![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সাধারন ছেলে, স্বাধীন ভাবে থাকতে ভালবাসি, মনের প্রশান্তির জন্য লেখালেখি করি..................
পর্বঃ ৪
একসময় এস এস সি র থিউরী পরীহ্মা শেষ হয়|
কয়েকদিনের মধ্যে আবার প্রাকটিক্যাল পরীহ্মা শুরু হয়|
প্রাকটিক্যাল পরীহ্মা শুরু হওয়ার আগেই|
সোহেল বুকের সব সাহস সঞ্চিত করে|
রিফা ও খেয়াদের কাছে যায়|
সোহেল যাচ্ছে আর ভাবছে| যা হয় হবে. আজ সে ভালবাসার কথা বলবেই| এসব ভাবতে ভাবতে একসময় সোহেল রিফা ও খেয়ার কাছে চলে যায়| প্রথমে সোহেল খেয়ার সাথে কথা বলে|
পরে রিফার সাথে কথা বলে|
রিফা,তুমি কেমন আছো? রিফা বলে . . . ভাল |
তুমি কেমন আছো ?
সোহেল বলে,আমি ভাল আছি|
সোহেল একসময়,রিফার বান্ধবীদের বলে|
তোমার একটু ওদিকে যাও|
রিফার সাথে আমি একটু একাকী কথা বলবো|
রিফার বান্ধবীরা,ওখান থেকে সরে যায়|
রিফা,লজ্জায় ওদের সাথে চলে যাচ্ছিল|
পরে রিফাকে,সোহেল বলে|
তুমি যাচ্ছ কেন?
তোমার সাথে একটু কথা আছে|
রিফা বলে. . কি বলবা?
ওদের সামনে বলো|
সোহেল বলে,ওদের সামনে বলা যাবে না|
তুমি একটু একাকী থাকো|
রিফা কি মনে করে,পরে আর যায় না|
সোহেল বলা শুরু করে,আমি অনেক বছর পর তোমার সাথে কথা বলতে এসেছি|
তুমি কি মনে করতেছো|
আমি জানি না|
তুমি খেয়ার কাছ থেকে যা শুনেছো|
সেটা সত্যি|
আমি তোমাকে সত্যিই অনেক ভালবাসি|
এতদিন তোমাকে বলতে পারিনি,লজ্জায়|
আমি অনেক দিন,অনেক রাত অপেহ্মায় আছি|
তোমাকে একদিন আমার ভালবাসার কথা জানাবো| আমি আর চুপিচুপি এ ভালবাসার ভার বহন করতে পারছি না|
রিফা,তুমি কিছু একটা বলো|
রিফার কিছুহ্মন চুপ করে থাকার পর|
বলা শুরু করে|
দেখো সোহেল,তুমি আমার ছোটবেলার বন্ধু|
আমরা একসাথে ছোট থেকে বড় হয়েছি|
কখনো,আমি তোমাকে এভাবে চিন্তা করি নি|
আর ভালবাসা জিনিসটা আমি ঠিক বুঝি না|
আর আমি কারও সাথে ভালবাসা করতে চাই না| তুমি আমার বন্ধু আছো,বন্ধু হিসেবেই থাকো|
আর আমাকে নিয়ে এসব চিন্তা কর না|
আমি এখন এসব নিয়ে ভাবছি না|
তুমি মন খারাপ করো না|
সোহেল,রিফাকে বোঝানোর চেষ্টা করে|
কিন্তু তাতে কোন কাজ হয় না|
একসময় সোহেল,রিফাকে ভাল থেকো বলে,চলে আসে|
সোহেল শুধু এটুকু বুঝতে পারে|
রিফা তার ভালবাসায় রাজি হয়নি|
আর কখনো রাজি হবে না|
পরীহ্মা শেষ হবার পর সোহেল বাড়ি চলে আসে|
সে কিছুতেই ভালবাসার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটা মেনে নিতে পারে না|
যদিও প্রত্যেকটি মানুষের ভালবাসার স্বাধীনতা আছে| কিন্তু.কিছুতেই সে তার মনটাকে বোঝাতে পারে না|
মানসিকভাবে সোহেল কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ে|
বাইরের চিরচেনা এ পরিবেশ, এ গ্রাম,স্কুল সবকিছু তার কাছে অসহ্য এবং অসহনীয় হয়ে ওঠে|
সোহেল এ অসহনীয় যন্ত্রনা থেকে বাঁচার জন্য এক আত্নীয় বাসায় চলে যায়| সেখানেই পরে সোহেল, কোন এক স্বনামধন্য কলেজে ভর্তি হয়|
এর পর থেকে সোহেল, রিফার কোন খোঁজ নেয় নি|
খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজনবোধও করেনি|
©somewhere in net ltd.