প্রতিক্রিয়াঃ অকালপক্ক নারীর বিভ্রান্তিকর লেখা এবং কিছু ভুল ভাঙানোর বৃথা চেষ্টা

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০৩

ক্লাশের সবচেয়ে মেধাবী মেয়ে আমাদের এই লেখিকা|আমি শধু জানিতাম তিনি লেখাপড়ায় অনেক ভাল| কিন্তু তিনি যে একজন লেখিকাও বটে|সেটা আগে বুঝিতে পারি নাই ।তাহার মত একজন গুনধর নারী| আমার মত একজন অধম,নিম্ন রেজাল্টধরী সর্ম্পকে দু কলম লেখা প্রসব করিয়াছেন বলিয়া|তাহার প্রতি প্রথমেই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করিতেছি|লেখিকা,আমার এবং আমার যতসামান্য লেখা সর্ম্পকে সমালোচেনা করিতে গিয়ে বিকৃত নাম ব্যাবহার করেছেন|আসলে বিকৃত কোন জিনিসই ভাল নহে|যেটা আমার আপনার, যার নামই হোক না কেন|কিন্তূ.আমি আপনার লেখার প্রতিক্রিয়ায় কোন বিকৃত নাম ব্যাবহার করিব না| ইচ্ছে করিলে অনেক সুন্দর বিকৃত নাম উপহার দিতে পারতাম|ইহাতে আপনি নিতান্তই হাসির পাত্র হইবেন|আপনাকে হাসির পাত্র করিবার কোন ইচ্ছা অভিলাষ আমার নাই| কাউকে বিকৃত নামে ডাকাটা আমার স্বভাবের সাথে যায় না|।শুধু এই টুকু বলিব.ছেদী নামটি মেয়েদের সাথে যায়|ও নামটি ছেলেদের সাথে বেমানান|



আমি নিতান্তই সহজ সরল মানুষ|কাউকে কষ্ট দেবার বা ছোট করার নিমিত্তে কোন লেখা ফেসবুক,ব্লগ বা গ্রুপে দেই নি| নিতান্তই সেগুলো গল্পের আড়ালে রুপক অর্থ ছিল| আপনারা এই হ্মুদ্র মানুষটিকে বুঝতে ভুল করিয়াছেন এবং ভুল বুঝিয়াছেন|লেখিকা তার রং মাখানো সমালোচনায় বেশ কিছু ভুল তথ্য দিয়া পাঠকদিগকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করেছেন|পাঠকগন যাতে এই লেখিকার লেখা পড়িয়া বিভ্রান্ত না হয় এবং আমার সর্ম্পকে ,আপনাদের মৃদু ভুল ভাঙানোর অপচেষ্টা করিবো|লেখিকা তার লেখায় আমাকে নানারকম উপমায় ভূষিত এবং রেললাইনের চাকায় পাম্প দেওয়ার মতো, আমাকে পাম্প দিয়া ফুলানোর বৃথা চেষ্টা করিয়াছেন|আমি বাপু নগন্য মানুষ|এখনো এত বড় হইনি ।আমার কি এত উপমা লাগে?ওটা আপনাদের গলায় ঝুলিয়ে মালা হিসেবে ব্যাবহার করিবেন|



লেখিকা, আপনি নিশ্চিত থাকেন,আপনার লেখার প্রতিটি পয়েন্টের প্রতিক্রিয়া আমি সঠিকভাবে জানানোর চেষ্টা করিবো|



১।আপনি বলেছেন, আমার লেখা নাকি আমি শুধু একটা গ্রুপে দেই|আপনি না জেনে কিভাবে এই ডাহা মিথ্যা তথ্য প্রসব করিলেন|আমার বোধগম্য হইতেছে না|আপনি হয়তো জানেন না|এই লেখাগুলো প্রথমে আমার ফেসবুক নোট তারপর সামহোয়ার ব্লগে চলে যায়|ইচ্ছে হইলে আপনি দেখিতে পারেন|লেখাগুলো অহ্মত অবস্থায় আছে|আপনার মত মেধাবী মাইয়া লেখায় কিভাবে এরকম গোড়ায় গলদ করিলো | আমার জানার অভিলাষ রইলো . . . . . .



২।আমার কি এমন দেখলেন আপনি, যে আমাকে আপনার পাগল মন হচ্ছে|একটু সবকিছু খুলে বলবেন . . . .



৩।কোথায় পেলেন আমার এই মনোবিজ্ঞানী টাইটেল|তবে মানুষকে বোঝার চেষ্টা করি|সেটা শুধু মেয়ে মানুষ না . . . .



