করে একটি বাহিনী তৈরি করে সিকিউরিটি ব্যবস্যা শুরু করেছিলেন । যার নাম ছিলো ভাগনার গ্রুপ বা বাহিনী । পুতিনের সুদৃষ্টি ফলে অল্প ক'বছরেই সে ব্যবসায় সাফল্য অর্জন করে । অল্প কদিনেই রাশিয়ার সবচেয়ে ধনীদের কাতারে উঠে এসে নিজেকে এলিট শ্রেণী ভাবতে শুরু করে । ইউক্রেন যুদ্ধের পর দায়িত্ব পেয়ে ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের ভাগ্য খুলে যায় । তার কাজ ছিলো শুধু সৈন্য সংগ্রহ করা । অস্ত্র সংগ্রহ করতে সহায়তা করতো পুতিন প্রশাসন ।
ইউক্রেন এর মতো একটি ফলহীন বিহীন দীর্ঘ যুদ্ধের ব্যয়ভার ও নিজস্ব সৈন্যদের হতাহতের সংখ্যা কমাবার জন্য পুতিন পশ্চিমাদের কাছ থেকে বুদ্ধিটা ধার করে ভাগনার বাহিনীর প্রধানকে ভাড়াটে সৈন্য সংগ্রহ করে সরাসরি যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনে পাঠানে বলেন । লোভনীয় এই প্রস্তাব ভাগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন হাতছাড়া করেনি । মোটা বেতন,নগদ অর্থ, আধুনিক অস্ত্র ও দখলকৃত অজ্ঞ্চলের সম্পদের ভাগ বাটোয়ারার হিস্যার লোভ দেখিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হতে সৈন্য সংগ্রহ করে বিশাল বাহিনী গড়ে তুলে ।
বেশ কিছুদিন যুদ্ধ করার পর । নিজেকে রাশিয়ার খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ভাবতে থাকেন । তার ধারনা জন্মে তাকে ছাড়া পুতিন বা রাশিয়া অচল । কিচ্ছু করতে পারবে না । পশ্চিমা ষড়যন্ত্রের লোভে পড়ে ভাগনার প্রধান বিভিন্ন দাবিদাওয়ার ছুতো তুলে পুতিনের পক্ষ ত্যাগ করে তার সৈন্য বাহিনী নিয়ে ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনের নেতৃত্বে রুশ সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে মস্কোর দিকে অগ্রসর হয় । এরপর বাকিটা তো সবারই জানা । বিশ্বাস ঘাতকের পরিণতি কখনো ভালো হয় না । ইয়েভগেনি প্রিগোশিন বা ভাগনারের কপালেও তাই ছুটল । বিমান দুর্ঘটনায় আরো ১০ জন কমান্ডারের সাথে ভাগনার প্রধানও অক্কা পেয়েছেন । এখন ওপারে গিয়ে বিশাল ভাড়াটে বাহিনী নিয়ে পশ্চিমা বাহিনীর পক্ষে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন । পুতিন ছাড় দে ছেড়ে দেয় না । ওয়েল ডান স্যার পুতিন । স্যালুট ।
তার এই পরিণতির কথা তো আগেই লিখেছিলাম । বিশ্বাস না হয় পড়ে দেখুন ।
২৪ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৪৮
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আগেই লিখেছিলাম ।
রাশিয়া,চীনের সেনা বাহিনী এমন একটি ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে,যেখানে বিদ্রোহের কোন সুযোগ নেই। তবে, ব্যাচারা ভাগনারের প্রধান প্রিগোশিন ! এর করুণ পরিনতির খবরের জন্য বেশিদিন মনে হয় অপেক্ষা করতে হবে না। মাথা মোটা ব্যাচারা প্রিগোশিন ..।
পুতিন বিশ্বাসঘাতকদের ক্ষমা করেন না।
২| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৫২
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমার মনে হয় পুরো ব্যাপারটায় কোন ভুল হয় নি। একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন না করলে আগামীতে এমন আরো অনেক প্রিগোশিন সাহস পেত এ ধরনের কিছু করার যা কোন দেশের জন্যই মঙ্গলজনক নয়। ধন্যবাদ।
২৪ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:৫০
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আপনার ধারণা সঠিক । সহমত প্রকাশ করছি
৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:০৮
শাহ আজিজ বলেছেন: এখন নিহত হবার সময় পুতিনের ।
২৪ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:৫২
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সেটা হবার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না । তবে কেউ যদি সেটা পারতো তাহলে অনেক আগেই করতো । চেষ্টা তো আর কম করা হয়নি । আমেরিকা বলে কথা ।
৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:০৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: সানজুর আর্ট অব ওয়ার পড়তে ছিলাম গতকালকে। বইটি অবশ্য আমার আরো আগে পড়া উচিত ছিল। সেখানে দেখলাম সাঞ্জু বলেছে অবিশ্বস্ত এবং উশৃংখল সেনাপতি কিংবা সৈন্য যত দ্রুত সম্ভব তাদেরকে সরিয়ে দিতে হবে নয়তো হত্যা করতে হবে।
২৪ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৩
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: হ্যা ঠিকে থাকার এটাই একমাত্র সঠিক উপায় । যুদ্ধে কোন মার্সি নেই ।
৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:২১
জগতারন বলেছেন:
প্রিগোশিন রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের ময়দানে মীর জাফর।
তার চির বিদায় হয়েছে।
ঠিক এমনই যদি মীর জাফরকে চির বিদায় করতে পারতেন সিরাজ
তবে ভারত বর্ষের ইতিহাস অন্যরকম হতে পারতো ।
২৪ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৩
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: খুব ভালো বলেছেন । যুগে যুগে এমন লোকজন জন্মায় । এরা আদতে লোভী আর মাথা মোটা
৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: পুতিন মানুষ ভালো না।
৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩
জুন বলেছেন: গতকালই একটা নিউজে দেখলাম মরুভুমির সামনে দাঁড়ানো প্রিগোঝিন । সে এবার আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ভাড়াটে সৈন্য নিয়ে যুদ্ধ করবে । আর আজ খুব ভোরেই দেখলাম প্লেন দুর্ঘটনায় তার মৃত্যুর খবর । প্রিগোঝিনের জন্য এটা নির্ধারিতই ছিল । সাথে তার প্রধান সঙ্গী দিমিত্রি উতিকিন ।
৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৭:৫৭
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: সবাই তার কর্ম ফল পাবে।
২৮ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:০০
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: কিছুটা তার এ জগতে বাকিটা পরপারে ........
৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: প্রত্যেক জাতিতে কিছু বদ লোক জন্মায়।
রাশিয়ার বদলোক হলো পুতিন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৪০
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: যদিও এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য আমার জানা নেই, তবে তার বিদায় ঘন্টা বেজেছিলো ঐ দিনই যেদিন তার পাখা গজিয়েছিলো। অনলাইনে কোথাও আমি তার ব্যাপারে বলেছিলাম, "উচুঁ দালানের জানালা থেকে দূরে থাকার জন্য"। মনে হয় উঁচু থেকেই পড়েছে শুধু দালান ছিলাে না এই যা। এই ধরনের লোক পৃথিবীতে না থাকলেও সমস্যা নেই অবশ্য। ধন্যবাদ।