সাহাবাগ নিয়ে আমার কিছু প্রশ্ন?

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০২

১. সাহাবাগের এই আন্দোলন থেকে দেওয়া দাবিটা কার কাছে?

যদি বলেন সরকারের কাছে, সেই সরকারই কিন্তু এই দাবিটার সাথে একাত্ততা ঘোষনা করেছে.

তাহলে বিষয়টা কি এমন নয় যে “এক বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাই ছেলে বাবার বিরুদ্ধে দাড়িয়েছে, তখন ছেলেটার বাবা বললো আমি তোমার সাথে একমত. কিন্তু আমি বিয়ে করবই”



২. সাহাবাগে যে প্রতিদিন তিন বেলা খাবার আসে কে এই খাবারের যোগানদাতা?



৩. ব্লগার রাজীব কি সত্তিই সাহাবাগের আন্দোলনের সাথে যদি যুক্ত থাকতো? থাকলে এই পর্যন্ত সব মিডিয়ার প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় লাইভ টেলিকাস্টের মধ্যেও তার কোনো ছবি মিডিয়াই প্রচার করতে পারলোনা কেন?লোনা কেন?



৪. সাহাবাগ থেকে যেসব প্রতিষ্ঠান বর্জন করতে বলা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক, এই ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা পাই. সেই ব্যাংকের বেপারে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের কোন বক্তব্য নেই কেন?



৫. মানবাধিকার কমিশন চেয়ারমেন মিজানুর রহমান আপনি কোথায়.

র্রেব যখন লিমনের পায়ে গুলি করলো তখন আপনার বজ্র কন্ঠ ছিল, কারণ লিমন ছিল আপনার আত্তীয়. আর এখন সারা দেশে পাখি সিকারের মত পুলিশ গুলি করে মানুষ মারতেছে, এখন কথায় আপনার মানবাধিকার?



৬. আইনতো সবার জন্যে সমান তাহলে, রাজিবের জানাজা পরানো ইমামকে হত্যার হুমকি দাতা ফারাবিকে গ্রেফতার করা হলো,এটা আমি এটা সাপোর্ট করি.কিন্তু সাহাবাগ থেকে "মাহমুদুর রহমানকে হত্যার করা হবে, অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও অধ্যাপক পিয়াস করিমের পিঠের চামড়া তুলে নেওয়া হবে" এইরকম হুমকি দাতাকে কেন এখনো গ্রেপ্তার করা হচ্ছেনা?



৭. ১৫ তারিখ সন্ধায় সাহাবাগ থেকে ঘোষনা দেওয়া হলো কাল থেকে সাহাবাগের আন্দোলন চলবে বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত.

বাংলা নিউজের সংবাদে পরেছি সাহাবাগের ৮০% আন্দোলনকারীরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ছিলেন. তার কিছুক্ষণ পরই নিহত হলো ব্লগার রাজীব.



২১ তারিখ সন্ধায় সাহাবাগ থেকে ঘোষনা দেওয়া হলো দাবি না মানা পর্যন্ত সাহাবাগ প্রজর্ম আন্দোলন চলবে, তার কিছুক্ষণ পর রাত ১০টাই আবার ঘোষনা দেওয়া হলো সবাই সবার বাড়ি ফিরে যান এইমুহূর্ত থেকে সাহাবাগ প্রজর্ম আন্দোলন কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষনা করা হলো, কাল থেকে জাতীয় জাধুঘরের সামনে শুধু গণসাক্ষর অভিযান চলবে. তার পরদিন শুক্রবার বিশাল সেই ঘটনা/রটনা আবার সন্ধায় সবাই জড়ো হলো সাহাবাগে.

আমার প্রশ্ন কার ইশারায় এতো কিছু?

রাজীব হত্যা ও শুক্রবারের ঘটনা কি একই সূত্রে গাথা?



৮. ইসলামী ব্যাংক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগকারীদের কেন বিচারের আওতায় আনা হবেনা?



৯. ২৩ তারিখ বিকেলে টাঙ্গাইলে একটি শিবির মালিকানাধীন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সেন্টারে আগুন দেয় ছাত্রলীগ সেখানে একজন শিক্ষাথ্রী অগ্নিধগ্ধ হয়ে মারা যাই. বিশ্বজিত হত্যাকে মিডিয়া যেভাবে হাইলাইট করেছে টাঙ্গাইলের এই হত্যাকান্ডটাকে মিডিয়া কি হাইলাইট করতে পারতোনা. কার প্রেসারে মিডিয়ার এই নিরবতা?





আরো অনেক অনেক প্রশ্ন, আছে কি কারো কাছে এই প্রশ্নগুলার উত্তর?



যেদিন এই প্রশ্নগুলার উত্তর আমি পাবো সেদিন আমিও থাকবো সাহাবাগে ব্লগারদের কাতারে!!!

০ টি +০/-০