৪।লেখিকা আপনার জন্মদিনে আপনাকে অসংযত বলেছি জন্য মাইন্ড খাইলেন|হায়রে মাইয়া মানুষ, গোপালী আর পোড়া কপালীদের ভাল উপদেশ দিতে নাই| বুঝতে পারলাম না লেখিকা, আমার কোন আচরনে আমাকে হীনমন্য বলে মনে হল|জানালে নিজেকে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করবো|



৫।লেখিকা এখানেও ভুল বললেন,এনার্জী না আলিম্পিক বিস্কুট|এটা কোন দুর্বলতা না|সহপাঠী একা একা খায়,দেখতে খুব খারাপ দেখায়,তাই সবাই মিলে খাইলে ভাল লাগতো ।আর কি . . . ।আমার খাবারের প্রতি ভালবাসা আছে|কিন্তু কারও কারও নেই|যার কারনে অনেকে পেটে পাথর বেধে,দুপুরে একটা সিংগারা খেয়ে সারাদিন পার করে দেয়|সেটা তাদের দেখলেই বোঝা যায়|



৬।আপতত ডুবরী হওয়ার ইচ্ছা নাই . . . .



৭।ব্যাবসা সেটা যাই হোক, লিপিস্টিক হোক আর কেমিস্টী হোক লাভ হলেই হলো|তয় একখান কথা লিপিস্টিক যার বেশী কইরা দেয়, তাগোরে বেশী বেশী সার্ভিস দিতাম|ব্যাবসা বইলা কথা । আর এখন লিপিস্টিক সবাই দেয় না|বিশেষ শ্রেনীর নারীরা ছাড়া . . .



৮।প্রথমেই আপনার সন্দেহ দুর করি|আমার বিবেক আছে সদা জাগ্রত|নিশ্চিত থাকুন|হায়রে লেখিকা,সেদিন আপনাকে হার্ট করার জ্ন্য রেজাল্টের কথা বলিনি|আপনি রেজাল্ট ধরে রাখতে পারেনি|যাতে পরবর্তীতে আপনি আবার পজিশনে চলে আসেন| আজ মনে হচ্ছে সেটা বোঝানোর বৃথা চেষ্টা করেছি|আর আমার কথা কি বলবো |আমি তো আপনাকে ছুঁতে চাই না,আর ছুঁতেও কখনো পারব না|আর ছোঁয়ার কোন ইচ্ছাও নাই| ছোয়ার সময়ও নেই| ভুল বুঝবেন না আপনার রেজাল্টাকে|আর মুখস্থ করে একবার ফাস্ট হওয়া যায়|বার বার না ,মাথায় মাল থাকতে হয়| আর আমি আমার রেজাল্ট নিয়ে পুরোপুরি সন্তোষ্ট . . . . .



৯।একা একা খেতে চাও দরজা বন্ধ করে খাও|টেলিভিশনে আগে এই বিজ্ঞাপন টা দেখতাম| স্বাভাবিকভাবে একজন খেলে আরেকজনের খেতে মন চাইতেই পারে|লাইনটা যাস্ট গল্পের ছলে লিখেছিলাম|তাহাও বুঝিতে পারেন নাই . . . .



পরিশেষে,বুঝিতে পারতেছে লেখিকা আমাকে নিয়ে আরও কিছু লেখা লেখিয়া ।তাহার মনের বেদনা উপশমের চেষ্টা করিবেন এবং পাঠকগনকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করিবেন|



লেখিকাকে, ভুল তথ্য পরিবেশন করিয়া পাঠকগনকে বিভ্রান্ত না করার জন্য বিনীত অনুরোধ করা যাচ্ছে|প্রয়োজনে তথ্য জানিয়া লইবেন|



আমার মনে হয় লেখা অতিশয় দীর্ঘ করিয়া ফেলিয়াছি|



আর লেখায় ইচ্ছাকৃতভাবে সাধু,চলিত এবং আঞলিকতার মিশ্রন ঘটাইয়াছি|



নিজ লেখনির প্রতিভা দ্বারা ,লেখার অর্থ বুঝিয়া লইবেন|আমি শুধু নারী বিষয়ে লেখি|

এই কথাটা সঠিক নহে|

আপনার হয়তো আমার সব লেখা পড়া হয়ে ওঠেনি|

তাই আপনি এমন মিথ্যা বুলি ছেড়েছেন|



যাই হোক, আপনাদের তো একে একে সবারই বিয়ের ফুল ফুটিতেছে ।



আপনারা সবাই আমার লাইগা একটু দোয়া রাইখেন|ঐ মানুষটার লগে যান আমার একটা কিছু হইয়া যায়|



ভাল থাইকেন,সুস্থ থাইকেন|

০ টি +০/-০