নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলতে চাই

সামছুল কবির মিলাদ

আমি মুক্ত আমি স্বাধীন

সামছুল কবির মিলাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জ্যান্ত ব্যাঙ, বিছা, কেঁচো খেয়ে সাড়া ফেললেন জয়পুরহাটের জাহাঙ্গীর

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০০


জ্যান্ত ব্যাঙ, বিছা, কেঁচো, শামুক, কাঁকড়া, বিভিন্ন পশুর কাঁচা মাংস কিংবা বিষধর সাপ চিবিয়ে খেয়ে রীতিমত তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন জয়পুরহাটের কলেজছাত্র জাহাঙ্গীর আলম। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন উঁচু গাছপালা, ভবন কিংবা উঁচ স্থান থেকে লাফিয়ে পড়ার কৌশলও রপ্ত করেছেন।

এই দুঃসাধ্য কাজগুলো দেখতে প্রতিদিন শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সী উৎসুক মানুষের ঢল নামছে তার বাড়িতে।

জাহাঙ্গীরের স্বপ্ন, কোনো টেলিভিশন চ্যানেল তাকে সহযোগিতা করলে আগামীতে তিনি দেশের দূর্গম অঞ্চলে গিয়ে বিয়ার গ্রিলের মতো ( চ্যানেল ডিসকভারিতে দূর্গম ভ্রমণ বিষয়ক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ) অনুষ্ঠান নির্মাণ করবেন।
জাহাঙ্গীর আলম জয়পুরহাট সরকারি কলেজের স্নাতক (বিএ) তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এবং জেলা শহরের আরাফাত নগরের ঈদগাহ কলোনির বাসিন্দা পুলিশ সদস্য শফিকুল ইসলামের ছেলে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর ছোটবেলা থেকেই খুব ডানপিটে স্বভাবের। একই সঙ্গে দুর্দান্ত সাহসীও। খেলাধুলা কিংবা লেখাপড়ায় তেমন একটা মনোযোগ ছিল না তার। সারাদিন তার দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকতো ডিসকভারি চ্যানেলের দিকে।

পরিবারের সদস্যরা জানায়, ডিসকভারি চ্যানেলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দূর্গম এলাকা ভ্রমণ ও নিজের জীবন বাঁচাতে ও প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার বিষয়গুলি সে জানতে চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে সেসব ঘটনার মতোই সে জ্যান্ত প্রাণীর কাঁচা মাংস চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস রপ্ত করতে থাকে। পাশাপাশি সে নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য বিভিন্ন গাছ, ভবন ও উঁচু স্থান থেকে লাফিয়ে পড়ার চেষ্টা করে। এসব দুঃসাধ্য কাজ করার কৌশলও রপ্ত করে।

প্রথমদিকে পারিবারিকভাবে বিপজ্জনক এসব কাজে তাকে বাধা দিলেও পরবর্তীতে ভালো দিক বিবেচনা করে পরিবারের সদস্যরা তাকে নানাভাবে উৎসাহ দিতে ও সহযোগিতা করতে থাকে।

প্রতিবেশি শামীম, লোপা, তানিয়া, জিল্লুর ও আকতারসহ অনেকেই জানান, জাহাঙ্গীরের এসব কর্মকাণ্ডে প্রথম দিকে আমাদের বিরক্ত লাগতো। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি সে ঠিক কাজটাই করছে। প্রকৃতপক্ষে সে সৃজনশীল চেতনার ভ্রমণ পিপাসু তরুণ।

দুঃসাহী তরুণ জাহাঙ্গীর আলম জানান, তার প্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল ডিসকভারিতে নিয়মিত প্রচার হওয়া ভ্রমণ বিষয়ক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক বিয়ার গ্রিলের অনুকরণে তিনি নিজেকে প্রস্তুত করছেন। কোনো টেলিভিশন চ্যানেল যদি তাকে সহযোগিতা করে তাহলে আগামীতে দেশের দূর্গম অঞ্চলগুলোতে গিয়ে বিয়ার গ্রিলের মত অনুষ্ঠান নির্মাণ করার ইচ্ছা রয়েছে। বিশেষ করে বেসরকারি ক্রিয়েটিভ টেলিভিশন চ্যানেল আই-এর প্রতি রয়েছে তার ভীষণ দুর্বলতা।

এ বিষয়ে জয়পুরহাট সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শফিউল কাফী বলেন, প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলার জন্য এরকম অভ্যাস গড়ে তোলা দোষের কিছু নয়। তবে বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে এটি অবশ্যই একটি চ্যালেঞ্জ। আর বিচিত্রও বটে।

জয়পুরহাটের সিভিল সার্জন ডা. এসএম আব্দুল জলিল বলেন, প্রতিকূল পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে চলতে জাহাঙ্গীরের এ অভ্যাস অন্যকেও অনপ্রেরণা জোগাবে।
বিস্তারিত দেখুন দুইটি ভিডিওঃ
লিঙ্কঃ https://www.youtube.com/watch?v=z_IRAN_5mZw
লিঙ্কঃ https://www.youtube.com/watch?v=d472PLLHmGI

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৫

মেজদা বলেছেন: মানসিক রুগী। ডাক্তার দেখান

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬

সামছুল কবির মিলাদ বলেছেন: তাহলেতো ওবামাও মানসিক রুগী। কারন সেও বিয়ার গ্রিলের সাথে এডভেঞ্চার করেছে। খেয়েছে হালকা পোড়া মাছ।

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৭

সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: প্রথমদিকে পারিবারিকভাবে বিপজ্জনক এসব কাজে তাকে বাধা দিলেও পরবর্তীতে ভালো দিক বিবেচনা করে পরিবারের সদস্যরা তাকে নানাভাবে উৎসাহ দিতে ও সহযোগিতা করতে থাকে।- পরিবেশের ক্ষতিকরা হচ্ছে। কিন্তু বলা হচ্ছে ভাল দিক। বিষয়টা মানতে কষ্ট হচ্ছে।

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১০

গোধুলী রঙ বলেছেন:

হেতেরে বেয়ার গ্রিলস ভুতে ধরেছে। এরে আমাজন জঙ্গলে পাঠানো হোক।

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২০

মহা সমন্বয় বলেছেন: নিতান্তই মানসিক সমস্যা। ইয়াককক থু.. :-&

৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫০

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: মানসিক রুগি তো অবশ্যই।

ইয়াক থু

৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৪

সুলতানা সালমা বলেছেন: ছি,,,,ছবি দেখেই বমি আসতেসে।উনারে সিরিয়ায় পাঠানো হোক। মানসিক রোগী।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮

সামছুল কবির মিলাদ বলেছেন: সিরিয়ায় কেন? আমতো জানি মানসিক রোগীদেরকে পাবনায় পাঠায়।

৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: খাওয়ার পরে ঐ মানুষের রক্তের রাসায়নিক উপাদান গুলোর ভারসাম্য ঠিক আছে কি না সেটা পরীক্ষা করে দেখা উচিত। তা না হলে দেখে যাবে রেকর্ড ভাঙ্গতে গিয়ে শরীরে কোন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.