নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিঃসীম নীল আকাশে পাখী যেমন মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, কল্পনার ডানায় চড়ে আমিও ভেসে চলেছি মনের আনন্দে--রূঢ় পৃথিবীটাকে পিছনে ফেলে।

খেয়ালের বশে কোন পথে চলেছো পথিক...

শামছুল ইসলাম

পাখী ডানায় ভর করে মুক্ত নীল আকাশে মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, আমিও কল্পনার ডানায় চড়ে মনের গহীন আকাশে .......

শামছুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

চুয়েটের স্মৃতি (১৯৮২-৮৮)

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৩৯



পর্ব-০১
.
পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে পাগল আমার মন নেচে ওঠে, চেনা শোনার কোন বাইরে... গানটা আজ দুপুর থেকে খুব মনে পড়ছে। মাতাল হাওয়ায় জানালার পর্দা বার বার উড়ে যাচ্ছিল। মনটাও উড়াল দিচ্ছিল ক্ষণে ক্ষণে - সুদূর এক অতীতে। যে অতীতে আমি ছিলাম চুয়েটের পাহাড় ঘেরা কুদরত-ই-খুদা হলের একজন। সাথে রুমমেট হিসেবে পেয়ে ছিলাম ভীষণ আড্ডাবাজ আহসান ও ওহাবকে। রুম নম্বর ১৫৮ ছিল সবার আড্ডার আদর্শস্থান। কারণ ডাইনিং থেকে খাওয়া সেরে আট-দশ কদম পা চালালেই আমাদের রুম। আর এটা ছিল এমনই একটা রুম রাতে ঘুমানো ছাড়া সব সময়ই দরজা খোলা থাকতো। যার যখন পড়তে পড়তে ক্লান্তি লাগতো, সেই মিনিট বিশেক আমাদের রুমে এসে আড্ডা দিয়ে যেত। পারিবারিক থেকে শুরু করে রাজনীতি, বিজ্ঞান, ধর্ম - কোন কিছুই বাদ যেতো না। তার্কিক প্রকৌশলীদের যুক্ত - অযুক্তির ধারে রুমটা সারাক্ষণ গমগম করতো। এরমধ্যেই আমরা আহসানের সুযোগ্য নেতৃত্বে একটা জার্মান গ্রুনডিগ ক্যাসেট প্লেয়ার কিনে ফেললাম।
.
এবার শুরু হলো নতুন অভিযাত্রা। তরুণ প্রাণে গানের জোয়ার শুরু হলো। চিটাগং নিউমার্কেটে গিয়ে রবীন্দ্র সংগীতের বেশ কিছু ক্যাসেট কেনা হলো। অন্যান্য রুম থেকে ধারেও ক্যাসেট আনা হতো। বেশ একটা পিকনিক ভাব নিয়ে দিন গুজরান করছি। এমন সময়ে আমরা আবিষ্কার করলাম আমাদের মধ্যে একজন বেশ ভালো রবীন্দ্র সংগীত গাইতে পারে। সন্ধ্যা হলেই ঘরের সমস্ত বাতি নিভিয়ে গান শুরু হতো। কারণ গানটা ছিল অনুভবের, আলোয় তার আবেদন কমে যায়। গানটার কলি আমার লেখার শুরুতেই বলেছি। আর গায়ক ছিল আমাদের রুহুল। ভরাট গলায় অসম্ভব দরদ দিয়ে ও গাইতো। সমস্ত ঘর সুরের লহরীতে ডুবে যেত।
.
চেনা শোনার কোন বাইরে, যেখানে পথ নাই নাই রে - যে পথের দেখা এখনো পাইনি, সেই পথের গান আজও কানে বাজে, এখনো বাজছে।
.
চলবে...
.
মো. শামছুল ইসলাম
৫ আগস্ট ২০২০
.

