নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিঃসীম নীল আকাশে পাখী যেমন মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, কল্পনার ডানায় চড়ে আমিও ভেসে চলেছি মনের আনন্দে--রূঢ় পৃথিবীটাকে পিছনে ফেলে।

খেয়ালের বশে কোন পথে চলেছো পথিক...

শামছুল ইসলাম

পাখী ডানায় ভর করে মুক্ত নীল আকাশে মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, আমিও কল্পনার ডানায় চড়ে মনের গহীন আকাশে .......

শামছুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

অক্সিজেন ট্যাংক

৩১ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:০৭

সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকতে হলে অক্সিজেনের খুব প্রয়োজন। ভাবছেন এ আবার কেমন কথা? বাতাসে প্রতিনিয়ত ভুরি ভুরি অক্সিজেন ঘুরে বেড়াচ্ছে। না চাইতেই বুক ভরে শ্বাস নিতে পারছি। আমি অক্সিজেন বলতে O2-এর কথা বলছি না। মনকে, আত্মাকে সজীব রাখার জন্য যে অক্সিজেন, তার কথা বলছি।
.
একসময় ছোট্ট বেলায় আমার অক্সিজেন ছিল আমাদের কলোনির সামনের মাঠটা। সকাল নেই, বিকাল নেই - ছুটে গেছি সেই মাঠে। ফুটবল, ক্রিকেট খেলেছি বন্ধু, বড় ভাই, ছোট ভাই সবার সাথে। হাইস্কুলে ওঠে মাঠের সাথে যুক্ত হলে আর এক অক্সিজেন ট্যাংক - স্কুলের আঙিনা। কত ভিন্ন ধরণের সহপাঠীর সাথে পরিচয়, কত কথা - সে যেন অন্য এক জগত। কলেজের সংক্ষিপ্ত পরিসরে তেমনটা হয়নি। কিন্তু ততো দিনে ঘরকুনো আমাকে পেয়ে বসেছে আড্ডায়। এমন অদ্ভুত অক্সিজেন ট্যাংক - কোথায় ভেসে গেল আমার পড়া লেখা। ঢাকার বাইরে যে আমি কোনদিন যাইনি বাবা, ভাইবোনদের ছেড়ে, সেই আমি প্রকৌশলে পড়তে চলে গেলাম চট্টগ্রাম। বাসার সবাই আমায় নিয়ে ভীষণ চিন্তিত। একে তো ছেলেটা বোকাসোকা, তার উপর অপরিচিত জায়গা। সেখানেও আমি কেমন অদ্ভুত ভাবে সবকিছুর সাথে খাপ খাইয়ে নিলাম।ডাইনিংয়ের জলবৎ তরলং ডালও আমার কাছে অমৃত মনে হলো। কারণ এখানে এসেও পেয়ে গেলাম পাহাড়ের বুকে অবারিত নিশ্চুপ এক প্রকৃতি, আর তরুণ প্রাণবন্ত একদল বন্ধু। সুতরাং অক্সিজেনের অভাব আর বোধ করলাম না।
.
আরো আরো অক্সিজেনের কথা বলার ছিল। লেখাটা বড় হয়ে যাচ্ছে। তাই আমার বর্তমান অক্সিজেন ট্যাংকের কথা বলে শেষ করছি। করোনাকালে আমার অক্সিজেন ট্যাংক হয়ে উঠেছে বাসার সামনে মসজিদের পাশের কয়েকটা অতি সাধারণ ফুলের টব। যখনই সময় পাই, ছুটে যাই একচিলতে বারান্দায়। ওদের দেখি, ওদের সাথে কল্পানায় কথা বলি। মাটির পৃথিবী ছেড়ে আকাশের বুকে আছে আরো এক অক্সিজেন ট্যাংক - চাঁদ। শীতের কনকনে রাতে তার সাহচর্য নিতে সাহস হয় না। আসছে বসন্ত - রাতের আকাশে চাঁদের সাথে আমিও ভেসে বেড়াবো সারা আকাশময়।
.
পুনশ্চঃ আমার চিরকালের অফুরন্ত অক্সিজেন ট্যাংকটার কথা বেমালুম ভুলেই গেছি - বই, ঠাকুমার ঝুলি থেকে শুরু করে আজ অবধি বিভিন্ন বিষয়ের।
.
পাঠক প্রতিক্রিয়াঃ আমার ফেসবুকের এই লেখায় একজন পাঠিকা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। উনি আশা করেছিলেন, আরো আরো অক্সিজেনের কথায় উনার কথা থাকবে। তা না থাকায় হতাশ হয়েছেন। বিপদ বুঝতে পেরে আমি সাথে সাথে বললাম, আসলে তোমার কথাই বলার ইচ্ছে ছিল কিন্তু লোকজন কী বলবে, এই ভয়ে চেপে গিয়েছি। ঘরে যদি অক্সিজেন ট্যাংক না থাকে, বাইরে যতই অক্সিজেন ট্যাংক থাকুক, অক্সিজেনের জন্য হাসফাস করতে হবে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:১১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: নিজেকে মানিয়ে নেয়াটাই হলো বড় কথা।

৩১ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:১২

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ঠিক বলেছেন মশিউর ভাই - নিজেকে মানিয়ে নেওয়া।

২| ৩১ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:১৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: পাঠিকা প্রতিক্রিয়া ঠিক বলেছেন, উনার নাম সবার আগেই আসা উচিত ছিল :)

৩১ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৩৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: সবকিছু সরাসরি প্রকাশ করে দিলে রহস্যটা আর থাকে না। কিছু বিষয় আছে হৃদয় দিযে অনুভবের। কবি যেমন বলেছেন, হৃদয় দিয়ে হৃদি অনুভব... । ধন্যবাদ আলম ভাই।

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৫৭

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ঘরের ট্যাংক টি রিজার্ভ ট্যাংক,সবচে গুরুত্বপূর্ণ
(যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত )

৩১ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:৪০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন।

৪| ৩১ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: তাহলে আমার অক্সিজেন আমার কন্যা। আমার স্ত্রী। আমার পরিবার।

০৫ ই মে, ২০২২ সকাল ৮:৪০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: হ্যাঁ রাজীব ভাই, আপনর অক্সিজেন আপনার কন্যা, স্ত্রী ও পরিবার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.