নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হেমায়েতজগতে স্বাগতম

আমি একটা জটিল বিষয়

ব্ল্যাক স্পাইডার

আমি একটা জটিল বিষয়

ব্ল্যাক স্পাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

দাদাগিরি করবেন না,আমরা দাদার ওপর দাদাগিরি জানি

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:২৩



সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই স্বাধীনতা।কিন্তু উপরের ছবিটার দিকে যখনই তাকাই তখনই একটা প্রশ্ন জাগে মনে।আসলেই কি যুদ্ধটা বাংলাদেশিরা করসিল??নাকি ইন্ডিয়ানরাই দেশটা স্বাধীন করে দিসিল।এই ছবিটা দেখলে তো তাই মনে হয়।আত্মসমর্পণ করতেসে পাকিস্তানিরা,বিজয়ী আমরা।তাহলে এখানে আমাদের প্রতিনিধী কোথায়??



দেখতেসি তো জগজিৎ সিং অরোরাকে।উনি তো বংলাদেশি না।আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম.এ.জি.ওসমানী কোথায়???অরোরার জায়গায় তো উনার থাকার কথা।আসল ব্যপার হল উনি এখানে ছিলেন না অনেকটা অভিমানের কারণেই।ইন্ডিয়ান আর্মি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একেবারে শেষদিকে এসে আমাদের সাহায্য করা শুরু করে।ততোদিনে পাকিস্তানিরা অনেকটাই কোঁণঠাসা।যদিও মুক্তিযুদ্ধের সারাটা সময়ই ইন্ডিয়া আমাদের সাহায্য করসে নানাভাবে।তবুও সম্মুখ সমরে যোগ দেয় যুদ্ধের একেবারে শেষে এসে।কিন্তু এই সহায়তাটুকুর বদলে ওরা আত্মসমর্পণের সময় নিজেদের প্রতিনিধীত্ব দাবি করে।এমনকি জেনারেল ওসমা্নীর বদলে মিত্রবাহিনীর পক্ষে অরোরাই চুক্তিপত্রে সই করবেন বলে ঠিক হয়।এই কারণে আত্মসম্মানবোধস

ম্পন্ন ওসমানী আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে যোগই দেননি।এমনকি সারা দুনিয়ার কাছে বিষয়টা এমনভাবে দেখানো হয় যে ,যুদ্ধ হইসে ইন্ডিয়া আর পাকিস্তানের মধ্যে।আর তার ফলেই স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্ম।তাই সারা দুনিয়াতে আজ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ইন্ডিয়া-পাকিস্তান যুদ্ধ হিসেবেই বেশি পরিচিত।



কিন্তু বাঙ্গালীমাত্রই জানে যে ইন্ডিয়ার সাহায্য মুক্তিযুদ্ধে বড়জোড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করসিল।তার বেশি না।কিন্তু ওদের ভাবসাব দেখলে মনে হয় যে,ওরাই আমাদের দেশটা স্বাধীন করে দিসে।আসলে ইন্ডিয়ার এই বিমাতাসুলভ আচরণ অনেক আগে থেকেই দেখা যায়।বঙ্গভঙ্গের সময় থেকেই তা শুরু।পূর্ববঙ্গ তথা বাংলাদেশকে সুবিধা দেয়ার জন্যই বঙ্গভঙ্গ করা হয়েছিল।কিন্তু ইন্ডিয়ান দাদাদের চরম আপত্তিতে বঙ্গভঙ্গ বাতিল করা হয়।সেই শুরু,তারপর আরো নানাভাবে বাংলাদেশিদের বাঁশ দিসে।কিন্তু বাংলাদেশিরা ছোট ভাই এর মত সবই মেনে নিসে।ইন্ডিয়ার ওই দাদাগিরি এখন আরো বেড়ে গেছে।এখন উনাদের রাষ্ট্রদূত আমাদের মন্ত্রীকেউ ঝাড়ি মারেন।আমরা তবু নির্বিকার।শত হোক দাদা তো।সীমান্তে প্রতিদিন মানুষ মরতেসে।তবু আমরা চুপ।দাদাকে কি কিছু বলা যায়???তবে কথা হচ্ছে ছোটদের সবসময় বাঁশের উপর রাখলে বড় হয়ে তারা একদিন বড়দেরকেই বাঁশ দেয়।তাই দাদাবাজি ছেড়ে তাড়াতাড়ি ঠিক লাইনে আসাই ইন্ডিয়ার জন্য ভালো হবে।নাহলে কবে যে পাকিস্তানিদের মত ওরাও বাঁশ খেয়ে যায় তার ঠিক নাই।তখন আবার আমাদের দুষ্টু বলবেন না কিন্তু।দিলে চোট পাব।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫৯

ভালোরনি বলেছেন: ?তবে কথা হচ্ছে ছোটদের সবসময় বাঁশের উপর রাখলে বড় হয়ে তারা একদিন বড়দেরকেই বাঁশ দেয়।তাই দাদাবাজি ছেড়ে তাড়াতাড়ি ঠিক লাইনে আসাই ইন্ডিয়ার জন্য ভালো হবে।নাহলে কবে যে পাকিস্তানিদের মত ওরাও বাঁশ খেয়ে যায় তার ঠিক নাই।তখন আবার আমাদের দুষ্টু বলবেন না কিন্তু।দিলে চোট পাব

ইন্ডিয়া রে ভালা পাই না।

২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:৫৯

শয়ন কুমার বলেছেন: এদেরও কি বিজয় হয় নি!!!!!!!!!!


সুপেরিওর রেস্পন্সিবিলিটি বলে একটা কথা আছে। যার মানে হল আপনি যখন কোন সুপেরিওর অবস্থানে থাকেন তখন আপনার দায়িত্ব হল আপনার অধীনে কেউ যেন কোন অন্যায় করতে না পারে, এবং যদি কোন অন্যায় হয় তাহলে সেটা প্রতিহত করা।গোলাম আজমেরা তাদের এই সুপেরিরর অবস্থান ব্যাবহার করে নিজেরা অন্যায় করেছে, এবং তাদের অধিনস্তদের অন্যায় করার আদেশ দিয়েছে। তাই তারা প্রথমে দায়ী।৪১ তম বছর পর্যন্ত এদের এদের আজকের অবস্হান কি রাজাকারীয় বিজয় নয়!!!!!!!!!!


দৈনিক সংগ্রাম কয়দিন আগে রিপোর্ট নিখছে যুদ্ধকালে আব্দুল কাদের মোল্লা নাকি ঢাকাতেই ছিলেন না , দৈনিক সংগ্রাম যে এখনও মিথ্যাচার করে যাচ্ছে, ট্রাইবুনালে আসামী পক্ষের ভাড়া করা সাক্ষীর ভাষ্য যে মিথ্যে তার প্রমান দেখা মেলে এই ছবিতে যেখানে কাদের মোল্লা ১৯৭১ সাথে{গোল দাগ চিহ্নিত} সাথে পাক বাহিনীর নিয়াজীর সঙ্গে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.