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: খুব ছোট পোস্ট দিয়েছেন।

অবশ্যই চলুক---

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: পোস্টটা ছোটই ।
আমি সাধারণত কোন একটা বিষয় বা ভাবকে কেন্দ্র করে লিখি।
ভাবটা প্রকাশ করতে যতটুকু লেখা দরকার এবং মন যদি তাতে সন্তুষ্ট হয়, তখন আমি লেখা শেষ করে দেই।

আমার আগের অধিকাংশ পোস্টই কিন্তু ছোট।
ছোট এবং সংক্ষিপ্ত লেখাই আমার পছন্দ।

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তখন কি এটার নাম BIT ছিল? ১৯৮১ সালে সম্ভবত এই চুয়েট এর কাছে প্রেসিডেন্ট জিয়া সহ ৩ জনকে এক কবরে কবর দেয়া হয়।

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আমরা ভর্তি হই চিটাগাং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। পরে বিআইটি হয়। আমাদের সার্টিফিকেট বিআইটির।

হ্যাঁ, চুয়েটের খুব কাছেই উনার কবর ।

৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২০

আমি সাজিদ বলেছেন: আপনাদের সময়কার গল্প আরও শুনতে ইচ্ছে হচ্ছে। সিরিজ হিসেবে লেখুন প্লিজ।

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫২

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ সাজিদ ভাই।

চেষ্টা করবে সিরিজ আকারে লিখতে।

৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭

ওমেরা বলেছেন: শুরুর আগেই শেষ!!

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: হা হা হা।

গানটা মনে পড়ছে। গুগল মামার থেকে ধার করে নিয়ে কপি দিলাম:

শেষ কোরো না
শুরুতে খেলা না ভেঙ্গ না
দীপ জ্বেলে নিভে দিও না
মন যদি নাই দাও
মন তবে নিও না


শুরুতেই শেষের ইংগিত থাকা কী খারাপ?
সব শুরুই তো একদিন শেষ হয়ে যায়।

৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৩

ওমেরা বলেছেন: জী শেষ তো হবেই , তাই বলে কি এত্ত ছোট লিখা কেউ লিখে !! এর পরের পর্ব একটু বড় লিখবেন তার মানে আবার খুব বড় না যাতে দেখেই ভয় লাগে ।

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ওমেরা ভাই, আমি বাড়ির ছোট ছেলে।

সব ছোট জিনিসই আমার খুব পছন্দ। যেমন ধরেন ছোট কথা(অল্প কথা), ছোট মন্তব্য, ছোট গল্প - মানে যা কিছু ছোট তাই আমার পছন্দ। অবশ্য ব্লগে দেখি ইয়া বড় বড় সব পোস্ট। ডরায় যাই । আর পড়া হয় না। অনেক জ্ঞানী জ্ঞানী পোস্টও থাকে । আমি ভাই একটু বিনোদনের জন্য আসছি ব্লগে। জ্ঞান, রাজনীতি ওসবে আমার পোষাবে না। এই সারছে, অনেক বড় মন্তব্য লেইখা ফেলাইছি। স্টপ।।।

৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:২৮

জুন বলেছেন: অনেক আগে একবার চিটাগং থেকে রাংগামাটি যাবার পথে চিটাগং ইউনিভার্সিটি দেখেছি কিন্ত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় দেখা হয় নি। এখন আপনার পোস্টে দেখা যাক শামসুল ইসলাম। তবে শুরু হতেই শেষ।। দেখা যাক পরের পর্ব।

২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:০৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান এমন চিপার মধ্যে, সহজে কেউ খুঁজে পায় না।

আমরা কিছু ভুক্তভোগী ওই চমৎকার পাহাড় ঘেরা কয়েদ খানায় কিছুকাল ছিলাম।
একান্ত বাধ্য হয়ে।
কিন্তু আস্তে আস্তে কেমন করে যেন কয়েদ খানাটার প্রতি মায়া জন্মে যায়।
সেই মায়ায় জড়ানোর গল্পই আমার/আমার সহপাঠীদের গল্প।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.