![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাখী ডানায় ভর করে মুক্ত নীল আকাশে মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, আমিও কল্পনার ডানায় চড়ে মনের গহীন আকাশে .......
আজ জৈষ্ঠ্যের ৩১, গতকাল ছিল ৩০। আষাঢ়ের আগমন ধ্বনি আকাশে-বাতাসে। গতকাল সকাল থেকেই মেঘে ঢাকা আকাশটা নিরন্তর বৃষ্টির ধারা হয়ে ঝরছিল। কাজের ব্যস্ততায় আমি মাঝে মাঝে উঁকি দিয়েছি। মন দিয়ে দেখা হয়নি মেঘমেদুর প্রকৃতির রূপ। দুপুর গড়িয়ে গেছে। পেট চো চো করছে। একা হাতে সব কাজ শেষ করতে পারেননি গৃহকর্ত্রী । তাই ঘর-বারন্দায় পায়চারি করে সময় কাটছিল। বারান্দা থেকে দৃশ্যটা দেখে ক্ষুধা ভুলে গেলাম। মসজিদের গেট ঘেঁষে মুখটা দুই হাঁটুর মধ্যে লুকিয়ে একজন বসে আসে। পায়ে পলিথিন জড়ানো, সম্ভবত কোন ক্ষতকে ঢাকার ব্যর্থ চেষ্টা। বেদনার যে সর্বব্যাপী রূপ, বৃষ্টিমুখর দিনে অসহায় সেই মানুষটা যেন তার সমস্তটা ধারণ করে আছে। আমার হৃদয়টা বর্ষার মতোই কাঁদছে। একটা ছবি তুললাম। মনে হলে, বাসায় উনার অপেক্ষায় হয়তো পরিবারের সবাই অপেক্ষা করছে। ভাবছে, উনি চাল-ডাল নিয়ে এলেই চটপট রান্না চড়িয়ে দিতে হবে। ছেলে-মেয়ে গুলো কাল থেকে কিছু খায়নি। আমি দ্রুত ঘরে গেলাম। একটা খামে একটা নোট ভরে বারান্দায় ফিরে দেখি উনি মুখ তুলে তাকিয়েছেন। আমি উনাকে ডাকছি। উনি ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছেন। কিন্তু আমার ডাকে সাড়া দিয়ে রাস্তার এধারে, আমার বাসার কাছে আসছেন না। এই সময় ময়লার ভ্যানগাড়িটা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। আমি ভ্যানচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হলাম। খামটা ছুড়ে দিলাম। ভ্যানচালক অচেনা মধ্যবয়সী অসহায় লোকটাকে খামটা দিল। আমি বারান্দার গ্রিল থেকে একটু দূরে এসে ওকে দেখছি। খামের ভিতরে হাতড়ে কিছু না পেয়ে ও খামটা ছিড়ে ফেললো। নোটটা হাতে নিয়ে বসে আছে। বেদনায় পাথর সে মুখে কোন অভিব্যক্তি নেই। বন্যার পানির মতো দুঃখের সাগরে নোটটা ভেসে গেল সামান্য খড়কুটোর মতো।
মো. শামছুল ইসলাম
১৪ জুন ২০২০
০৮ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:০২
শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু ভাই।
আপনার তিনটি কথাই আজ এদেশে চরম সত্য।
দূর্ণীতি আর স্বৈরাচারিতার বিষফল দৃশ্যমান হবার মাত্র শুরু! - শেষ কোথায়, কে জানে?
২| ০৮ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:২৪
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: প্রতিটি মানুষেরই কিছু র্নিবাক দুঃখ থাকে, যার কোন সমাধান কারো কাছেই থাকে না।
০৮ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:০৩
শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ইফতেখার ভাই।
দারুণ বলেছেন, প্রতিটি মানুষেরই কিছু র্নিবাক দুঃখ থাকে, যার কোন সমাধান কারো কাছেই থাকে না।
৩| ০৮ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ভালো ও অনুকরণীয় একটা কাজ করেছেন। এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো কাজ দেখেও মানুষ ভালো কাজে অনুপ্রাণিত হবে তাই দান করা কখনও গোপনে করতে হয় আবার কখনও প্রকাশ্যে করতে হয় যাতে অন্যরা অনুপ্রাণিত হয়।
১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:১৫
শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ।
আপনার কথার সাথে একমত, ভালো কাজ দেখেও মানুষ ভালো কাজে অনুপ্রাণিত হবে তাই দান করা কখনও গোপনে করতে হয় আবার কখনও প্রকাশ্যে করতে হয় যাতে অন্যরা অনুপ্রাণিত হয়।
৪| ০৮ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের সমাজে অসহায় মানুষের সংখ্যা বেশি। আর এই করোণাকালে মানুষ আরো বেশি অসহায় হয়ে পড়েছে। একজন অসহায় মানুষ আপনার চোখে পড়েছে। কিন্তু বহু লোকের চোখে অসহায় মানুষ ধরা পড়ে না।
১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:১৮
শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই।
সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছে। আমি তো একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা তুলে ধরেছি, এমন ঘটনা এখন অহরহ ঘটছে।
৫| ০৮ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ সংবেদনশীলতা ও সহমর্মিতায় অভিভূত হ'লাম। আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন!
১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:১৯
শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই ।
আমিন ।
মানুষের আজ বড়ই বিপদ!
৬| ০৮ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই শাহেদকে ক্রসফায়ার দেওয়া হোক।
১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২৪
শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই।
শাহেদকে ক্রসফায়ারে দিলে একজন অপরাধী শাস্তি পাবে মাত্র।
এর সাথে যে বিশাল চক্র জড়িয়ে আছে, তারা সবাই বেঁচে যাবে।
আমরা তাৎক্ষণিক সমস্যার সমাধান করছি। কিন্তু চিরস্থায়ী ভাবে অপরাধের মূলোৎপাটন করছি না।
তাই একজন শাহেদের পর তার চেয়েও ভয়ংকর একজন শাহেদের আবির্ভাব হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:২২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসহায়ের সংখ্যা যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে!!!
যেমন বাড়ছে প্রতারক শাহেদদের সংখ্যা (রিজেন্ট ইস্যু)
দূর্ণীতি আর স্বৈরাচারিতার বিষফল দৃশ্যমান হবার মাত্র শুরু!